Posts

Showing posts from May, 2012

চেনেন নাকি?

Image

বারাক থেকে ইন্দিরা

Image
ছবিটা দেখে ফেলেছেন নিশ্চয় সবাই এতদিনে? না দেখে থাকলে এখন দেখুন, দেখে থাকলেও আরেকবার দেখুন। ভালো জিনিস বেশি বার দেখলে ক্ষতি নেই। ছবিটা দেখে আর ছবির আড়ালের গল্পটা জেনে আমার ছোটবেলার একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোটবেলা নয় ঠিক, ছোটবেলা আর বড়বেলার সঙ্গম বলাই ভালো। শরীর মন জুড়ে তখন বদল আসছে স্রোতের মতো। সেরকম একটা সময়ে, একদিন সন্ধ্যেবেলা আমি আবিষ্কার করলাম যে আমি আর আগের মতো নেই। আগে বলতে এই গতকাল সন্ধ্যেবেলায় যেমন ছিলাম তেমনটাও নেই। মা সব শিখিয়ে বুঝিয়ে দিলেন। আমি ব্যাপারটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, কাজেই বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আমার মুখ দেখে মা সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন নিশ্চয়। মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে বললেন, দূর বোকা ভয়ের কী আছে, সব্বার হয় এরকম। আমি একটু ভরসা পেয়ে আমার চেনা যত মহিলা আছেন সবার নাম ধরে ধরে জিজ্ঞাসা করতে লাগলাম। অমুক জেঠির হয়? তমুক দিদিভাইয়ের? আচ্ছা ও বাড়ির কাকিমার? কাকিমার মেয়ের? মা সবকটা নামের পরে ঘাড় হেলিয়ে বলতে লাগলেন, হয় হয় হয়। আমার প্রাণে একটু বল এল। কিন্তু সন্দেহের শেষ বিন্দুটুকু তখনও মনের কোণায় মাটি কামড়ে পড়ে আছে। সেটার হাত

সব বড়দের ছোটবেলার ছড়া

Image
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেশিরভাগ দিনই ল্যাপটপ নেভানোর কথা মনে থাকেনা। তবে কালেভদ্রে এক একটা রাত আসে যেদিন আমি ল্যাপটপ তুলে, দাঁত মেজে, চুলে বেশ করে টেনে একটা বিনুনি বেঁধে, বড় দেখে  ঠাণ্ডা  একগ্লাস জল খেয়ে শুতে যাই। শুতে গিয়ে গায়ে চাদর টানার আগে হাত বাড়িয়ে পাশের টেবিল থেকে একটা বইও টেনে নিই। দুপাতা পড়তে না পড়তেই চোখ জুড়ে ঘুম আসে। আর সে যে কী ভালোজাতের ঘুম সে কথা আর কী বলব। আজ সেরকম একটা রাত। আজ আমি একটা ছোটদের ছড়ার বই পড়তে পড়তে ঘুমবো ভেবেছিলাম। কিন্তু পড়তে গিয়ে এত ভালো লাগল যে একটা ছড়া  আপনাদের  না শুনিয়ে থাকতে পারলাম না। সামনে থাকলে বেশ হাত পা নেড়ে অভিব্যক্তি দিয়ে শোনানো যেত কিন্তু তা যখন যাচ্ছেনা তখন আপনারা নিজেরাই কষ্ট করে পড়ে নিন। Binker Binker-what I call him-is a secret of my own, And Binker is the reason why I never feel alone. Playing in the nursery, sitting on the stair, Whatever I am busy at, Binker will be there. Oh, Daddy is clever, he’s a clever sort of man, And Mummy is the best since the world began, And Nanny is Nanny, and I ca

