Posts
একেন, মহাভারত, ফেলু
- Get link
- Other Apps
হইচইতে একটা গ্যাঁড়াকল হয়ে রয়েছে। অটো রিনিউয়্যালের গ্যাঁড়াকল। নভেম্বর পড়তে না পড়তে ঘচাং করে নেক্সট বছরের সাবস্ক্রিপশন কেটে নেয়। যা গায়ে লাগে। গায়ে লাগার প্রধান কারণ নিয়ন্ত্রণহীনতা। যে জীবন অভিভাবকহীন গাধার মতো দৌড়চ্ছে, তার অন্তত অবান্তর কয়েকটা বিষয় নিয়ন্ত্রণে থাকলে সান্ত্বনা মেলে। যেমন ফিক্সড ডিপোজিট। কক্ষনও প্রিন্সিপ্যাল/+ইন্টারেস্ট অটো রিনিউ অপশন বাছি না। সর্বদা রিডিম করি। ওই যে পরের বার আবার ফিক্সড খুলব, অ্যাট লিস্ট টাকাটা নিজের মনে হবে। কোনওদিন চোখে দেখি না দেখি। নিয়ন্ত্রণহীনতার অসুবিধেটা প্রধান বলেই প্রচ্ছন্ন। প্রকট হয় অন্য একটা লজ্জা। লোকে আমাকে কী চেহারায় দেখছে (আমিও দেখছি, রোজ আয়নায় দেখাচ্ছি নিজেকে) সেটা সংক্রান্ত। হইচইয়ের মতো একটা নন-বুদ্ধিজীবী জিনিস গিলছি টাকা দিয়ে বছর বছর সেটার লজ্জা। প্রতি বছর নভেম্বরে সাবস্ক্রিপশনের সঙ্গে সঙ্গে সে লজ্জাও রিনিউ হচ্ছে। অথচ এতদিনে সবার এবং নিজের কাছেও এটা প্রমাণ হয়েই গেছে যে আমার বুদ্ধির লেভেল হইচই-এরই সমান। না হলে এতদিন ধরে হইচই যা গেলাচ্ছে গিলতে পারতাম না। তবু ভ্রান্তিবিলাস। গূঢ়তর কারণও একটা থাকতে পারে হইচইয়ের প্রতি নিষ্ঠার। খারাপ
মাতামাল
- Get link
- Other Apps
অবস্থানের সুবিধেবশত অনেক রাজ্যে পা না রেখেও তাদের খাবার চাখার সুযোগ পাই। কিছু কিছু রাজ্যের খাবার তো প্রয়োজনের থেকে বেশিবার চাখি। আমাদের নিরীক্ষার প্রতি ঝোঁকের থেকে সে সব রাজ্যের রান্নাবান্না ও রাঁধিয়েদের কেরামতিই বেশি। দার্জিলিং চা সংক্রান্ত জীর্ণ রসিকতাটা সত্যি। বাড়িতে যতই নিয়ম মেনে বানান না কেন, দার্জিলিং-এ বসে, দার্জিলিং-এর কাপপ্লেটে না খেলে ও চায়ের মজা অর্ধেক। ভাগ্যবানরা দাবি করেছে, বিহার ভবনের প্লাশ লন ঘেঁষে বসে খাওয়া লিট্টি চোখা আর বাস ছড়ার আধঘণ্টা আগে বাসস্ট্যান্ডের কোণে উনুন নিয়ে বসা দোকানির লিট্টি চোখা দুটো কমপ্লিটলি আলাদা খাবার। বিশ্বাসও করেছি। কারণ প্রমাণ পেয়েছি নিজেই। দিল্লির (কলকাতা, বেংগালুরুও চেখে দেখেছি) বাঙালি রেস্টোর্যান্টে কমতি নেই। খারাপ, মাঝারি, মহার্ঘ। বেসিক জিনিসপত্র অর্ডার করুন, যেমন শুক্তো, বাড়ির শুক্তোর সঙ্গে কোনও মিল পাবেন না। শুধু আমার বাড়ির না, যারা খাচ্ছে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করুন, সবাই স্বীকার করবে। ব্যতিক্রমও আছে। কয়েকরাত আগে পাশের পাড়ায় ওহ ক্যালকাটা!-য় খেতে গেছিলাম। কাঁচাআম ঢ্যাঁড়শ আর কড়াইশুঁটির ধোঁকার অভিনবত্ব এবং অনবদ্যতা টপকে সবথেকে বেশি নম্ব
দুটো বই ও অন্যান্য
- Get link
- Other Apps
