Posts

Showing posts from March, 2015

সাঁচীর ফাঁকে সাপ্তাহিকী

Image
ভীমবেটকার ছবিগুলো দেখলে আর সেই ছবিগুলো নিয়ে আবোলতাবোল লিখতে হবে মনে করলেই আমার কম্প দিয়ে জ্বর আসছে, তাই আমি একটুখানি ব্রেক নিয়ে চট করে একটা সাপ্তাহিকী ছেপে নিচ্ছি। কিছু মনে করবেন না। পরের পোস্টে সাঁচী ভীমবেটকার সমাপ্তি টানব, প্রমিস। আলোকচিত্রীঃ Alexander Ogilvie There is a rumour going around that I have found God. I think this is unlikely because I have enough difficulty finding my keys, and there is empirical evidence that they exist.                                                                           ---Terry Pratchett নতুন পৃথিবীর নতুন খাবার। এইটা একটা রহস্য গল্পের চমৎকার প্লট হতে পারে। অ্যাই, আজ টিফিনের পর কী পিরিয়ড রে? ইতিহাস? উঁহু, ক্যাফেটেরিয়া সার্ভিস। রেনওয়ার্কস। ডেথ ফোটোগ্রাফারস। কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমি কৃচ্ছ্রসাধন শব্দটাই ঠিক করে উচ্চারণ করতে জানতাম না, ইঞ্জিরি শব্দের কথা তো ছেড়েই দিলাম। ফেমিনিস্ট আইসক্রিম। নেক্সট মঙ্গল অভিযানে নাম লেখাবেন ভাবছেন? তাহলে এটা পড়ে নিন। ওপরের ছবিটা দেখার পর থেকে এই গানটা কেবলই মাথার ভেত

সাঁচী ভীমবেটকা/ ২

Image
সাঁচীস্তুপ কখন বানানো হয়েছিল সেটা মনে রাখা যদি কষ্টকরও হয়, সাঁচীস্তুপ সাঁচীতে কেন বানানো হয়েছিল সেটা মনে রাখা ভীষণ সোজা। অশোকের রানী দেবী ছিলেন এই সাঁচীর মেয়ে। দেবীর বাবা ছিলেন বিদিশা নগরের একজন বিশিষ্ট বণিক, দেবী জন্মেছিলেন সাঁচীতে। অশোক আর দেবীর বিয়েও হয়েছিল এই সাঁচীতেই। তাছাড়াও স্তুপ গড়ার জন্য সাঁচী আরও নানারকম গুণাবলী ছিল। স্তুপ সাধারণত বানানো হত উঁচু কোনও নির্জন পাহাড়ের ওপর। বেতোয়া নদীর সমতল উপত্যকায় জঙ্গলের মধ্যে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিল সাঁচী পাহাড়, নির্জনতায় তাকে টেক্কা দেওয়া শক্ত। সাধারণত বুদ্ধ বা বৌদ্ধধর্মের কোনও গুরুর দেহাবশেষের ওপর গড়া হত স্তুপ। সব স্তুপের নিচেই যে ভস্ম থাকবে তেমন কোনও কথা নেই, তবে সাঁচীর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্তুপে থাকাই সম্ভব। গল্পে বলে বুদ্ধদেবের মহানির্বাণের পর তাঁর দেহভস্ম নিয়ে আট রাজার মধ্যে মারামারি বেধেছিল। শেষে ভস্ম আট ভাগ হল, একেকজন একেকভাগ নিয়ে নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে গেলেন। তারই একভাগ হাত ঘুরে সম্রাট অশোকের হাতে এসে পড়েছিল আর সেই দেহাবশেষের ওপরই তৈরি হয়েছিল সাঁচীস্তুপ। অবশ্য অশোক যে স্তুপটি বানিয়েছিলেন তার সঙ্গে আজকের এই এত বড় জায়গাজোড়া, এত

