আমার পুজোর লিস্ট
অর্চিষ্মানের কাছে শুনলাম আমাদের
নতুন ভাড়াবাড়ির চারদিকে চারটে পুজোপ্যান্ডেল হয়েছে নাকি। তাদের মধ্যে একটা একেবারে
ঘাড়ের কাছে, আর তার মাইকের মুখ সোজা আমাদের বারান্দার দিকে ঘোরানো। হ্যালো হ্যালো,
মাইক টেস্টিং, হ্যালো হ্যালো, ওয়ান টু থ্রি ইত্যাদির সময়েই নমুনা টের পাওয়া
গেছে, পুজোর পাঁচদিন যে কী হতে চলেছে সেই ভেবে অর্চিষ্মানের এখনই হৃৎকম্প হচ্ছে।
আমি খুব সমবেদনা দেখিয়ে, কী আর করবে দরজাজানালা বন্ধ করে কানে তুলো দিয়ে বসে থাক,
এই সব বললাম, কিন্তু মনে মনে দারুণ দুঃখ হল। কোথায় পুজোর পাঁচটা দিন দুজনে মিলে
ঘরে বসে অর্ডার দেওয়া চাউমিন খাব, শব্দদূষণের গুষ্টির তুষ্টি করব, “কারা এই
হট্টগোলে পুজো দেখতে বেরোয় বস্” বলে প্রাণভরে মুখ বেঁকাব, তা না এখানে এতদূরে
একাবোকা ঘুরতে হবে। জঘন্য।
মনখারাপ করে তাই গোটা একটা লিস্টই বানিয়ে ফেলেছি আমি। আমার পুজোর লিস্ট।
১. পুজোর শুরুঃ মহালয়া। মহালয়া
যদিও একটা গোটা দিন, কিন্তু আমার কাছে মহালয়া মানে ভোর সাড়ে চারটে থেকে সকাল সাতটা
সময়টুকু। বাবাকে কখনও তর্পণ করতে যেতে দেখিনি, তাই আমার মহালয়া শুধুই ইনডোর। সে
ইনডোর মহালয়ার ভোরের বর্ণনা দিয়ে আপনাদের বোর করব না, কারণ সেটা সকলেরই প্রায়
একরকম। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বাজলো তোমার আলোর বেণু, বছরে একবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় টিভি
দেখতে বসার অনুমতি। আমি সেই যুগের লোক যখন প্রতিবছর টিভিতে মহালয়ায় একটাই অনুষ্ঠান
দেখানো হত। আমরা উইদাউট ফেল সেটাই দেখতাম আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম এত খারাপ
জিনিস প্রত্যেক বছর দেখায় কী করে? চালিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে নির্ঘাৎ, তাই টের পায়
না। আনন্দের ব্যাপার হল, অচিরেই প্রতি বছর নতুন নতুন মহালয়া দেখানো শুরু হল। নতুন
নতুন ব্রহ্মাবিষ্ণুমহেশ্বর, নতুন মহিষাসুর, নতুন সিংহ, নতুন দুর্গা। একবার
হেমামালিনী দুর্গা সেজেছিলেন মনে আছে। দুঃখের ব্যাপার যেটা হল সেটা হচ্ছে নতুন
মহালয়াগুলো আগের মহালয়ার মতোই (কিংবা আরও বেশি) খারাপ। তা বলে দেখা বন্ধ করিনি
অবশ্য। সেটা করার অপশন আছে নাকি?
