Posts

Showing posts from February, 2016

এ মাসের বই/ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

Image
একটা বই সম্পর্কে লেখার আদর্শ সময় কোনটা? যখন সেটা সবে পড়ে উঠেছি, বইটার প্রতি আমার ভালোবাসা, মুগ্ধতা, রাগ, ঘৃণা, বিরক্তি সব একেবারে এই মুহূর্তে আমার জানালার বাইরে রোদ্দুরটার মতো ঝকঝকে, তখন? নাকি বইটা শেষ করার বেশ কিছুদিন পর, যখন আমার চট-প্রতিক্রিয়াগুলো থিতিয়ে পড়ে, ধারালো খোঁজখাঁজগুলো ভোঁতা হয়ে গিয়ে বেশ একটা ঝাপসা কিন্তু নিটোল ছবি মনের মধ্যে ফুটে উঠেছে, তখন? বইয়ের প্রতি সুবিচারের জন্য হয়তো দ্বিতীয় সময়টা ভালো, কিন্তু অবান্তরের পোস্ট লেখার জন্য একেবারেই নয়। কারণ তাহলে আমাকে স্রেফ ভালো লেগেছিল, খারাপ লেগেছিল, কেঁদে ফেলেছিলাম, হো হো করে হেসে উঠেছিলাম, এইটুকু বলেই ক্ষান্ত দিতে হবে। যেটা আমি একেবারেই চাই না। আমি চাই বইগুলোকে কেটেছিঁড়ে, সেগুলো থেকে বড় বড় কোটেশন দিয়ে তাদের কথা আপনাদের কাছে ব্যাখ্যান করে বলতে।   পরে লিখব বলে ফেলে রাখলে আরও একটা সমস্যা হয়, সেটা হচ্ছে লেখার তাগিদটা চলে যাওয়া। যে কারণে ফেব্রুয়ারির শুরুতে বেশ কয়েকটা চমৎকার বই (হেমিংওয়ের প্যারিসবাসের স্মৃতিকথা A Movable Feast , তারপর Llosa -র Letter to A Young Novelist , চন্দ্রিলের হাহাহিহি ও অন্যান্য, অবন ঠাকুরের খাতাঞ্

সাপ্তাহিকী

The tragedy of this world is that no one is happy, whether stuck in a time of pain or of joy. The tragedy of this world is that everyone is alone. For a life in the past cannot be shared with the present. Each person who gets stuck in time gets stuck alone. ----Alan Lightman/ Einstein's dreams স্বেচ্ছা সহমরণ। In Ancient Greece, throwing an apple to a woman was considered a marriage proposal. মাইন্ডব্লোওন । স্বয়ংসম্পূর্ণ । এটা একেবারে হাড়ে হাড়ে সত্যি। আমি ভাবছি এই চায়ের কাপটা অর্ডার দেব। Grisham woke at 5pm everyday to write A Time to Kill before his day job as an attorney. লেখকরা যখন আবিষ্কারক।

নিয়মিত ব্লগ লিখতেই পারি, কিন্তু কেন লিখব?

অফিস যেতে গেলে আমাকে দুখানা ফ্লাইওভার পেরোতে হয়। তার প্রথমটার এক পাশে মেট্রোলাইন অন্য পাশে বড়লোক পাড়ার ডিজাইনার দোকান। সে সব ডিজাইনারের নাম আমিও জানি কাজেই তাঁরা কত বিখ্যাত বুঝে দেখুন। ওই ফ্লাইওভারটা নিয়ে লেখার কিছু নেই। ইন্টারেস্টিং হচ্ছে দু’নম্বর ফ্লাইওভারটা। সেটার শুরুতে হনুমান মন্দির, শেষে প্রকাণ্ড স্টেডিয়াম, মাঝখানে নিচ দিয়ে দুদিকে চলে যাওয়া লম্বা, ফাঁকা রাস্তা। রাস্তা বানানো হয়েছিল ওই স্টেডিয়াম বানানোর সঙ্গে সঙ্গেই, বোধহয় খেলোয়াড়দের চলাচল করার জন্য। খেলা শেষ, রাস্তার প্রয়োজনও ফুরিয়েছে। রাস্তার দুপাশে কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসনের ক্যাম্পাস। লোহার পাইপের দুপাশে শ্যাওলায় কালো হয়ে যাওয়া দেওয়াল। খুপচি বারান্দায় উল্টোনো ফাটা বালতি আর রোদে জ্বলে যাওয়া আধমরা তুলসীর টব। বারান্দার এদিকওদিক টাঙানো প্লাস্টিকের দড়িতে বেঢপ অন্তর্বাস আর লোমওঠা তোয়ালে। সকাল সাতটা নাগাদ ওখান দিয়ে গেলে এসবের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও দেখা যাবে নির্ঘাত। তোয়ালের গিঁটের ওপর থেকে জন্মে জিমের নাম না শোনা লোমশ ভুঁড়ি ঝুলে থাকবে, মুখ থেকে বেরিয়ে থাকবে টুথব্রাশের ডাঁটি, চিবুক বেয়ে নামবে সাদা ফেনা। আমরা যখন যাই তখন শুধু দেখি ন

