চিকেন কোলাপুরী আর পটোডি রসা/ মহারাষ্ট্র সদন ক্যান্টিন
বসন্তকালে লোকে অনেক কিছু
করে শুনেছি। কবিরা কবিতা লেখে, প্রেমিকেরা প্রেম করে, ভ্রমরেরা ফুলে ফুলে মধু খেয়ে
বেড়ায়, কোকিলেরা তারস্বরে চেঁচিয়ে গলা ভেঙে ফেলে। আমি এ সব কিছুই করি না। শীত যে ফুরিয়ে
গেল আর মারমার কাটকাট করে গরম যে ঘাড়ের ওপর এসে পড়ল, সারা বসন্তকাল জুড়ে চলে আমার সেই শোকপালন।
এমন যে বসন্তবেরসিক আমি, সে
আমিও দিল্লির এ বছরের বসন্তের তারিফ না করে পারছি না। গরম একবার করে মাথা তুলে
দাঁড়াতে চাইছে আর অমনি এক পশলা করে বৃষ্টি এসে তাকে ধমকে বসিয়ে দিচ্ছে। যখন এই
পোস্ট লিখছি তখনও বাইরে গুড়গুড় করে মেঘ ডাকছে, বারান্দায় গেলে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে,
আমার জানালার পাশের সজনে গাছটা মনের আনন্দে ডালপালা দোলাচ্ছে।
আকাশবাতাস এমন সুন্দর হয়ে
রয়েছে তবু আমার মন ভালো লাগছিল না। হঠাৎ হঠাৎ মন উদাস হয়ে যাচ্ছিল, কাজে মন বসছিল
না, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে রাগ ধরে যাচ্ছিল। অনেক ভেবেও আমি মনের এ রকম বেঁকাচোরা
ব্যবহারের কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছিলাম না। তারপর একদিন দুপুরে ক্যান্টিনে একা একা বসে সীতাফলের ঝোল দিয়ে রুটি খেতে খেতে
উত্তরটা মাথার ভেতর ঝলসে উঠল।
মন খারাপ তো হবেই। কতদিন
লাঞ্চ ডেটে যাওয়া হয়নি যে!
এই হয়। এক একটা জিনিসের
ঝোঁক আসে তারপর আবার মিলিয়ে যায়। কেন যে যায় তার সদুত্তর থাকে না কারও কাছেই।
আমাদের লাঞ্চ ডেটেরও হয়েছে সেই দশা। লাঞ্চ ডেট বন্ধ হয়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ
হয়েছে স্টেট ভবন ক্যান্টিনে খেতে যাওয়াও।
আমি আর দেরি করলাম না। কোনওমতে
সীতাফল নাকেমুখে গুঁজে এসে এক কাপ লেবু চা নিয়ে স্টেট ক্যান্টিনের লিস্টটা খুলে
বসলাম। অন্ধ্র হয়ে গেছে, আসাম হয়ে গেছে, কাশ্মীর, গোয়া, মেঘালয় হয়ে গেছে . . . মহারাষ্ট্র! মহারাষ্ট্র সদন বাকি আছে এখনও। এক সেকেন্ডের একের তিন ভাগ সময়ে গুগল সাড়ে তিন লাখ ঠিকানা বার করে এনে দিল। প্রথম ঠিকানায় দেওয়া
নম্বরটায় ফোন লাগালাম। একবার রিং বাজতে না বাজতেই ওদিক থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ গলায়
হ্যালো ভেসে এল।
হ্যালো, আমি অমুক, তমুক
জায়গা থেকে বলছি। আপনাদের ক্যান্টিন কি সর্বসাধারণের জন্য খোলা?
নিশ্চয়।
বুকিং লাগে?
মোটেই না।
গেলেই খেতে পাওয়া যায়?
অবশ্যই।
ভেরি গুড বলে ফোন রেখে চ্যাটবাক্স
খুললাম।
আমি কাল মহারাষ্ট্র সদনে
লাঞ্চ করতে যাচ্ছি, তুমি কি যেতে চাও?
