মন ভালো মন খারাপ
মিনিবাসের জানালা একটা অত্যাশ্চর্য ব্যাপার। খোলা থাকলে বৃষ্টির ছাঁট ঢোকে, ধুলো ঢোকে, ধোঁয়া ঢোকে, কনুই বেরিয়ে থাকলে পাশ থেকে কম্পিটিশন দেওয়া মিনিবাস এসে গুঁড়িয়ে দেয়, খালি হাওয়া ঢোকে না। মামাবাড়ির খাওয়া খেয়ে, সেই মিনিতে বসে হাওড়া পর্যন্ত আসা, সোজা কথা নয়। ওই শক্ত কাজটাই আমরা করতাম, আমি আর মা, তিনমাসে ন্যূনতম একবার। রিষড়া থেকে দুপুর দুপুর বেরিয়ে কসবা পৌঁছে সন্ধে ছ’টার সময় গলা পর্যন্ত গিলে রথতলা মিনিতে সেদ্ধ হতে হতে হাওড়া পর্যন্ত আসা। একটাই রক্ষা, ডিপো থেকে উঠতাম বলে সিট পাওয়া যেত। জানালার পাশে, কিন্তু তাতে সুবিধে কিছু হত না। হাওড়ায় নেমে, আমি আর মা, মা আর আমি, নিজেদের একটা প্রাইজ দিতাম। যত রাতই হোক না কেন, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের দিক দিয়ে ঢুকলে ডানদিকে সারি সারি উজ্জ্বল দোকানগুলো থেকে দুজনে দুটো লিমকা খেতাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। এক নম্বর থেকে ব্যান্ডেল লোকাল ছেড়ে যাচ্ছে নাকি তারকেশ্বর ঢুকছে পাঁচ নম্বরে, কেয়ার করতাম না। যদিও সবাই বলত থামস আপ হজমের পক্ষে বেটার, আমি আর মা দুজনেই লিমকা প্রেফার করতাম। লিমকা এখনও আমার প্রিয়তম কোল্ডড্রিঙ্ক। তারপর থামস আপ। তারপর কোকা কোলা। পেপসিটা মাথায় বন্দুক ধরলে খেত