Posts

Showing posts from November, 2022

ভালো ভাড়াটে

সেদিন একটা অদ্ভুত জায়গায় একটা অদ্ভুত মেসেজ পেলাম। আমাকে কেউ মেসেজ করে না। সেই সত্যিটাকে আমি স্পিন করেছি এই বলে যে আমিই আসলে সব মেসেজের নাগালের বাইরে। করে, মেসেজ চালাচালির যাবতীয় রুট থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছি। শুধু একটি ছাড়া। যেটা আপাত প্রফেশনাল এবং আদ্যন্ত ইউজলেস। চাকরি আর পদমর্যাদা দিয়ে একে অপরের দাম মাপামাপি ছাড়া ওখানে কেউ কাউকে ঘাঁটায় না। অন্তত সে রকমটাই আশ্বাস ছিল আগের সপ্তাহ পর্যন্ত। অথচ আগের সপ্তাহে সেই নিরাপদ মাধ্যমে যখন একটি মেসেজ এসে আমাকে ঘাঁটালো, মেসেজ এবং প্রেরকের পরিচয়জনিত বিস্ময় ঘাঁটিত হওয়ার বিরক্তিকে কয়েকগুণে ছাপিয়ে গেল। প্রেরক আমার এক পুরোনো বাড়িওয়ালা। সি আর পার্কেরই। অন্য ব্লকের। বাজারে মাঝেসাঝে দেখাও হয়। বা উপক্রম হয়। দুজনের মধ্যে একমাত্র আমার চশমা (তাও হাস্যকর রকমের হাই পাওয়ারের) থাকা সত্ত্বেও দশবারের মধ্যে ন’বারই আমি আগে ওঁকে দেখে ফেলে গলি বদলাতে সক্ষম হই। একবার দাদুর বিজনেস কনগ্লোমারেটের চাউমিন শাখার সামনে ধরা পড়ে গিয়েছিলাম। চাউমিনের দোকানের সামনে অ্যালার্টনেস আগেও টাল খেয়েছে। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং কারণ দাদুর বিবিধ সম্ভারের সবকিছুরই আমি ভোক্তা, চপ থ

কুহকিনী

উইলিয়াম গে নামক একজন লেখকের একটি উপন্যাসের রিভিউ দেখছিলাম ইউটিউবে। উপন্যাসের নাম টুইলাইট, জঁরা সাদার্ন গথিক। এর বেশি কিছু জানি না, বলারও নেই, পড়িনি, সম্ভবতঃ পড়বও না। রিভিউয়ার ভদ্রলোকের বইটা অতটাও পছন্দ হয়নি। ওঁর সঙ্গে আমার পছন্দঅপছন্দ মেলে কাজেই ধরে নেওয়া যায় টুইলাইট আমারও অল্প পছন্দ হবে। অসুবিধে নেই। অল্প পছন্দের বই পড়ার এনার্জি, টেম্পারামেন্ট, সময় সবই আমার অল্পের বেশি আছে। নিয়ম করে এমন অনেক বই পড়ে থাকি যেগুলো সম্পর্কে অলরেডি আঁচ থাকে যে অত পছন্দও হবে না, এমনকি বমিও পেতে পারে। তবু টুইলাইট পড়ছি না। তবু উইলিয়াম গে-কে নিয়ে পোস্ট লিখতে বসেছি। ভুল বললাম। তিনদিন আগে পর্যন্ত উইলিয়াম গে-র নাম পর্যন্ত জানতাম না। এমনও না যে জানার আগ্রহে তিনদিনে গুগল ঢুঁড়ে ফেলেছি। এভিডেন্টলি, উইলিয়াম গে সম্পর্কেও আমি বিশেষ উৎসাহিত নই। তাঁর একটি বৈশিষ্ট্য বাদে। গে লিখতে শুরু করেছিলেন পনেরো বছর বয়সে। গে-র প্রথম বই ছেপে বেরোয় সাতান্ন বছর বয়সে। মাঝের সময়টা গে কী করছিলেন? অলেখকরা যা করে। সংসার। সন্তানপালন। চাকরি। চাকরি বলতে কাঠের কাজ। কন্সট্রাকশন। দেওয়াল গাঁথা, রং করা। এই সমস্ত কাজকর্ম সেরে উইলিয়াম গে লেখায়

প্রথম। শেষ?

কোনও একটা কাজ করার সময় আমরা কি টের পাই যে এই কাজটা জীবনে শেষবারের মতো করছি? আর কখনও করব না, বা করার সুযোগ পাব না? টের পেলে কি ভালো হত? নাকি ভয়াবহ? নব্বই শতাংশ শিওর, মাকে করা কোন ফোনটা লাস্ট ছিল। বলাই বাহুল্য, করার সময় বুঝিনি যে এটাই লাস্ট। আমার অধিকাংশ পছন্দের লোকের (বা যাদের একসময় পছন্দ করতাম, বা ভেবেছিলাম যে এদের আমি পছন্দ করি) সঙ্গে, যাদের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার চান্স প্রায় নেই, শেষবারের দেখা মনে করতে পারছি না। অথচ প্রথম দেখা, প্রথম শোনা, প্রথম ঠেকা, প্রথম শেখা -- জ্বলজ্বলে। প্রথম নিয়ে আমরা অবসেসড। সব আঁতিপাঁতি করে ডায়রিতে, স্ক্র্যাপবুকে, ক্যামেরায়, কিছু হাতের কাছে না থাকলে মনের মণিকোঠায়, জমিয়ে রেখেছি। ক্লিনিক্যাল স্মৃতিভ্রংশ না হলে ভুলব না। পুরোটাই অবসেশন নয়, প্রথমের একটা অ্যাডভান্টেজ আছে শেষের তুলনায়। ঘটনাটা ঘটার সময় বোঝা যায় যে এটা প্রথমবার ঘটছে, আগে কখনও ঘটেনি। যেমন গত কয়েকদিন ধরে ভুলতে পারছি না যে একটা ঘটনা প্রথমবার ঘটছে, তেরো বছরে। অবান্তরে লাস্ট পোস্ট লেখার এক মাস কেটে গেছে। নিরানব্বই শতাংশ শিওর, এ ঘটনা আগে ঘটেনি। কেন ঘটেছে সে নিয়ে আশি শতাংশ শিওর। বলার কথা ফুরিয়েছে। তবু