মাত্র বেয়াল্লিশ
কাল তিন্নির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কারা কারা সব শহর বদল করছে। নিজের ইচ্ছেয় নয়, করোনা করাচ্ছে। এটা আগেও খেয়াল করেছি। যে অসুখটা লোককে কাজকর্ম মাথায় তুলে বাড়ির ভেতর সেঁধোতে বাধ্য করেছে সে-ই ভিটেমাটি চাঁটি করে লোককে পথে নামিয়েছে। সে নামা এখনও থামেনি। এখনও চলছে ঠিকানাবদলের প্রক্রিয়া।
তিন্নি বলছিল, একজন বাড়ি যাচ্ছে, কলকাতা; যাওয়ার আগে সব আসবাবপত্র বিক্রি করে দিয়ে যাচ্ছে। চেনাশোনার মধ্যে, জলের দরে। ব্যবহৃত আসবাবপত্র, গ্যাজেট, অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রি করার নানারকম ফোরাম হয়েছে আজকাল, সে সব ফোরামে কম্পিটিটিভ দামও পাওয়া যায় হয়তো কিন্তু তাড়া থাকলে ও সব হ্যাপায় ঢুকতে চায় না কেউ। নামমাত্র মূল্যে সব বিলিয়ে চলে যায়। টাকা তোলার থেকে ঝাড়া হাত পা হওয়াটাই তখন প্রায়োরিটি।
ছ'হাজার টাকায় কাঠের ইয়াব্বড় খাট। দু'হাজার টাকায় কাঠের ইয়াব্বড় বুককেস। ভাবা যায়? দু'হাজার টাকায় কী পাওয়া যায় আজকাল?
তিন্নির সঙ্গে আমি একমত, বিশেষ কিছু পাওয়ার আশা নেই। কোয়ালিটি বুককেস তো না-ই। কিন্তু টাকাপয়সার গল্প করতে বসার বিপদ হচ্ছে বিষয়টার কোনও নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই। দু'হাজার টাকায় যেমন অনেক কিছু পাওয়া যায় না, তেমনি আবার অনেক কিছু যায়ও। কে কিনছে, কোন বাজারে কিনছে সে সব অনেক ডিসক্লেমার। যা দিতে দিতে গল্প বললে গোটা গল্পই মাটি।
মাপকাঠি প্রসঙ্গে একটা গল্প মনে পড়ল, আজকের প্রসঙ্গের সঙ্গে দূরদূরান্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও যেটা আপনাদের ধরেবেঁধে শোনাব। অগোছালো, এলোমেলো, আনতাবড়ি গল্প না বললে এ ব্লগের নামকরণ অসার্থক।
নতুন বাড়িতে আসার পর আমি আর অর্চিষ্মান খানদুয়েক কাঠের চেয়ার কিনব স্থির করেছিলাম। কে বসবে জানতাম না। আমরা বসব না জানতাম কারণ তখন সারাদিন অফিসে চেয়ারে বসে থাকি আর বাড়িতে যতক্ষণ থাকি, বিছানায় আধশোয়া নয় ফুলশোয়া। তবু, বলা যায় না, আমাদেরও যদি কোনওদিন সমাজসংসার, বন্ধুবান্ধব জোটে, লোকলৌকিকতা ঘটে, তখন লোক এলে বসতে না দিতে পারলে ভালো দেখায় না। দুজনে সারাদিন সাসটেনেবিলিটি নিয়ে মুখে ফেনা তুলি, ইন্টারনেটে সাসটেনেবল ব্যাম্বু ফার্নিচারের শোরুমের অ্যাড দেখে মনে হল প্রিচিং আর প্র্যাকটিসের মধ্যে সেতুবন্ধনের একটা উদ্যোগ নিয়ে দেখা যেতে পারে।
অনেকগুলো রেড ফ্ল্যাগ পতপত করে উড়ছিল যেগুলো দুজনেই অগ্রাহ্য করেছিলাম। প্রথম রেড ফ্ল্যাগ - ক্যাটালগে আইটেমের দাম লেখা না থাকা। দুটো কারণ হতে পারে। এক, আইটেমগুলোর এতই কম দাম যে বিক্রেতা বলতে লজ্জা পাচ্ছেন। দুই এবং একের থেকে অনেক বেশি সম্ভাব্য বিকল্প হচ্ছে যে জিনিসগুলোর দাম এতই বেশি যে বিক্রেতা চক্ষুলজ্জায় বলতে পারছেন না।