এর উত্তরে “হ্যাঁ হ্যাঁ চাই
চাই” ছাড়া আর কোনও কথা হয় কি? প্রত্যাশিত উত্তরটাই এল, উত্তরের লেজুড় হয়ে এল, “মহারাষ্ট্র
সদন?”
জিজ্ঞাসাটার সঙ্গে পঞ্চাশ
শতাংশ সন্দেহ আর পঞ্চাশ
শতাংশ তাচ্ছিল্য মেশানো।
নাগাল্যান্ড ভবন খোলা নেই,
কিংবা ওড়িশা ভবন? আচ্ছা অন্ধ্র ভবনেই চল না হয় আবার, সাঁইত্রিশতম বার?
মারাঠা ভবনের খাবার নিয়ে
সন্দেহ একা অর্চিষ্মানের নয়। আমার চেনা অনেকের গলাতেই এ সন্দেহ শুনেছি। আমার
নিজেরও যে অভিজ্ঞতা খুব সুবিধের তা নয়। অবশ্য কত মারাঠা খাবারই বা খেয়েছি? সেই
দিল্লি হাটে বসে একবার টুকটুকে লাল রঙের কোকম সরবত আর পূরণ পোলি খেয়েছিলাম। সরবতটা
দিব্যি লেগেছিল, পূরণ পোলি অত কিছু না।
সব জাতের খাবারেরই একটা মূল
সুর থাকে। ফ্রেঞ্চদের খাবারের মূল সুর চিজ, চাইনিজদের সুইট অ্যান্ড সাওয়ার,
ইতালিয়ানদের পাস্তা, জার্মানদের পাঁউরুটি মাংস, দক্ষিণীদের চালডাল বাটা। (বাঙালিদের
রান্নার মূল সুর কী সেটা আমি অনেক ভেবেও স্থির করতে পারলাম না। আলু? ভাজাভুজি?
নিজের জিনিসের বিচার নিজে করা বড় শক্ত। আপনাদের কার কী মনে হয় সে কথা জানার ইচ্ছে
রইল) মারাঠা খাবারেরও তেমনি একটা মূল সুর রয়েছে। আর সেই সুরটা সন্দেহ জাগানোর
পক্ষে যথেষ্ট।
মারাঠিদের রান্নার মূল সুর
হল গিয়ে বেসন। মারাঠিরা বেসনের রুটি (পিঠলা) দিয়ে বেসনের ডাল (জুঙ্কা), বেসনের
বড়ার তরকারি (পটোডি রসা) খায়। বিকেলবেলা বেসনের তেলেভাজা (কোথিম্বির বড়ি) চিবোয়।
এটুকু হতাশা তো প্রত্যাশিতই
ছিল। অপ্রত্যাশিত হতাশাটুকু এল এক পরিবেশকের চেহারায়। এক এক জন মানুষ থাকে দেখেছেন
নিশ্চয়, যাদের মুখে কোনও অভিব্যক্তি ফোটে না? আমার এ ধরণের মুখ পছন্দ নয়। আমি যদি
একটা কথা বলি তবে সে কথাটা যে তার কানে ঢুকেছে, আমার বক্তব্যের মানে যে তার মগজস্থ
হয়েছে সে বাবদে আমার আশ্বস্ত হতে লাগে। একেবারে লাফিয়ে না উঠলেও অন্তত হুঁ হাঁ
আচ্ছা ওক্কে হলেই যথেষ্ট। কথা বলতে ইচ্ছে না করলে শুধু ঘাড় নাড়লেও আপত্তি নেই।
আমাদের পরিবেশক ভদ্রলোক সে
সব কিছুই করছিলেন না। আমরা একের পর এক খাবারের নাম বলে যাচ্ছিলাম, ভদ্রলোকের মুখে
কোনও ভাবই ফুটছিল না। কোলাপুরি মাটন যে খাব সে তো ঠিকই ছিল, ফিরে গিয়ে ডেস্কে বসে
ঘুমোলে চলবে না কাজেই ভাতের বদলে চাপাটি তাও ঠিক। সমস্যা হল নিরামিষ পদ বাছতে
গিয়ে। আলু ওয়াঙ্গি, ভরেলি ওয়াঙ্গি, খানদেশি সেও ভাজি, ভরহাদি পটোডি রসা। আমি
জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়ে ওয়াঙ্গি কেয়া হোতা হ্যায়? ভদ্রলোক বিপদে পড়ে গেলেন। এই বার
শুধু মুখে ভাব ফোটালেই চলবে না, আবার উত্তরও দিতে হবে। অসম্ভব অনিচ্ছা সহযোগে উত্তর
এল, “ওয়াঙ্গি . . . ওয়াঙ্গি হোতা হ্যায়।”
আমি ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে
রইলাম, ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। অচিষ্মান স্মার্টফোন টেনে নিয়ে অ্যাড্রেস
বারে ওয়াঙ্গি টাইপ করল। বেগুন। চলবে না। ‘সেও’ ব্যাপারটা আমাদের দুজনেরই তরকারির
বদলে শুকনো খেতে ভালো লাগে। কাজেই সেও ভাজিও বাদ। বাকি রইল ভার্হাদি পটোডি রসা।
কী জানি সার্চ করলে কী বেরোবে সেই ভয়ে আমরা আর খোঁজাখুঁজিতে গেলাম না। “এক প্লেট
পটোডি রসা লাইয়ে” বলে রণে ক্ষান্ত দিলাম। ভদ্রলোক চলে গেলেন। সাহসে বুক বেঁধে
স্মার্ট ফোনে টাইপ করে দেখি ভার্হাদ হচ্ছে গিয়ে মহারাষ্ট্রের একটা জায়গার নাম,
রসা হচ্ছে গিয়ে ঝোল আর পটোডি হচ্ছে গিয়ে ধোকার মতো দেখতে একরকম জিনিস। তবে ডালবাটার
বদলে বেসন দিয়ে তৈরি।
খাবার এল। গরম চাপাটি, তপ্ত
পটোডি রসা, উষ্ণ কোলাপুরি চিকেন। ভদ্রলোকের বোধহয় আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তা
হয়েছে, তিনি মাটনের বদলে চিকেন নিয়ে এসেছেন। যাই হোক, চিকেনই সই। ভয়ে ভয়ে এককুচি
রুটি ছিঁড়ে রসায় ডুবিয়ে মুখে পুরলাম।
অমনি সন্দেহটন্দেহ সব কোথায়
হাওয়া হয়ে গেল। চমৎকার স্বাদ। ওস্তাদ রাঁধিয়ে কিংবা খাইয়ে হলে ধরে ফেলতে পারতেন চমৎকার
স্বাদটা কীসের, নারকেলবাটা না সর্ষেবাটার না মৌরিগুঁড়োর, আমি পারলাম না।
অর্চিষ্মানও স্বীকার করতে বাধ্য হল যে মারাঠা রান্না, “অন্তত এই রান্নাটা”, শুধু
ভালো নয়, রীতিমত ভালো। আমার নিজের ধোকা বিশেষ পছন্দ নয়, কিন্তু পটোডি খেতে বেশ
লাগল। তার একটা কারণ হতে পারে পটোডি ধোকার থেকে অনেক হালকা। খেতে খেতেই রেসিপি
খুঁজলাম, ধোকার থেকে বানাতেও সোজা একশো গুণ।
এর পর কোলাপুরি চিকেন। এ
বস্তুটির চেহারা যে রকম তেজী, স্বাদ সে তুলনায় মোলায়েম। আমরা রুটির পর রুটি নিয়ে
যেতে লাগলাম। যতক্ষণ না বাটির ঝোল নিঃশেষ হয়ে গেল ততক্ষণ থামলাম না।
এ ঝোল যেন ও ঝোলের গায়ে না ঠেকে
পেটে আর এক বিন্দু জায়গা
ছিল না, কিন্তু পেটের কথা ভাবলে তো চলবে না। শেষ পাতে শ্রীখণ্ড না খেলে আবার মহারাষ্ট্র
সদনে খেতে যাওয়ার ভড়ং কেন? দুজনে দুটো শ্রীখণ্ড নেওয়া হল। ঘন, সুগন্ধী দই। প্রথম
দু’চামচ অমৃতের মতো খেতে লাগে, কিন্তু দুঃখের বিষয় তারপর আর এগোনো যায় না,