২. পুজোর শেষঃ লক্ষ্মীপুজো। অনেকে
লক্ষ্মীপুজোটাকে পুজোর মধ্যেই গণ্য করেন না, কিন্তু আমাদের বাড়িতে এবং পাড়ায় সেটা
একটা বিগ ডিল। অন্তত একসময় ছিল। তাছাড়া লক্ষ্মীপুজো হচ্ছে লিখিতপড়িত ভাবে বিজয়ার
শেষ। পাড়ার যারা গত পাঁচদিনে গড়িমসি করে ঠাকুমাকে পেন্নাম ঠুকতে আসতে পারেননি,
তাঁরা সবাই ওই দিনেই চড়াও হতেন বাড়িতে। পুজোর তোড়জোড় শুরু হত সকাল থেকেই, কিন্তু
আমার সেখানে কোনও ভূমিকা ছিল না। আমার উৎসাহের ব্যাপার শুরু হত বেলা তিনটে নাগাদ।
ভিজিয়ে রাখা চাল বেটে দিত বড়দের কেউ, আর আমি চালগোলার বাটি আর এক টুকরো ন্যাকড়া নিয়ে
বীরদর্পে আলপনা দিতে বেরোতাম। বাড়ির সামনের বাঁধানো পথে, বারান্দায়, সব ঘরের
চৌকাঠে, কুয়োতলায়, সর্বত্র যাতে মালক্ষ্মীর পা পড়ে সেটা সুনিশ্চিত করার গুরুদায়িত্ব আমারই
হাতে। এত পরিশ্রমের পুরস্কার মিলত পুজোর শেষে। ভীষণ রংচঙে ভীষণ মিষ্টি মঠ, আর চালডালমাখা।
আমার ফেভারিট ছিল মুড়কি। বিজয়া সেরে, পুজো দেখে, প্রসাদ খেয়ে অতিথিরা যখন সবাই একে
একে বিদায় নিতেন আর বাড়িটা নিঃঝুম হয়ে যেত, তখন সত্যি সত্যি বুঝতে পারতাম সামনের
পুজোটা আসতে এখনও কত দেরি।
৩. পুজোর সেরা খাওয়াঃ নরম গরম
ফুলকো লুচি। ষষ্ঠীর দিন বেগুনভাজার সঙ্গে, সপ্তমীর দিন পায়েসের সঙ্গে, অষ্টমীর দিন
পাঁঠার মাংসের সঙ্গে---একই লুচির নব নব রূপ খুলত। তাছাড়া মণ্ডপের লুচিসুজিপ্রসাদ তো
আছেই। সে বারোয়ারি মিনি লুচি অবশ্য মায়ের হাতের লুচির থেকে অনেক মোটা, অনেক ঠাণ্ডা
আর অনেক শক্ত। খেতে গেলে দাঁতের রীতিমত ব্যায়াম হয়। সে প্রসাদ বাড়িতে এনে
খেতেখেতে তার সুস্বাদ নিয়ে আমি বিস্ময় প্রকাশ করায় ঠাকুমা উল্টে দ্বিগুণ বিস্ময়
প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, মাদুর্গার পায়ের কাছে এতক্ষণ ধর্না দিয়ে পড়ে থেকেছে,
এ জিনিস খেতে ভালো হবে না তো কি গীতামাসির হাতের রান্না খেতে ভালো হবে? (গীতামাসি ছিলেন
আমাদের তৎকালীন রান্নার মাসি। স্বাস্থ্যের অজুহাতে মাসি রান্নায় তেলমশলা কম দিতেন
বলে ঠাকুমা মাসিকে খুব একটা ভালো চোখে দেখতেন না।)
৪. পুজোর সেরা গন্ধঃ উঁহু, শিউলি
নয়। যদিও আমাদের বাড়ির গেটের সামনে তখন একটা ঝাঁকড়া শিউলিফুলের গাছ ছিল। আর
আশ্বিনমাসে সে গাছের পাশ দিয়ে গেলে মিষ্টি গন্ধও নাকে আসত। কিন্তু আমার কাছে পুজোর
সেরা গন্ধ হল মণ্ডপের গন্ধ। ধুপধুনো কর্পূরচন্দন প্রদীপের পোড়া তেল বাসি ফুল
যজ্ঞের আগুন সব মিলিয়ে একটা ভীষণ তেজী গন্ধ। নাকে এলেই সমস্ত ঘুম ঘুম ভাব চলে গিয়ে
একটা চনমনে ভাব জাগে।
