Posts

Showing posts from 2019

সিঙাড়া শরবৎ

Image
ছোট, আঁটো, পাতলা খোলস এবং পুরের ঘেঁষাঘেঁষি - আমার মতে এই হল ভালো সিঙাড়ার সংজ্ঞা। ভেতরের পুর নিয়ে আমি খুব একটা পিউরিট্যান নই। তাই বলে আবার ম্যাগির পুর ভরা সামোসার অ্যাপোক্যালিপসকে সমর্থন করি না। এখানে স্ট্রিক্টলি, আ সাম ইজ ইনফেরিয়র দ্যান ইটস পার্টস। শিঙাড়াতে আলু থাকতে হবে। তারপর ফুলকপিই থাকুক, কি বাদাম, কি কিসমিস, উনিশ আর বিশ। যব তক রহেগা সিঙাড়া মে আলু,তব তক … আর কবিত্বতে কুলোচ্ছে না… আমার অসুবিধে নেই। আমাদের বাঙালি পাড়ায় সিঙাড়া পাওয়া যায়, কিন্তু তারাও কেমন যেন পাশের পাড়ার জ্ঞাতির দেখাদিখি ষণ্ডা হয়ে ওঠাটাই মোক্ষ বলে ধরে নিয়েছে। ইয়া মোটা খোলস, কামড় দিলে পত্রপাঠ পুর ছেড়ে আলগা হয়ে আসে। সিঙাড়া খাচ্ছি মনে হয় না। ঠিক যেমন বাংলায় কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপনের বক্তৃতা শুনতে শুনতে আচমকা “এই রচনা/সৃষ্টির যা কিছু শ্রেয়, সব যায় অমুকের প্রতি” কানে গেলে বাংলা শুনছি মনে হয় না, তেমন। আর আলুর পুর একেবারে মশলাদার ভর্তা হয়ে গেছে। ও জিনিস খেলে স্বাদের থেকে অম্বলটাই বড় হয়ে উঠে চোখে পড়ে। তাই খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। সে তুলনায় সরবতের ভালোমন্দ বিষয়ে আমি অতটাও গোঁয়ার নই। সে বাবদে ভালো বলতে পারবে অর্চিষ্মান। আমার সন্দ

Knives Out

Image
এই পোস্টটা অনেক আগেই ছাপা যেত, যদি না অর্চিষ্মান গুগল চ্যাটে অল ক্যাপসে ‘ মিতিনমাসি ইজ হিয়াআআআআআর… ’ লিখে বুকমাইশোর পোস্টারের লিংক পাঠাত। ভাবলাম তাহলে দুটো সিনেমার গল্প একটাই পোস্টে লিখে দেওয়া যাবে। বিশেষ করে দুটোই যখন মিস্ট্রি/থ্রিলার। তারপর দেখি এন সি আর-এর কোথাও মিতিনমাসির টিকি দেখা যাচ্ছে না, তিনি বসে আছেন হায়দরাবাদে। মাঝখান থেকে নাইভস আউট-এর পোস্ট লেট হয়ে গেল। আর একবার যদি লেট হতে শুরু করে, ব্যস। লোক্যাল ট্রেনের নিয়ম অনুযায়ী যারা টাইমে এসেছে তাদের আগে যেতে দিয়ে লেটলতিফকে আরও লেট করানো হয়। একটা আস্ত কনফারেন্স এসে পড়ল, চট করে রাজস্থান ঘুরে এলাম। দুপুররোদে পিঠ পেতে টমাটর ধনিয়া শোরবা , রাতে লোক-নৃত্যগীতের ব্যাকগ্রাউন্ডে নেটওয়ার্কিং সহকারে খাও শুয়ে   খাওয়া হল। তারপর হালকা রঙিন হয়ে যেই না দুয়েকজন গুনগুনিয়ে গজল ধরার উপক্রম করছে, ভাবলাম এইবেলা ঘুমটা পুষিয়ে নেওয়া যাক। “টু ওল্ড ফর দ্য কোল্ড” বলে কচি সহকর্মীদের ফেক প্রতিবাদের মধ্যে গুটি গুটি ঘরে ফিরে এলাম।  ঘুম এল না। সত্যি বলতে কি অত ঘুম পায়ওনি। কিন্ডল ছিল সঙ্গে, কিন্তু সে তো সঙ্গেই থাকবে। বদলে রুমে হোটেলের তরফ থেকে যে ন

