মাত্র বেয়াল্লিশ
কাল তিন্নির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কারা কারা সব শহর বদল করছে। নিজের ইচ্ছেয় নয়, করোনা করাচ্ছে। এটা আগেও খেয়াল করেছি। যে অসুখটা লোককে কাজকর্ম মাথায় তুলে বাড়ির ভেতর সেঁধোতে বাধ্য করেছে সে-ই ভিটেমাটি চাঁটি করে লোককে পথে নামিয়েছে। সে নামা এখনও থামেনি। এখনও চলছে ঠিকানাবদলের প্রক্রিয়া। তিন্নি বলছিল, একজন বাড়ি যাচ্ছে, কলকাতা; যাওয়ার আগে সব আসবাবপত্র বিক্রি করে দিয়ে যাচ্ছে। চেনাশোনার মধ্যে, জলের দরে। ব্যবহৃত আসবাবপত্র, গ্যাজেট, অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রি করার নানারকম ফোরাম হয়েছে আজকাল, সে সব ফোরামে কম্পিটিটিভ দামও পাওয়া যায় হয়তো কিন্তু তাড়া থাকলে ও সব হ্যাপায় ঢুকতে চায় না কেউ। নামমাত্র মূল্যে সব বিলিয়ে চলে যায়। টাকা তোলার থেকে ঝাড়া হাত পা হওয়াটাই তখন প্রায়োরিটি। ছ'হাজার টাকায় কাঠের ইয়াব্বড় খাট। দু'হাজার টাকায় কাঠের ইয়াব্বড় বুককেস। ভাবা যায়? দু'হাজার টাকায় কী পাওয়া যায় আজকাল? তিন্নির সঙ্গে আমি একমত, বিশেষ কিছু পাওয়ার আশা নেই। কোয়ালিটি বুককেস তো না-ই। কিন্তু টাকাপয়সার গল্প করতে বসার বিপদ হচ্ছে বিষয়টার কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই। দু'হাজার টাকায় যেমন অনেক কিছু পাওয়া যায় না, তেমনি আবা