মিষ্টিতে জিভ জড়িয়ে আসে। আমরা কেউই নিজেদেরটা পুরো শেষ করতে পারলাম না। একটা নিলেই
যথেষ্ট হত।
বেরিয়ে বুঝতে পারলাম বাড়াবাড়ি
রকম বেশি খাওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু তখন হাঁসফাঁস করারও সময় নেই। ঘড়ি ঘোড়ার মতো
ছুটছে, তার সঙ্গে তাল রাখতে আমরাও ঊর্ধ্বশ্বাসে মান্ডি হাউস মেট্রোর দিকে ছুট লাগালাম।
পেটের ভেতর পটোডি রসা আর শ্রীখণ্ড কেঁদে কেঁদে বলতে লাগল, আমাদের তো এখন দরজা
জানালা বন্ধ করে, নরম বিছানায়, হালকা জয়পুরী লেপে মাথা মুড়ে, একে ফ্যান চালিয়ে
ঘুমোনোর কথা, তা না করে আমরা এখন পায়ের তলায় কোপারনিকাস মার্গের কংক্রিট আর মাথার
ওপর বেলা দুটোর রোদ্দুর নিয়ে ছুটছি কেন?
উত্তরটা আমাদেরও জানা নেই।
লাঞ্চ ডেট ব্যাপারটা শুনতে যতই রোমহর্ষক লাগুক না কেন, কাজে বেশ প্রাণঘাতী। ছুটে
যাও, দৌড়ে ফেরো, মাঝখানের সময়টায় ঊর্ধ্বশ্বাসে নাকেমুখে গোঁজো। এত ভালো ভালো খাবার,
একটু আয়েস করে খাওয়ার উপায় নেই, শহরের বুকে মাঠবাগান নিয়ে এমন খেলিয়ে বানানো সব
সদনভবন, খেতে খেতে সে সবের শোভা উপভোগ করার জো নেই।
সত্যি বলতে কি, যে কোনও
বিচক্ষণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলবেন সপ্তাহের পাঁচদিন আরাম করে সীতাফলের
ঝোল খাও, ও সব ডেটিংমেটিং তুলে রাখো উইকএন্ডের জন্য। সেটাই যে বুদ্ধিমানের কাজ সেটা
আমরা যে জানি না তেমনও নয়। তবু এত কষ্ট করে, এত দৌড়োদৌড়ি করেও আমরা যে লাঞ্চ ডেটে
যাই তার কারণ অতি সোজা।
কারণটা হচ্ছে সপ্তাহান্তের
বেড়াতে যাওয়ার আরামটা প্রত্যাশিত। আর সপ্তাহের মাঝখানে এই ছুটতে ছুটতে দেখা করতে
যাওয়া, সেটার আনন্দ ষোলো আনাই আশাতীত। দিনের মাঝখানে ওই সময়টায় যে আমাদের কিছুতেই
দেখা হওয়ার কথা নয়, সেই অসম্ভবটাকে কাঁচকলা দেখানোয় যা মজা, জীবনভরের হক্কের লিভ
টুগেদারেও যেন অত মজা নেই।
Hats off to you , Kuntala! Marathi khabarereo mul sur bar korte perechho! Ami chho bochhor Mumbai te thekeo Marathi khabar opochondo chara kichu korte pari ni! Srikhand toh ektuo bhalo lage na! Ar begun (Wangi) toh ora ador kore khaoaye. Tobe ebar ektu nijer analysis ta boli? -- Besan Gujrati kabarer mul sur, Marathi kahabarer should be Narkol. Ar Bangali khabarer main theme ta holo phoron! Amra shudu phoroner opor koto ki randhte pari bolo toh!