নিজের বাড়ি

Image
খুশবন্ত সিং-এর বাতলানো হ্যাপিনেসের কয়েকটা টোটকা ফরওয়ার্ডের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে আমার ইনবক্সে এসে পৌঁছেছিল। সে সময়টায় আমি কোনো কারণে আনহ্যাপি ছিলাম নিশ্চয় কারণ ডিলিট করার বদলে ফরওয়ার্ডটা খুলে পড়েছিলাম। তার আর কিছুই মনে নেই, কেবল বুদ্ধদেবের অষ্টাঙ্গমার্গের মত খুশবন্তজিও হ্যাপিনেসের আটখানা টোটকা দিয়েছিলেন মনে আছে। সে আটখানার মধ্যেও গোটা ছয়েক বেমালুম ভুলে গেছি, দুখানা কীকরে যেন মনে থেকে গেছে। ওই দুটোই বিশেষ করে মনে ধরেছিল বলে বোধহয়। ছবি গুগল ইমেজেস থেকে প্রথম টোটকাটা হচ্ছে, সিংজি বলছেন---আনন্দে যদি থাকতে হয় তবে কাউকে বাড়ি বয়ে এসে আড্ডা মারতে অ্যালাউ করবে না। কথাটা যে কতখানি সত্যি সেটা বলে বোঝানো মুশকিল। তবে ব্যাপারটা শুনে শেখা অসম্ভব, শিখতে হলে ঠেকেই শিখতে হবে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে যাচ্ছে, অতিথি ওঠবার নাম করছেন না, আইপিএল থেকে তৃণমূল...জেনারেল নলেজের ডালে ডালে হুপহাপ লাফালাফি করে বেড়াচ্ছেন। এদিকে আপনার রোজগেরে গিন্নি প্রায় মিস হয় হয়। প্রাণঘাতী পরিস্থিতি। তার থেকে একাবোকা বাড়িতে বসে থাকা অনেক ভালো। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল। আর যদি একা থাকতে আপনার

নারীহৃদয়ের রহস্য অবশেষে উদ্ঘাটিত

Image
A Map of The Open Country of a Woman's Heart, D.W.Kellogg, c. 1833-1842 According to this map, Love is at the center of a woman's heart, and Sentimentality and Sentiment (including Good Sense, Discrimination, Hope, Enthusiasm, and Platonic Affection) take up a sizeable portion of the entire territory. This region of Sentiment and Sentimentality is separated from the larger, treacherous areas of a woman's heart: Selfishness and Coquetry pose dangers, especially to gentleman travelers, and these attributes suggest that all women are basically untrustworthy. The largest regions, Love of Admiration, Love of Dress, and Love of Display, all suggest that women are also essentially shallow and frivolous.  

পারা না পারার খেলা যদি চলে সারাবেলা

সবাই ‘না পারা’ নিয়ে মাথা ঘামায়, অ্যান্ডি সেলসবার্গ ‘পারা’ নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন। এমন মাথা ঘামিয়েছেন যে সেই নিয়ে একখানা আস্ত বই লিখে ফেলেছেন তিনি। বইয়ের নাম You Are Good At Things: A Checklist . বইটা আমি পড়িনি, পড়বার ইচ্ছেও যে বিশেষ আছে তা নয়, কিন্তু বইটার মোদ্দা কথাটা আমার ভালো লেগেছে। আমি বেশিরভাগ কাজের জিনিসই পারি না, যেমন ধরুন রাতের আকাশ দেখে তারা চেনা, ভরদুপুরের সূর্যের দিকে তাকিয়ে দিকনির্ণয়, রিয়েল অ্যানালিসিস। এদিকে আমার চেনা সব লোকেই ভালোভালো অনেক কিছু পারেন। আমার বাবা পিং পং খেলতে পারেন, আমার মা সোয়েটার থেকে শুরু করে মাঙ্কি ক্যাপ থেকে হাতের দস্তানা...দেখার মতো বুনতে পারেন, আমার ঠাকুমা একবারও না থেমে কড়াকিয়া গণ্ডাকিয়ার নামতা মুখস্থ বলতে পারেন। এমনকি বান্টি যে বান্টি, সেও অনু মালিকের গলা হুবহু নকল করে গান গাইতে পারে। সে গান শুনে ঘরভর্তি জুনিয়র মেয়েরা এ ওর গায়ে পড়ে গিয়ে হাসতে হাসতে বলে, দোহাই বান্টিদা আর হাসিও না, এবার মরেই যাবো নির্ঘাত। বলাই বাহুল্য বান্টি তাতে দ্বিগুণ উৎসাহে গান ধরে। আমি এসব কিছু পারিনা। বান্টি যখন নেচেগেয়ে বেবাক পার্টি

