Posts

Showing posts from September, 2016

রানী ২/২

মূল গল্পঃ The Queen of the Mystery লেখকঃ Ann Cleeves প্রথম পর্ব ***** খাতার ওপর ঝুঁকে পড়ে লিখলে আমার ডানহাতের কনুইটা যেখানে ছুঁয়ে থাকে, এই টেবিলটার ঠিক সেই জায়গাটাতে একটা ছোপ। চেয়ারটাও আমার মাপে মাপে ফিট করে গেছে। কাজেই এগুলো আমারই। কিন্তু লেখার ঘরের বাইরে ধু ধু মাঠের মধ্যে এগুলোকে আনল কে? আমি তো আনিনি। সুষমা? নাকি রঞ্জন? রঞ্জন আমার পাশেই একটা খাটে শুয়ে আছে। খাটটা অবশ্য আমাদের না। কয়েকটা কাঠের তক্তা জুড়ে জুড়ে বানানো একটা সরু লিকপিকে ব্যাপার। পালিশটালিশ কিছু নেই। এদিকে চার পায়ায় বাঁধা রজনীগন্ধার ডাঁটি, ধূপ থেকে জুঁইয়ের গন্ধ সাদা সুতোর মতো পাকিয়ে পাকিয়ে উঠছে। ধপধপে সাদা চাদর গলা পর্যন্ত মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে রঞ্জন। ভীষণ রোগা লাগছে ওকে। গালদুটো ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। ভুরুর হাড়দুটো উঁচু। নাকটা ঠেলে বেরিয়ে এসেছে। রঞ্জন ঘুমোচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না। দু’চোখের ওপর দুটো তুলসি পাতা ঢাকা দেওয়া। আচমকা একটা জোর হাওয়া শুরু হল। টেবিলের ওপর রাখা কাগজের তাড়া এলোমেলো। মাঠের মাঝখানে লিখতে বসেছি অথচ পেপারওয়েট আনিনি? পাতা উড়ে উড়ে ছত্রাকার হয়ে যাচ্ছে সারা মাঠ। আমার এত যত্ন করে তৈরি আউটলাইন

রানী (১/২)

মূল গল্প: The Queen of the Mystery লেখক: Ann Cleeves ***** হাতির দাঁতের হাতলটা বাহারি। সামান্য ঢেউ খেলানো দেহে খাঁজ কাটা, যাতে মুঠোর ভাঁজে নিখুঁত ফিট করে আর গ্রিপও শক্ত হয়। বাঁটের সঙ্গে ফলার সংযোগস্থলে দুদিকে দুটো সোনালি ডানার মতো বেরিয়ে আছে। ডানার ওপাশে চকচকে স্টিলের ফলা, প্রায় ছ’ইঞ্চি লম্বা। ডগা থেকে দু’ফোঁটা রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে। যতবার ওদিকে চোখ পড়ে শিল্পীর মাত্রাবোধের প্রশংসা করি। জানালার পাশে, এখন যেখানে আমি বেতের দোলনা চেয়ারে বসে ইউক্যালিপটাসের হাওয়া খাচ্ছি, সেখান থেকে অবশ্য রক্ত দেখা যাচ্ছে না। পুরু হ্যান্ডমেড কাগজের চিঠিটা আধখোলা হয়ে পড়ে আছে টেবিলের ওপর। ফাঁক দিয়ে উঁকি মারছে শুধু আইভরি রঙের বাঁটের একটা কোণা। বাঁটের মাথায় সোনালি ডানা, স্টিলের ব্লেড, রক্ত, সব আমি স্মৃতি থেকে বললাম। রক্তের ফোঁটার দু'ইঞ্চি নিচ থেকে যে বয়ানটা শুরু হয়েছে সেটারও দুয়েকটা শব্দ এদিকওদিক করে আমি পুরোটা বলে দিতে পারি। কারণ এই চিঠিটা আমি এর আগেও অগুনতিবার পেয়েছি। সুধী, নিখিল বঙ্গ রহস্যরোমাঞ্চ সমিতির পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের বহুপ্রতীক্ষিত বাৎসরিক ব্যোমকেশ সম্মান প্রদান

