Posts

Showing posts from August, 2022

আনন্দের দাম

ফ্রি জিনিসপত্র পছন্দ করি। ফ্রি পেন, ফ্রি ফোল্ডার, ফ্রি উপদেশ। অনেকের শেষের আইটেমটায় অসুবিধে হয়। আমার হয় না। প্রথমত, ফ্রি-তে উপদেশ যিনি দিচ্ছেন গোটা পরিশ্রমটা তাঁরই। আমার কাজ খালি মুখ বুজে মাথা নাড়া। তাছাড়া দেওয়ার সময় দাতার সর্বাঙ্গে ফোটা ঐশ্বরিক দীপ্তির আঁচ পোয়ানোও আরামদায়ক। ফ্রি খাবার বরং ততটাও ভালোবাসি না। বিশেষ করে প্রসাদজাতীয় খাবার। আমাদের প্রতিবেশীরা অনেকেই ভক্তিমান এবং আমাদের গুডবুকে রাখেন। তাঁদের বাড়িতে মাসে অন্তত দু’বার ঘটা করে পুজো হয় এবং আমার বাড়িতে প্রসাদের থালা আসে। সে থালা প্রথমদিন এক হাতে ধরতে গিয়ে ফেলে দিচ্ছিলাম আরেকটু হলে। আপেল, বেদানা, কলা, মুসাম্বি, কালাকাঁদ, গুজিয়া, নাড়ু, লুচিসুজি, পায়েস। অনেকদিন ভেবেছি দু’পক্ষেরই সুবিধের জন্য একটা নিয়মাবলী বানাই। কাটা ফল বাদ দিলেই বেস্ট, যদি দিতেই হয় আলাদা প্যাক করবেন। সন্দেশ আলাদা, লুচি আলাদা, সুজি আলাদা। লুচির খাঁজ চেঁছে বার করা গলা কলা তো খাবই না, লুচিটাও নির্দ্বিধায় ফেলে দেব। ভোগের লাইনেও এই কারণেই দাঁড়াই না। ঠেকাঠেকি হওয়ার ভয়ে পাতে ডালের সঙ্গে পটলভাজা পর্যন্ত একসঙ্গে নিই না। ডাল খাওয়া শেষ করে পটলভাজা দিয়ে শুধু শুধু

The Convenience Store Woman/Sayaka Muruta, Ginny Tapley Takemori

Image
পার্কে বাচ্চারা খেলছে। খেলতে খেলতে তারা একটি মৃত পাখি আবিষ্কার করল। তখনও উষ্ণ। তখনও কল্পনা করে নেওয়া যায় ছুঁলে ছোট্ট নরম গা থরথরিয়ে উঠবে। মৃতদেহটি ঘিরে বাচ্চারা দাঁড়িয়ে রইল। কারও চোখে জল আসবে আসবে, কারও এসে গেছে। মায়েরা সান্ত্বনা দিলেন পাখিটির জন্য নন্দন কবর খুঁড়ে দেবেন পার্কের কোণে। "কিপ অ্যাওয়ে", বিনীত অনুরোধসহ বোর্ড পুঁতে দেবেন। সবার মন ভালো হবে হবে করছে এমন সময় ছোট দুটো পাঞ্জা ছোঁ মেরে তুলে নিল পাখিটাকে। দৌড়ে চলে গেল পার্কের অন্য কোণে বসে থাকা মায়ের কাছে। মা! মা! আজ ডিনারে সেঁকা মাংস! মায়ের মেয়ের নাম কিকো। কিকোদের স্কুলে মারামারি বেধেছে। দুটো ছেলে, কিকোর থেকে অল্প বড়ই হবে, প্রাণপণ যুযুধান। মুখ, কান চেপে উদ্বিগ্ন ভিড় ঘিরে আছে। খবর পাঠানো হয়েছে উচ্চতর অথরিটির কাছে, ব্যবস্থা যদি কেউ নিতে পারে তাঁরাই পারবেন এই আশায়। ইতিউতি চিৎকার উঠছে, ওদের কেউ থামাও, না হলে একটা কিছু. . .  কিকো একটা বেলচা নিয়ে এল। গদাম মারল এক প্রতিপক্ষের মাথায়। পক্ষপাতিত্ব করেনি কিকো, বেলচার কাছাকাছি যে ছিল তাকেই বেছেছে। মাথা চেপে ধরে ছেলেটি শুয়ে পড়ল মাটিতে। যুদ্ধ ফিনিশ। পেছন ফিরে ভিড় এবং ততক্ষণে পৌ

হরোউইটজ, হরোউইটজ

Image
Foyle's war Creator and Director: Anthony Horowitz দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইংল্যান্ডের সমুদ্রতটবর্তী হেস্টিংস শহরের খুনখারাপি সমাধান করার একেকটা গল্প নিয়ে ফয়েল'স ওয়র-এর একেকটা পর্ব। ফয়েল হচ্ছেন হেস্টিংসের পুলিসবাহিনীর ডিটেকটিভ চিফ সুপারিন্টেডেন্ট। সিরিজের ঘটনাপ্রবাহ শুরু হয় উনিশশো চল্লিশে, শেষ উনিশশো ছেচল্লিশে। আটটি সিজনের প্রথম ছ'টিতে যুদ্ধ চলছে, শেষ দুটি সিজনে যুদ্ধ থেমেছে কিন্তু অন্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যার নাম কোল্ড ওয়র। ফয়েল সে দুটি সিজনে এম আই ফাইভ-এর হয়ে কাজ করছেন। প্রথমেই যেটা নজরে পড়তে বাধ্য তা হচ্ছে ফয়েল'স ওয়র-এর চেহারা। সময় বোঝাতে শুধু রং বদলে কাজ সারা হয়নি, লোকজনের পোশাকআশাক, ভাষা, চলাফেরা, রাস্তাঘাট, লন্ডনের এবং শহরতলির চেহারার খুঁটিনাটি খেয়াল রাখা হয়েছে, এমনকি যুদ্ধে ব্যবহৃত প্লেনটলেন হাজির করা হয়েছে। ওদের বাজেট বেশি তাই ওরা পারে বললে বলবে কেউ, কী আর করা যাবে। বলা বাহুল্য, বাজেট ছাড়াও ফয়েল'স ওয়র জনপ্রিয় হওয়ার আরও কিছু কারণ আছে। এক, প্রেক্ষাপটের যুদ্ধকে অসামান্য ভাবে গল্পে গেঁথে দেওয়া। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ক্লান্তি, মানুষের ভয়, অনিশ্