শনাক্তকরণের জন্য

কেমন আছেন সবাই? কেমন কাটল আপনাদের উইকএন্ড? আমার আর মায়ের ঝটিকাসফর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। আমি যখন বক্তৃতা শুনতে শুনতে হাই তুলেছি, মা তখন হোটেলের দুধসাদা বিছানায় দুধসাদা কম্বল মুড়ি দিয়ে নাক ডাকিয়ে ঘুমিয়েছেন। একদিন বিকেলে জেলখানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শহর দেখতে বেরিয়েছিলাম। কফি খেয়ে বেরনোর সময় কফির দোকান থেকে মা আমাকে একটা খুব পছন্দসই কফিমাগ কিনে দিলেন। আমি হাজারবার বারণ করলাম কিছুতেই শুনলেন না। বললেন, “আমাকে ওরা রিটায়ারমেন্টের সময় কত কিছু দিল, আমি তোকে কিছু দেব না এটা হয় নাকি?” আমি যখন বললাম যে এটা কোন যুক্তিই হলনা, তখন মা মাছি তাড়ানোর মতো হাত নাড়িয়ে বললেন, মা হওয়া ব্যাপারটাই নাকি আগাগোড়া অযৌক্তিক। মা থাকার সুবিধেও যেমন আছে, অসুবিধেও বিস্তর। যেমন ধরুন, বাড়ি ফেরার পর আমার প্ল্যান ছিল ল্যাপটপটা নিয়ে বিছানার ওপর চিৎপাত হয়ে পড়া। স্বাভাবিক লোকে যেমন পড়ে। কিন্তু মা যথারীতি বাগড়া দিলেন। হাত পা ধুতে হল, জামাকাপড় ছাড়তে হল, এমনকি ব্যাগটা পর্যন্ত পুরো আনপ্যাক করে যেখানকার জিনিস সব সেখানে রাখতে হল। এত পরিশ্রম করে যখন অবশেষে বিছানায় গা ঠেকিয়েছি, ল্যাপটপ ছাড়

সাপ্তাহিকী

Image
একশো বছরেরও বেশি আগে ছোটদের স্কুল কেমন ছিল?  ঠিক এইরকম। ভাবছি এই টেবিলটা অর্ডার করি। আপনারা আমার বাড়িতে এলে আদর করে বসিয়ে পাত পেড়ে খাওয়ান যাবে। এই ভদ্রলোক না থাকলে এখনো আপনাকে প্রত্যেকবার উঠে উঠে টিভির চ্যানেল বদলাতে হত, সাউন্ড বাড়াতে কমাতে হত। ভদ্রলোক মারা গেলেন সদ্য। নমনীয় । এবং হৃদপিণ্ডের গতিবর্ধক। ফস করে নিরামিষাশী হয়ে যাওয়ার আগে জেনে নিন । সময়ের স্রোতে কোন সাহিত্য ভেসে যাবে না কেউ কী বলতে পারে? The first issue is what you might call the high-school-popularity problem. We are all aware of the radiant prom king, adorned with varsity letters, an alpha commanding a legion of adherents, who settles down into a life of quiet non-consequence. Meanwhile, there is the terminally shy type, prone to be picked on (or perhaps even viewed as beneath that particular form of contempt), a seemingly unaccomplished sort who goes on to change the world. Best recipe for happiness. Jane Austen-এর মতে। আমার মতেও। আর যথারীতি সবশেষে এসপ্তাহের গান। গানটা তো শুনবেনই, গানটা

