Posts

Showing posts from July, 2020

বইপড়ার মাঝবছরের হিসেবনিকেশ

Image
বুকটিউবে নানাবিধ খেলাধুলো চলে সারা বছর। বছরের শেষে প্রিয় বই, বছরের শুরুতে মোস্ট এক্সপেক্টেড বই ইত্যাদি নিয়ে ভিডিওর বন্যা। বছরের মাঝমাঝির এই গয়ংগচ্ছ মাসকয়েকের জন্যও বুকটিউব নানা খেলাধুলোর জোগাড়যন্ত্র করে রেখেছে। যেমন মিড-ইয়ার বুক ফ্রিক আউট ট্যাগ। ফ্রিক আউট কেন? সব বছর তো ২০২০-র মতো হয় না, সারা বছরই ফ্রিক আউট; অন্যান্য বছরে, এই তো মুড়ি খেতে খেতে স্টার আনন্দে তারকাদের সাক্ষাৎকার দেখতে দেখতে নতুন বছর আহ্বান করলাম", অলরেডি বছরের হাফ ফুরিয়ে গেল, মৃত্যুর দিকে আরও ছ'মাস এগিয়ে গেলাম, রেজলিউশনের লিস্ট এখনও ছুঁয়ে দেখা হল না, এই সব কারণে ফ্রিক আউট হয়েই থাকে।  খেলায় গোটা পনেরো ষোলো প্রশ্ন আছে। আমি আমার সাইজমতো কেটে ছেঁটে নিয়েছি। যেমন একটা প্রশ্ন ছিল সেরা সিকোয়েল কী পড়েছ। বুকটিউবের মাস্তান হচ্ছে ইয়াং অ্যাডাল্ট সাহিত্য। সে ঘরানায় মিনিমাম তিন বইয়ের সিরিজ ছাড়া বই প্রায় দেখাই যায় না। অধিকাংশ গল্পই চলে পাঁচ বা সাত বই ধরে। আমার মতো বুড়ো পাঠকদের অত ধৈর্য নেই, স্ট্যান্ড অ্যালোন ছাড়া পারতপক্ষে ঘেঁষি না। এ বছর তাও একখানা সিকোয়েল পড়ে ফেলেছি, মার্গারেট অ্যাটউডের 'দ্য টেস্টামেন্টস'। ব্যস

আজকাল

শুক্রবার রাতে নিকি ফ্রেঞ্চের পর পর দু'খানা রহস্যোপন্যাস শেষ করে ভোর চারটেয় ঘুমোতে গিয়ে সাড়ে ন'টায় উঠে দেখি ওপরতলার প্রসেনজিৎ অন্তত পনেরোবার ফোন করেছে। নাকি পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে লোক এসেছিল সকাল সাড়ে আটটার সময়। সাড়ে আটটা। আমি যখন কোনও অফিসে কাজে যাই সাড়ে এগারোটার আগে কাউকে সিটে পাই না, আর অফিস আমার বাড়িতে এসেছে সাড়ে আটটার সময়, এক্সপেক্ট করে যে আমি একপায়ে খাড়া থাকব। ট্রু ক্রাইম সাহিত্যে পড়েছি, পঁহুছা হুয়া ক্রিমিন্যালদের বাসায় রেড করতে পুলিস সর্বদা ভোর রাতের দিকে যায়, কারণ অতি বড় ক্রিমিন্যালের সতর্কতাতেও ওই সময়েই ঢিলে পড়ে। তেমনি আমাকেও সকাল সকাল এসে খপ করে ধরার চেষ্টাই করছিলেন বোধ হয়। আসল ঠিকানা থেকে চানটান করে খেয়ে দেয়ে পান মুখে দিয়ে ভুয়ো ঠিকানায় এসে বসতে অন্তত দশটা বাজবে। তার আগেই উনি এসে আমাকে খপ করে ধরবেন। বলা বাহুল্য, এই বাজারে আমি শখ করে পাসপোর্ট অফিসে ধর্না দিইনি। পাসপোর্টের আয়ু ফুরোতে বসেছে। কাজেই নতুন পাসপোর্টের ব্যবস্থায় বেরোতে হয়েছে। রিষড়া কবে যেতে পারব ঠিক নেই, কিন্তু বিদেশযাত্রার রাস্তা খোলা রাখা চাই। আজকাল পাসপোর্টের ব্যাপারস্যা

একটি মফঃস্বলি তদন্ত

Image
বানিয়ে লেখার ক্ষমতা আমার চিরকালই কম, কিন্তু অন্যান্য গল্পের ক্ষেত্রে সে বাবদে যেটুকু যা পরিশ্রম করে থাকি, এবারের চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এ ছাপা গল্প ‘একটি মফঃস্বলি তদন্ত’-র ক্ষেত্রে সেটুকুও করিনি। লোকজন, রাস্তাঘাট, লেখার সময় সব চোখের সামনে জ্বলজ্বল করেছে। এমনকি যে ঘটনাটা কেন্দ্র করে গল্প শুরু হচ্ছে, রাইটিং ওয়ার্কশপে যাকে লোকে ‘ইনসাইটিং ইনসিডেন্ট’ বলে ডাকে, সেটাও সত্যি সত্যি ঘটেছিল আমাদের পাড়ায়। পরের আনুষঙ্গিকগুলো বলা বাহুল্য, বিশুদ্ধ গপ্প।   Any resemblance to actual persons, living or dead, or actual events is purely coincidental. অনেক সময়ই, বেশিরভাগ সময়েই, একটা ঘটনা ব্যক্তিকে যেভাবে প্রভাবিত করে, সমষ্টিকে তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে করে। ধরুন, একটা পরকীয়া হচ্ছে। অফিসের ডেস্কে বসে ফোনে খবরটা পেলে, আপনি "ও আচ্ছা,” বলে ফোন কেটে আবার ক্যান্ডি ক্রাশ খেলবেন। ক্যান্টিনে বসে রুটি বাঁধাকপি খেতে খেতে খবরটা শুনলে, “স্বাধীনতা পেলে লোকে মাথায় চড়ে বসবেই” জাতীয় দুচারটে বুদ্ধিমান মন্তব্য করে ক্ষান্ত দেবেন। আর যদি টুইটারের হ্যান্ডেলে কিংবা ফেসবুকের ওয়ালে পান, তখন আপনাকে দেখলে চেন