থিম সেফটিপিন
সেদিন বাড়িতে ছোটদাদু-দিদা এসেছিলেন। আমি ভেবেছি বিলম্বিত বিজয়ার ভিজিট বুঝি। সন্ধ্যেবেলা মাকে ফোন করে যখন চার দিক থেকে চিৎকার, রিকশার ভেঁপু শুনলাম তখনও কিছু মনে পড়েনি। তারপর রাতে ফোন করে যখন খবর নিতে গেছি মা অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন কি না, (তাছাড়া রবিবার রাতে আমাকে ফেলে মা কোথায় বেড়াতে গেছিলেন সে বিষয়ে খোঁজ নিতেও) আর মা যখন বললেন ঠাকুর দেখতে, তখন আমার খেয়াল হল। রিষড়ায় জগদ্ধাত্রীপুজো চলছে। সেদিন নবমী নিশি। রিষড়ায় যে জগদ্ধাত্রীপুজো হয় এ খবর অনেকেই জানে না। ধুমধাম করেই যে হয়, সে শুনলে তো অর্চিষ্মানের মতোই আকাশ থেকে পড়ে। ‘জগদ্ধাত্রী তো চন্দননগরে, তোমাদের কী?’ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রীপুজো হয়, রিষড়ার থেকে ভালো করেই যে হয় সেটাও আমি মেনে নিচ্ছি, কিন্তু রিষড়াতেও রীতিমত ভালো পুজো হয়। ইন ফ্যাক্ট, লেবুগুণ্ডা আর ফেলু মোদকের পর রিষড়ার বিখ্যাততম ব্যাপার জগদ্ধাত্রীপুজো। রিষড়ার জগদ্ধাত্রীপুজোর বাড়াবাড়ি বেশি পুরোনো নয়। সালতারিখ বলতে পারব না, তবে বাড়াবাড়িটা আমার জন্মের পরেই শুরু হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে ক্রমে বেড়েছে। ছোটবেলায় গানের স্কুল থেকে ফেরার পথে পুজোর দিনে রিকশা করে বাড়ি ফিরতে স