Posts

Showing posts from 2021

২০২১-কে

এলিভেটর পিচ বলে একটা ব্যাপার আছে নিশ্চয় জানেন। যে কোনও আইডিয়া, প্রোডাক্ট, ব্যবসায়িক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক উদ্যোগের কী, কেন, কোথায়, কবে, কাকে, কীভাবে যাবতীয় তথ্যসম্বলিত একটি সংক্ষিপ্ত স্পিচ। ‘সংক্ষিপ্ত’র দৈর্ঘ্য একেক লোকের কাছে একেক, তাই স্ট্যান্ডার্ডাইজশনের দুরাশায় এলিভেটর বা লিফটের লক্ষণরেখা টানা। এত ইঞ্চি,মিটার, গজ, ইয়ার্ড, আলোকবর্ষ থাকতে লিফট কেন? আপনার জীবনের লিফটের কথোপকথনগুলো মনে করে দেখুন, জলের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে। এক, লিফটের কথোপকথন নৈর্ব্যক্তিক। আবেগরহিত। নতুন প্রেম ছাড়া লিফটে (তাও যদি ফাঁকা মেলে) কেউ সেধে থাকতে চায় না। লিফট যথার্থে অস্থায়ী, অনিত্য। নেমে যাবেন জেনেই উঠেছেন। মায়া জন্মানোর চান্স নেই। নো স্ট্রিংস অ্যাটাচড সম্পর্কেও লোকে ওর থেকে বেশি কমিটমেন্ট নিয়ে ঢোকে যতটা নিয়ে লিফটে ওঠে। দুই, লিফটের কথোপকথন সরল। লিফট কোনও বিষয়ের ডিপে ঢুকতে অ্যালাউ করবে না। জীবনের গুরুতর সমস্যার সমাধান লিফট করে ফেলতে দেবে না। যত গুরুত্বপূর্ণ কলই চলুক না কেন, দরজা বন্ধ হওয়া মাত্র কট করে কেটে দেবে। সময় দেবে না। মনোযোগও দিতে দেবে না। সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন বোতামের সারির দিকে, নয়তো লাল আলোর বদ

আভরণহীনতার শিবিরে

অর্চিষ্মান তিতিবিরক্ত। ছ’খানা মোমোর সঙ্গে ছ’রকমের সস। ছ’বছর আগে তো কান দিয়ে ধোঁয়া বার করানো লাল লংকার সস ছাড়া কল্পনাতেও কুলোতো না কারও। ছ’মাস আগে পর্যন্তও দুটো পুঁটলি। লাল লংকা আর সাদা মেয়োনিজ। এখন ছশো মোমোওয়ালা গুঁতোগুঁতি করছে বাজারে। একে অপরের থেকে এগিয়ে থাকার তাড়নায় এ মোমোয় চিজ পুরছে তো ও দিচ্ছে ছ’রকম সস। কর্নফ্লেক্স চিবোতে চিবোতে বললাম, কী কী সস দিয়েছে গো? অর্চিষ্মান বলল, হুস। দেখিওনি। টান মেরে ফেলে দিয়েছি। ছ’টা মোমো ছ’রকম সস দিয়ে খাব? তাছাড়া ছ’ ছ’টা বাটি নামাব নাকি? মাজবে কে? পয়েন্ট। বাসন মাজার ফ্যান্টাসি থাকলে অর্চিষ্মান মাংসভাত খেত কবজি ডুবিয়ে। নেই বলেই তো মোমো। দু’নম্বরের দাদুর চপের দোকানে, যা কি না দিল্লির বেংগলি ফুড হেরিটেজ ওয়াকের অংশ, পরিস্থিতি এতটা না হলেও, খারাপ। প্রতিবার সিঙাড়া প্যাক করানোর সময় হৃদপিণ্ড জিভে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, ছান্তায় চড়ে সিঙাড়া ঝুড়িতে পড়া এবং ঝুড়ি থেকে ঠোঙায় ভরা আর ঠোঙার মুখ মোড়ার মধ্যের কয়েক মাইক্রোসেকেন্ডে সবুজ চাটনির দু'দুখানা পুঁচকে থলে ঠোঙাতে চালান হবে, আর আমাকে ওই মাইক্রোসেকেন্ডের মধে চেঁচিয়ে উঠতে হবে, লাগবে না লাগবে না, শুধু স

