Posts

Showing posts from June, 2022

মির‍্যাকল

Image
 

একেন, মহাভারত, ফেলু

হইচইতে একটা গ্যাঁড়াকল হয়ে রয়েছে। অটো রিনিউয়্যালের গ্যাঁড়াকল। নভেম্বর পড়তে না পড়তে ঘচাং করে নেক্সট বছরের সাবস্ক্রিপশন কেটে নেয়। যা গায়ে লাগে। গায়ে লাগার প্রধান কারণ নিয়ন্ত্রণহীনতা। যে জীবন অভিভাবকহীন গাধার মতো দৌড়চ্ছে, তার অন্তত অবান্তর কয়েকটা বিষয় নিয়ন্ত্রণে থাকলে সান্ত্বনা মেলে। যেমন ফিক্সড ডিপোজিট। কক্ষনও প্রিন্সিপ্যাল/+ইন্টারেস্ট অটো রিনিউ অপশন বাছি না। সর্বদা রিডিম করি। ওই যে পরের বার আবার ফিক্সড খুলব, অ্যাট লিস্ট টাকাটা নিজের মনে হবে। কোনওদিন চোখে দেখি না দেখি। নিয়ন্ত্রণহীনতার অসুবিধেটা প্রধান বলেই প্রচ্ছন্ন। প্রকট হয় অন্য একটা লজ্জা। লোকে আমাকে কী চেহারায় দেখছে (আমিও দেখছি, রোজ আয়নায় দেখাচ্ছি নিজেকে) সেটা সংক্রান্ত। হইচইয়ের মতো একটা নন-বুদ্ধিজীবী জিনিস গিলছি টাকা দিয়ে বছর বছর সেটার লজ্জা। প্রতি বছর নভেম্বরে সাবস্ক্রিপশনের সঙ্গে সঙ্গে সে লজ্জাও রিনিউ হচ্ছে। অথচ এতদিনে সবার এবং নিজের কাছেও এটা প্রমাণ হয়েই গেছে যে আমার বুদ্ধির লেভেল হইচই-এরই সমান। না হলে এতদিন ধরে হইচই যা গেলাচ্ছে গিলতে পারতাম না। তবু ভ্রান্তিবিলাস। গূঢ়তর কারণও একটা থাকতে পারে হইচইয়ের প্রতি নিষ্ঠার। খারাপ

মাতামাল

অবস্থানের সুবিধেবশত অনেক রাজ্যে পা না রেখেও তাদের খাবার চাখার সুযোগ পাই। কিছু কিছু রাজ্যের খাবার তো প্রয়োজনের থেকে বেশিবার চাখি। আমাদের নিরীক্ষার প্রতি ঝোঁকের থেকে সে সব রাজ্যের রান্নাবান্না ও রাঁধিয়েদের কেরামতিই বেশি। দার্জিলিং চা সংক্রান্ত জীর্ণ রসিকতাটা সত্যি। বাড়িতে যতই নিয়ম মেনে বানান না কেন, দার্জিলিং-এ বসে, দার্জিলিং-এর কাপপ্লেটে না খেলে ও চায়ের মজা অর্ধেক। ভাগ্যবানরা দাবি করেছে, বিহার ভবনের প্লাশ লন ঘেঁষে বসে খাওয়া লিট্টি চোখা আর বাস ছড়ার আধঘণ্টা আগে বাসস্ট্যান্ডের কোণে উনুন নিয়ে বসা দোকানির লিট্টি চোখা দুটো কমপ্লিটলি আলাদা খাবার। বিশ্বাসও করেছি। কারণ প্রমাণ পেয়েছি নিজেই। দিল্লির (কলকাতা, বেংগালুরুও চেখে দেখেছি) বাঙালি রেস্টোর‍্যান্টে কমতি নেই। খারাপ, মাঝারি, মহার্ঘ। বেসিক জিনিসপত্র অর্ডার করুন, যেমন শুক্তো, বাড়ির শুক্তোর সঙ্গে কোনও মিল পাবেন না। শুধু আমার বাড়ির না, যারা খাচ্ছে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করুন, সবাই স্বীকার করবে। ব্যতিক্রমও আছে। কয়েকরাত আগে পাশের পাড়ায় ওহ ক্যালকাটা!-য় খেতে গেছিলাম। কাঁচাআম ঢ্যাঁড়শ আর কড়াইশুঁটির ধোঁকার অভিনবত্ব এবং অনবদ্যতা টপকে সবথেকে বেশি নম্ব

দুটো বই ও অন্যান্য

র অসামান্য সব নিরামিষ পদ রেঁধেছিল। সর্ষে ঢ্যাঁড়শ, বেগুন কুমড়ো ডাঁটার পাঁচমেশালি তরকারি, আলু পটলের মাখামাখা ঝালঝাল ঝোল, টমেটো পেঁয়াজ রহিত। আমরা নাকি কোনও একসময় বাঙালি রান্না নিয়ে আলোচনা করেছিলাম যা আমি সম্পূর্ণ ভুলে গেছি কিন্তু র মনে রেখেছে, যেখানে আমি নাকউঁচুপনার হেস্তনেস্ত করে বলেছিলাম যে টমেটোর ঠ্যাকনা ছাড়া রাঁধতে পার তো বুঝি। পটলের তরকারির টমেটো পেঁয়াজ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটা সেই আলোচনার প্রতিই হ্যাট টিপ, বলল র। নিজের রন্ধন প্রাওয়েস প্রমাণের সঙ্গে সঙ্গে আমার কনভিকশনের জোর আরও বাড়াল। সে সব খেয়ে সবে উঠেছি। র-এর তিনজন বেড়ালের একজন অচেনা লোক দেখে শোওয়ার ঘর থেকেই বেরোয়নি, একজন একটা ডাইনিং চেয়ারের কুশনে, আরেকজন রান্নাঘরের কাবার্ড আর সিলিং-এর মাঝের দশ ইঞ্চি ফাঁকা জায়গায় নিজেকে গুঁজে ঘুম দিয়েছে। এই তিন নম্বর জনের সাদাকালো থাবাটুকু কাবার্ডের বাউন্ডারি থেকে শূন্যে অল্প ঝুলে রয়েছে। ওই ঝুলে থাকা থাবাটার দিকে হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমারও চোখ লেগে আসে আসে, র বলল, এখন ঘুমিয়ো না। বেরোতে হবে। সিনেমা তো শুরু হতে দেরি আছে, অটো নিলে মোটে পনেরো মিনিটের মামলা। র বলল, সময়টা ইস্যু নয়। সময়ম