Posts

Showing posts from February, 2021

ডুমস্ক্রোলিং, কোডিং, চিটিং

কয়েকমাস আগে ইমেল করে একজন ঘোষণা করলেন যে তিনি আমার একটা উপকার করতে চান। সবিনয়ে জানালাম, অসংখ্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমার উপকারটার দরকার নেই। তিনি উদারতার ইমোজি পাঠিয়ে বললেন, আহা, লজ্জার কিচ্ছু নেই, উপকারটা করতে তাঁর কোনও অসুবিধেই হবে না। বললাম, সে জানি কিন্তু আমার সত্যি উপকারটা লাগবে না। তখনকার মতো মুখ বুজলেও তিনদিন পর তিনি ফের হোয়াটসঅ্যাপে টুকি দিলেন। আমি যেন না ভাবি যে উনি উপকারের প্রস্তাব বিস্মৃত হয়েছেন। যখনই লাগবে যেন খবর দিই। অর্চিষ্মান বলবে, এই ক্রুশিয়াল মুহূর্তটাতেই তুমি ভুল করলে। মুখে বড়া দিয়ে বসে থেকে ভাবলে তোমার নীরবতাকে তিতিবিরক্তি (যথার্থ) বুঝে নিয়ে উল্টো পক্ষ ক্ষান্ত দেবে। সে উচ্চাশায় না ভুগে তুমি যদি, 'আরে না না সত্যি বলছি উপকারটা আমার লাগবে না। সব ভালো তো? অন গড ফাদার মাদার, সত্যিই লাগবে না। তারপর, সব ভালো তো?' বলে সুস্থ মানুষের মতো স্বাভাবিক কথোপকথনে লিপ্ত হতে তাহলেই যা ঘটেছে তা ঘটত না। যেটা ঘটল সেটা হচ্ছে সাতদিন পর আরেকটা মেল এল। আপনি যে কাজের কথাটা বলেছিলেন (লক্ষ করুন, উপকারটা কাজ হয়ে গেছে আর প্রস্তাবটার গতিমুখও গেছে ঘুরে) সেটা অনেক কষ্টে সেরে উঠতে পেরেছি

প্রতিদিন সারাদিন

Image
 

রোদ্দুরের কেরামতি

অল আউট আর আলুর থলে বাঁ কনুইয়ে ঝুলিয়ে, বাঁ হাতে ধরা কুরকুরের প্যাকেট থেকে ডান হাত দিয়ে কুরকুরে মুখে পুরতে পুরতে বাড়ির গলিটায় ঢুকলাম আর 'গাঙ্গুলি'জ' ফলক সাঁটা বাড়িটার চিলেকোঠার কোণায় ঠোক্কর খেয়ে বোগেনভিলিয়ার গোলাপিতে ফিল্টার হয়ে এককণা রোদ্দুর আমার চশমায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ধাঁধিয়ে দিল। পনেরো প্রজন্ম ধরে যারা আছেন তাঁদের হয় কি না জানি না, কিন্তু খেপে খেপে পনেরো বছর এই শহরে কাটানোর পরেও বছরের এই ক'টা দিন দিল্লি আমাকে চমকে দেয়। থমকে দেয়। বলে, 'কী হাবিজাবি ভেবে পথ চলছ, দেখ, বসন্ত এসে গেছে।' দিল্লির বসন্ত ভালো বলে যে দমদমের বসন্ত বাজে এমনটা বলছি না কিন্তু। দিল্লির কথা বলছি কারণ দিল্লিতে আসার আগে আমি বসন্তের মহিমা বুঝিনি। তখন বর্ষা বলতে অজ্ঞান। জানালায় বসা নির্ঝঞ্ঝাট বর্ষা, কালভার্টে কোমরজল (আক্ষরিক) বর্ষা, ব্যাঙডাকা বর্ষা, হ্যারিকেনের আলোয় কুয়োতলা দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে যাওয়া ঢোঁড়াসাপ বর্ষা। যে ফর্মে দেবেন, ছাতা ভুলে গেছি ভান করে আগাপাশতলা ভিজে নেব। বর্ষা ছাড়া আর সব ঋতু তখন আমার কাছে একই, গ্রীষ্মের রকমফের। উনিশবিশ। একটা অন্যায্য অ্যাডভান্টেজ পেয়েছে দিল্লি, এ শহরে বর্ষা ন

খালি বয়ামের খেলা

বাস্তবের কুন্তলা আর আমার স্বপ্নের মিনিম্যালিস্ট কুন্তলার মধ্যে যদি দুর্লঙ্ঘ্য বাধা কেউ বা কারা থেকে থাকে তারা হল বয়াম। খালি বয়াম। ছোট বয়াম, বড় বয়াম। প্লাস্টিকের বয়াম, কাঁচের বয়াম। সরু গলা বয়াম, মোটা মুখ বয়াম। লাল ঢাকনা বয়াম, হলুদ ছিপি বয়াম। সে সব বয়ামের মধ্যে একটাই কমন ব্যাপার। তারা কেউ হোম সেন্টার জাতীয় দোকান থেকে - যেখানে পয়সা ফেললেই আপনার হাউসকে ইন্সটাগ্রামের হোম বানানোর প্রতিশ্রুতি থাকে আর সে প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে তাক ভরে সারি সারি সুদৃশ্য অবিকল একে অপরের মতো দেখতে বয়াম সাজানো থাকে এবং যে বয়ামগুলো বাড়িতে যতগুলো লাগবে ততগুলো কিনতে গেলে পকেট চোট খায় (অন্ততঃ আমার খায়) - কিনে আনা নয়। তারা সকলেই অন্য কোনও সূত্রে বাড়িতে এসেছে। জ্যামের বয়াম। জেলির বয়াম। বাদামভাজার বয়াম। কফির বয়াম। বছরে একবার বিরিয়ানি খাওয়ার চালের বয়াম। তবে এই বয়ামগুলোও সময়ে সময়ে অপ্রতুল প্রমাণিত হয়। মুড়ি চিঁড়ে ছাতু মারি বিস্কুট রাখার জন্য আরেকটু বড় বয়াম বেটার। মুদির দোকানে যেগুলোতে ভিক্স আর পালস লজেন্স রাখা থাকে, সেই সাইজ আইডিয়াল। দিল্লিতে আমার একার প্রথম ভাড়াবাড়িতে প্রথম দিককার অতিথি ছিল রাহুল। বাকি দু'চ