ReplyDeleteআরে রুণা, আমার মূল সুর বার করা শুধু মেনু দেখে, কাজেই সেটা ভুল হওয়াই স্বাভাবিক। আমি মেনু জুড়ে বেসনের ছড়াছড়ি দেখলাম, তাই মনে হল আর কি। বেগুনের প্রতি আদরটাও খেয়াল করেছি। আমার অবশ্য বেগুন প্রিয়। তবে বাঙালি খাবারের ফোড়নের ব্যাপারটা ঠিকই বলেছ। ওই অত রকম ফোড়ন মুখস্থ করার ভয়ে রান্নাই করব না কোনওদিন, এই রকম একটা মনের ভাব ছিল আমার অনেক দিন। এখন বুঝেছি, ফোড়ন হচ্ছে অনেকটা বানানের মতো। সব জানতে লাগে না, কয়েকটা জানলেই চলে। ফোড়নের থেকেও জরুরি হচ্ছে ফোড়নের ব্যকরণটা জানা, তা হলে অজানা ফোড়নও সহজেই আঁচ করে নেওয়া যায়।
DeleteNicher Aparajitar commenter songey ekmot!
DeleteSitaphaler jhol ta ke banay? Canteen walara?
Deleteহ্যাঁ, রুণা। ক্যান্টিনের খাবার আমার যে খুব খারাপ লাগে না নয়, কিন্তু সীতাফলটা খুব ভালো করে রাঁধলেও খেতে ভালো হওয়া সম্ভব না।
Deleteektai boktobyo : please please please ektibaar google khuley "chicken vs goat meat" search korey dekho. bishesh korey cholesterol-er comparison-ta. please!
ReplyDeleteerokom all-pervasive bhul dharona bodhoy religious belief-er bairey pawa jaabe na.
আরে তাই নাকি? না না গুগল খুলতে লাগবে না, আমি এমনিতেই তোমাকে বিশ্বাস করছি, সোমনাথ। আজ ফেরার পথে তাহলে মটন কিনে বাড়ি ফিরব। থ্যাংক ইউ।
DeleteEmono boshonto diney... ityadi.
Deleteআহা, কতদিন বাদে এই গানটার এমন উপযুক্ত রেফারেন্স দিল কেউ।
Deleteজানো তো, যখনই আমি তোমার এই স্টেট ক্যান্টিনের লেখা গুলো পড়তাম, খালি ভাবতাম আমি কবে সেই জায়গার খাবার খাব| তারপর গোয়া-র লেখাটা পড়েই কেমন একটা সন্দেহ হয়েছিল| আজ তো এক্কেবারে নিশ্চিত হয়ে গেলাম| ভালো ভালো খাবার পাওয়ার পিছনে ক্রেডিট টা আসলে রাঁধুনি-র| নাহলে মারাঠি খাবার তোমার ভালো লেগে গেল? ইয়ার্কি নাকি? সাত বছর ধরে পুনেতে আছি | আর ভালো খাবারের লিস্ট সাত পেরোবে কিনা সন্দেহ!!
ReplyDeleteতবে তুমি আমার কিছু পছন্দের খাবারের কথা লিখেছ| শুধু একটা ছোট্ট ভুল হয়ে গেছে| পিঠলা আসলে বেসন দিয়ে বানানো ঘন ডাল এর মতন জিনিস| ঝুনকা কোথাও কোথাও পিঠলা-র মতনই বানায়, কোথাও আবার পিঁয়াজ দিয়ে শুকনো শুকনো বানায়| আর এই দুটো জিনিসই খায় ভাকরী/ভাকর দিয়ে, যেটা হলো গিয়ে তোমার জোয়ার-এর রুটি| এই ভাকরী আরেকটা জিনিস দিয়েও ভালো লাগে খেতে, ঝাল ঝাল ওয়াঙ্গি-চি-ভারীত (বেগুনের ভর্তা)|
কখনও পুনে এলে বর্ষাকালের পরে পরে এসো| তখন সিনহাগড় ফোর্টে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ঘুরো (ওখানে বর্ষাকালের শুরুর এক মাস আগে থেকে বর্ষাকাল শেষের একমাস পর অব্দি সারাদিন ধরে বৃষ্টি হয়) আর তারপর কাকভেজা হয়ে ওখানকার অজস্র ঝুপড়ির যেকোনো একটায় গিয়ে ভাকরী-পিঠলা-ভারীত খেও| আর সঙ্গে ঝাল চাটনি নিতেও ভুলো না| আর যতক্ষণ ওরা এই জিনিস গুলো রান্না করছে, সেই সময়টুকু নষ্ট না করে চহা আর খেকরাভাজি খেও| চহা মানে চা আর খেকরা মানে কাঁকড়া| তবে ভেবোনা যে গোটা গোটা কাঁকড়া ভেজে দেয় ওরা, জিনিসটা হলো গিয়ে পিঁয়াজী তবে আকৃতিটা বিগড়ে গিয়ে টেরা বেঁকা হয়ে যায় বলে তার নাম ওইরকম|