মরশুমি ভালো-খারাপ

১। আমাদের বাড়িওয়ালার গাছে শিউলিফুল এসেছে। ভোরবেলা, এমনকি অফিস বেরোনোর সময়েও দরজার আশেপাশের চার পা সুবাসিত হয়ে থাকে। ভালোবাসি।  ২। ফুলগুলো আর ক’দিন বাদে গাছ থেকে ঝরে মাটিতে পড়বে এবং লোকজন নির্বিচারে সেগুলো পদদলিত করে যাতায়াত করবে। ভালোবাসি না। লোকজনের দোষ নেই। এড়ানো শক্ত। কিন্তু কেউ এড়ানোর চেষ্টাও করে না সেটাও ঠিক। ৩। মেলাগ্রাউন্ড জুড়ে প্যান্ডেল। মাঠ ছিঁড়েখুঁড়ে বাঁশ, ত্রিপল, রঙিন কাপড়, লোহার কাঠামো। একটুও ভালোবাসি না। ভোরবেলা ফাঁকা মাঠে কুকুরগুলো ছোটাছুটি করে খেলত। একটা সাদা, একটা কালো, একটা সাদাকালো। এখন ছোটার জায়গা নেই, তাছাড়া কর্মযজ্ঞ দেখে বেচারারা ঘাবড়েও গেছে। চুপচাপ বসে থাকে ছড়িয়েছিটিয়ে।  ৪।  ওই একই কারণে আমার শরীরচর্চা রুটিনে (রেডিওতে বিজ্ঞাপন সহ সাত থেকে দশটা গানের (এনার্জি আর ঘড়ি বুঝে) সমান হাঁটা, তারপর দুটো গানের সমান দোলনা চড়া) রীতিমত বিঘ্ন ঘটেছে। দোলনা ঘিরে প্যান্ডেলশিল্পীদের অস্থায়ী কুটির বানানো হয়েছে। এখন দোলনায় আমার বদলে তাঁদের গামছা দোলে। ভালো তো লাগেই না, রীতিমত দুঃখ হয়।  ৫। কেনাকাটি। ভালোবাসি না। দেওয়াদেওয়ি। একটুও ভালোবাসি না। ছোটবেলায় নতুন জামা পেত

সাপ্তাহিকী

খবরাখবর …language can shape a person’s sense of morality. আত্মবিশ্বাসের খারাপ ব্যাপার হচ্ছে জিনিসটা কখনওই মাপমতো থাকে না। কম হলে তবু একরকম। বেশি হলে ভয়াবহ। এবং হাস্যকর। কে বলতে পারে এখন শরীরচর্চা ইন্ডাস্ট্রি টাকা খাওয়াচ্ছে না? কিংবা অরগ্যানিক ইন্ডাস্ট্রি? শরীরচর্চার কথা বলতে মনে পড়ল। অক্ষয়কুমার ঊনপঞ্চাশ হলেন। যিনি না থাকলে আমার মতে হিন্দি সিনেমায় সুপুরুষ নায়কের কোটাটা খালি পড়ে থাকত। তাঁর স্বাস্থ্যের রহস্য আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইজ। এবং জিমে না যাওয়া। সঞ্চয়প্রতিভা নয়, ঔদার্যও নয়, গোটা গল্পটার সবথেকে অবিশ্বাস্য ব্যাপার আমার মতে এত টাকা জমিয়েও লোকটা টাকার গরম লুকিয়ে রাখল কী করে সেটা। বইবিষয়ক বিশ্বরেকর্ড। ভিডিও ধ্যানের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা প্রমাণ হলে অনেকেই ব্যাপারটা চেখে দেখতে চাইবে। লিস্ট অ্যাংজাইটি বলতে আমি যা বুঝি তার মধ্যে এগুলোর অনেকগুলোই পড়ে না। তবু চোখ বোলাতে মন্দ কী। ট্রেনলাইনে যারা বড় হয়েছে তাদের সবার হয়েছেই হয়েছে L’appel du vide । বাংলাদেশের প্রতি আমার কোনও Kaukokaipuu নেই। আমি মারাত্মক মাত্রার Malu -তে ভুগি। ইদানীং সর্বক্ষ

