Posts

Showing posts from September, 2021

হাঙ্গামা হ্যায় কিউঁ ২.০

বেশ কয়েকসপ্তাহ (নাকি মাস?) আগেই হবে, হাঙ্গামা হ্যায় কিউঁ নামে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। পোস্ট এই বলে শেষ করেছিলাম যে পোস্টটা যদিও দাঁড়ালো শেষমেশ রে-র রিভিউর, কিন্তু আমি গানটার কথা লিখব বলেই লিখতে বসেছিলাম। পরে কোনওদিন রাস্তা বদলে আবার ঠিক বিষয়ে ফিরে আসব কথা দিয়েছিলাম। যথারীতি রাখিনি। গানটা নিয়ে লিখব মানে ঠিক গানটা নিয়েও লিখব ভাবিনি। গানটার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু আত্মকেন্দ্রিক চর্বিতচর্বণের ফন্দিই ছিল। না হলে একটা গান সম্পর্কে কীই বা লেখার থাকতে পারে। একটা বইয়ের যেমন রিভিউ লেখা যায়, গানের সে রকম লেখা যায় না বোধহয়। কথা অর্থপূর্ণ, সুর লাগসই, গাইয়ের প্রস্তুতি নিখুঁত এবং পরিবেশনা স্বর্গীয়। হয়ে গেল। আবার নাও হতে পারে। অনেকে এই জিনিসটাই অনেক খেলিয়ে লিখবেন। চেনা বইয়ের রিভিউ দেদার পড়ে থাকি যেগুলো পড়ে উঠে শিরোনাম চেক করতে যেতে হয়, যে বইটা ভাবছি রিভিউটা সেই বইয়েরই তো? অবিশ্বাসটা মতের অমিলজনিত হতে পারে। যেমন ধরুন কেউ যদি হ য ব র ল-র সমালোচনা লিখতে বসে কেন বইটা পাতে দেওয়ার অযোগ্য মর্মে যুক্তি সাজান, তাহলে সে সব যুক্তি যতই ক্ষুরধার এবং অকাট্য হোক না কেন আমার বিশ্বাস করতে মারাত্মক কষ্ট হবে যে ওই ব

দুটো ঐতিহাসিক উপন্যাস

Image
একের পিঠে আরেকটা ঐতিহাসিক উপন্যাস পড়ে ফেলেছি। প্রথম বই রাজর্ষি দাশ ভৌমিকের ‘পাইয়া ফিরিঙ্গ ডর’। বইটির প্রশংসা বহুদিন ধরেই কানে আসছে, কিন্তু অর্চিষ্মান উদ্যোগ করে না কিনলে পড়া হয়ে উঠত না। দ্বিতীয় বই ২০২০র সাহিত্য আকাদেমি যুব পুরস্কার পাওয়া সায়ম বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরাণপুরুষ। এটিও ইতিহাসভিত্তিক জেনে মাথা চুলকোনো ভাব হয়েছিল, মিথ্যে বলব না, কিন্তু ভাবলাম একধারসে পড়ে ফেলা যাক। ইতিহাসআশ্রয়ের জায়গাটা ছাড়া দুটো বইয়ের মধ্যে অমিল প্রচুর। রাজর্ষি দাশ ভৌমিকের পা. ফি. ড. রীতিমত স্বাস্থ্যবান বই, তিনশো পাতা ছাড়িয়ে তার বিস্তার। অপরপক্ষে সায়মের পুরাণপুরুষ মোটে একশো পঁয়ত্রিশ পাতার, ক্ষীণতনু। রাজর্ষি ফোকাস করেছেন সপ্তদশ শতকের গোড়ায়, যখন ব্রিটিশ আসেনি কিন্তু মগ, ওলন্দাজ, পর্তুগিজেরা হই হই করে ঘনিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সীমানায়। সায়ম এগিয়ে এসেছেন অনেকটা, প্রায় দুশো বছর, উনিশ শতকের মাঝামাঝি। রাজর্ষির প্রেক্ষাপটের বিস্তার বাংলার গ্রামের নদী মাঠ থেকে আরাকান/ রাখাইনের দুর্গম পর্বত থেকে সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) নামের এক সুজল সুফল অঞ্চল, যার মালিকানা নিয়ে যুদ্ধ বেধেছে বহিরাগতদের মধ্যে। মাঝখানে উলুখাগড়ার মতো ফাঁদে পড়ে