এক্ষুনি পুনে বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করছে, অপরাজিতা। যাব তো বটেই কোনও না কোনও দিন, গিয়ে তুমি যা যা বললে সব মনে করে করে খাবও। পিঠলা জুঙ্কার গোলযোগটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য থ্যাংক ইউ।
Deleteare eta pore amar besh koyek bochhor agekar kotha mone pore gelo... ami Pune University te gechhilam ekta kaje... sekhane collaborator der sathe Singhagarh e gechhilam... bhakri-pithla kheyechhilam... r megher chaya porechhilo niche Pune sohor er upor... duchokh bhore seta dekhechhilam...
Delete-Gobechara
ইস, পুনে এবার যেতেই হবে মনে হচ্ছে।
Deletee lunch date byapar-ta besh darun. Aparajita-r shathe ekdom ekmat, credit randhuni-r, nayto Marathi ranna!!!! hostel-er din gulor lunch dinner-er galpo to ritimato bhibhishkamay (Riddhi-ke she shab galpo bole khayoyai ami ekhan :)) tabe amar ek bondhu ache. or barite ami prayi-i jetam, kakima dakten khete. or okhane ami kintu actually Maharastrian food-er taste peyechi. r Maharshtr-er khabare khobra (shukno narkol) ar badam-er pradhanyo thake. ajkal amio pray-i banai kichu Maharashtrian dish- masal bhindi, bharlela wangi, bombil rawa fry etc. kharap lage na.
ReplyDeleteসে তো বটেই, দেবশ্রী, হাতের তারই হল গিয়ে শেষ কথা। মহারাষ্ট্র ভবনের রাঁধুনি ভালো ছিলেন।
Deletekobe asbi Bombay te ? er thekeo bhalo khabar khawabo ! - tinni
ReplyDeleteহাহা, যাব যাব, অল্পস্বল্প দিনের জন্য গিয়ে তোকে সহজে মুক্তি দেব না বলে ছুটি জমাচ্ছি, তিন্নি।
DeleteMarathi khabar je eto kom popular seta ami jantam-i na. r tomader khabar-dabar chhobi dekhe to besh lobh hochhilo. tabe besan ta gujarati-rajasthani ranna teo khub use hoy moone hoy- besh kichhu oi pranter lokjon ke dekhechhi just besan er bora banie tar jhol kore daey r seta naki bhalo khabar er ontorgoto: sune ami hotobhombo !! bangali ranna eto bhalo r eto rokomfer je ekta/duto mool sur khunje bar kora shokto. _bratati. jemon amar ma er mot e sobrokomer preparation e eki type er sobji kata cholbena- mane machher jhol er alu jodi lomba hoy to bandhakopir alu chhoto dumo kata habe: tate naki taster difference hoy !!ami bujhini jodio..