দ্বিতীয় রেড ফ্ল্যাগ - দোকানের ঠিকানা। ও পাড়ায় দোকান মেন্টেন করতে গেলে যে পরিমাণ ভাড়া লাগবে তাতে লাভজনক ব্যবসা চালাতে গেলে জিনিসপত্রের দাম আমাদের নাগালের মধ্যে রাখার সিন নেই। দুই, ধরে নেওয়া যায় ও পাড়ার বাসিন্দারা ওই দোকান থেকে জিনিসপত্র কেনেন। তাঁদের সঙ্গে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা কমন পড়ারও সম্ভাবনা শূন্য।
তবু গেছিলাম। বাজার করা, ডাক্তার দেখানো - ছুতো যাই হোক না কেন, দুজনে একসঙ্গে বেরোনোর মধ্যে বেড়ানোর অংশটুকু থেকেই যায়। বিকেলবেলা উবার চড়ে দিল্লির একটা অদেখা পাড়ায় যাব, ঘণ্টাখানেক হেঁটেহুটে, উবার চড়ে ফিরে আসব। চেয়ার হলে ভালো, না হলে নো আফসোস।
চারদিকের রূপসী বাংলো আর বাংলোর বাগান দেখতে দেখতে গলির গলি তস্য গলি ঘুরতে দিব্যি লাগছিল। যতক্ষণে সে রকম একটি বাংলোর বেসমেন্টে উদ্দিষ্ট দোকান আবিষ্কৃত হল ততক্ষণে ইন্টারনেট অনুযায়ী দোকান বন্ধ হতে আড়াই মিনিট বাকি। দোকান যিনি দেখাশোনা করেন বললেন, অসুবিধে নেই, আসুন না। চেয়ার, টেবিল, খাট, পালঙ্ক, হুঁকো, গণেশ, প্রদীপ, কাপপ্লেট - একটা বাড়িতে যা যা লাগে, যা যা লাগে না, সব ঠাসাঠাসি দোকান। সব বাঁশের, সব সাসটেনেবল, সবের চোখধাঁধানো ডিজাইন। দুয়েকটা জিনিসের গায়ে লটকানো দামের ট্যাগ উল্টে দুজনে চোখ তাকাতাকি করলাম। ভদ্রলোক বললেন, বলুন, কী খুঁজছেন?
বললাম, সে হাঁড়ি আর এ হাটে না ভাঙাই ভালো। ভদ্রলোক চাপাচাপি করতে চেয়ার এবং চেয়ারের বাজেট দুইই খোলসা করা গেল। ভদ্রলোক দুঃখী মাথা নেড়ে বললেন, ও দামে এখানে চেয়ার পাবেন না সরি, তবে এইটা পেতে পারেন, বলে অতি সুদৃশ্য, অতি সূক্ষ্ম কাজের, একবার তাকালে আর চোখ ফেরান যায় না গোত্রের একটা বাক্স এগিয়ে দিলেন। তিনপাতা ক্যালপল আর দশটা ইনোর প্যাকেট রাখলেই যে বাক্স ঠাসাঠাসি হয়ে যাবে।
বয়স হওয়ার একটা আমোদ হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আমাদের আমলে কত কম দামে কত বেশি জিনিস পাওয়া যেত বলে চমকে দেওয়া। আমি দু'টাকায় বাপুজি কেক খেয়েছি (এখন বাপুজির দাম কত? জানলে জানাবেন প্লিজ)। আমি রিষড়া ষ্টেশন থেকে বাড়ি পর্যন্ত, দশ মিনিটের রিকশার রাস্তা, আড়াইটাকা ভাড়ায় গেছি। অ্যাকচুয়ালি বাড়ি পর্যন্ত যাইনি, বাণীনিকেতন স্কুলের মোড় পর্যন্ত ভাড়া আড়াইটাকা ছিল, মোড় পেরোলেই দু'টাকা পঁচাত্তর। বাণীনিকেতনের মোড়ে নেমে দুটো বাড়ি আর একটা বাগান পেরিয়ে এসে তিন নম্বর বাড়িটা আমাদের। ওইটুকু হাঁটাতেন মনুপিসি, যিনি আমাকে তিন স্টেশন দূরের মায়ের স্বপ্নের স্কুলে দিয়ে আসতেন নিয়ে আসতেন। পঁচিশ পয়সা বাঁচত।
অর্থাৎ আমার জীবৎকালে পঁচিশপয়সাও ছিল। সে দিয়ে কী পাওয়া যেত মনে রাখার বয়স আমার তখন হয়নি, ওয়ানটোয়ানে পড়ি। কিন্তু লোকে বাঁচাত যখন নিশ্চয় কিছু পাওয়া যেত।
ক'দিন ধরে সেই সস্তা বয়সের গান শুনছিলাম। বুড়ো হওয়ার আরও একটা লক্ষণ। ছোটবেলায় যা পড়েছিলাম, যা দেখেছিলাম, যা খেয়েছিলাম, যা শুনেছিলাম, গেয়েছিলাম, তার প্রতি প্রবল বেগে ভালোবাসা ফিরে আসা।