সাপ্তাহিকী

নক্ষত্রবিদায়। হার্পার লি । উমবার্তো ইকো । ডারউইনের সন্তানসন্ততি অরিজিন অফ স্পেসিস-এর ম্যানুস্ক্রিপ্ট নিয়ে কী করেছিল জানতে হলে ক্লিক করুন। যুদ্ধক্ষেত্রের লাইব্রেরি। ভাইকিং কম্পাস। পৃথিবীর সব   নীল চোখ মানুষের টিকি বাঁধা আছে একজন পূর্বপুরুষের হাতে। সাইকেল দিয়ে আঁকা ছবি। সাপকে ‘লতা’ বললে আমরা গেঁয়ো বলে হাসি, এদিকে সাহেবরাও এই সেদিন পর্যন্ত টর্নেডোর নাম মুখে আনতে ভয় পেত। সবই প্রায় একরকম, খালি যন্ত্রপাতি আর সুরক্ষাব্যবস্থা আধুনিক। টাইটানিক টু-র টিকিট কাটবেন নাকি?

কথা নেই বার্তা নেই ...

Image
... আমার ইনবক্সে হঠাৎ এরা এসে হাজির। যাকে চিনতে পারছেন না সে হচ্ছে আমার ভাই, যার বিয়ে খেতে আমি রাঁচি গিয়েছিলাম গত বছর।  আলোকচিত্রী নিঃসন্দেহে আমার ছোটমামা

ক্লু কুইজ (উত্তর প্রকাশিত)

Image
এ বছরের শুরুতে মনে মনে রেসলিউশন নিয়েছিলাম অবান্তরে কুইজ আবার ফেরত আনব। অন্তত প্রতি মাসে একটা করে। জানুয়ারি মাসে অলরেডি সে শপথ ভঙ্গ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে যাতে না হয় সে জন্য আজ একটা মিনি কুইজ রইল। এ কুইজে কতগুলো ক্লু আছে। এই ক্লুগুলোর সাহায্যে গল্পের গোয়েন্দা রহস্য   সমাধান করেছিলেন। আপনারা সে গল্প আর গোয়েন্দাদের চিনতে পারেন কি না সেটাই দেখার। খুব, খুব চেনা গোয়েন্দাদের গল্পের ক্লু দিলাম। এখানে কিছু কিছু ক্লু আছে, যেটা হয়তো গল্পে   নেই, কিন্তু গল্প থেকে বানানো সিনেমায় আছে।   সে সিনেমাও আপনারা চোদ্দ লক্ষ বার দেখেছেন, কাজেই উত্তর দিতে কোনও অসুবিধে হবে না।   কুইজ খোলা থাকবে চব্বিশঘণ্টার জন্য। উত্তর বেরোবে দেশে মঙ্গলবার রাত আটটায়। ততক্ষণ আমি  কমেন্ট  পাহারা দেব। অল দ্য বেস্ট। *****  ১।   সিং...সিং... ২। কাল টেবিলের   উপর দেখেছিলাম ঘুমের ওষুধ দশটা। আজও দেখছি দশটা। আপনি কি কাল তাহলে ঘুমের ওষুধ খাননি? ৩। হুগলী? হুগলী জেলার লোকে বাসা বলে? ৪। She wasn’t there. ৫। ও মুখ দেখলে মনে থাকত। ৬।   আপনি কি এখনও সেই লিক-করা কলমটাই ব্যবহার করছেন, মিঃ ___? ৭

নাটক দেখতে গিয়ে

Image
আমাদের বাইরে খাওয়ার পাট একেবারেই চুকেছে। ডাক্তার বলেছেন মাসখানেক রেস্ট্রিকশনে থাকলেই যথেষ্ট , বাড়ির লোকেরা বলেছে অন্তত ছ ’ মাস , আর আমাদের বাড়িওয়ালা , যিনি আমাদের উল্টোদিকেই থাকেন এবং আমাদের দরজার সামনে পিৎজা আর ডোনার আর চিকেন চাউমিন আর বিরিয়ানির লাইন দেখে শিউরে শিউরে ওঠেন ( উঠতেন এতদিন ), তিনি বলেছেন সা - রা - জী - ব - ন । সারাজীবন এইরকম খাবে , কুন্তলা। ওকে তো খাওয়াবেই , নিজেও খাবে। তারপর দেখবে তোমার স্কিন কত ভালো হয়ে গেছে , চুল কত কালো হয়ে গেছে . . . সেসব হবে কি না সেটা পরীক্ষার বিষয় , তবে কয়েকটা বদল অলরেডি ঘটেছে। এক , আমি ডালভাত চচ্চড়ি ( তাও আবার তেল ছাড়া ) রান্নায় একেবারে দ্রৌপদী হয়ে উঠেছি। এবং রান্না ব্যাপারটা যে কত সোজা সেটা আবিষ্কার করে চমকে গেছি। অফিস থেকে এসে রান্না করতে হবে জানলে আগে মনে হত মরেটরেও যেতে পারি , এখন দেখছি সে সব করেও সি আই ডি , মাস্টারশেফ দেখতে দেখতে খেয়ে , সানডে সাসপেন্স শুনতে শুনতে ঘুমোনোর শক্তি দিব্যি বাকি থাকে। এটা আমার মায়ের