৫. পুজোর সেরা শব্দঃ ঢাকের আওয়াজ।
কাঁসি। মাইকে নিরুদ্দেশসংক্রান্ত ঘোষণা। অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে সকলকে যথাশীঘ্র আসার
অনুরোধ। অঞ্জলির অবোধ্য মন্ত্রের গোটাটা হুঁহাঁ করে পেরিয়ে গিয়ে শেষে আত্মবিশ্বাসী
কণ্ঠে নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নম নম।
৬. পুজোর সেরা নির্ঘন্টঃ সপ্তমী।
সপ্তমীর সকাল। বাকি ন’টি সকালবিকেলের মধ্যে সপ্তমীর সকালের পুজোপুজো ভাব বেশি, আলো
বেশি, আনন্দ বেশি। অবশ্য পুরোটাই সাইকোলজিক্যাল। ষষ্ঠীর দুধভাত ব্যাপারটাও কেটে
গেছে, কিন্তু পুজো বাকি আছে আরও অনেকটা---এই জানাটাই সপ্তমীর সকালকে বাকি ন’টা
সকালবিকেলের থেকে দৌড়ে মাইলখানেক এগিয়ে রেখেছে।
৭. পুজোর সেরা প্যান্ডেলঃ নিজের
পাড়ার অফ কোর্স। তবে কেউ যদি বলেন, ও হরি ওটা আবার প্যান্ডেল কোথায়, ও তো চারটি
বাঁশের ওপর শুধু একটা ত্রিপল ফেলা শুধু, এখানে তো সত্যিকারের প্যান্ডেলের কথা জিজ্ঞাসা
করা হচ্ছে। তাহলে আমাকে আমার পাড়ার মায়া ছেড়ে বলতেই হবে বাগবাজার। প্যান্ডেলের
ভেতরে ওইরকম জাঁদরেল দেখতে দুর্গা আর বাইরে বিরাট মাঠে লাইন দেওয়া আচার আর পাঁপড়ের
দোকান---বাগবাজার ছাড়া আর কেউ আমার লিস্টে প্রথম হতে পারতই না। আর একটা কারণেও বাগবাজার
আমার ফেভারিট, কোনও বছর শুনিনি আখের ছিবড়ে বা পিঁপড়ের ডিম দিয়ে ওরা প্যান্ডেল
বানিয়েছে।
৮. বাংলা সিনেমায় পুজোর সেরা
দৃশ্যঃ জয় বাবা ফেলুনাথের ওপেনিং সিন। হীরের আংটি। আর একটা সিনেমায় যদিও বরণ ছাড়া সেভাবে
পুজোর কোনও দৃশ্য নেই, কিন্তু সিনেমার গোটাটাই পুজোর সঙ্গে এমন ওতপ্রোত
ভাবে জড়িয়ে আছে যে সেটাকে বাদ দেওয়া পাপ। উৎসব। পুজোর দৃশ্যটা ভেরিফাই করে নেব বলে
ইউটিউবে দেখছিলাম, আবার সিনেমাটা পুরোটা দেখতে হল। কী ভালো, কী ভালো।
৯. পুজোর সেরা গানঃ এই প্রশ্নটার
উত্তর দেওয়া শক্ত। বাজলো তোমার আলোর বেণু। তাছাড়াও আরও লক্ষ লক্ষ আছে। একবার পুজোয়
কলকাতায় ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম বাবামায়ের সঙ্গে, সে বছর নচিকেতা সবে উঠেছেন।
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে কান ফাটিয়ে বাজছে ‘এই বেশ ভালো আছি’। আমার মনে আছে বাস
একএকটা ট্র্যাফিক লাইটে দাঁড়াচ্ছে আর কাছের কোনও একটা প্যান্ডেল থেকে ভেসে আসছে
‘অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন’। পরের প্যান্ডেলে 'শুধু বিষ, শুধু বিষ দাও', তারপরের প্যান্ডেলে 'যখন সময় থমকে দাঁড়ায়', তার পরের প্যান্ডেলে 'লাল ফিতে সাদা মোজা'...