আমি শুনছি, আপনারাও শুনুন

Image
 

একচল্লিশ

Image
জীবনের মাইলস্টোন বলে কিছু হয় কি? মোচড়? বাঁক? নাকি ও সব আমাদের নির্মাণ? নাগালের মাপমতো ছেঁটেকেটে নেওয়া? নিজেকে টুপি পরানো যে আমার জীবন আসলে আমারই নিয়ন্ত্রণে, আমারই চেষ্টাচরিত্রের পরিণতি? কে জানে আসলে হয়তো জীবন একটা অনাদি অনন্ত প্রবাহ, শুরু নেই, শেষ নেই, ক্ষয় নেই, লয় নেই। একটা গভীর ষড়যন্ত্র যার আমি কেবল কোল্যাটারাল ড্যামেজ। হলেই বা কি। তবু আমাকে আমার সেই জীবনই বাঁচতে হবে। সে বাঁচার জন্য দুটো ধরে নেওয়া জরুরি। এক, আমি অমর। কাজেই আজকের কাজগুলো কাল করলেও হবে। না হলে পরশু। না হলে পরের বছর। আর যার ফুরোক, আমার সময় তো ফুরোচ্ছে না। আর যে মরুক, আমি তো মরছি না।  দুই, আমি ম্যাটার করি। আমার প্রতিদিনকার লক্ষকোটি দুঃখসুখ ম্যাটার করে। তাদের নিয়ে মাথার ভেতর মহাকাব্য রচনা করা যায়। কাজের কাজ চুলোয় দিয়ে সে সব মহার্ঘ ফিলিংদের মুখ চেয়ে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়ে দেওয়া যায় সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে। অবশ্য কাজের কাজ হিসেবে যেগুলোকে চিহ্নিত করছি সেগুলোও ইকুয়ালি হাস্যকর। সে সব কাজের কাজেরা সম্পন্ন হল বলে যে সব ঝাণ্ডা উড়িয়েছিলাম পতপতিয়ে, পিছু ফিরে দেখছি তারা সব ঝড়েজলে নেতিয়ে, রং চটে মৃতপ্রায়। কাজেই একচল্

The Philosophy of Reading

ঋণস্বীকারঃ Brandon’s Bookshelf (এখানে রিডিং মানে অবসরের রিডিং। পাঠ্যপুস্তক বা পেপার নয়। ) 1. What's most important...a good character, plot, or message? চরিত্র ও প্লটকে ক্রমানুসারে বসানো যায় কি না সে বাবদে ক্রমশ সন্দিহান হয়ে উঠছি। আমার কাছে দুটোই জরুরি। বাহান্ন কিংবা তিপ্পান্ন। উনিশ বা কুড়ি। কোনটা উনিশ কোনটা কুড়ি, গল্পের ওপর নির্ভর করবে। মেসেজ আমার কাছে একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। থাকলে উপরি। না থাকলে কোনওই অসুবিধে নেই। সত্যি বলতে কি, মেসেজ দিতে গিয়ে এত গল্পকে মাটি হতে দেখেছি, গল্পে মেসেজ নেই জানলে পড়তে বসতে স্বস্তি বোধ করি। 2. Should one read books about ideas or opinions they disagree with? নিশ্চয়। না হলে আমার আইডিয়া বা মতামতে উপনীত হব কী করে? হয়ে যাওয়ার পর নিয়মিত সে অবস্থানকে পরখই বা করব কী করে। 3. As tech advances, what do you think will be the role of books? “Books are no more threatened by Kindle than stairs by elevators.” Stephen King 4. How important are summaries, review, and art in your book choosing? আর্ট গুরুত্বপূর্ণ নয় আমার বই বাছার ক্ষেত্রে।

