ডুমস্ক্রোলিং, কোডিং, চিটিং
কয়েকমাস আগে ইমেল করে একজন ঘোষণা করলেন যে তিনি আমার একটা উপকার করতে চান। সবিনয়ে জানালাম, অসংখ্য ধন্যবাদ, কিন্তু আমার উপকারটার দরকার নেই। তিনি উদারতার ইমোজি পাঠিয়ে বললেন, আহা, লজ্জার কিচ্ছু নেই, উপকারটা করতে তাঁর কোনও অসুবিধেই হবে না। বললাম, সে জানি কিন্তু আমার সত্যি উপকারটা লাগবে না। তখনকার মতো মুখ বুজলেও তিনদিন পর তিনি ফের হোয়াটসঅ্যাপে টুকি দিলেন। আমি যেন না ভাবি যে উনি উপকারের প্রস্তাব বিস্মৃত হয়েছেন। যখনই লাগবে যেন খবর দিই। অর্চিষ্মান বলবে, এই ক্রুশিয়াল মুহূর্তটাতেই তুমি ভুল করলে। মুখে বড়া দিয়ে বসে থেকে ভাবলে তোমার নীরবতাকে তিতিবিরক্তি (যথার্থ) বুঝে নিয়ে উল্টো পক্ষ ক্ষান্ত দেবে। সে উচ্চাশায় না ভুগে তুমি যদি, 'আরে না না সত্যি বলছি উপকারটা আমার লাগবে না। সব ভালো তো? অন গড ফাদার মাদার, সত্যিই লাগবে না। তারপর, সব ভালো তো?' বলে সুস্থ মানুষের মতো স্বাভাবিক কথোপকথনে লিপ্ত হতে তাহলেই যা ঘটেছে তা ঘটত না। যেটা ঘটল সেটা হচ্ছে সাতদিন পর আরেকটা মেল এল। আপনি যে কাজের কথাটা বলেছিলেন (লক্ষ করুন, উপকারটা কাজ হয়ে গেছে আর প্রস্তাবটার গতিমুখও গেছে ঘুরে) সেটা অনেক কষ্টে সেরে উঠতে পেরেছি