তুমি একা, আমি একাই
বাড়িঘর ঝেড়েমুছে এক বালতি পেঁয়াজি ভেজে চাবি ঘোরাতে ঘোরাতে প্রসেনজিৎ বেরিয়ে গেল, ফ্যান জোর আর লাইট নিভুনিভু করে আড্ডা শুরু হল। অনুপস্থিত বন্ধুদের নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে, এমন সময় চমকে মুখ চাপা দিল একজন। ভুলেই গেছি বলতে। খবরটা পেয়েছ? খবরটা এই নয় যে অমুকে প্রকাণ্ড মাইনের চাকরি পেয়েছে কিংবা মিটু খেয়েছে। খবরটা হচ্ছে, অমুক নিজের নতুন বাড়িতে একটি ঠাকুরঘর বানিয়েছে যেখানে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর লোকনাথবাবা রামঠাকুর সবাই আছেন। ইলন মাস্কের প্রথম মঙ্গলাভিযানের টিমে সিলেক্টেড হওয়ার খবর পেলে কম অবাক হতাম। বন্ধুটি আমার দেখা গেরিলাতম নাস্তিক। ছিলেন, আই গেস। সেটা অবশ্য একদিক থেকে আমার অবাক হওয়াকে নাকচ করে। কারণ গুলতি থিওরি। একটা গুলতি যত জোরে এদিকে টানা হবে, টান যখন ঢিলে হবে (সাধারণতঃ হয়) ঢিল তত জোরে, তত ওদিকে গিয়ে পড়বে। ঠাকুমার কথাটা একটু ঘুরিয়ে নিলে, যে যত বড় হিঁদুর পোলা, মুসলমান হলে সে তত উদ্যমে গোয়াল কে গোয়াল সাবাড় করবে। কত কেস যে দেখলাম। হাসাহাসি থামলে দ্বিতীয় কারণটা মাথায় এল। অবাক যে আর হলাম না তাই নয়, এক মুহূর্তে ক্লিয়ার হয়ে গেল ঘটনাটার পেছনে কী কাজ করেছে। একাকীত্ব। ক্লিয়ার হয়ে গ