গানগুলো শুনছিলাম ইউটিউবে। যিনি আপলোড করেছেন তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা, স্রেফ গান আপলোড করেই নিরস্ত হয়েছেন, বাংলা প্রেমের গানের ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল চোখের, সাদা নরনারীর, লাল গোলাপের, ওয়েডিং ব্যান্ডের স্টিল ফোটো দিয়ে ভিডিও বানাননি। গানের কথা লিখে দিয়ে হেল্পফুল হতে গিয়ে বাংলা বানানের শ্রাদ্ধ করেননি। অ্যাকচুয়ালি, শুধরে নিচ্ছি, আমার প্রধান কৃতজ্ঞতা বাংলা বানানের শ্রাদ্ধ না করাটায়, ওর থেকে ভিডিও জুড়ে লাল গোলাপ কামড়ে ধরা নীল চোখের সাদা মডেলের দাপাদাপিও ভালো।
তিনি শুধু গানগুলোর ক্যাসেটের (আমার ছোটবেলার গল্প হচ্ছে কাজেই ক্যাসেট শুনে আঁতকে উঠলে চলবে না) মলাটের ছবি দিয়ে রেখেছেন। মলাটের এক কোণে ক্যাসেটের এম আর পি দেখা যাচ্ছে।
বেয়াল্লিশ টাকা। 'তোমাকে চাই' ক্যাসেটের দাম বেয়াল্লিশ টাকা। প্লেলিস্টের পরের গানটা 'গানওলা' ক্যাসেট থেকে, ক্যাসেটের মলাটের গায়ে উত্তেজিত অক্ষরে ছাপা 'ঊনষাট টাকা।'
*
ঊনষাট টাকায় কী পাওয়া যায়? বেয়াল্লিশ টাকায় কী হয়?
তার থেকে বেটার প্রশ্ন হবে, কী হওয়া সম্ভব?
একটা আস্ত ভাষার গানের গতিপথ কান মুলে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব, একটা গোটা প্রজন্মকে - মহাকালের একটি পরমাণু-পরিমাণ ফালিতে, একই পৃথিবীর মাটিতে কবীর সুমনের সঙ্গে আমরা একই সঙ্গে বেঁচেছি - বুক বাজানোর সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব, ঘটনাটা ঘটে যাওয়ার প্রায় তিরিশ (এবং পঞ্চাশ, এবং একশো, এবং তিনশো) বছর পর গানগুলো শুনতে শুনতে কবীর সুমনের মূল্য তিনশোতমবার উপলব্ধি করা এবং করে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠা সম্ভব।
মাত্র বেয়াল্লিশ টাকায়।
আমিও করছি গত সপ্তাহ জুড়ে। 'নয়নতারা' গানটাকে এতদিন ভুলে ছিলাম কী করে ভেবে মাথা নাড়ছি, 'গড়িয়াহাটার মোড়/মিনি মিনি বাস বাস' - আগের মতোই ফুর্তি জাগাচ্ছে জেনে আশ্বস্ত হচ্ছি। 'চেনা দুঃখ চেনা সুখ' তখনও বুকের যেখানে বাজত, এখনও সেখানেই বাজছে আবিষ্কার করে খুশি হচ্ছি। 'জানি না সুমন তুমি কৃষিকাজ কেন যে জানো না/ জানি না মানবজমি আবাদে ফলবে কি না সোনা ' প্রথমবার শুনে যেমন চমকেছিলাম, এখনও, বারংবার, তেমনই চমকাচ্ছি। সকাল, বিকেল, দুপুর নির্বিশেষে 'চিল' বাজলে এখনও মনখারাপ কেউ আটকাতে পারছে না। 'এখন বয়েস হল, তুমি এলে বৃথা দিন গেলো/ তোমার নবীন চোখে আসে জল চোখ মুছে ফেলো' শুনে আমার অ-নবীন চোখ এখনও হাপুস ভাসছে। 'খাতা দেখে গান গেয়ো না'র সতর্কতাবাণী প্রথমবার যে রকম পুলক জাগিয়েছিল এখনও অবিকল তেমনই জাগাচ্ছে।
বাই দ্য ওয়ে, আপনারা কেউ যদি পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে সুমনের সঙ্গে সঙ্গে 'চেনা গান জানবে আলো, পথ দেখাবে অন্ধকারে' গেয়ে ওঠেন, জানবেন আমিও আপনার সঙ্গে গলা মিলিয়েছি। আর 'পাড়ার ছোট্ট পার্ক'-এর লাস্টে 'সবুউউউউজ বাচ্চাগুলো'র লাইনটাতেও। ওই লাইনটা কি কেউ না গেয়ে উঠতে থাকতে পারে? থাকা সম্ভব?