কিন্তু এ-সংক্রান্ত যে প্রশ্নের
উত্তর দেওয়াটা একেবারেই শক্ত নয় সেটা হচ্ছে কোন পুজোর গান আমার ফেভারিট নয়।
শারদসম্মান পাওয়ার লোভে মৃদুস্বরে চালানো পরিশীলিত রবীন্দ্রসংগীত কিংবা
বাউলগীতি আমার অত্যন্ত অপছন্দের।
১০. পুজোর সেরা ঘোরাঃ পশ্চিমবঙ্গের
বাঙালিদের দু’দলে ভাগ করা যায়। একদল পুজোর সময় পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বেড়াতে যান,
আরেকদল যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। আমার বাড়ির লোক এই দ্বিতীয় দলে পড়েন। তাই আমার
পুজোর ঘোরাঘুরি সব কাছাকাছি, বড়জোর কলকাতা। ছোটবেলা থেকেই মেথডের প্রতি আমার প্রভূত
পক্ষপাত, পুজোর ঘোরাতেও সে মেথডের ছাপ পড়েছিল। প্রত্যেকবছর ষষ্ঠীর সন্ধ্যেবেলায় নিয়ম
করে আমি বুচিদিদির সঙ্গে রিষড়ার ঠাকুর দেখতে বেরোতাম। রেললাইনের এপারওপারের নামকরা
প্যান্ডেলগুলো হেঁটেহেঁটে কভার করা হত। সাধনকানন, বিশ্বপরিবার, বাঙুরপার্ক,
চারবাতি। চারবাতিতে 'আপ্যায়ন' বলে একটা নতুন রেস্টোর্যান্ট খুলেছিল একবছর পুজোর
সময়। তার কাঁচের দরজা দেখে প্রথমে আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম, না জানি কত দাম হবে
খাবারের। কিন্তু খেতে এত লোভ হচ্ছিল যে দুর্গা বলে ঢুকেই পড়েছিলাম। ভাগ্যিস
ঢুকেছিলাম। কারণ দরজাটাই যা হোমরাচোমরা, ভেতরটা আর পাঁচটা স্থানীয় দোকানের মতোই।
নন-এসি, সানমাইকার টেবিল আর প্লাস্টিকের চেয়ার। ফেরার পথে ডিমের কুসুমের মত লাস্টে
খাব বলে তুলে রাখা রিষড়ার সবথেকে ঝিংচ্যাক প্যান্ডেল বাগপাড়া। বাগপাড়ার পুজো, যাকে বলে
ছিল আভা গার্দ। বাগপাড়ায় দুর্গাকে একবার স্কার্টব্লাউজ পরিয়েছিল মনে আছে।
সপ্তমীর রাতে
সুজাতার সঙ্গে নবগ্রাম আর কোন্নগরের ঠাকুর দেখতে বেরোনো বাঁধা ছিল। মেনুও ফিক্সড, ফুচকা আর এগরোল।
সুজাতাদের পাড়ার প্যান্ডেলে একবছর সপ্তমীতে গানের লড়াই প্রতিযোগিতা হয়েছিল, আমরা
তাতে নাম দিয়ে সেকেন্ড হয়েছিলাম। স্টিলের থালাবাটি প্রাইজ হাতে নিয়ে ফিরে কাকিমাকে
ভীষণ চমকে দিয়েছিলাম।
১১. পুজোর সেরা বার্ষিকীঃ
আনন্দমেলা। কেন এর কোনও উত্তর নেই। শুধুমাত্র নস্ট্যালজিয়া ছাড়া। ইয়াং অ্যাডাল্টস্দের
জন্য এর থেকে ঢের ভালো ভালো পূজাবার্ষিকী বাজারে বেরোয়। অনেক ভালো গল্প, রচনা, ছবি
নিয়ে। তবু এখনও অটো থেকে নেমে আনন্দমেলা কিনে বাড়ি আসি। এনে একগাদা মাঝারি লেখা
উল্টেপাল্টে পড়ে বাংলা সাহিত্যের দুর্দশা নিয়ে দু’চারটি গাল পেড়ে ঘুমোতে যাই।
১২. পুজোর সেরা অ্যাডঃ সকলেই বলে
পুজো আসছে নাকি টের পাওয়া যায় আকাশে সাদা তুলোর মতো মেঘ আর বাতাসে শিউলি ফুলের
গন্ধ থেকে। আমার চোখ খারাপ আর ঘ্রাণশক্তিও পাতে দেওয়ার অযোগ্য বলেই বোধহয় ও দুটোর
একটাও বোধগম্য হওয়ার আগে যেটা নজরে পড়ত সেটা হচ্ছে আনন্দবাজারের পাতা জোড়া জুতোর
বিজ্ঞাপন। বাটা, খাদিম, শ্রী লেদার্স। সারি সারি চকচকে জুতোর ছবি। বাবার, মায়ের,
আমার। আমি খাটের ওপর উবু হয়ে গালে হাত দিয়ে বসে নিজের জন্য জুতো পছন্দ করতাম। লাল
নীল গোলাপি, হিল তোলা, বো বাঁধা। অনেক বাছাবাছির পর নিজের পছন্দসই জুতো খুঁজে বার