না চাহিলে যারে পাওয়া যায়

সেদিন চাবি ঘুরিয়ে তালা খুলতে খুলতেই কীরকম একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। কেমন একটা খালি খালি ভাব। কী যেন নেই কী যেন নেই।  ডান কবজির একটা মসৃণ মোচড়ে তালাটা খুলে ঘরে পা দিয়েই মনে হল, “ওহ ব্যাপারটা এত সোজা? তাহলে রোজ এত ধস্তাধস্তি লাগে কেন?” লাগে কারণ রোজ আমার ডানকাঁধে একটা ব্যাগ, বাঁ কাঁধে একটা সাত পাউন্ডের ল্যাপটপ ব্যাগ, বাঁ হাত থেকে ঝুলন্ত পলিথিনের প্যাকেটে হয় দুধ, নয় পাউরুটি, নয় কোক জিরোর বোতল আর ডান বগলে একটা কাগজ ঠাসা ফাটোফাটো ফোল্ডার থাকে। সেই ফোল্ডার যথাস্থানে রেখে, কনুই দিয়ে খসে পড়া ব্যাগ ক্রমাগত পেছনদিকে ঠেলতে ঠেলতে, বিশ্বসংসারের গুষ্টির তুষ্টি করতে করতে আমি ঘটরঘটর করে তালার ভেতর চাবি ঘোরাতে থাকি। বার সাতেক লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর আট বারের বার অবশেষে তালা খোলে। প্রত্যেকদিনের ব্যর্থপ্রয়াসের সাক্ষ্য হিসেবে চকচকে তালার গায়ে অজস্র আঁচড়ের দাগ জমেছে। বাড়ি ছাড়ার সময় অর্ধেক ডিপোজিট আমার ওখানে বেরিয়ে যাবে নির্ঘাত। সেদিন ব্যাপারটা অত সহজে মিটে যাওয়ায় সন্দেহ হল। অল্পবয়সি পাঠকরা চোখ ঘোরাবেন জানি, এতে সন্দেহের কী আছে? আছে আছে। একটা বয়সের পর বিনা ঝঞ্ঝাটে কিছু হওয়ার মানে

চেনেন নাকি?

Image

Things I'm Afraid To Tell You

Image
উৎস কখনো কোনো ব্লগ পড়ে আপনার হিংসে হয়েছে? মনে হয়েছে ইস এর বাড়িটা কী বড়, এর কেরিয়ারটা কী ফাটাফাটি, এর বউকে কী ফোটোজেনিক দেখতে, এর বরের কত টাকা, এর বাচ্চারা কী ভালো একটুও কাঁদে না বায়না করে না, খালি কিউট মুখ করে ক্যামেরার সামনে পোজ দেয়? মনে হয়েছে, বস এই জঞ্জাল লিখে এত কমেন্ট পাচ্ছে কী করে? নিজেই একগাদা বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে কমেন্ট লিখছে নাকি? বলা তো যায় না, যা দিনকাল পড়েছে... মনে হলে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, আমার চিন্তা ভাবনা সর্বক্ষণ এই লাইনেই চলতে থাকে। আমার আপনার মতো হিংসুটিদের জন্য কয়েকজন ব্লগার Things I’m Afraid To Tell You নামে একটি ইন্টারনেট মুভমেন্ট শুরু করেছেন। যেখানে তাঁরা নিজেদের গভীর গোপন খুঁত আর নিরাপত্তাহীনতার কথা অসঙ্কোচে মেলে ধরছেন। ঈর্ষা, আলস্য, ক্ষোভ, রাগ ইত্যাদি রিপু যা মেকআপের তলায় চেপেচুপে রোজ সকালে হাসিমুখে দুনিয়ার দরবারে হাজিরা দিতে হয় সেগুলো মন খুলে স্বীকার করছেন। তাঁদের জীবনটা “আমার নয় কেন” এই কাঁদুনির বদলে, “কী ভাগ্যিস নয়” বলে হাঁপ ছাড়াটাই যে বেশি উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমি দেখলাম এই সুযোগ।