এক গম্ভীর রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গম্ভীরতর কর্ণধার দুঃখ করছিলেন, একদিন নাকি মাঝরাতে পাশে শুয়ে থাকা পার্টনার ধাক্কা দিয়ে তুলে জানিয়েছিলেন, উনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্পষ্ট উচ্চারণে, 'ইট ইজ মাই অ্যাবসলিউট প্রিভিলেজ টু এক্সটেন্ড অ্যান ওয়ার্ম ওয়েলকাম টু' স্পিচ দিচ্ছিলেন। মানুষটা মর্মাহত মুখ করে বলছিলেন, ভাবুন, গালিবের কবিতা না, ডিলানের গান না, আমার স্বপ্ন ছেয়ে রয়েছে ওয়েলকাম স্পিচ। আমারও তেমন অবস্থা। গান পর্যন্ত পৌঁছতেও হচ্ছে না, সুমন গিটারে দেড় সেকেন্ড টুংটাং করলেই লাফিয়ে গান ধরে ফেলছি। একটা গান শেষ হওয়া মাত্র ক্যাসেটের পরের গানটা মাথার ভেতর শুরু হয়ে যাচ্ছে, পাভলভের প্রক্রিয়ার মতো। রিষড়ার বাড়ির ঠিকানা যেমন মনে করে রাখার জন্য দু'বেলা ঝালানোর প্রয়োজন পড়ে না, সুমনের গানও তেমনি। ডি এন এর প্যাঁচে প্যাঁচে ঢুকে গেছে, এ জন্মে ভোলার আশা নেই। মৃত্যুশয্যাতেও কানের কাছে ফিসফিস করে কেউ 'প্রথমতঃ' বললে গলা খুলে গোটা গানটা গেয়ে দেব।
সুমনের গানের প্রতি প্রেমের পুরোনো সত্যিটার সঙ্গে সঙ্গে একটা নতুন সত্যি গত সপ্তাহে টের পেলাম। এক্স্যাক্টলি কোন মুহূর্তে তাও বলতে পারি। 'এই যে দেখছি কাগজ দিয়ে তৈরি ফুলে/ পরাগরেণু আপনি জাগে তোমায় ছুঁলে' লাইনটা শুনতে শুনতে। লাইনটা কত কোটি বার শুনেছি, গেয়েছি, ভেসেছি, অথচ একটিবারও যিনি লাইনটা লিখেছেন, সুর দিয়েছেন, গেয়েছেন এবং গেয়েই চলেছেন সেই কবে থেকে আমার কানের কাছে, তাঁর প্রেমে পড়িনি।
এ মির্যাকলের একটাই ব্যাখ্যা সম্ভব। সুমন যখন তাঁর বেয়াল্লিশ টাকার ক্যাসেট বাংলা গানের মাথায় ফাটিয়ে নবযুগের উদ্বোধন করলেন, তখন আমার ক্লাস ফোর। পিসি কিনে দিয়েছিল ক্যাসেটটা টিউশানির টাকা জমিয়ে। আমাদের বাড়িতে তখন মান্না দে আর মল্লিকার্জুন মনসুর বাজে। মায়ের গান শোনার সময় নেই, বাবা নতুন যে কোনও কিছুর প্রতি তখনও আন্তরিক অপছন্দ পোষণ করেন। কাজেই সুমনের গান ছিল আমার একার গান। সেই প্রথম একটা কিছু যা গোটা বাড়িতে - যা কিনা আমার গোটা ব্রহ্মাণ্ড - একা আমার। সেই উত্তেজনায় আমি চোখনাকমুখ বুজে সুমনে ঝাঁপিয়েছিলাম। কী ভাগ্যিস তখনও আমার প্রেমে পড়ার বয়স হয়নি। হবে, আর বছর তিনেক পর। ততদিনে সুমন যত গান প্রকাশ্যে গেয়েছেন সব আমার ঠোঁটস্থ হয়ে যাবে। সুমনকে আমি জিনিয়াস ধ্রুবতারা বলে জেনে এবং মেনে নেব এবং ধ্রুবতারার প্রেমে কি কেউ পড়ে?
অবান্তর প্রেমের আজাইরা যন্ত্রণা আমি নিজেকে নিজে কম দিইনি, সুমনের প্রেমে পড়লে আর দেখতে হচ্ছিল না। স্রেফ টাইমিংটার জোরে কী বাঁচা যে বেঁচে গেছি, কত লক্ষ গ্যালন চোখের জল যে আমার বেঁচে গেছে, সে বাবদে কপালকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই আমার।
*
গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে কবীর সুমন আমার কাছে কী তা পুনরাবিষ্কারের আনন্দ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্যই মূলতঃ এই পোস্ট, তবে একটা স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যও আছে।
আমি নিশ্চিত অনেক গান আমি ভুলে যাচ্ছি কিংবা অনেকদিন শোনা হয়নি বলে মনে করতে পারছি না কিংবা ইউটিউব শয়তানি করে আমাকে সাজেস্ট করছে না। অবান্তরের সুমন-শোনা বন্ধুদের আমার অনুরোধ, আপনার কবীর সুমনের ভালোলাগা গানের নাম আমাকে জানান। মনে করান কী কী গান আমি ভুলে গেছি, বা হয়তো শুনিইনি তেমন করে।
আর যদি আমার উল্লেখ করা গানগুলো আপনারও প্রিয় হয় তাও জানান। কবীর সুমনের নামে একে অপরকে হাত খুলে হাই ফাইভ দিতে পারাও অসামান্য প্রিভিলেজ, তাই না?