করে তবে শান্তি। তারপর ছুটির দিন একশোটা কাজ থেকে সময় বার করে মাবাবা দোকানে নিয়ে
গিয়ে এই জুতোটা কিনে দিতেন।
অ্যাডের কথা বললে অবশ্য টিভির
অ্যাডগুলোকে বাদ দিলে চলবে না। কোকাকোলাও ভালো অ্যাড বানাত পুজোয়, শালিমারও বানাত।
লালপেড়ে সাদা শাড়ি, সিঁদুরখেলা, অষ্টমীতে অঞ্জলি দিতে গিয়ে কিশোরকিশোরীর একে অপরের
মাথায় ফুল ছুঁড়ে প্রেম প্রেম খেলা---পুজো নিয়ে বাঙালির নস্ট্যালজিয়ার ঠিক
কোনখানটায় টান দিলে প্রোডাক্টের বিক্রি বাড়তে পারে সে সম্পর্কে আইডিয়া দুই কোম্পানিরই
পাল্লা দিয়ে ভালো।
তবু আমার ভোট শালিমারের দিকে যাবে।
এর পেছনে ব্যক্তিগত পছন্দঅপছন্দের হাত নেই কারণ কোল্ডড্রিংকসের মধ্যে খেতে হলে আমি
সবসময় কোকাকোলা খাই (অফ কোর্স, লিমকা না পাওয়া গেলে তবেই। দুঃখের বিষয় লিমকা পাওয়া
আজকাল ভগবানকে পাওয়ার মতোই শক্ত।) কিন্তু মাথায় মাখার সময় শালিমারের বদলে
প্যারাশুট হলেও আমার কিস্যু আসে যায় না। তবু শালিমার যে জিতল তার একমাত্র কারণ
চন্দ্রিল। বা চন্দ্রিলের ঢাক বাজানো।
কেমন লাগল আমার লিস্ট? আপনাদের সঙ্গে মিলল নাকি কান ঘেঁষে বেরোল নাকি একেবারেই নর্থপোল সাউথপোল হয়ে গেল? জানার অপেক্ষায় রইলাম।
কেমন লাগল আমার লিস্ট? আপনাদের সঙ্গে মিলল নাকি কান ঘেঁষে বেরোল নাকি একেবারেই নর্থপোল সাউথপোল হয়ে গেল? জানার অপেক্ষায় রইলাম।
সিধুজ্যাঠা বলেছেন যে প্যারিসে অঞ্জলি দিতে হলে এই ভদ্রলোকের সাথে যোগাযোগ করতেঃ
ReplyDeleteName: Bikas C. SANYAL
Address: India House, 7R Boulevard Jourdan, 75014 Paris
Phone: 01 53 80 78 00, 01 53 80 78 04
E-mail: india-house@magic.fr
জায়গাটা Cite Universitaire কমপ্লেক্সের ভেতরে। সিধুজ্যাঠা আরও বলেছেন যে ৪ নম্বর লাইনের মেট্রোতে উঠে Porte d'Orleans -এ নামতে হবে
হাহাহা, থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ দেবাশিস। সিধুজ্যাঠার কেরামতি মেনেও বলছি, আপনিও বড় উপকারী বন্ধু।
DeleteUffff. Post ta dekhei mukh ta haasi haasi hoye galo. Birendrakrishnar gola shunei je adrenaline rush ta shuru hoy, seta lokkhi pujor agey ar thame na. Ei je shanto hoye apishe eshechhi aj, eta korte je kotota self control legechhe, bhabai jay na. Mohalayar por thekeiTobe thanda luchir theke khichuri, labra, "plasticer chutney" amar sobcheye priyo bhog. Gorom, jhaal khichuri kheye proti bochhor naaker joley chokher joley holeo sei khichurir moto swaad ar kichhute nei. :D :D
ReplyDeleteAr oi Chandriler dhaak bajanor ad ta amaro sobcheye priyo pujo ad. Goto bochhor pujo sheshe Dilli phire eshe shudhu eta dekhtam ar mon kharap kortam. Lokkhipujoy chaaldaalmakha khete DAROON lage. Amader Benareser baritey lokkhipujota ekta "big deal". Oneeek lok ashe, prochuuuuur khabar banano hoy, ar ami saradin churi kore narkel naru khai. Aha, bhabtei bhallagchhe.