রিচুয়াল

থ্যাংকসগিভিং আর ক্রিসমাসের আশেপাশে আমেরিকা অধ্যুষিত ইন্টারনেটে নানরকম পোস্ট ঘুরে বেড়ায়। বিশেষতঃ থ্যাংকসগিভিং-এর আশেপাশে। খাওয়াদাওয়া রান্নাবান্না রেসিপি ইত্যাদি তো কমন বিষয়, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ঝগড়া না বাধিয়ে কথোপকথন চালানোর টিপস, সম্ভাব্য বিষয়ের লিস্ট ইত্যাদির বাজারও তেজী। অন্যদের সবকিছুই বাড়াবাড়ি মনে হয় -  এই যে আমাদের বাড়িতে এখন জন্মদিনে কী কী মজা করা যেতে পারে অষ্টপ্রহর গবেষণা চলছে, কানে গেলে আমার ঠাকুরদা বাড়াবাড়ির চূড়ান্ত বলে মাথা নাড়তেন - তবু স্বীকার করছি প্রাপ্তবয়স্কদের কথা বলার টপিকের লিস্ট নিয়ে ঘোরাঘুরি আমার বাড়াবাড়ি বোধ হয়। ওরকম লিস্ট ধরে টপিক বেছে কথা বলতে গেলে কথোপকথনটা কেমন হবে সেটাও, সম্ভবতঃ কল্পনা করতে পারি না বলেই, মহা অস্বস্তিজনক ঠেকে।  নিষিদ্ধ বিষয়ের লিস্টে চমকহীন প্রথম বিষয় পলিটিক্স। আমার মাথার ভেতর নিষিদ্ধ বিষয়ের লিস্টেও পলিটিক্স সর্বাগ্রে। ঝগড়া বাধানোতে পলিটিক্সের থেকে কার্যকরী আর কিছু নেই। ইঞ্চি মেপে রাজনৈতিক অবস্থান যাদের সমানসমান, যেমন আমার আর অর্চিষ্মানের, পলিটিক্স তাদেরও সেন্টিমিটার পরিমাণ বিভেদ বার করে দিতে পারে। একমাত্র আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মোন

Too much Candy Crush?

Image
উৎস

উনিশ কুড়ি

ডিসেম্বর এসে গেল! বিস্ময়চিহ্ন দিলাম যদিও বিস্ময় জাগার কথা নয়। বিস্ময় তখনই জাগতে পারত যদি জুনের পর একলাফে ডিসেম্বর এসে যেত, কিংবা জুলাইয়ের পর সোজা পরের বছর মার্চ। তা তো হয়নি। প্রতিটি সেকেন্ড প্রতিটি মিনিট প্রতিটি দিন গুনেগেঁথে জুনের পর জুলাই অগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বরের প্রতিটি উইকেন্ড পার করে অবশেষে ডিসেম্বরে এসে পৌঁছেছি।  পৌঁছে গালে হাত দিয়ে বলছি, ভাবা যায়? ডিসেম্বর এসে গেল? ঠাণ্ডাও এসেছে ভালোমতোই। রুম হিটার, লেপকম্বল ঝেড়েঝুড়ে নামানো হয়েছে। চা খাওয়ার থেকে চায়ের কাপের ওম প্রিয়তর হয়ে উঠছে। আমার চেনা অনেকেরই ঠাণ্ডা লাগছে আবার অনেকের লাগছে না। তাঁরা বলছেন, ধুর ধুর এ আবার ঠাণ্ডা হল। ঠাণ্ডা পড়ত গিয়ে… বলে কে জানে কোন স্বর্ণালী শীতের স্মৃতিতে মুখ হাঁড়ি করছেন। ডিসেম্বর যখন এসেই গেল, তখন ডিসেম্বরে যা যা করার করে ফেলা যাক। পিছু ফিরি, সামনের জন্য কষে কোমর বাঁধি। আগের বছরের রেজলিউশনের লেপকাঁথাগুলো ঝেড়েমুছে রোদ্দুরে দিয়ে দেখি কতখানি আস্ত রয়েছে আর কতখানি পোকায় কেটেছে। এ বছরের শুরুতে আমার ওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার ছিল ফিনিশ। আমি যদিও শুরু করা কাজ শেষ করব, মাঝপথে ফেলে রেখে লা