কি ভাল জিনিস নিয়ে লিখেছ ...তোমার class 4 মানে আমি class 2.. তবে আমি শুনেছি পরের বছর বোধহয়.. class 3 শান্তিনিকেতনে .. ভাবা যায়? তখন হোটেল এর ঘরে একটা করে speaker থাকতো.. কেন রবীন্দ্রসঙ্গীত না চালিয়ে সেই হোটেল তোমাকে চাই চালাতেন জানি না.. সেখানেই বাবা মা সবার ভালো লেগে যায়.. ফিরে আসার পর ওই ক্যাসেট ও বাড়িতে ঢুকে পড়ে.. দাম মনে ছিল না.. আলাদা করে একটা দুটো ভালো বলতে তো পারবোনা.. একটা গান আমি অনেক পরে শুনেছি আমেরিকা প্রবাসী বাঙালীর গান.. এটা বোধহয় কোনো অ্যালবাম এ নেই.. কোনো লাইভ অনুষ্ঠানে শুনে থাকলেও মনে ছিলনা সেভাবে... না শোনা গানের মতই নতুন করে ভালো লেগেছিল...
ReplyDeleteপ্রবাসীর গান আমারও খুব প্রিয়, ঊর্মি। মনে করালি, যাই শুনি গিয়ে। বাই দ্য ওয়ে, সুমনের রবীন্দ্রসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত বোদ্ধারা আমাকে উড়িয়ে দেবেন জেনেই বলছি, আমার প্রিয়তম রবীন্দ্রসংগীত।
Deletedaaarun laglo lekha ta.. aami aabaar Sumon er sob gaan temon shunini.. jani - ghor oporadh.. :)
ReplyDeleteplease youtube e cassette er je playlist ta shunchen - link din.
cassette er kothay onek kotha mone poRlo.. thank you...
Indrani
বাড়িয়ে বলার ঝুঁকি নিয়েই বলছি, আপনার আর কোনও মন্তব্যের উত্তর দিতে আমার এত আনন্দ, উত্তেজনা হয়নি ইন্দ্রাণী, যত এই উত্তরটা দিতে গিয়ে হচ্ছে। কারণ এক, দার্জিলিং জমজমাটে যখন জানা গিয়েছিল যে জটায়ু জীবনে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেননি, এইবার দেখবেন, তখন ফেলুদার যেটা হয়েছিল, বিশুদ্ধ হিংসে। একটা লোকের এখনও এত আনন্দ পাওয়া বাকি?!
Deleteআপনি যে কয়েকটা পুরোনো সুমনের গান, নতুন গানের মতো করে শুনবেন (আমিও প্রত্যেকবার নতুন করেই শুনি, এই বেলা বলে রাখি), এটার জন্য হিংসেও করছি আবার খুশিও হচ্ছি। হয়তো আপনার ভালো লাগবে না (আমার চেনা অনেক লোকের লাগে না), তবু বলব শুনবেন। একবার ভালো না লাগলে দু'বার, তিনবার, পাঁচবার শুনবেন। দেখবেন, ভালো লাগবেই। (জুলুম করার জন্য সরি😛)
দু'নম্বর কারণটা হচ্ছে, সুমনের গান শুনতে যত ভালো লাগে শোনাতেও যে প্রায় ততটাই ভালো লাগে সেটা এই উত্তরটা লিখতে গিয়ে টের পেলাম। আমি ইউটিউবের লিংকগুলো জুড়ে দিয়েছি গানের লাইনগুলোর সঙ্গে। কালই করব ভেবেছিলাম কিন্তু পোস্ট পাবলিশ করার তাড়ায় করা হয়ে ওঠেনি। আপনার যদি শুনে কোনওটা ভালো লাগে, জানাবেন প্লিজ।
"একটা আস্ত ভাষার গানের গতিপথ কান মুলে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব, একটা গোটা প্রজন্মকে - মহাকালের একটি পরমাণু-পরিমাণ ফালিতে, একই পৃথিবীর মাটিতে কবীর সুমনের সঙ্গে আমরা একই সঙ্গে বেঁচেছি - বুক বাজানোর সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব, ঘটনাটা ঘটে যাওয়ার প্রায় তিরিশ (এবং পঞ্চাশ, এবং একশো, এবং তিনশো) বছর পর গানগুলো শুনতে শুনতে কবীর সুমনের মূল্য তিনশোতমবার উপলব্ধি করা এবং করে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠা সম্ভব।"
ReplyDeleteবারবার আসি আমরা দুজন, বারবার ফিরে যাই
আবার আসব, আবার বলব - শুধু তোমাকেই চাই !