বিহার নিবাস, দ্য পটবেলি

Image
লালু ভালো নীতিশ খারাপ। মৈথিলী ভাষায় অইখন মানে এখানে তইখন মানে সেখানে। ভোজপুরী ফিল্মি গানের ভাষা এমন যে ফ্যামিলিকা সাথ বইঠকে শোনা যায় না। অথচ সেই গান শুনে শুনে মৈথিলী যুবসম্প্রদায় গোল্লায় যাচ্ছে। এ সব খবর আমরা পেলাম ঈদের দুপুরে বাড়ি থেকে বিহার নিবাস যেতে যেতে।  ট্যাক্সিতে উঠেই যেই না বললাম বিহার নিবাস যানা হ্যায়, ভদ্রলোক এক গাল হেসে জি পি এস বন্ধ করে দিলেন। ট্যাক্সিচালকরা দু’প্রকার। একদল জি পি এস-এর দেখানো রাস্তার এক ইঞ্চি এদিকওদিক দিয়ে যেতে রাজি হন না। আর একদল জি পি এস-এর সাহায্য নেওয়াকে কাপুরুষতা মনে করেন। প্রথমে ভেবেছিলাম এই ভদ্রলোক দ্বিতীয় দলের। তারপর অন্য কারণটা বেরোলো। নার্ভাস হয়ে আমরা কিন্তু রাস্তা চিনি না বলাতে আশ্বাসের হাত তুলে বললেন, আপনা হি স্টেট হ্যায়, ভবন তো পাতা হি হোনা চাহিয়ে। কৌটিল্য মার্গের বিহার ভবন ওঁর পাতা ছিল ঠিকই কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ক্যান্টিনটা তেনজিং নোরগে মার্গের বিহার নিবাসে। দুটোর মধ্যে দূরত্ব মোটে পাঁচ মিনিট। বিহার নিবাসের ক্যান্টিনকে অবশ্য ক্যান্টিন বলা উচিত নয়। কারণ সেটা একটা বাহারি দোকান। শাহপুর জাট ভিলেজে পটবেলি রুফটপ ক্যাফের ধুন্ধুমার

আমার জীবনের কুড়িটি জ্বলন্ত সমস্যা

১। তেষ্টা মেটার আগেই চা ফুরিয়ে যাওয়া। প্রত্যেকবার। ২। চায়ের দুধ, চিনি, নুন, বয়ামে কখনওই প্যাকেটের পুরোটার জায়গা না হওয়া। বাকিটুকু গার্ডার পেঁচিয়ে রাখতে বাধ্য হওয়া। চোখের সামনে রাখলে দৃশ্যদূষণ, আড়ালে রাখলে বিস্মৃতি।  ৩। ওষুধ ফুরোনোর আগেই অসুখ সেরে যাওয়া। তারপর সারাবাড়ি ওষুধের গোরস্থান। ৪। বাড়িতে প্লাগ পয়েন্টের থেকে গ্যাজেট বেশি থাকা। ৫। অর্চিষ্মান আর আমার ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদির চার্জ সর্বদা, সর্বদা, একসঙ্গে ফুরোনো। এবং তখন ওপরের সমস্যাটা প্রকটতর হয়ে ওঠা। ৬। আশু দরকারি কাজটা ছাড়া পৃথিবীর সব কাজ করতে ইচ্ছে করা।  ৭।  পড়তে শুরু করা বইটা ছাড়া পৃথিবীর অন্য সব বই পড়তে ইচ্ছে করা।  ৮। সব খাবার গরম হয়ে যাওয়ার পর সিনেমা বেছে বাফারিং-এ দেওয়ার কথা মনে পড়া। তখন হয় সিনেমা বাছতে গিয়ে খাবার ঠাণ্ডা কর, নয় সিনেমা চালাতে চালাতে খাওয়া শেষ। ৯। বাঁধানো ছবির তুলনায় দেওয়ালে পেরেক কম পড়া। নিজেরা মারার এলেম নেই। আর পেরেক মারার জন্য এখনও লোক ভাড়া পাওয়া যায় না। হাঁ করে বসে থাকা কখন বড় কিছু খারাপ হবে - কলিং বেল, গিজার - তখন ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে পেরেক পুঁতিয়ে নেওয়ার জন্য।  ১০। ই