কবিতার কথা

অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে? কোন প্রসঙ্গ নেই, এমনিই ওপরের লাইনটা লিখতে ইচ্ছে করল। শঙ্খ ঘোষের ‘শব্দ নিয়ে খেলা’, যে বইটা পড়ে রাকা আমাদের সব্বার মৌনতার ‘তা’ ছেঁটে থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দিয়েছে, সেই বইটা পড়ছি। আপনারাও পেলে পড়ে ফেলুন। আমি তো বলি পাওয়ার জন্য হাত পা গুটিয়ে বসে অপেক্ষা করবেন না, বনবাদাড় ভেঙে পিছু ধাওয়া করে পড়ে নিন। ঠকবেন না। সেই বইটার দুই না তিন নম্বর পাতাতেই ওপরের লাইনটা লেখা আছে। পড়ে থেকে মাথার ভেতর ঘুরঘুর করছে। কিছুতেই বার করতে পারছি না। মাত্র ছ’শব্দের একটা বাক্য, অথচ কী নিটোল আর গভীর। কবিরাই এমন বাক্য লিখতে পারেন বোধহয়। কবিতার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কীরকম? মানে কবিতা লেখার কথা বলছিনা। বাঙালি হয়ে জন্মেছেন যখন বিরহ কিংবা বর্ষা নিয়ে একটা দুটো পদ্য না নামিয়ে কি আর থেকেছেন? আমার চেনা মোটে দুজন বাঙালি হাত পা ছুঁড়ে দাবি করেছেন যে তাঁরা নাকি জন্মে এ-ক-টি-ই-ই-ও কবিতা লেখেননি। যদিও তাঁদের মধ্যে একজনকে আমি বিশ্বাস করিনা। লোকটা ডাইনে বাঁয়ে মিথ্যে বলে। অন্যজন হয়তো সত্যিই কবিতা লেখেনি কোনদিন কিন্তু সে কোনদিন পুরীও বেড়াতে যায়নি। কাজেই তাকে বাঙালি বলে গণ্য ক

অভ্যেস

Image
নাওয়াখাওয়া ঘুম ইত্যাদি শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম বাদ দিলে সারাদিনের মধ্যে আপনার আর কোন কাজটা সবথেকে সহজাত বলে মনে হয়? সহজাত বলতে আমি বোঝাতে চাইছি, যে কাজ আপসে আসে। বিন্দুমাত্র মাথা খাটাতে হয় না, হাত পা শরীর নিজেরাই মেশিনের মত নড়েচড়ে কাজ গুছিয়ে নেয়, সেটা করতে আপনার ভালো লাগছে না খারাপ লাগছে এসব আজেবাজে প্রশ্ন উত্থাপিতই হয় না। আমার যেমন স্নান করতে গেলে কান্না পায়, খেতে গেলে ফ্রিজের খোলা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা চুলকোতে হয়, এমনকি YouTube দেখতে গেলে পর্যন্ত একটা বাছাবাছির ব্যাপার থাকে---ইনস্পেক্টর বার্নাবি দেখবো নাকি ইনস্পেক্টর লিনলি---টস করে ঠিক করতে হয়, সেরকম নয় আরকি। অনেক ভেবেচিন্তে আমি বার করেছি, সারাদিনের মধ্যে একমাত্র দাঁত মাজতে গেলেই আমাকে কিচ্ছু ভাবতে হয়না। আক্ষরিক অর্থেই আমি চোখ বুজে দাঁত মেজে ফেলতে পারি। কাজেই যখন পড়লাম, বিংশ শতাব্দীর একেবারে গোড়ায় পেপসোডেন্ট বাজারে আসার আগে মোটে ৭% অ্যামেরিকান বাড়িতে টুথপেস্ট ছিল আর পেপসোডেন্ট বাজারে আসার দশ বছরের মধ্যে সংখ্যাটা বেড়ে ৬৫% হয়ে গিয়েছিল, আমার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল। শেষপর্যন্ত দাঁতমাজাও কিনা পুঁজিবাদি

