গোশৈণী থেকে সোঝা/ ২
সকালবেলা আকাশ পরিষ্কার দেখে সময় নষ্ট করলাম না। চা বিস্কুট খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কোথাও যে বাঁধাধরা যাওয়ার আছে তেমন নয়। এই আশেপাশে বিচরণ। নদী পেরিয়ে বড় রাস্তায় যাব না, জঙ্গলের দিকেই হাঁটব। ডাইনিং হলের ওপাশে একটা কাঁচা পথ ওপরের দিকে গেছে, অন্যটা নিচে নদীর দিকে। ওপরের রাস্তা ধরে হাঁটা শুরু করলাম। রাস্তা মানে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পায়ে চলা পথ। বৃষ্টিতে ভিজে প্যাচপেচে, দু’পাশে ঝাঁপিয়ে আসা ডালপালায় খোঁচা লাগার সম্ভাবনা ব্যতিরেকে নির্বিঘ্ন। কদাচিৎ কয়েকটা আপেলের গাছে ফুল ঝেঁপে এসেছে, মৌমাছিরা বোঁ বোঁ ঘুরছে। ফুলের মধুর কি না জানি না, হাওয়ায় মিষ্টি গন্ধ ছড়ানো। কাল রাতে জানালার একটা ছোট পাল্লা অল্প খুলে শুয়েছিলাম, নেটের ভেতর দিয়ে এই গন্ধটাই ঢুকছিল ঘরে সম্ভবতঃ। রাস্তা উঠে নেমে চলল। মাঝে মাঝে বাঁক নিয়েই চোখের সামনে এই রকম সব দৃশ্য বেরিয়ে পড়ছিল। প্রকৃতির শোভা অবলোকন করে, ছবি তুলে, ধীরেসুস্থে আধঘণ্টা চলার পর জঙ্গল পাতলা হল। চোখের সামনে ভেসে উঠল গোশৈণী বরিষ্ঠ উচ্চ বিদ্যালয়-এর নীল বোর্ডওয়ালা গেট। সুন্দর স্কুলে পড়েছি বলে আমার গোপন জাঁক আছে। রানীরং মাধবীলতা জড়ানো আমাদের হলুদ স্কুল