Borat er bhashay jake bole EXCAIIIITE bodh korchhi. PUJOOOOOO! :D
ইয়েস বিম্ববতী! পুজো! বাইরেটা বোরিং বড়বেলার সঙ্গে মানানসই গাম্ভীর্য আর রোজকার অফিসের আবোলতাবোল কাজকর্ম দিয়ে ঢেকে রেখেছি তো কী হয়েছে, মন তো জানে আজ মহালয়া। আহা, প্লাস্টিকের চাটনির কথা ভেবে মনখারাপ হয়ে যাচ্ছে। পেঁপে দিয়ে তৈরি একটা জিনিস অত ভালো হয় কী করে? এ নিয়ে রীতিমত রিসার্চ হওয়া উচিত। তোমাদের বেনারসের বাড়ির পুজোর গল্প শুনে আমার সত্যি লোভ হচ্ছে, যে কোনও বছর গেটক্র্যাশিং করতে পারি এই বলে রাখলাম।
Deleteপছন্দ গুলো সব-ই মিল়ে গেল. হয়ত বেলুড়ে বড় হয়েছি বলে, আর বেলুড় রিষড়া তো কাছাকাছি-ই। বাগবাজার, আনন্দমেলা...লক্ষীপুজোর পর মন খারাপ করে দেওয়া বিকেলবেলা। শুধু আমার পুজোয় বেলুড় মঠ এক্সট্রা থাকত. আরেকটা ব্যাপার, গান তা পুজোর নয়, কিন্তু শুনলে পুজোর কোথায় কেন প্রথম মনে পরে জানিনা, "আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে".
ReplyDeleteআরে স্যাম, বেলুড় মানে তো আপনি আমার লাইনেরই লোক হলেন যাকে বলে। বেলুড়মঠের পুজো দেখতে যেতাম আমরা মাঝে মাঝে। আর ওই গানটা খুবই পুজোপুজো, ঠিকই বলেছেন।
Deleteতোমার লিস্ট নাকি? এটা তো আমার লিস্ট । বাগবাজারে তো হায়েস্ট ফাইভ । ছবি তুলে ল্যামিনেশন করে তবে ছেড়েছি। তবে আলপনা খড়িমাটি গুলে দিতে বেশি পছন্দ করি । পুজোর গান নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাইনি । তবে শিউলি ফুলের ব্যাপারটা বেশ ভাল লাগে । লেখাটা অসম্ভব ভাল লেগেছে ।
ReplyDeleteমিঠু
হাহাহা মিঠু, আচ্ছা এটা আমাদের লিস্ট। থ্যাংক ইউ।
Deleteanektai mile gelo.. specially oi saptami r shokal er speciality -' akhono ashtami nabami baki' - ei bhabta..