মার্গারেট মিলার

আগের বছর আমি গুডরিডস চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করতে পারিনি। পঞ্চাশের জায়গায় সম্ভবতঃ কেঁদেককিয়ে ছেচল্লিশটা বই পর্যন্ত গিয়ে ক্ষান্ত দিয়েছিলাম।। এ বছর জুলাই মাসের পর যখন এক পাতা পড়তেও কনসেন্ট্রেশনে টান পড়ছিল,  আমি সত্যিই ভেবেছিলাম এ বছরও গুডরিডস চ্যালেঞ্জে গাড্ডু পাব।  তার বদলে আমি অলরেডি, (অক্টোবরের গোড়াতেই অ্যাকচুয়ালি) পাস করে গেছি শুধু তাই নয়, থামার কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছি না। পঞ্চান্ন হয়ে গেছে, কপাল ভালো থাকলে ষাটও হয়ে যাবে।  এর সিংহভাগ কৃতিত্ব মার্গারেট মিলারের। আর অল্প একটুখানি গার্ডিয়ান পত্রিকারও কারণ ওই পত্রিকারই অনলাইন সাইটে ‘ফরগটেন মিস্ট্রি রাইটার্স’ গোছের একটা প্রতিবেদনে আমি মার্গারেট মিলারের নাম আবিষ্কার করি। আরও কিছু অচেনা লেখক ওই লিস্টে ছিলেন যাঁদের লিখনশৈলী, সমসাময়িক সাহিত্যে অবদান ইত্যাদি গুরুতর প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছিল। কিন্তু স্বীকার করছি, তাঁদের প্রতি আমি ততটাও কৌতূহল বোধ করিনি যতটা মার্গারেট মিলার সম্পর্কে করেছিলাম। আমার চোখ টেনেছিল যে তথ্যখানা সেটা হচ্ছে আগাথা ক্রিস্টি মার্গারেট মিলারের ফ্যান ছিলেন। মার্গারেট মিলার ছিলেন একজন অ্যামেরিকান ক্যানাডিয়ান

স্বপ্নের গুঁতো

স্বপ্নের কার্যকারণ হয় বলে আপনি বিশ্বাস করেন? আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে করি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বপ্নের কার্যকারণ নিয়ে সন্দেহ করা বোকামি। যে শুক্রবার আমি দু’প্লেট ফুচকা (এক্সট্রা কাঁচালংকা দেওয়া) আর একপ্লেট আলুকাবলি (এক্সট্রা কাঁচালংকা দেওয়া) দিয়ে ডিনার সারি সে শুক্রবার সারারাত স্বপ্নে পাগলা হাতির তাড়া খেয়ে সি আর পার্কের অলিতে গলিতে দৌড়ে মরলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অ্যাপ্রাইজালের আগের রাতে ভূগোল পরীক্ষার দিন ইতিহাস পড়ে চলে যাওয়ার স্বপ্নেও না। তবে সব স্বপ্নের কার্যকারণে আমি অত্যধিক জোরও দিতে চাই না। অনেক বছর আগে এক রাতে এক দূরসম্পর্কের (কিন্তু কাছের) দিদার স্বপ্ন দেখে উঠেই মাকে ফোন করে জেনেছিলাম দিদা গত রাতে মারা গেছেন। বেশি ভাবিনি ব্যাপারটা নিয়ে। ভাবলে ভয়ে পরের রাতগুলোর ঘুম মাটি হত। আর দিদা যদি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকেন (যেটা সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই), আমাকে ইনসমনিয়ায় ভোগাতে চাইবেন না। কাজেই ঘটনাটা কাকতালীয় ধরে ঝেড়ে ফেলে দিয়েছি। তাছাড়া সবকিছুর পেছনে গভীর অন্তর্নিহিত ইউনিভার্সের সিগন্যাল খুঁজতে যাওয়া আমার নাপসন্দ। আজীবন দেখে আসছি আমি ডাউনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকলে যত ট্রেন আপ দিয়ে যা