ReplyDeleteএকদম ঠিক বলেছ, ব্রততী। বেসনের মহিমা আমি আগে শুধু মুখে মাখার ওষুধ আর তেলেভাজার বাহন হিসেবেই জানতাম, সে দিয়ে যে মেন ডিশ বানানো হয় সেটা শুনে চমক লেগে গিয়েছিল।
Deleteএই কাটাকুটির ব্যাপারটা একদম ঠিক বলেছ। আমার ঠাকুমা চিরদিন বলে এসেছেন, আসল স্বাদ হচ্ছে তরকারি কাটায়, রান্নার থেকেও বেশি। আমাদের বাড়িতেও একই জিনিস একশো রকম করে কেটে একশো রকম রান্না হয়। আবার অনুষ্ঠান ভেদে একই পদের তরকারি আলাদা রকম করে কাটা হয়। মানে সাধারণ দিনে ফুলকপির তরকারির কপি যেমন কাটা হবে, সরস্বতী পুজোর দিনের ফুলকপির তরকারির কপির আকারআয়তন হবে স্পেশাল।
Somehow Marathi khabar kokhono explore kora hoyni. Ebar dekhi weekend e google bhorsa kore chestata korei felbo. :)
ReplyDeleteকরুন করুন, চুপকথা। তারপর আমাদের জানান কেমন লাগল।
DeleteAuthentic ar traditional Marathi khabar kintu khub bhalo khete. Bhalo radhuni'r theke jeta beshi dorkar eyi ranna e sheta holo authentic moshla. Ora onek rokomer barite toiri moshla use kore ... shetai hocche main jinish jeta ekta particular dish ke flavour deye. Usually boro naam kora hotel e kokkhono bhalo Marathi khana pawa jabe na ... shey jotoi buk chitiye boluk na keno.
ReplyDeleteChoto choto khawar jayega te e shob pawa jaye.
Actual Kolhapuri ranna kintu naake chokhe jol ber kore debe. Oi mushkil asaan korte aajkal authentic Kolhapuri moshla ta shobai use kore na ... laal lonkar guro diye colour ta deye.
Amra huge fan Maharastrian khabar er .... shey chaler ruti(bhakri) diye jhaal kolhapuri ranna e houk ba saada simple Pithla with mota mota Jowar er ruti(bhakri) ba plain varan bhaat. :-)
O hain ... wangi eder favourite. Oi amader jemon biye barite maach mangsho'r elahi byapar, eder biye barite ba je kono onusthane kintu wangi. Na khele abar boddo dukkhu paye. :-)
ReplyDeleteSorry Kuntala ... onek boro comment hoye gelo. :)
শর্মিলা, প্রথমেই বড় কমেন্টের জন্য তোমাকে বড় করে একখানা ধন্যবাদ দিই। কোলাপুরী চিকেন ঝাল বলছ? ইস, তাহলে একবার তোমাদের রাজ্যে গিয়ে আসল জিনিসটা খেয়ে দেখতে হচ্ছে। ওয়াঙ্গি আমারও ভালো লাগে, কিন্তু বিয়ে করে যে দু'তিনটে কম্প্রোমাইজ আমাকে করতে হয়েছে, তার মধ্যে ওয়াঙ্গি একটা। আমিও তোমার সঙ্গে একমত, কিছু রান্না বড় দোকানে করা সম্ভব নয়, ও শুধু বাড়িতেই সম্ভব, কিংবা রাস্তার পাশের ছোট নামহীন দোকানে।
DeleteSeetaphol jinis ta ki Kuntala di?
ReplyDeleteAccha amar mone akta proshno elo. Jigges korei felchi. Tumi office theke lunch date e gechile. Tumi ki office eo sathe camera niye jao?
সীতাফল হচ্ছে গিয়ে কুমড়ো, কুহেলি। যেদিন লাঞ্চে যাওয়ার কথা থাকে সেদিন ক্যামেরা ঘাড়ে করে অফিসে নিয়ে যাই। খাওয়ার সমান জরুরি হচ্ছে সেই সব খাবারের ছবি তোলা।
Deleteoi srikhand jinis ta subidher noy seta oi amul srikhand khelei bojha jay ba jeto..plus ekta dorkar er cheye besi flavor pawa jay..jinis tay
ReplyDeleteআমার অবশ্য শ্রীখণ্ড খুবই ভালো লাগে, মানে সাধারণ, ম্যাংগোট্যাংগো ইত্যাদি ফ্লেভারহীন শ্রীখণ্ড।
Deleteata keo kintu sitafol bole hindi te.kumro ta ei janlam..
ReplyDeleteওহ্, তাই বুঝি?
Delete