বারো

একটা গোলমাল হয়েছে। অবান্তরের জন্মদিন ভুলে গেছি। মনপ্রাণ বুদ্ধিবিবেচনা বলছে দু’হাজার নয় সালের নয়ই সেপ্টেম্বর আমি অবান্তর খুলেছিলাম। বা যদি দুয়েকদিন আগেও খুলে থাকি, ওই দিন প্রথম পোস্ট লিখেছিলাম। একেবারে ভিত্তিহীন নয় মনে হওয়া। নয় আমার প্রিয় সংখ্যা। হোস্টেলের চারবছর আমার ঘরের নম্বর ছিল নয়, প্রথম প্রেমিকের জন্মদিন নয়, অর্চিষ্মানের জন্মদিনের দুটো সংখ্যার যোগফল নয়। নয় নয় করে অবান্তরের বারো বছর বয়স হয়ে গেল, কাজেই অবান্তরের জন্মদিন নয় ছাড়া কিছু হতে পারে না। এমন নয় যে তারিখটা নয় বলেই সাতপাঁচ ভেবে বারো বছর আগের সেই সন্ধেয় প্রথম পোস্ট ছেপেছিলাম। কিছুই ভাবিনি। কেউ পড়বে ভাবিনি, আমি লিখবও ভাবিনি। ভেবেছিলাম এই শখটাও উবে যাবে আর পাঁচটা শখের মতো। চট করে উবছে না শিওর যখন হলাম তখন কেন উবছে না ভেবে অবাক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রথম পোস্টের তারিখটা মনে পড়েছিল, মিলিয়েও দেখেছিলাম। তাই বল। নয়ের মহিমা। কিন্তু এখন অবান্তরের প্রথম পোস্টের ডেট দেখাচ্ছে দশই সেপ্টেম্বর। এটা কী করে হল তার একটা আন্দাজ আমার আছে। নির্ঘাত কোনও একটা বছর যথাসময়ে অবান্তরের জন্মদিন পালনের পোস্ট ছাপতে ভুলে গিয়েছিলাম। গ্লানি হয়েছিল। ক

কে কার, কোথাকার

সেদিন জুমে একজন জিজ্ঞাসা করলেন আমি ইন্ডিয়ার কোথা থেকে। ঔপনিবেশিক ইতিহাসের জন্যই হোক বা বর্তমানে দু’বেলা চিকেন টিক্কা খাওয়ার জন্যই হোক, আগেও দেখেছি, ইংল্যান্ডের অনেকেই ইন্ডিয়ার প্রতি নাড়ির টান অনুভব করেন। খবরাখবরও রাখেন গড়পড়তার থেকে বেশি। ইন্ডিয়ার লোক শুনে ক্ষান্ত দেন না, খতিয়ে দেখতে চান। ইন্ডিয়া তো বিগ অ্যা* কান্ট্রি। ইন্ডিয়ার কোথায়? কখনও কখনও খতিয়ে দেখা মন্দ লাগে না। এথনিসিটির সেমিনারে বাঙালি শুনে প্রশ্নকর্তা জিজ্ঞাসা করেছিলেন বাংলাদেশের বাঙালি না ইন্ডিয়ার বাঙালি? এর আগে ভদ্রমহিলার অনেক বক্তব্যতেই মনে মনে ভুরু কোঁচকাচ্ছিলাম, প্রশ্নটা শুনে একটা প্রসন্নতা জন্মাল। যে দেখেছ, আমার ব্যাপারে তবু খায় না মাথায় দেয় কিছু আন্দাজ আছে। আমার স্কুল চিনতে পারাটাও আরেকটা শিওর শট ভালোলাগার আশ্বাস। লোকেশনের প্রান্তিকতার জন্যই হোক বা গুণপনার খামতিতে, আমার স্কুলকে একডাকে চেনার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। এদিকে স্কুলে কাটানো সময়টা নিয়ে গদগদ ভাব আছে আমার। কাজেই স্কুলটা কেউ চিনতে পারলে আমার মনে হয় আমাকেও চিনল একটুখানি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা অস্বস্তিতেও ফেলে। এই যেমন আমি কোথাকার প্রশ্নটা। কিছ