চার্জার

যাঁরা বিয়ে করতে চান না তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই এই ভয়টা পান যে বিয়ের পর নিজস্ব বলে কিছু আর থাকবে না। সেম হৃদয়, সেম ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সেম খাট, সেম বিছানা, সেম বাথরুম, সেম আলমারি. সেম নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট, সেম ভাতের থালা… শেষেরটা অবশ্য আমি অ্যাপ্লাই করে দেখিনি। এই ব্যাপারে ঠাকুমার বদলে আমি আমার মায়ের দলে। মা যখন আত্মজার এঁটো খাবার খেতে অস্বীকার করেছিলেন, তখনই সম্ভবতঃ এ প্রসঙ্গে দুজনের বিরোধটা প্রকট হয়। ঠাকুমা খাবার নষ্ট করার পক্ষপাতী ছিলেন না। আমার আধখাওয়া থালা মায়ের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বলেছিলেন, আমরা খাইতে পারি, আমাগো কিছু হয় না। মা নরমসরম লোক হলেও যে সব জায়গায় অনড় থাকতে চাইতেন, থাকতেন। তিনি বলতেন, প্রশ্নটা পারার না। প্রশ্নটা চাওয়ার। আমি চাই না।   ঠাকুমা বলতেন, এক পাতে খাইলে ভালোবাসা বাড়ে।   ভালোবাসা কম পড়ার ভয়েও মা কখনও আমার এঁটো খাবার খাননি। আমাকেও কারওটা খেতে দেননি।  অকওয়ার্ড হচ্ছে বুঝেও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দোকানে খেতে বসে কখনওই আমি তাঁদের খাবার চেখে দেখার প্রস্তাব দিই না এবং তাঁদের উদার আমন্ত্রণ বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। ঝালমুড়িদাদা মাঝে মাঝে জানতে চান

সনকা সেনের পরীক্ষা

Image
ভাবানুবাদের থেকেও ঝামেলার হচ্ছে ভাবানুবাদের উপযুক্ত গল্প খুঁজে বার করা। ‘গিফট অফ দ্য ম্যাজাই’ গল্প অতি ভালো কিন্তু পাগল না হলে কেউ ওতে হাত দেয় না। আবার অধিকাংশ অচেনা গল্পেরই অচেনা থেকে যাওয়ার পেছনে কারণ থাকে। হিডেন জেম আর ক’টা। থাকলেও তারা আমার চোখে পড়বে, আমি তাদের প্রতি সুবিচার করব, অনেক যদি কিন্তু বরং-এর ঘনঘটা।   তাছাড়া আমি যতই গলা ফাটাই ওই গল্পের নায়িকার ককেশিয়ান খাড়া নাক আমার গল্পে অস্ট্রো মোংগোলয়েড বোঁচা নাক করেছি, শেষমেশ সবই অন্যের ঘাড়ে রেখে বন্দুক চালানো। যে কোনও অ্যাসপায়ারিং লেখককে   বিকল্প দিন, সরেস ভাবানুবাদক হবেন না কি হরেদরে মৌলিক গল্প লেখক, তাহলেই পরিস্থিতিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।   সোমেনকে ভয়ে ভয়ে লিখলাম। আমি কি নিয়ম ভেঙে একটা নিজের লেখা গল্প জমা দিতে পারি? সোমেন চোখ কপালে তোলার ইমোজি সহ উত্তর দিলেন, নিয়ম?! কীসের নিয়ম?! আপনার যা ইচ্ছে লিখে জমা দেবেন।   আমি বললাম, কিন্তু শুরুতে যে কথা হয়েছিল অনুবাদ ইত্যাদি…সোমেন বললেন আহা সে তো আপনি   অনুবাদ করেন জেনে আপনাকে অনুবাদ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে ছাড়া কিচ্ছুটি করতে পারবেন না এমন কোনও কথা নেই। বুঝুন। আমাকে সুরি

সিম্পলের মধ্যে গর্জাস/ ওরছা ৩ (শেষ পর্ব)

