Posts

Showing posts from October, 2017

থিম সেফটিপিন

সেদিন বাড়িতে ছোটদাদু-দিদা এসেছিলেন। আমি ভেবেছি বিলম্বিত বিজয়ার ভিজিট বুঝি। সন্ধ্যেবেলা মাকে ফোন করে যখন চার দিক থেকে চিৎকার, রিকশার ভেঁপু শুনলাম তখনও কিছু মনে পড়েনি। তারপর রাতে ফোন করে যখন খবর নিতে গেছি মা অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন কি না,   (তাছাড়া রবিবার রাতে আমাকে ফেলে মা কোথায় বেড়াতে গেছিলেন সে বিষয়ে খোঁজ নিতেও) আর মা যখন বললেন ঠাকুর দেখতে, তখন আমার খেয়াল হল। রিষড়ায় জগদ্ধাত্রীপুজো চলছে। সেদিন নবমী নিশি। রিষড়ায় যে জগদ্ধাত্রীপুজো হয় এ খবর অনেকেই জানে না। ধুমধাম করেই যে হয়, সে শুনলে তো অর্চিষ্মানের মতোই আকাশ থেকে পড়ে। ‘জগদ্ধাত্রী তো চন্দননগরে, তোমাদের কী?’ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রীপুজো হয়, রিষড়ার থেকে ভালো করেই যে হয় সেটাও আমি মেনে নিচ্ছি, কিন্তু রিষড়াতেও রীতিমত ভালো পুজো হয়। ইন ফ্যাক্ট, লেবুগুণ্ডা আর ফেলু মোদকের পর রিষড়ার বিখ্যাততম ব্যাপার জগদ্ধাত্রীপুজো।   রিষড়ার জগদ্ধাত্রীপুজোর বাড়াবাড়ি বেশি পুরোনো নয়। সালতারিখ বলতে পারব না, তবে বাড়াবাড়িটা আমার জন্মের পরেই শুরু হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে ক্রমে বেড়েছে। ছোটবেলায় গানের স্কুল থেকে ফেরার পথে পুজোর দিনে রিকশা করে বাড়ি ফিরতে স

কয়েকটা লিংক

Image
উৎস নিউ ইয়র্কার কার্টুনস All style is, is the awkwardness of a writer in stating a fact. If you have a way of your own, you are fortunate, but if you try to write like somebody else, you’ll have the awkwardness of the other writer as well as your own.                                                                                               --- Ernest Hemingway আমরা বোতাম টিপি, বৎসোয়ানার বন্য কুকুরেরা হাঁচে।   পাবলো নেরুদার মৃত্যু নিয়ে যে একটা গোলমাল আছে আমার জানা ছিল না। মোদ্দা কথা, তাঁর মৃত্যুর যে কারণ দর্শানো হয়েছিল (প্রোস্টেট ক্যান্সার), সন্দেহাতীতভাবে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে।   Stupid people share several identifying traits: they are abundant, they are irrational, and they cause problems for others without apparent benefit to themselves, thereby lowering society’s total well-being.  বলে গেছেন অর্থনীতিবিদ কার্লো এম সিপোলা।   ইউরোপের প্রথম জলের তলার রেস্টোর‍্যান্ট  খাইয়েদের গলাই  শুধু কাটবে না, সমুদ্রের জল পরিশোধনও করবে।   যুদ্ধ মানুষ এবং পশুপা

শনিরবির ছবি

Image
অন্যদিনের থেকে আলাদা। মূলচন্দ ফ্লাইওভারে ওঠার আগে গাছপালার আড়ালে ঝুপড়িগুলো আগে কোনওদিন চোখেই পড়িনি।ঝুপড়ির সামনের খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে দাঁত মাজতেও দেখলাম একজনকে। ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে সন্তর্পণে নামছেন একজন। মাদারির বাচ্চাগুলো মাথায় ডমরু বেঁধে বনবন ঘোরাচ্ছে। অফিসের পাঁচিলের বাইরে ঠিক যে জায়গাটায় রোজ ওলা থেকে নামি, সেখানে ঝাঁকবাঁধা কতগুলো বেগুনি ফুল। এতদিন না দেখে থাকলাম কী করে রহস্য। বা রহস্য নয়। আজ নামলে আজকেও দেখা হত না। পাশ দিয়ে হুস করে চলে গেলাম বলে দেখা হল। সফদরজং টুম্বের পাঁচিলের বাইরে শুকনো পাতা জড়ো করে একটা চাদরে তুলে সেটার চার কোণা তুলে ধরে নিয়ে চলেছেন দু’জন।   সারা শহরটাই ঝরা পাতায় ভরে গেছে। আন্টিজির দোকানে আমার ট্রিপের সংখ্যা বেড়েছে, কারণ জানালা দিয়ে ওইরকম রোদ দেখেও সিটে বসে থাকাটা ক্রাইম। শনিরবি বাড়ি থেকে না বেরোনোটা আরও বড় ক্রাইম। তাছাড়া অনেকদিনের সংযমপালনের পর কতগুলো রিওয়ার্ড পয়েন্টস জুটেছিল, ছোটবড় উদযাপনও জমেছিল কয়েকখানা। আজ বেরোতেই হত। সিনেমা আগের সপ্তাহেই দেখেছি (নাকি তার আগের?), ব্লেড রানার ২। বেশ ভালো লেগেছে। উইকি থেকে অরিজিন্যাল ব্লেড রানার সম্পর্কে জানতে

