ম্যাকলয়েডগঞ্জ ১
বেড়ানোর গল্প ঠিক কোথা থেকে শুরু হয়? বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে মনের মধ্যে জাগার মুহূর্ত থেকে? বাসের টিকিট কাটা আর হোটেল বুকিং হয়ে যাওয়ার পর থেকে? নাকি সেই জায়গায় পৌঁছোনো থেকে? শেষেরটা যদি হয় তাহলে কেজরিওয়ালের গল্পটা বাদ পড়ে যাবে, কারণ সে গল্পটা শুরু হয়েছিল ম্যাকলিওডগঞ্জে পৌঁছনোর পাঁচশো কিমি পথ আর দশঘণ্টা বাকি থাকতেই। যখন আমরা আই এস বি টি-র বাসে উঠে নিজেদের সিট বেছে বসলাম আর কানের কাছে শুনলাম, “ম্যাডাম, ওহ্ উইন্ডো সিট মেরা হ্যায়।” অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে মুখ্যমন্ত্রী তাকিয়ে হাসছেন। সিট ছেড়ে দিয়ে অর্চিষ্মানের দিকে সরে এসে বললাম, “লোকটাকে দেখলে?” বলাই বাহুল্য, ভদ্রলোক কেজরিওয়াল নন। খালি দৈর্ঘ্যপ্রস্থউচ্চতায়, মুখের আদল, গোঁফের কায়দায় কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর আশ্চর্য মিল। আমার ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ করা ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তারপর দেখলাম ওঁর কথা বলার চাহিদাটা প্রায় প্যাথোলজিক্যাল। অন্তত চোদ্দটা ফোন করলেন, তারপর বৃহস্পতিবার রাতে টিকিট কাউন্টারে এত ভিড় কেন সেই নিয়ে নিজের মনেই বিড়বিড় করে বিস্ময় প্রকাশ করতে লাগলেন। একবার শুরু করলে পাছে সারারাত কথা বলে যেতে হয়ে