Posts

Showing posts from October, 2023

পুজো ২০২৩

পঞ্চমী যদিও রেজলিউশন নিয়েছিলাম যে ফেলুদাব্যোমকেশের পাশ থেকে সরে দাঁড়াব কিন্তু দাঁড়াব কোথায়? আবার শোনা যাচ্ছে এটা অনির্বাণের লাস্ট ব্যোমকেশ। পাছে ইতিহাস মিস করে হাত কামড়াই, হইচই-তে দুর্গ রহস্য খুলে বসতে হল। গোড়াতে গুলিয়ে যাচ্ছিল, মনোযোগ দিচ্ছিলাম না বলেই নিশ্চয়, কে উত্তমকুমার, কে ব্যোমকেশ। অর্চিষ্মান বুঝিয়ে দিল। অনির্বাণ ব্যোমকেশ। কাল্পনিক ব্যোমকেশ। অনির্বাণ কাল্পনিক না। অনির্বাণ রিয়েল। উত্তমকুমারও রিয়েল। সত্যজিৎ রিয়েল। চিড়িয়াখানা সিনেমাটাও রিয়েল। নিজের জীবনের কেস নিয়ে বানানো সেই রিয়েল সিনেমা দেখতে গেছে কাল্পনিক ব্যোমকেশ। গিয়ে মবড হচ্ছে। গোটা সিরিজটা যদি ব্যাখ্যা করতে করতে দেখতে হয় সেই ভয়েই বোধহয় অর্চিষ্মান বলল, চল বেরোই। সন্ধে থেকে প্যান্ডেলের গানের চোটে জানালা কাঁপছে। রাস্তায় ভিড়। ঘোলে চুমুক দেওয়ার মতো করেই বলাবলি করি, পঞ্চমীতেই এই্, শনিরবি কী হবে বুঝতে পারছ? আজ তো আসল পুজো না তাই টি শার্ট জিনস পরেই বেরোলাম। অর্চিষ্মানও সেই ধুদ্ধুড়ে জামাই পরেছে অথচ আমাকে বলছে, ভালো জামা পরলে না? বললাম, কাল পরব। ষষ্ঠীতে নতুন জামা পরতে হয়। ঠাকুমা বলেছে। না-পরা জামা একটাই আছে, আজ পরে ফেললে কা

লাভ ল্যাংগোয়েজ ও চেস্ট অফ ড্রয়ারস

ফেসবুকে যেমন লাইক, মধ্যবিত্ত বাঙালি আত্মীয়সম্মিলনে তেমন নতুন জামাকাপড়। অনেক বছর পর পর দেখা হওয়ার ক্যান্ডিডেটদের জমায়েতে প্রত্যাশিতভাবেই জামার পিসের প্রাধান্য। মাসছয়েক বা বছরখানেক বাদে বাদে দেখা হলে ঝুঁকি নিয়ে রেডিমেড। ফোনাফুনি যত কমছে, সামনাসামনি আড্ডা দেওয়া যত প্রাগৈতিহাসিক হচ্ছে, তত বাড়ছে ফেসবুকে একে অপরের ছবিতে লাইক আর দেখা হলে গিফট। আজকাল নেমন্তন্ন পর্যন্ত শান্তিতে খেতে যাওয়ার উপায় নেই, লোকে রিটার্ন গিফট না গছিয়ে ছাড়ছে না। কেন, ভেবে বার করেছি। বা চেষ্টা করেছি। বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের লাভ ল্যাঙ্গোয়েজ অর্থাৎ ভালোবাসার পাঁচটা ভাষা। ১। প্রশংসাবাক্য। ২। কোয়ালিটি টাইম। ৩। সেবা ৪। গিফট। ৫। আদর। সমাদরটর নয়। বিশুদ্ধ গায়ে পড়া কাইন্ড। স্কিন টু স্কিন। অফ কোর্স, পাঁচ নম্বরটা সবথেকে ট্রিকি এবং সতর্কতার দাবিদার। গ্রহীতার রিঅ্যাকশন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র সংশয় থাকলে কল্পনাতেও স্থান দেওয়া উচিত নয়। প্রশংসাবাক্যের ঝামেলা হচ্ছে, ট্যাক্স লাগে না। কানাকে পদ্মলোচন বললাম, খোঁড়াকে উসেইন বোল্ট, অর্চিষ্মানকে লাইফ অফ পার্টি, কুন্তলাকে পরিশ্রমী। লাভের এ ল্যাংগোয়েজে ভরসা করে পাগলে। দু

মিরর, মিরর

গরমের ছুটি বা পুজোর ছুটিতে বেড়িয়ে ফেরা হচ্ছিল। একটা ফ্যামিলি মাঝরাস্তা থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। বাবা মা, ছেলে মেয়ে। যতদূর মনে পড়ে একাধিকই ছিল। আমাদের কুপে পৌঁছে শার্টের পকেট থেকে টিকিট বার করে বাবা এদিকওদিক তাকাতে লাগলেন। সব বার্থ অকুপায়েড। লোকটি ভদ্র, চেঁচামেচি না করে টিটিইকে ডাকলেন। টিটিই এবং সহৃদয় সহকর্মীরা টিকিট পরীক্ষা করে বললেন, এ কী, এ তো কাল গভীর রাতের ট্রেনের টিকিট। আপনি এ এম পি এম গুলিয়ে পরের দিনের ট্রেনে উঠে পড়েছেন। স্টেশনটা বড় গোছেরই ছিল। এত কাণ্ড হতে হতেও ট্রেন ছেড়ে দেয়নি। নাকি দিয়েছিল? মনে নেই। দিলেও পরের স্টেশন আসতে বেশিক্ষণ লাগেনি। মোদ্দা কথা, ভদ্রলোক অচিরেই লটবহর লোকলস্কর নিয়ে নেমে গিয়েছিলেন। সামনে তো পেটভরে উপদেশ দিয়েইছিল, ভদ্রলোক সপরিবার নেমে যাওয়ার পরেও উত্তেজনার যেটুকু ঢেউ বাকি ছিল তাতে দুলতে দুলতে কামরাশুদ্ধু লোক বলাবলি করছিল, কী অবস্থা, অ্যাঁ? একটু খেয়াল করবে তো। কতগুলো টাকা নষ্ট। কেউ কেউ, কী আর করা, কিছু পাবলিক এ রকম বেখেয়াল, ইত্যাদি মতামত দিচ্ছিল। আমি দিইনি। মতামতের অভাবের জন্য নয়। আমাকে যে কারিকুলামে বড় করা হচ্ছিল তাতে আমার থেকে ভিন্ন (বেসিক্যালি, বড়) এজ গ্