জাতিস্মর, জাতিস্মর :)
হাই ফাইভ অন্বেষা। জাতিস্মর, সিনেমার গান হয়ে এত বেশি পপুলার হয়ে গেছে যে সেটা আর লিখিনি। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা কর, রূপঙ্কর আমার ভীষণ ভীষণ ভীঈঈঈষন ভালোলাগার গায়ক, কিন্তু সুমনের লাইন সুমনের গলায় যেমনটি শুনতে লাগে তেমনটি আর কারও গলায় লাগে না।
Deleteতবে সুমনের গাওয়া জাতিস্মর নিঃসন্দেহে, নির্বিবাদে, নির্দ্বিধায় বিশ্বের সেরা গানেদের মধ্যে একটা। আবারও হাই ফাইভ।
আগুন দেখেছি আমি কত জানলায়
ReplyDeleteআহা, কতদিন বাদে গানটার কথা কেউ বলল। "কত জানলার কাছে একলা মানুষ/ একলা পৃথিবী তার যেন মহাকাল/ কত জানলায় আসে একার সকাল।"
Deleteথ্যাংক ইউ, ঘনাদা।
তোমাকে চাই ছাড়া সুমনের সাথে আমার আর কোনো পরিচয় ছিলোনা কলেজ অবধি। প্রথম প্রেমের সাথে সুমন আমার জীবনে এলেন। সেই প্রেম কবে চলে গেছে। কিন্তু সেই আঠেরোয় সুমনের গানের সাথে যে প্রেম হলো, মৃত্যু অবধি চলবে।
ReplyDeleteপ্রিয় গানের নাম বলতে গেলে তো খুব কম হলেও এক ডজনের কমে থামতে পারবো না। তাই ওই চেষ্টায় গেলামনা।
সুমনের কনসার্ট দেখেছি, সেটাও সারা জীবন ফ্রেম করে রাখার মতো একটা অনুভূতি।
তিনটে ঘন্টা একটা ফাঁকা স্টেজে একটা মানুষ গিটার বা পিয়ানো নিয়ে কয়েকশো মানুষকে একাই মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখছেন।
মনে আছে 2008 এ ঐরকম একটা অনুষ্ঠানে মুখ চেনা একজনের সাথে আচমকা দেখা।
সে বলেছিল সে অনসাইট যাচ্ছেনা সুমনের কনসার্ট মিস করতে পারবেনা বলে। 'এভাবে আর কদিন পাবলিকলি গাইবেন বল? তারপরেই যাবো'।
তবে সুমনের প্রেমে কোনোদিন পড়ার প্রশ্নই ওঠেনি। বরং সুমনের জন্যই আমি শিল্প আর শিল্পীকে আলাদা করতে শিখতে বাধ্য হয়েছি।
সুরে সুর, তালে তাল, ছন্দ মিলিয়ে নিখুঁত গাইয়ে তো কত রয়েছেন। সুমনের মতো ভাষার ভাব গলায় প্রকাশ করতে খুব কম জনকে দেখেছি। আর উচ্চারণ। 'শুধু আধো খানি ভালোবাসা' এত ভালোবেসে, 'লেপের আদরে' এত আদর করে বলতে আর কেউ পারেনা।
আর ঠিক এই কারণেই সুমনের রবীন্দ্রসংগীত আমার প্রিয়তম। সবচেয়ে, সবচেয়ে প্রিয় 'যখন এসেছিলে অন্ধকারে'।
যদি জন্মান্তর সত্যি হয়, ঠাকুর যেন পরের বারেও বাঙালি হই।
আপনার অনেক পুরোনো একটা পোস্ট কোট করে বলতে পারি, আমার দেখা একমাত্র জিনিয়াস।
--সুমনে থাকবেন।
আহাহা, কী ভালো কামনাই জানালেন, বৈজয়ন্তী। সুমনে থাকব। আপনাকেও একই শুভকামনা ফিরিয়ে দিই। চিরজীবন, সুখেশান্তিতে সুমনে থাকুন।
Deleteযখন এসেছিলে অন্ধকারে-র জন্য ঠিক কত উঁচু, কত বিশাল, কত প্রকাণ্ড হাই ফাইভ আপনাকে দেওয়া যায় ভাবছি। ছোটবেলায় সুমনের তুমি সন্ধ্যার মেঘমালাও ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু অন্ধকারটাই বড়বেলা পর্যন্ত রয়ে গেছে।
সুমনের লাইভ অনুষ্ঠান সত্যি ফ্রেম করে রাখার দরকার আছে, স্রেফ ভিডিও নয়, ফ্রেম, ওই গোটা ব্যাপারটার এনার্জি, হলশুদ্ধু লোকের ওপর একটামাত্র, তেমন বড়সড় নয় লোকের ওইরকম টুঁটি টেপা কন্ট্রোল...আর বেস্ট পার্ট হচ্ছে যখন সুমন নিজস্ব একটা রিহার্সাল/ফাংশান পরিচালনা করেন, এই লাইনটা মেয়েরা গান, ওই লাইনটা ছেলেরা...