বিরহী ও অথেনটিসিটি

(পোস্টটা লিখতে শুরু করার সময় বিরহী টাটকা ছিল। এখন মন্দারের বাজার তেজী। কিন্তু মন্দার দেখে হয়ে ওঠা হয়নি এখনও। আপনারা যখন অন্য কিছুতে মুভ অন করে যাবেন, তখন আমি মন্দার দেখে প্রতিক্রিয়া লিখব।) বিরহী দেখলেন? নিশ্চয় দেখলেন। আমার চেনা অধিকাংশ লোকেই দেখেছে। যদি কেউ বাকি পড়ে গিয়ে থাকেন তাঁর জন্য বলি, বিরহী হচ্ছে প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য পরিচালিত ইউটিউব সিরিজ। প্রথম সিজন শেষ হয়েছে সবে। দ্বিতীয় সিজনের জন্য মুখিয়ে আছি। নিজেরাই নিজেদের চমকে দিয়েছি। কারণ আমাদের কিছুই ভালো লাগে না। সবেতেই নাক কোঁচকাই। বিরহীরও যে সব ভালো তেমন নয়, খুঁত ধরতে বললে এক্ষুনি পঞ্চান্নটা ধরে দেব। কিন্তু পাঁচশো পঞ্চান্নটা কারণও একইসঙ্গে বেরিয়ে পড়বে যেগুলোর জন্য বিরহী আমাদের এক কথায়, দিব্যি লেগেছে। এ অভূতপূর্ব প্রতিক্রিয়ার মূল কৃতিত্ব, ভেবে ভেবে বার করেছি, বিরহীর অথেনটিসিটির। সিরিজটা দেখলে বিশ্বাস করে নিতে ইচ্ছে করে। অথচ অবিশ্বাসের জায়গা প্রচুর। যেমন ধরুন, যে দুটো জায়গা ঘিরে ঘটনাপ্রবাহ, তাদের মধ্যে মফঃস্বলটার নাম ফুলকুমারী আর গ্রামটার নাম বিরহী। নায়কের নাম কৃষ্ণ, নায়িকার নাম রাধা। স্কুল ঝাঁটপাটের দায়িত্ব যার, (ছোটবেলায় আমর

পছন্দসই পাঁচ

শমীক আর প্রদীপ্তর কমেন্ট পড়ে মনে পড়ল যে একসময় অবান্তরে বেড়াতে যাওয়ার পোস্ট লেখা হত বটে। আরও আশ্চর্যের কথা, একসময় বেড়াতেও যেতাম। অবান্তরজাতীয় ব্লগিং-এর ট্রেন্ড উঠে গেছে। ওঠাই উচিত। যতসব পার্সোন্যাল প্যাঁচাল। কিন্তু প্যাঁচালের একটা উপযোগিতা আছে। পাবলিক ডায়রি হলেও ডায়রি তো। ডায়রির মতোই সময় ধরে রাখে। অর্চিষ্মান দাবি করেছে ও মাঝেমাঝেই আমাদের বেড়াতে যাওয়ার পোস্টগুলো পড়ে। ছবি দেখে। কী করেছিলাম, কী খেয়েছিলাম, কেমন ফুর্তি হচ্ছিল। উদয়পুরের অটোওয়ালাকর্তৃক ঠকা প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা করছিলাম, পাঞ্জিম টু পালোলেম বাসের জানালা থেকে গ্রামীণ গোয়ার গোধূলির মায়ায় চোখ ভাসিয়ে কান ও মন খাড়া করে সহযাত্রী বাঙালি দম্পতির ঝগড়ার প্রতিটি অক্ষর গিলছিলাম, পিচোলা লেকে ভাসছিলাম, চন্দ্রশীলা চড়তে জিভ বার করছিলাম, স্বর্ণমন্দিরের জলের ধারে হাঁটুতে চিবুক রাখছিলাম। শেষ বোধহয় গিয়েছিলাম ওর্ছা। ছবিগুলো দেখছিলাম। জাহাঙ্গির মহল আর বেতোয়ার স্রোতের থেকে নিজেদের ছবি দেখতে উৎসাহ বেশি ছিল। ছবির মেয়েটা নির্ঘাত আমিই, কিন্তু আবার আমিও কি? ওই মুহূর্তের আমি হয়তো জলের স্রোতের মতো বয়ে গেছে চিরদিনের মতো। অর্চিষ্মানকে দেখলাম। সে জ