Image
অল ফরওয়ার্ড! অল ব্যাক! স্টপ! আমাদের মতো নবীশদের জন্য আর বেতোয়ার অপেক্ষাকৃত শান্ত নদীবক্ষের (অন্তত আমার যে অংশটুকু পার হব) জন্য এই তিনটে ইন্সট্রাকশনই যথেষ্ট। বললাম, আমরা কিন্তু জীবনে এইসব র‍্যাফটিংম্যাফটিং করিনি। পুষ্পেন্দ্রজী আর লক্ষ্মীনারায়ণজী বললেন, 'চিন্তা মত কিজিয়ে, আজ করা দেঙ্গে।' ওঁদের কনফিডেন্সকে অবিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। শুধু যে হৃষীকেশ গিয়ে র‍্যাফটিং-এর ট্রেনিং নিয়ে এসেছেন তাই নয়, গত সেপ্টেম্বরে বেতোয়ায় যে বান এসেছিল আর যাতে বেশ কিছু লোক আটকা পড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের উদ্ধারের জন্যও এঁদেরকেই পাঠানো হয়েছিল। হলিডিফাই আর ট্রিপোটো আরও প্রভূত সাইট থেকে ইমেলে ক্রমাগত বেড়াতে যাওয়ার সাজেশন আসে। বাজেট, লাক্সারি, রোম্যান্টিক, পকেট ফ্রেন্ডলি, উইকএন্ড,লং উইকেন্ড, যে রকম চান সে রকম। ডেডলাইন সামনে থাকলে আমি সে মেলগুলো খুলে খুলে দেখি, এমনকি ফরেন ট্রিপগুলোও বাদ দিই না। সেই আমিও কোনওদিন অ্যাডভেঞ্চার ডেসটিনেশনের লিংক খুলে দেখিনি।  অর্চিষ্মানকে জিজ্ঞাসা করিনি কিন্তু ওর আচরণ অন্যরকম কিছু হওয়ার আশংকা নেই। সেই আমরা হঠাৎ রিভার র‍্যাফটিং করার সিদ্ধান্ত নিলাম কেন? হতে পারে এ

বেত্রবতীর তীরে/ ওরছা ২

Image
এ যাবৎ যাঁদের ওরছা যেতে দেখেছি সকলেই বিদেশী। আমাদের ধারণা ছিল এত বিদেশী যে জায়গায় যায় সেটা আর কত ইন্টারেস্টিং হবে। তাঁরা ফিরে এসে পজিটিভ রিভিউ দেওয়ায় সংশয় জোরদার হয়েছিল। ওরছা নির্ঘাত বিদেশীদের মন ভোলানোর মতো ভারতবর্ষ।   যেন সেটা কিছুতেই আমাদের মন ভোলানোর মতো হতে পারে না। ওরছা যাওয়ার সপক্ষে যুক্তি ছিল একটাই। ভীষণ সোজা রাস্তা। দিল্লি থেকে হাবিবগঞ্জ শতাব্দী ছাড়ে সকাল ছ'টায়, ঝাঁসিতে থামে দশটা পঁয়তাল্লিশে। ঝাঁসি থেকে ওরছা অটোতে যেতে লাগে তিনশো টাকা আর তিরিশ মিনিট।   সুবিধের মুখ চেয়ে, মনের সংশয় মনে চেপে চলে গেলাম ওরছা। বুক করলাম মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের বেতোয়া রিট্রিট, সকলেই চেনে, অটোওয়ালা শামসুদ্দিন সাঁ করে বাঁক নিয়ে গেটের ভেতর ঢুকে ব্রেক কষলেন। অভ্যর্থনা জানাতে ম্যানেজারবাবু বেরিয়ে এসেছিলেন, তাঁকেও এ তল্লাটে সকলেই চেনেন, শামসুদ্দিন শুদ্ধু। পরস্পর পরস্পরকে হাত তুলে নমস্তে জানালেন।  বেতোয়া রিট্রিটের ম্যানেজারবাবু অতি করিৎকর্মা লোক। সাধারণতঃ সরকারি লোকেদের প্রোঅ্যাকটিভ হতে দেখা যায় না। ইনি উজ্জ্বল উদ্ধার। বা ‘সরকারি’র চরিত্র বদলাচ্ছে, এখন আর চোখ উল্টে থাকলে চলবে ন