সাপ্তাহিকী

Image
তবে? আজকালকার মহিলারা লিবারেটেড হয়ে সাপের পাঁচ পা দেখবেন, ঘরের কুটোটি ভেঙে দুখানা করবেন না, এদিকে  ঘ্যানা পাড়বেন মোটা হয়ে যাচ্ছি, মোটা হয়ে যাচ্ছি। কলি কলি, ঘোর কলি। একটু বেটাইম হয়ে গেল, কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। ভালো জিনিস সবসময়ই ভালো।  মাদার'স ডে-র মর্ম যথার্থ হৃদয়ঙ্গম করতে হলে এই ভিডিওটা অতি অবশ্য দেখুন। সকাল থেকে সন্ধ্যে, একটা গোটা দিন ভালো কাটানোর টিপস । প্রথম বিশ্বের শয়তানির দৌড়টা দেখেছেন!  দুপেয়ে ছেড়ে এবার চারপেয়েদের টার্গেট করেছে। এই সাধারণ কমন সেন্সটা যে কত লোকের নেই, বিশ্বাস করা শক্ত। যেতে যেতে আপনাদের জন্য একটা ভালো গান রেখে যাই। ঘরের আলো নিভিয়ে, চোখ বুজে শুনতে পারলে বেশি উপকার পাবেন। ভিড় বাসে ঘেমো সহযাত্রীর সাথে সেঁটে দাঁড়িয়ে শুনলেও ভালো লাগবে অবশ্য। ওই যে বললাম, ভালো সবসময়েই ভালো। আপনারাও ভালো হয়ে থাকবেন। কার্টুন কিংবা কিং খান, কিছু নিয়েই বেশি উত্তেজিত হবেন না। "যা হচ্ছে হোক বস আমার কী" বলে রিল্যাক্স করবেন। সোমবার আবার দেখা হবে। টা টা।

দুঃখের পোস্ট

আচ্ছা বলুন দেখি, কথাটা সখ্য না সখ্যতা? আমি বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত, মর্মাহত। ইন ফ্যাক্ট মরেই গেছি ধরে নিন। আমি কুম্ভীপাক জানি, রথারূঢ় জানি, দন্তরুচিকৌমুদী, অক্ষৌহিণী, স্পন্দচ্ছন্দা, গজভুক্তকপিত্থবৎ এমনকি ডিটি-রিও-রে-শন পর্যন্ত জানি, আর এই বহুব্যবহারে জীর্ণ, যুক্তাক্ষরবর্জিত একটা পুঁচকে বাংলা শব্দ কিনা আমাকে শুইয়ে দিল? মাথা হাফ ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে, উল্টো গাধার পিঠে চড়িয়ে দেশ থেকে রীতিমত গলাধাক্কা দিল? তাও এই তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকার পর? আমার পক্ষে অপমানটা হজম করা আরও বেশি শক্ত কারণ আমি নিজে চব্বিশ ঘণ্টা পরের ভুল ধরে বেড়াই। শখে নয়। যেচে কেউই অন্যের কাছে অপ্রিয় হতে চায় না। কমরেডরা   জানেন  ভুল ধরি, কারণ না ধরে পারি না। বিশেষ করে বাংলার ভুল। চোখের সামনে কেউ হ্রস্বর জায়গায় দীর্ঘ বসিয়ে দিছে, ণত্বষত্বের পিণ্ডি চটকে দিচ্ছে দেখলে ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যায়, মাথা বনবন করে ঘোরে, বুক ধড়ফড় করে। ভুলটা ধরিয়ে দিলেই আবার সব স্বাভাবিক। সেই আমি কিনা... যাই হোক, যা হওয়ার হয়ে গেছে। পাস্ট ইজ পাস্ট। অতীত নিয়ে বুক না চাপড়ে বরং এই দুঃখ নিংড়ে একটা ব্লগপোস্ট নামান যায় কিনা দেখি।