তিনটে রোদ্দুরের দিন

১ দরজা খুলেই নাকি কাকিমা বলে উঠেছিলেন, এই তো অর্চিষ্মানকাকু এসে গেছে। বাক্যের শেষের স্মাইলিটা ধন্দ দিল। ভিডিও চ্যাটে তবু বোঝা যায়, সে ক্যামেরায় যতই ধুলো লেগে থাকুক না কেন; ফোনেও চলনসই, কিন্তু চ্যাটের ফন্টে একটা লোকের দুঃখ ফুটছে না হতাশা, হলদে হাসিতেই বা কতখানি অশ্রু বা আনন্দ, বোঝা মুশকিল। সাধারণত কাকুটাকু শুনলে রাগ হওয়ারই কথা। আমার হয় না, কারণ সেই যে ক্লাস নাইনে স্কুল থেকে ফেরার পথে উত্তরপাড়া প্ল্যাটফর্মে ট্রেনে উঠছিলাম, লেডিস পর্যন্ত যাওয়ার টাইম ছিল না জেনারেলেই উঠতে হয়েছিল কারণ ওই ট্রেনটা গেলে ঝাড়া পঁচিশ মিনিটের গ্যাপ, আর একটা চিমড়ে মার্কা লোক দৌড়ে এসে, ‘বৌদি সাইড দিন!’ আর্তনাদে প্রায় ছিটকে ফেলে ট্রেনে উঠে গিয়েছিল সেই থেকে শুরু। তারপর যখন কপালের সামনের চুলগুলো পাকতে শুরু করল, অর্থাৎ যখন ঊনত্রিশ, তার পর থেকে আন্টি ছাড়া কেউ কখনও কিছু ডাকেনি। দুঃখ হত। ইউনিভার্সিটির পরে আলাপ হওয়া আর কোনও প্রাপ্তবয়স্ককে যে সম্পর্কসূচক সম্বোধন করিনি (দেখছিলেন, মিথ্যাচার হচ্ছিল। বিয়ে সূত্রে প্রাপ্ত সম্পর্কগুলোকে সম্পর্ক দিয়েই ডেকেছি, সেখানে ফার্স্ট নেম চালাতে স্মার্টনেসে কুলোয়নি), স্রেফ নাম ধরে চা

আমি শুনছি, আপনারাও শুনুন

Image
 

মিডনাইট রেন

Image
ভার্বাটিম বলতে পারব না; শিশুশিক্ষা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ একজায়গায় লিখেছিলেন, ছোটদের শিক্ষাপ্রক্রিয়ার একটা আবশ্যিক বৈশিষ্ট্য হওয়া দরকার যা প্রয়োজন তার থেকে বেশি শেখানো। রবীন্দ্রনাথ একটি মচৎকার ছবি এঁকেছিলেন বক্তব্যটি রাখতে গিয়ে। শিক্ষা যেন ছোটদের অঞ্জলি উপচে পড়ে। অর্থাৎ বাচ্চাদের শেখানোটা চোখ সরু করে, লালসাদা টিউব টিপে টুথপেস্ট বার করার মতো হতে পারে না। অকাতরে ঢেলে দাও, যার ছোট হাতে যতটুকু ধরে সে ততটুকু শিখুক, কিন্তু কারও হাত যেন খালি না থেকে যায়। অর্থাৎ কোন বাচ্চার কতটুকু শিক্ষা কাজে লাগবে বিচার করতে না বসাই কাম্য। বা কোন শিক্ষা কাজে লাগবে। সোজা কথায় কাজে লাগালাগির বিষয়টাকেই পাত্তা না দেওয়া। আরেকটু টানলে ধরে নিতে পারি, বক্তব্যের মাধ্যমে অকাজের শিক্ষার প্রতি লেখকের পক্ষপাতও প্রকাশ পেয়েছে। বিষয়টা তর্কের। অফিসের এক সহকর্মী একবার সিলেবাসের বাইরের বইয়ের প্রতি লোকের উদগ্র আগ্রহে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। ওই বইগুলির মানুষের জীবনে কার্যকারিতা নিয়ে তাঁর প্রভূত সন্দেহ ছিল। আমার নেই, বলাই বাহুল্য, উল্টে আমার আমি হয়ে ওঠার পেছনে সিলেবাসবহির্ভূত বইয়ের কলকাঠিই বেশি (এই জেনে সহকর্মীর সিলেবাসের বাই