ReplyDeleteগুড। সপ্তমীর জবাব নেই।
Deleteসপ্তমীর সকাল, বাগবাজার, আনন্দমেলা, চন্দ্রিল, সেরা দৃশ্য, ঢাকের আওয়াজ মিলে গেছে। তবে সেরা অ্যাড আমার কাছে নানারকম পুজাবার্ষিকীর রঙচঙে ছবি। সেরা ঘোরা ছোটবেলায় হত - অষ্টমীতে বেলুড় মঠ, সপ্তমীতে নর্থ কলকাতা আর নবমীতে দেশের বাড়ি চলে যাওয়া। বহু বছর ধরে এই একই রুটিন ছিল। সেরা খাবার ওই বেলুড়ের খিচুড়ি ভোগ আর শুকনো বোঁদে প্রসাদ, তারপর লুচি। আর সেরা গন্ধ আমার কাছে এখনও শিউলি :)
ReplyDeleteবাঃ অনেককিছুই তো মিলেছে দেখছি প্রিয়াংকা। শুকনো বোঁদে আমারও দারুণ লেগেছিল।
Delete'... আমরা উইদাউট ফেল সেটাই দেখতাম আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম এত খারাপ জিনিস প্রত্যেক বছর দেখায় কী করে?... ' eita je katota sottii kotha ... :-D. Ar nijer parar oi pandal er cheye dami ar kichhu hoina.. ar tarporei ekkebare ekmot oi 'Bagbajar' :-) . List ta te khuub khuuub mil.
ReplyDeletePujor jonye onek subhechha die gelam, probase ekla pujo katanor kasto ta to achhei . tobu tar modhyeo jeno khub khub bhalo kate tomar dingulo.
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ ইচ্ছাডানা। পাড়ার প্যান্ডেল হাই ফাইভ। আপনার আর আপনার পরিবারের সকলের পুজো ভীষণ মজায় কাটুক সেই কামনা করি।
Deleteজুতো টা খুব মিলেছে, বাটা ad দিতো "পুজোয় চাই নতুন জুতো"--ভীষন পুজো-পুজো ad! আরেক রকমের ad খুব পুজো আসা টাকে মনে পরিয়ে দিতো, রাস্তা জোড়া banner এর ad--আমার school পাড়া বাগবাজার, আর কলেজ পাড়া কলেজ স্ট্রীট, কাজেই পুজো আসার মাস খানেক আগে থেকে banner এ banner এ রাস্তার মুখ বদলে যেতো, আর মনে মনে countdown চালু হয়ে যেতো :)
ReplyDeleteআমাদের school এ হাফ yearly হতো পুজোর ঠিক আগে, তৃতিয়া কী চতুর্থী
তে শেষ হতো, শেষ হবার দিনে আমি আর মা বগবজ়ার গঙ্গার ঘাটে গিয়ে বসতাম খানিক, তারপর কুমরটুলি ঘুরতাম
--তখন কুমোর পাড়ায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, যুদ্ধকালীন ব্যস্ততায় বৃষ্টি তে দেরি হয়ে যাওয়া
কাজ শেষ করা হছে, একটু আধটু
রূপটান কী ডাকের সাজ এর একটু খনি বাকি--ভীষন ভালো লাগতো..
আর তার পর পঞ্চমী তে আমাদের school এ আগমনী অনুস্থান হতো, সেখানে গান নাচ কবিতা ছাড়াও বিশেষ আকর্ষণ ছিলো আমাদের ই মধ্যে থেকে প্রতিমা সাজা--মনে চলচিত্রের সামনে সপরিবার দুর্গা পোজ় টজ় দিয়ে মিনিট 5 দাড়িয়ে থাকা আর কী.. মনে হতো এটাই প্রথম ঠাকুর দেখা হয়ে গেলো :)
পুজো মানেই অগুনতি মুহূর্তের মালা, প্রত্যেক টা সমান মনে পড়ার--পুজো মনে প্রথম রাস্তায় যা-ইচ্ছে-তাই খাবার স্বাধীনতা, বোনের সঙ্গে এলোমেলো অনেক ঘুরে অল্পো ঠাকুর দেখা আর অনেক মজা করে কাটনোর অষ্টমী, পুজো মানে এই দূর প্রবাসে সব থেকে বেশি করে কলকাতা কে ছুতে চাওয়া...