সাঁচী ভীমবেটকা/ ১

Image
ভোর ৪টে ৪৫ : ফোন বাজছে। অন্ধ্রপ্রদেশের নম্বর। এখন ধরার প্রশ্নই ওঠে না। কেটে দিলাম। আবার বাজছে। উফ, কে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ফোন করছে এখন? যত্ত সব। আবার কেটে দিতে যাব, এমন সময় বাজ পড়ার মতো করে মনে পড়ল। মেরুক্যাব! আজ আমরা সাঁচী যাচ্ছি! ছটায় নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে। ট্যাক্সি আসতে বলা হয়েছে প'নে পাঁচটার সময়! অ্যাই, ওঠো ওঠো, প'নে পাঁচটা বাজে, নিচে ট্যাক্সি এসে গেছে। এই না বলে আমি বাথরুমের দিকে ছুটলাম। অর্চিষ্মানও ধড়মড় করে উঠে বিছানা গুছোতে লাগল। ট্রেন মিস হয়ে গেলে কিছু বলার থাকবে না। ছি ছি ছি। ৫টা ১০ : ট্যাক্সি চলতে শুরু করেছে। এই যে হুড়োতাড়াটা হল এর দোষ সম্পূর্ণ আমার। কমপ্লিটলি, এনটায়ারলি আমার। রোজ যে সময় অ্যালার্ম দেওয়া থাকে, চারটেয়, সে রকম দেওয়া থাকলে কোনও সমস্যাই হত না। কিন্তু সব ব্যাপারে একটু পাকামি না করলে আমার চলবে কেন। অবান্তরের জন্য একটা পোস্ট আশি শতাংশ লেখা হয়ে আছে, বাকি কুড়ি শতাংশ লিখে পাবলিশ করে বেরোব বলে তিনটেয় অ্যালার্ম দিয়েছি। এদিকে কাল অফিস থেকে ফিরতে বেজেছে আটটা। খেয়ে দেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে টিভি দেখে (তখন টিভি না দেখে লেখাটা শেষ করলেই হত,

বিলম্বিত সাপ্তাহিকী

একটা বিশেষ (এবং ন্যায্য) কারণে এবারের সাপ্তাহিকী ছেপে উঠতে পারিনি। কিন্তু এ সপ্তাহেই সাপ্তাহিকীর জন্য যত ভালো ভালো লিংক জোগাড় হয়েছিল। সেগুলো আপনাদের দেখানোর জন্য সামনের শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে ইচ্ছে করল না। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। It is better to keep your mouth closed and let people think you are a fool than to open it and remove all doubt.                                                                          --- Mark Twain মানুষের জীবনে পরিস্থিতিই যে শেষ কথা নয়, বেবি হালদার তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ট্রিপঅ্যাডভাইসর কি ভ্রমণের চরিত্র বদলে দিচ্ছে? ফার্গো আমার অন্যতম, অন্যতম, অন্যতম প্রিয় ছবি। আর ফ্রান্সেস ম্যাকডারমন্ড অভিনীত মার্জ চরিত্রটি আমার অন্যতম, অন্যতম, অন্যতম প্রিয় চরিত্র। আমি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে জানি, সিনেমাটা একবার দেখলে আজীবন আর ভোলা যায় না। কিন্তু সেটা যে এমনভাবে কারও মাথা বিগড়ে দিতে পারে, সে কথা আমি জানতাম না। ফোটো তোলা যে শুধু চোখের সামনে ক্যামেরা ধরে শাটার টিপে যাওয়া নয়, সে ফোটোর আকার আয়তন অবস্থান পরিমিতি ত্রিকোণমিতিও যে মাথায় রা

মায়ের রিইউনিয়ন

মুখোমুখি কথা বলার থেকে ফোনে কথা বলার একটা সুবিধে হচ্ছে অনৃতভাষণ ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে মোবাইলে । সেদিন নেহেরু প্লেস থেকে অটো চড়ে বাড়ির দিকে আসছি, রাত ন’টার পরে ফাঁকা রাস্তায় অটো পক্ষীরাজের মতো ছুটছে । এমন সময় ভাইসাবের ফোন বাজল। ভাইসাব গতি কমিয়ে পকেট থেকে ফোন বার করে নম্বরের দিকে তাকিয়ে যে মুখভঙ্গিটা করলেন সেটা ফোনের স্ক্রিনে বসের নাম ফুটে উঠতে দেখলে আমিও করি। তার পর ফোন তুলে গলায় পঞ্চাশ শতাংশ অনুতাপ, চল্লিশ শতাংশ হতাশা,  আট শতাংশ নিরুপায় ভাব আর প্রায় ধরাই যায় না এমন দু’শতাংশ “কেমন দিলুম” ভাব মিশিয়ে বললেন, “আরে সারজী, অব তো আ নহি পাউঙ্গা, অব তো ম্যায় সফদরজং এনক্লেভ মে জাম মে ফঁসা হু, কিতনা জ্যাম, বাপ রে বাপ রে বাপ, কাল মিলুঙ্গা জরুর, মা কসম।” এই না বলে ফোন কেটে দিয়ে গোঁওওওও করে স্পিড বাড়িয়ে ফ্লাইওভারের নিচের লাল সিগন্যাল অম্লানবদনে পেরিয়ে এলেন। আবার অসুবিধেও আছে। সুবিধের থেকে অন্তত একশো গুণ বেশি। প্রথম অসুবিধেটার ওপরের সুবিধেটার সঙ্গে সম্পর্কিত । মানুষ আর মানুষকে বিশ্বাস করছে না। আমি যখন বলছি জ্যামে আটকে আছি, তখন ওপাশ থেকে হেঃ হেঃ করে হেসে বলছে “জ্যাম? ভালো ভালো