আমি এক্ষুনি, এই মুহূর্তে একটা সুমন লাইভে যেতে চাই, ঠাকুর।
(ওহ, আপনার ওই পোস্টের ওই লাইনটা মনে আছে দেখে এক্সট্রা খুশি। আমার স্ট্যান্ড এখনও অটল। সুমন আমার এখনও পর্যন্ত দেখা একমাত্র জ্যান্ত জিনিয়াস।)
এমন সুন্দর একটা কমেন্ট লিখে আমাকে এত ভালোলাগা মনে পড়িয়ে দেওয়ার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা, বৈজয়ন্তী।
তিন্নির অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট করায় সমস্যা। কিন্তু তিন্নির পছন্দের সুমনের গানগুলো আমারও এত পছন্দের যে সেগুলো আমিই লিখে দিচ্ছি।
ReplyDeleteসারারাত জ্বলেছে নিবিড়
জাতিস্মর
বিভূতিভূষণ
আমাদের জন্য (তিন্নি গানটাকে মনে রেখেছে 'মিনি মিনি বাস বাস' বলে)
পাড়ার ছোট্ট পার্ক
নটায় আপিস যাবার তাড়া
বিদায় পরিচিতা
এবং আরও অসংখ্য।
আমার প্রিয় গান নবাব নবাবী করে, কখনো সময় আসে , সারারাত জ্বলেছে নিবিড়, পেটকাটি চাদিয়াল ( চন্দ্রবিন্দু পড়ছে না)।কোনোদিন কোন অনুষ্ঠান শুনিনি, কারণ এক তো মফস্বল, তার উপর বড় হওয়ার সময় উনি বেশ বয়স্ক, নিয়মিত শো করেন না।
ReplyDeleteঋতম, যে ক'টা গানের কথা পোস্টটা পাবলিশ করা ইস্তক ভাবছি ফিরে গিয়ে আমার লিস্টে যোগ করি, তাদের মধ্যে ফার্স্টে ছিল নবাব নবাবি করে। তুমি ভাগ্যিস বললে। হায়েস্ট ফাইভ। মফঃস্বল, অনেক ভেবে দেখলাম, এই একটাই বাদ সেধেছে জীবনে। কবীর সুমনের যতগুলো অনুষ্ঠান দেখা যেত, ততগুলো দেখতে দেয়নি।
DeleteEkta listi niye post hoye e jaak Kuntala. Amar shudhu koyekta gaaner shonge porichiti .... tai opekkahye roilam.
Deleteহাহা, এই কমেন্টটারই অপেক্ষা ছিল, শর্মিলা। সুমনের গানের লিস্ট দেওয়ার জন্য এমন হাত নিশপিশ করছিল যে হাতের ওপর বসে থাকতে হচ্ছিল প্রায়। এবার তুমি উৎসাহ দিলে, বানিয়ে ফেলব। থ্যাংক ইউ।
Deleteএই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু
ReplyDeleteএই গানটাও একঘর। হাই ফাইভ এবং থ্যাংক ইউ।
Deleteআমার আর একটি প্রিয় গান - তিনি বৃদ্ধ হলেন
Deleteতন্নিষ্ঠা, এই গানটাও চমৎকার, যথাবিধি। কেন জানি না এই শহর আর তিনি বৃদ্ধ হলেন আমার মাথায় সর্বদা একসঙ্গে আসে। এক ক্যাসেটে ছিল কি?
Deleteহি হি, সামান্য বুড়ো হওয়ার সুফল - সুমনের তোমাকে চাই একাডেমি তে দেখতে পাওয়া | ৯৩ সালের কথা |
ReplyDeleteএটা নিশ্চয় অনির্বচনীয় অভিজ্ঞতা।
Delete1. Monkharap kora bikel manei megh koreche...' Uff, shunlei buk er kachhe chin chin.
ReplyDelete2. 'Sararaat joleche nibir, dhushor neelabho ek tara.' Jake bole ekkere moner modhye uthal pathal.