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস Intelligence is really a kind of taste: taste in ideas.                                                                                               ---Susan Sontag Mother's genes go directly to the cerebral cortex, those of the father to the limbic system.  পৃথিবীর প্রথম চুটকি হল খ্রিস্টপূর্ব উনিশশো শতকের একটি সুমেরিয়ান প্রবাদ।  জাপানে বোমাপতনের পরে  ভিয়েতনামের যুদ্ধে রাস্তায় ছুটতে থাকা ছোট মেয়েটির ছবি ফেসবুকের সংজ্ঞায় ফুল ফ্রন্টাল নুডিটি-র উদাহরণ। কাজেই বাতিল।    চারচারটে জন্তুকে আমরা জিরাফ নামের ছাতার তলায় গুঁজে রেখেছি। (নিউ ইয়র্ক টাইমস) উনিশশো চুয়াত্তর সালে টুইন টাওয়ার তৈরি হওয়ার খবরটা দাঁতের ডাক্তারের চেম্বারে বসে পেয়েছিলেন ইনি। তখনই ঠিক করেন এক টাওয়ারের ছাদ থেকে অন্য টাওয়ারের ছাদ পর্যন্ত হাঁটবেন। প্রস্তুতির আট মাসে দড়িতে হাঁটা মোটে একবার প্র্যাকটিস করেছিলেন তিনি। তাঁর মূল মাথাব্যথা ছিল হাঁটার পার্টটা নয়, গার্ডের চোখ এড়িয়ে ছাদ টু ছাদ তার লাগানোর পার্টটা। কারণ ঘটনাটা ঘটানোর জন্য তাঁর অনুমতি ছিল না। কাজেই নিচে সেফটি নেটও ছিল না।  “On

সাত

গোড়ায় অসুখবিসুখের প্রসঙ্গে সাত বছর সময়টা জরুরি ছিল। বলা হত এ পৃথিবীতে এমন কিছু রোগ আছে, শরীরের এবং মনের, যা সারতে লাগে সাত বছর। তারপর বিশেষজ্ঞরা বার করলেন মানুষের সম্পর্কেও সাত বছর সময়টা জরুরি। সম্পর্ক মানে মূলত রোম্যান্টিক সম্পর্ক, জোগাড় করা থেকে টিকিয়ে রাখা, সবকিছুতেই যাদের পেছনে কাঠখড় পোড়াতে হয়। জন্মলগ্নে মুফতে পাওয়া সম্পর্ক, বিজয়ায় একটা ফোন করলেই পরের বছরের জন্য যাদের থাকা নিশ্চিত, তারা নয়। বিশেষজ্ঞরা বললেন এই সব কঠিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাত বছর সময়টা ক্রুশিয়াল। শুরুতে হালকা ইরিটেশন, লাল হওয়া, ফুসকুড়ি। পত্রপাঠ ব্যবস্থা না নিলে একেবারে বিচ্ছেদে গড়ানো অসম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা কিছু বললে অবশ্য একটা সান্ত্বনা থাকে। যে আরেকদল বিশেষজ্ঞ ঠিক উল্টো কথাটা প্রমাণ করে দেবেন। এ ব্যাপারেও তাই হল। অন্যরা বললেন যে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা তো নেই, বরং সাত বছর যদি কোনও সম্পর্ক টিকে যায় তাহলে বরং নিশ্চিত হওয়া যায় বাকি জীবনটাও সেটা টিকবে। সাত বছর একসঙ্গে থাকা মানে পালানোর রাস্তা সব একে একে বন্ধ হয়েছে, একে অপরকে হাড়েমজ্জায় অভ্যেস হয়ে গেছে, বাকিটুকু জাস্ট নিয়ম করে টেনে দিলেই হল।  কোন তত্ত্বটা যে ঠিক সে