হাতে নাতে

Image
তথ্যসূত্রঃ এক্সপ্লোর /  নিউ ইয়র্ক টাইমস শুক্রবারের আড্ডার সমাধান না হওয়া বহু বিতর্কের মধ্যে একটা বিতর্ক হল, মানুষের প্রজনন ঋতু, অর্থাৎ মেটিং সিজন আছে না নেই। বুঝতেই পারছেন, আমরা বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণাদি নিয়ে মাথা ঘামাই না,  স্রেফ পর্যবেক্ষণ দিয়ে কাজ চালাই। বান্টির, আমার আর সুদীপ্তর বিশ্বাস, কুকুর, বেড়াল, প্রজাপতির মতো মানুষেরও মেটিং সিজন আছে, না থাকার কোন কারণই নেই। ওদিকে সীবলি, সোমা, চিরু, যারা একটু ভালোমানুষ গোছের, তারা বলে, "ধ্যাত তোদের যত বেশি বেশি। মানুষের মোটেই ওসব নেই।" এবার হাতে নাতে প্রমাণ হয়ে গেল তো? ওপরের চার্টটা যদিও ইউনাইটেড স্টেটসের ডেটা নিয়ে বানানো, কিন্তু আমি নিশ্চিত ভারতবর্ষের তথ্য কিছু অন্য কথা বলবে না। হ্যাঁ সিজনটা আলাদা হবে, হওয়াই স্বাভাবিক। আমার আন্দাজের কথা যদি জানতে চান, তাহলে বলবো আমাদের দেশের (অন্তত পশ্চিমবঙ্গের) সিংহভাগ লোকের জন্মদিন ডিসেম্বরে পড়বে। তাই কিনা শম্পা? পড়াই স্বাভাবিক অবশ্য। যতই হোক, বসন্তের হাওয়ায় এখনো একটা ব্যাপার আছে।

পরজন্মে যদি কিছু হতেই হয়, ফ্রেঞ্চ হব

Image
আমাদের শুক্রবারের আড্ডার প্রশ্ন প্রশ্ন খেলার একটা অন্যতম জনপ্রিয় প্রশ্ন হচ্ছে, পরজন্ম বলে যদি কিছু থাকে, তাহলে কী হয়ে জন্মাতে চাও? আমি এতদিন মুহূর্ত না ভেবে জবাব দিতাম, “হোয়াইট মেল, রিচ অ্যান্ড থিন ” কিন্তু এখন উত্তরটা একটু বদলাতে হবে মনে হচ্ছে। পরজন্ম বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে পায়ে পড়ি ভগবান, আর কিচ্ছু চাই না, আমাকে খালি একটুখানি ফ্রেঞ্চ হয়ে জন্মাতে দিও। সে ধুমসো মোটা, হাভাতে গরিব, ফিমেল ফ্রেঞ্চ হয়েও যদি জন্মাতে হয়, নো পবলেম। এইবেলা বলে রাখি, ভূতের ভবিষ্যৎ দেখে ইস্তক ভাবছি জীবন থেকে র-ফলাটা কাটিয়েই দিই। পপার পোনানসিয়েসন নিয়ে অত বলপোয়োগ করে হবেটা কী? যাকগে, যে কথা হচ্ছিল। এতদিন ধরে জেনে এসেছি, ফ্রেঞ্চ সব ভালো। ফ্যাশন, খাওয়াদাওয়া, সিনেমা, পারি শহর, পাউরুটি, মহিলাদের ফিগার, চুমু, চিজ, পুরুষদের দাড়ির ছাঁট। তাছাড়াও যেগুলো একেবারেই ফ্রেঞ্চ নয়, কিন্তু ভালো জিনিস, যেমন ধরুন আলুভাজা, তাকেও জাতে ওঠার জন্য নিজেকে ফ্রেঞ্চ বলে চালাতে দেখেছি। কিছুদিন আগে শুনলাম ফ্রেঞ্চ মায়েরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মা । মাতৃত্বের পোতিযোগিতায় (কী করবো, পোলোভন সামলাতে পারছি না) ত