ভালো থেকো কুন্তলা দি.. অর্চিষমান দা কেও শারদীয়ার শুভেচ্ছা জনিযো..
স্বাগতা, আমাদের তরফ থেকে তোমাকেও অনেক শারদীয়া শুভেচ্ছা জানাই। তোমার স্কুল কলেজের পাড়া হিংসে করার মতো। তবে চতুর্থীর দিন হাফ-ইয়ার্লি শেষ হওয়াটা ক্রুয়েল। অবশ্য ছুটিতে পড়তে হবে না, সেইটা একটা ভালো ব্যাপার। তোমার পুজোর বর্ণনা শুনে খুব ভালো লাগল। ওখানে পুজো দেখতে যাচ্ছ নাকি?
DeleteAmar kintu choturthi te half yearly sesh howata bhaloi lagto moter opor, puro chuti atto freedom thakto.. ashtami r anjali te debir kache chawa gulo o khub specific hoto :P
Deletehya pujo dekhte to jachi, oi dudher swad ghole.. :(
satti Hema Malinir durga thakur hawata amaro mone porlo.tv te sanghatik sab durga ar asur badh dekhato ,bhorbela seta dekhe ami ar jishnu abar ghumote jetam :)saptami amaro darun pachander ,bagbajarer durga thakur baddo bhalo na?!amro bhishan priyo ,daker saaj,...ar jedike theke dekho pratimar chokh tomar dike,ei byaperta bagbazarei sabtheke beshi hoy bole amar dharana.... ami chotobelay akta housing complex e boro hoyechi ,sekhane abar nanarakam cultural programme chilo...tyarjanyo abar ak mash age theke bacchader nach practice karano hoto,ar beshirbhag i english mediumer chatrochatri bole sabsamay bideshi rupkathar bangla anubade natak hoto,keno erakam advut prakriya ,,ami akhon bhule gechi :) ar amader 4 talar janla theke alojhalmal stager anekta angsho dekha jeto tai niche na geleo besh akta gallery view er byaper chilo :) pujor sera khawa , thakurer bhog...dupurbela sabai mile tana lamba benchite bose khacche pray 120 ta flater lok ,bishal pandal er niche amar khub mone pore !! pujor sesh - lakkhipujo akdam mile geche,amra mayer mamabarite pounche jetam sandhebela ,ar sedini bijayar pranam sara hoto...ar prachur mishti, amadar daal ,fukopir tarkari,daal makha esab kheye anek rate pray ghumonto absthay bari firechi ,asab ki anander smriti :) tor pujo khub anande katuk,ar jadi kothao pujote jete parish ,abashayi chabi tulbi ..nijero,jate amra dekhte pai..:)
ReplyDeleteতিন্নি, তোর কমেন্টটা পুরোটা পড়তে পড়তে হাসছিলাম আর মাথা নাড়ছিলাম আর ভাবছিলাম জিজ্ঞাসা করব পাড়ার ফাংশানে জিষ্ণু কী রোল করত, কিন্তু শেষে এসে আমাদার ডাল পড়ে সব গুলিয়ে গেল। মামাবাড়ির লক্ষ্মীপুজো পড়েই এত ভালো লাগছে, আসলটা না জানি কত ভালো হবে।
Deleteএই যেদিকে যাচ্ছি মাদুর্গা সেদিকেই তাকাচ্ছেন সেটা প্রথম শুনে খুব ভয় পেয়েছিলাম মনে আছে। ঠাকুমা ভয় পাওয়ানোর মতো করেই বলেছিলেন বলে। নষ্টামো কিছু করলে যে ঠাকুরের হাত থেকে পালানোর পথ নেই, এটা তখনই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বোধহয়।
aha..ki bhalo porlam..
ReplyDeletechoto boyoser Kuntala Banerjee khate ubu hoye bose gale hat dia kagojer add theke juto bachai korche...eta pore e mukhe hasi ese gelo...amio kortam aijinista...
হাই ফাইভ সৌমেশ। জুতো বাছার খেলাটা কী মজার ছিল না?
Delete