১৫-২১ সেপ্টেম্বর
স্পোকেন ইংলিশ শুনলেই যেমন বলে দিতে পারি কে বাংলা মিডিয়াম কে ইংরিজি মিডিয়াম কে সাউথ পয়েন্ট, বাংলা লেখা পড়লেই ধরে ফেলতে পারি কে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আয়নায় নিজেকে দেখার মতো সহজ আর নির্ভুল। আমরা একটা লোককে তার নাম পর্যন্ত দিয়ে চিহ্নিত করতে পারি না। হয় কবিগুরু, নয় গুরুদেব, নয় ছন্দের জাদুকর, নয় বাংলার বাঘ। সুকুমার রায় এতদিন ফুরফুরে ঘুরছিলেন, এ সপ্তাহে অন্ততঃ পাঁচজনকে বলতে শুনলাম/লিখতে দেখলাম প্রফেট সুকুমার রায়। একজন আবার লিখেছেন প্রফেট তাতা। মেয়েরা হুলিয়ে মিছিলে নেমেছে (হুলিয়ে বাদ দিলে আমার আপত্তি নেই) লিখতে আমাদের নার্ভাস লাগে। পাছে ব্যাপারটার ঐতিহাসিকত্ব চোট খায়। আমাদের লিখতে হয় শতশত পাখি খাঁচা খুলে রাতের আকাশে ডানা মেলে উড়ছে। ***** এ সপ্তাহে জীবনে প্রথম চিয়া সিডস খেলাম। মন দড়ি ছিঁড়ে কে জানে কোন মাঠে দৌড়চ্ছে, শরীরটাকেই মন্দির বানিয়ে পুজোফুজো করে টাইমপাস করব। ইন্টারনেটে লিখেছিল পনেরো মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই চিয়া ফুলে উঠবে, উঠল না। হতে পারে ব্লিংকিটের কুড়ি টাকা প্যাকেটের চিয়া হদ্দবাসি কিংবা জলের দোষ। পনেরো মিনিটে এক্স্যাক্টলি যেমন কে তেমন রয়ে গেল। আধঘণ্টা পরে সামান্য মুটোল নাকি কল্পনা করলা