র অসামান্য সব নিরামিষ পদ রেঁধেছিল। সর্ষে ঢ্যাঁড়শ, বেগুন কুমড়ো ডাঁটার পাঁচমেশালি তরকারি, আলু পটলের মাখামাখা ঝালঝাল ঝোল, টমেটো পেঁয়াজ রহিত। আমরা নাকি কোনও একসময় বাঙালি রান্না নিয়ে আলোচনা করেছিলাম যা আমি সম্পূর্ণ ভুলে গেছি কিন্তু র মনে রেখেছে, যেখানে আমি নাকউঁচুপনার হেস্তনেস্ত করে বলেছিলাম যে টমেটোর ঠ্যাকনা ছাড়া রাঁধতে পার তো বুঝি। পটলের তরকারির টমেটো পেঁয়াজ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটা সেই আলোচনার প্রতিই হ্যাট টিপ, বলল র। নিজের রন্ধন প্রাওয়েস প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে আমার কনভিকশনের জোর আরও বাড়াল। সে সব খেয়ে সবে উঠেছি। র-এর তিনজন বেড়ালের একজন অচেনা লোক দেখে শোওয়ার ঘর থেকেই বেরোয়নি, একজন একটা ডাইনিং চেয়ারের কুশনে, আরেকজন রান্নাঘরের কাবার্ড আর সিলিং-এর মাঝের দশ ইঞ্চি ফাঁকা জায়গায় নিজেকে গুঁজে ঘুম দিয়েছে। এই তিন নম্বর জনের সাদাকালো থাবাটুকু কাবার্ডের বাউন্ডারি থেকে শূন্যে অল্প ঝুলে রয়েছে। ওই ঝুলে থাকা থাবাটার দিকে হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমারও চোখ লেগে আসে আসে, র বলল, এখন ঘুমিয়ো না। বেরোতে হবে। সিনেমা তো শুরু হতে দেরি আছে, অটো নিলে মোটে পনেরো মিনিটের মামলা। র বলল, সময়টা ইস্যু নয়। সময়ম
মুরথল
- Get link
- Other Apps
রাত আড়াইটেয় ঘুম ভেঙে করণীয় কাজের লিস্ট বিশেষ লম্বা নয়। জলপান। বাথরুম ভিজিট। অন্ধকারে সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে থাকা। তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবা, বা উপলব্ধি করা, ভাবার মতো বিষয়ও আর বাকি নেই, সব ভাবনা ছিবড়ে হয়ে গেছে। মগজ হাই তুলে বলে, মুরথল গেলে হয়। যাঁরা জানেন তাঁরা জানেন, মুরথল যাওয়ার জায়গা নয়। মুরথল কেউ যায় না। যেমন হাওড়া কেউ যায় না। কলকাতা যেতে হলে হাওড়া ছুঁয়ে যায়। যেমন এম ফিল। খামোকা কেউ করে না, যদি না পি এইচ ডি-র উচ্চাশা থাকে। যেমন বিয়ে। এমনি এমনি কোনও পাগলে করে না, আসল উদ্দেশ্যটা হচ্ছে অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য সন্তানসন্ততি উৎপাদন যা পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতির এন্ড গোল। আর আপাতত আমাদের সমাজের যা ভাবগতিক তাতে বাচ্চা উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের আদর্শ আবহাওয়া এখনও বিয়েই দিতে পারে, কাজেই। তবু কিছু কিছু লোক এমনিই বিয়ে করে। জিনটিন ছড়ানোর এন্ড গোল নেই, তবু। কারও কারও কলকাতা যাওয়ার কোনও দরকার না থাকলেও হাওড়া যায়। গিয়ে ফিরে আসে। মুরথল যাইনি, কিন্তু মুরথলের পাশ কিংবা ওপর দিয়ে অনেকবার গেছি। পাহাড়ে, যেখানে একসময় ঘনঘন যেতাম, যেতে গেলে মুরথল এড়ানো যায় না। মুরথল বিখ্যাত ধাবার জন্য। ধাবা বলতেই যে দড়ির খাট