একটা গোয়েন্দা, একটা প্রেম

Image
Troubled Blood Robert Galbraith রবার্ট গ্যালব্রেথ ছদ্মনামে লেখা জে কে রোলিং-এর করমোরান স্ট্রাইক সিরিজের চতুর্থ উপন্যাস 'লিথ্যাল হোয়াইট' পড়ার পর নাককান মুলেছিলাম, ওই রাস্তায় আর যাচ্ছি না বলে। কিন্তু কুড়ি বছরের ওপরের সম্পর্ক, রাতে ঘুমোনোর আগে পড়ার অভ্যেসটা যখন ফিরিয়ে আনা স্থির করলাম, 'ট্রাবলড ব্লাড'-এর কথা মনে পড়ল। রবার্ট গ্যালব্রেথ ছদ্মনামে লেখা জে কে রোলিং-এর করমোরান স্ট্রাইক সিরিজের পঞ্চম এবং নবীনতম উপন্যাস। ধরতাই হিসেবে বলি, স্ট্রাইক সিরিজের হিরো হচ্ছেন করমোরান স্ট্রাইক, যুদ্ধ ফেরত সৈনিক, একটি পা হাঁটুর নিচ থেকে উড়ে গেছে, আপাতত প্রসথেটিক পা নিয়ে হাঁটেন চলেন। বিখ্যাত রকস্টারের অবিবাহিত গ্রুপির সন্তান। বাবা ছিলেন না কোথাও বেড়ে ওঠার সময়, মা ছিলেন তাঁর সমস্ত নেশাভাং ও বিশৃঙ্খল জীবনযাপন নিয়ে। একপিস প্রাক্তন প্রেমিকা আছেন শার্লট, যথার্থেই একপিস। করমোরানের সহকারী রবিন এলাকট। ছোটবেলা থেকে গোয়েন্দা হতে চেয়েছিল, মারাত্মক ভালো গাড়ি চালায়, স্ট্রাইকের এজেন্সিতে ব্যক্তিগত সহকারীর পদে যোগ দিয়ে দক্ষতা প্রমাণ করে আপাতত পার্টনার। শৈশব আনন্দময়, কিন্তু কৈশোরে ভুল লোকের সঙ্গে

আলোর উদ্দেশে

Image
এ রকম দাবি করতে পারলে ভালো হত হয়তো যে আমাদের পাড়ার পুজো আজ থেকে তিরিশপঁয়ত্রিশ বছর আগে এর থেকে ঢের বেশি জমকালো ছিল। আরও ঝকমকে, আরও চনমনে, আরও ভিড়ভাট্টামণ্ডিত। সে রকম দাবি করতেও চাই না তেমনটা নয়, কারণ বাবার পাঠানো এই ছবিটা দেখে আমারও প্রথম সেই কথাটাই মনে হয়েছিল। কী ছিল, কী হয়েছে। কিন্তু সেটা মিথ্যাচার হবে। আমাদের পাড়ার পুজো, আমার স্মৃতি যতই গলা ফাটাক না কেন, পঁয়ত্রিশ বছর আগেও এ রকমই ছিল, বরং আরও ম্যাড়মেড়েই ছিল সম্ভবত। অন্যরকম থাকার কোনও কারণ নেই। পাড়ার লোকের চাঁদায় পুজো, কর্পোরেট স্পন্সর বলতে পাড়ার ছেলের ক্যাটারারের থেকে ডিসকাউন্টে অষ্টমীর রাতের ভোগ খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি আর প্রতিবেশী পাড়ার ডেকোরেটরের ডিসকাউন্টে বাঁশ বেঁধে লাল সাদা প্যান্ডেল খাটিয়ে দিয়ে যাওয়া। বিস্ময়টা ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ফোন রাখার আগে নাকতলার মাকে জিজ্ঞাসা করলাম, কুলটির পুজো আপনার মনে পড়ে মা? বড় বয়সে ফিরে গিয়ে দেখেছেন কখনও সে পুজো? মা হতাশ করলেন না। দেখিনি আবার। দেখেছি আর অবাক হয়ে ভেবেছি, এমন মিটমিটে ছিল বুঝি আলো? আমার স্মৃতিতে তো ওর থেকে জমকালো পুজো আর নেই ভূভারতে। আমি এ পুজোয় প্রতিমার মুখ দূর অস্