ধর্মের বিষ আর কুমারীর বাস/ অগস্ট (২০১৬) মাসের বই

Image
The Poisonwood Bible/ Barbara Kingsolver উৎসঃ গুগল ইমেজেস উনিশশো ঊনষাট সালে চার মেয়ে র‍্যাচেল, লিয়া, আডা, রুথ মে এবং এক বউ অরলিয়ানাকে সঙ্গে করে এভ্যানজেলিক্যাল ব্যাপ্টিস্ট নাথান প্রাইস কঙ্গো পৌঁছন মিশনারি দায়িত্ব সারতে। গন্তব্য কিলাংগা নামের একটি ছোট গ্রাম। প্রাইস পরিবারের সংক্ষিপ্ত কিলাংগাবাসের অভিজ্ঞতা এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে অভিজ্ঞতার দীর্ঘ, অতি দীর্ঘ ছায়াপাত নিয়ে বারবারা কিংসলভারের লেখা পয়জনউড বাইবেল, প্রায় সাড়ে পাঁচশো পাতার বই, হার্পার প্রকাশনী থেকে ছাপা হয়েছিল উনিশশো আটানব্বই সালে। উনিশশো নিরানব্বই সালের ফিকশন বিভাগে পয়জনউড ফাইন্যালিস্ট ছিল। ( জিতেছিল মাইকেল ক্যানিংহ্যামের দ্য আওয়ারস।) গল্পটা আমাদের বলে অরলিয়ানা এবং তার চার মেয়ে। নাথানের কোনও বক্তব্য আমরা শুনতে পাই না। তার কারণ আডার মন্তব্যে স্পষ্ট। “ Our father speaks for all of us”।  মা আর চার মেয়ে পাঁচরকম ভাবে আমাদের কিলাংগা, কিলাংগার মানুষ, মাঠ, নদী, নদীর কুমীর, খরা, বন্যা, শিকার, পুরুষতন্ত্র, ওঝাতন্ত্র, খুনি পিঁপড়ে, আপাতভাবে কিলাংগার নাগালের বাইরে কিন্তু কিলাংগাকে নিরন্তর ছুঁয়ে যাওয়া কঙ্গো এবং বি

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস Boredom is the legitimate kingdom of the philanthropic.                                                                  ---Virginia Woolf খবরাখবর মাঝে মাঝে আমার আফসোস হয় যে আমি এত বাড়াবাড়ি রকমের ‘নর্ম্যাল’ কেন। আরেকটু কম নর্ম্যাল হলে জীবনটা আরেকটু ইন্টারেস্টিং হত। এখন মনে হচ্ছে কি জানি, যতটা ভেবেছিলাম ততটা নর্ম্যাল হয়তো আমি নই। কারণটা অবশ্য …   অস্কারের মনোনয়ন দিয়েও ফিরিয়ে নেওয়া? একাধিকবার ঘটেছে। তবে চার্লি চ্যাপলিনকে চারচারখানা নমিনেশন দিয়েও ফিরিয়ে নেওয়ার কারণটা মচৎকার।  ন্যাচারাল আইসক্রিমকে আঙুর আইসক্রিম বানানোর চ্যালেঞ্জটা  দিয়ে দেখা যেতে পারে।  ভিডিও বন্ধু কীসে লাগে? ছবি ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনি কী নিয়ে ভাবেন? আমাদের প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রীদের যৌবনের ছবির এ’রকম একটা সিরিজ থাকলে পারে। পয়সা ফেললেই স্নিকারস আর কোকা কোলার বদলে ছোট গল্প।   এটা অবশ্য, পয়সা দিয়ে কেনা নয়, চুরি করে আনা ছোট গল্প।   গান সারা সপ্তাহের ফিল গুড ফ্যাক্টরের কোটা খানিকটা পূরণ করতে।