বিক্রমাদিত্যের বারান্দা
- Get link
- Other Apps

খবরটা এখানে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। দু’হাজার পনেরো থেকে দু’হাজার বাইশ। আট বছরের অবান্তরের কয়েকটা পোস্ট একত্র করে অবান্তরের দ্বিতীয় সংকলন বেরোচ্ছে, সৃষ্টিসুখ থেকেই, দু’হাজার চোদ্দতে যেখান থেকে অবান্তরের প্রথম সংকলন বেরিয়েছিল। এই বইয়ের সব লেখাই আপনারা, যাঁরা যুক্তিবুদ্ধির যাবতীয় সীমা লঙ্ঘন করে অবান্তর আর আমার সঙ্গে সঙ্গে চলেছেন গত আট বছর কিংবা আটের বেশি কিংবা যে কোনও অ্যামাউন্টের সময়, হয় অলরেডি পড়েছেন কিংবা চাইলেই পড়ে ফেলতে পারেন। সেই চর্বিতচর্বণকে একগাদা কার্বন ফুটপ্রিন্ট খরচ করে মলাট বাঁধিয়ে এনে আপনাদের সামনে দাঁড় করানো ব্যাখ্যাতীত। আবার এখানে, আপনাদের খবরটা না দিলে পৃথিবীর কাউকেই দেওয়ার মানে হয় না। এই বিষয়ে গৌরবে বহুবচনে আমার জীবনের একজন গুরুত্বপূর্ণ লোকের স্ট্রিকট বারণ আছে ( “আহাঃ–শেকসপিয়রও তো অন্যের গল্পের সাহায্য নিয়ে নাটক লিখেছে, তা বলে তাকে কি কেউ কখনও আমাদের হ্যাঁমলেট বলতে শুনেছে?”) তাছাড়া এই প্রলাপের অযাচিত মালিকানা বইতে আপনারা পত্রপাঠ রিফিউজ করবেন সে নিয়েও আমি নিঃসংশয়, তবু। তবু। কারণ আপনারা না থাকলে অবান্তর থাকত কি না, থাকলেও কেমন থাকত আমি জানি না। কিন্তু অবান্তর খারাপ
যুগলবন্দী
- Get link
- Other Apps

গল্পের সঙ্গে সম্পর্করহিত কিছু কথা। এক, সেম সপ্তাহে দু'দুটো গল্পের লিংক পোস্টের নামে চালিয়ে দেওয়ার ফাঁকিবাজি মার্জনা করবেন। গায়ে গায়ে গল্পদুটো বেরোল তাই গায়ে গায়েই অবান্তরে দিয়ে দিলাম। দুই, এতদিন বাদে চারনম্বরের ছবিটা পোস্ট করতে দারুণ ভালো লাগল। চার নম্বরে আমার গল্প লেখা বন্ধ হয়েছিল ব্যক্তিগত কারণে। আগের মতো নিয়মিতও হবে না হয়তো আর, কিন্তু মাঝখানে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম মেরামতিসংক্রান্ত কারণে কয়েকমাস ছুটিতে ছিল। প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম ট্রেনের প্রথম গল্পের কামরায় যে আমার গল্পের জায়গা হয়েছে তাতে আমি রোমাঞ্চিত ও শিহরিত। এবার গল্প নিয়ে কিছু কথা। আমি যেমন যা দেখিনি তা নিয়ে গল্প লিখতে পারি না, তেমন আবার যা দেখলাম হুবহু তাই নিয়েই গল্প লিখে ফেললাম এও করি না। এই গল্পটা ব্যতিক্রম। অফ কোর্স, গল্পটা পড়লে বুঝতে পারবেন আগাপাশতলা বানানো, কিন্তু গল্পটার যেটা হুক, একখানা সাদাকালো ছবি, সেই ছবিটা আমি চর্মচক্ষে দেখেছিলাম। অমৃতসরের পার্টিশন মিউজিয়ামে। দেখে এসে অবান্তরে ব্যাখ্যান করে বলেওছিলাম। মিউজিয়ামের কথা, এবং পার্টিকুলার এই ছবিটার কথাও। গল্পের লিংক নিচে রইল। আপনারা পড়ে মতামত দিলে ভালো লা