উথালপাথালই বটে, বিম্ববতী। প্রথমটা তো ক্ল্যাসিক। বিশেষ করে যেখানে উনি "শান্ত নদীটি পটে আঁকা" গেয়ে উঠছেন। সুমনের লাইনটা শোনার আগে আমি অরিজিনাল শান্ত নদীটি শুনিনি। পরে শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। সুমন বাংলা আধুনিক গানের লাইব্রেরি হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন, আমার ধারণা। যারা যা শোনেনি তারা ওকে জিজ্ঞেস করে সব শুনেটুনে নিতে পারে সহজেই।
Deleteসারারাত জ্বলেছে... অন্য মার্গের ব্যাপার। তোমার পছন্দ দেখে মুগ্ধ। থ্যাংক ইউ।
Amaro class 3 ba 4, ar Suman er cassette amar ekar shompotti. Gupi Bagha, Antara Chowdhury, ar Tomake Chai er neel kalo cassette... Taaker ei ongshota amar. Ki bhalo ki bhalo je laglo ei post ta. Priyo gaan gulor kotha jodio kono na kono post e mention kora hoe gechhe.. Bhorsha thakuk, chaichhi tomar bondhuta, ichhe holo, egulo bodhoy baad porechhe.. Oh hya.. Boyesh amar mukher rekhay... Sesh line duto tee shirt e likhe khub kayda kortam ek shamay :)
ReplyDeleteArekta comment na kore parlam na.. Beyallish e ki hoto mone nei, kintu tirish e ekta asto feludar boi hoto, du takay oshombhob pet bhore jawa ek thonga jhalmuri, ar pochish poyshay parle company r orange logenze hoto.
ReplyDeleteবয়েস আমার-এর শেষ লাইনদুটো কায়দা করার মতোই, ঈপ্সিতা। এই দু'ঘণ্টা আগেই শুনছিলাম আর মচৎকৃত হচ্ছিলাম। বাকি তিনটে যে গানের কথা আপনি বললেন, সেগুলোও দারুণ প্রিয় আমার। আপনার ক্যাসেটের তাকের অংশটার বর্ণনা শুনে হাসি হাসি হল মুখ। তখন কত সামান্য মালিকানায় কত খুশি হতাম, এখন মন ওঠাতে কত কিছু যে লাগে, বাপরে।
Deleteদু'টাকায় পেট ভরা ঝালমুড়ির ব্যাপারটা অকাট্য বলেছেন। এখন কুড়ি টাকার ঝালমুড়ি খেয়েও খাই খাই থেকে যায়।
মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগল।
Suman na Nachiketa -- ki prochondo loyalty chilo tokhon each with their own choice! Amar chilo Suman ar Chandrabindoo. Onekdin shuni na. Ami somehow ar gaan i shuni na :-( Kaane jodi kichu bhese ase tai thake ar seigulo shob meye ra ja shone ar ami ek borno o bujhina.
ReplyDeleteKhuje khuje gaan chalanor theke, bataashe bhese asto eker por ek, seitai besh chilo. Radio, Loudspeaker, Karur gun gun, karu jore kontho chhere...
কী সুন্দর করে লিখলেন, বং মম। সত্যি, বাতাসে ভেসে আসা গানের মতো জগতে আর কি কিছু হয়?
Deleteসুমন নচিকেতার মারামারিটা আমারও মনে আছে। তবে সে দ্বন্দ্বের অ্যাদ্দিনে সমাধান হয়ে গেছে সবার মনেই, আমার ধারণা। আপনার সঙ্গে আত্মার আত্মীয়তার ব্যাপারটা হওয়ারই ছিল, সুমন আর চন্দ্রবিন্দু শুনে বুঝে গেলাম।
এখন বাপুজির কেক ৬ টাকা। গতকালই কিনলাম। বেকারিটিও আমার পাশের পাড়ায়।
ReplyDeleteসোমনাথ, আমার একটা মন থেকে জানতে চাওয়া প্রশ্নের উত্তর যে আপনি দিলেন, এই জন্য অগুনতি ধন্যবাদ। আর আপনি যে কালই বাপুজি কেক খেলেন আর আমি খেতে পেলাম না সে জন্য, ওয়েল, অল্প একটু হিংসে। পাশের পাড়ায় বেকারির অবস্থানের জন্য অনেকটা হিংসে, কারণ তার মানে চাইলেই আপনি টপাটপ টাটকা বাপুজি কেক খেতে পারেন যখনতখন।
Deleteতবে দাম খুবই কম বেড়েছে বাপুজি কেকের, এটা কিন্তু মানতে হবে।
Darun post Kuntala. Aha ! Next kichhudin office asha jaoar pothe suman er gaan chhara r kichhu noi. List banie nichhi :-) - Ichhadana
ReplyDeleteহাহা, আমিও সুমন ছেড়ে বেরোতে পারছি না, ইচ্ছাডানা। সবাই এত ভালো ভালো গান মনে পড়িয়ে দিয়েছে...
Delete