কমপ্যারিজন ইজ দ্য থিফ অফ জয়

গত সপ্তাহে বিছানায় শুয়ে যখন ক্রমাগত কাশছিলাম আর হাঁচছিলাম, মায়ের কথা মনে পড়ছিল। মা কোথায়, মা থাকলে এখন মাথায় হাত বুলিয়ে দিত এই সব নয়, মনে পড়ছিল যে আমার মাকে আমি জীবনে শুয়ে থাকতে দেখিনি। মাঝেমাঝে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখেছি মা পাশে শুয়ে ঘুমোচ্ছেন, কিন্তু ওইটুকুই। আমি বা বাড়ির অন্যরা বসে বা দাঁড়িয়ে আছি এবং মা শুয়ে আছেন, এরকম কোনও স্মৃতি আমার নেই। আমার মা বাড়ির সবার পরে ঘুমোতে যান এবং সবার আগে ওঠেন, কাজেই সেটা মাকে শুয়ে থাকতে না দেখার একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু ঘুমোনো ছাড়াও তো লোকে শুয়ে থাকে। শুতে বাধ্য হয়, যখন শরীর খারাপ করে।   তার মানে কি আমার মায়ের শরীর খারাপ হয়নি? আমার মা নিতান্ত ছোটখাট চেহারার, সকালে চ্যবনপ্রাশ বিকেলে মুক্তবায়ু সেবন ইত্যাদিও করতে দেখিনি কখনও যে স্বাস্থ্যবান বলে চালিয়ে দেব। তবু মাকে শুয়ে থাকতে দেখিনি কখনও। কাজেই ধরে নেওয়া যায় মায়ের শরীর খারাপ হয়নি কখনও। আমার মতো তিন মাস বাদে বাদে নিয়ম করে তো হয়ইনি। কখনও দেখিনি বলব না। একবার মাকে শুয়ে থাকতে দেখেছিলাম। ওই একবার দেখেছিলাম বলেই বাকি যে কখনও দেখিনি সেটা বেশি করে স্পষ্ট হয়ে আছে। মা শুয়ে ছিলেন, বাকিরা সবাই ন যযৌ ন

এ মাসের বই/সেপ্টেম্বর ২০১৭/২ঃ মিস্ট্রি ও মহাকাব্য

Image
A Rising Man/ Abir Mukherjee উৎস গুগল ইমেজেস এ বছরের শুরুতে আমার বই পড়া সংক্রান্ত একটা রেজলিউশন ছিল, ননককেশিয়ান গোয়েন্দার স্টক বাড়ানো। বই পড়া সংক্রান্ত বাকি সব রেজলিউশনের মতো, এটা রক্ষাতেও আমি ডাহা ফেল করতে চলেছি। তবে হারা জেতায় লাজ নেই, যত লাজ নিশ্চেষ্ট হয়ে অদৃষ্টের হাতে সব ছেড়ে বসে থাকায়। সে জন্য হাফ বছর পেরিয়ে যেতে আমি নড়েচড়ে বসলাম। আর অমনি গার্ডিয়ান পত্রিকায় একখানা গোয়েন্দা উপন্যাসের গ্লোয়িং রিভিউ চোখে পড়ল। উপন্যাসটার কথা অনেকদিন ধরেই এদিকওদিক থেকে কানে আসছিল। গার্ডিয়ানের রিভিউ মনে জোর দিল, কিন্ডলে কিনে ফেললাম আবীর মুখার্জির আত্মপ্রকাশকারী উপন্যাস ‘আ রাইজিং ম্যান’। স্যাম উইন্ডহ্যাম সিরিজের প্রথম বই। এই শেষের তথ্যটা আমি জানতাম না। আমি শুধু জানতাম মুখার্জির উপন্যাসের ঘটনা ঘটছে স্বাধীনতাপূর্ব ভারতবর্ষের কলকাতা শহরে। সেখানে একজন বাঙালি পুলিসের সাহসিকতার কথাও পড়েছিলাম, পড়ে ধরেই নিয়েছিলাম যে এ গল্পের গোয়েন্দাও কালা আদমি।   বই কেনার পর দেখি গোয়েন্দা আপাদমস্তক সাহেব, ক্যাপ্টেন স্যাম উইন্ডহ্যাম। গল্পের কালা আদমি সার্জেন্ট ‘সারেন্ডার-নট’ ব্যানার্জি, ক্যাপ্টেন উইন্ডহ্যাম

Serious vs. Severe

Image
SERIOUS procrastinator SEVERE Procrastinator কৃতজ্ঞতাঃ  www.raptitude.com

অন আ ডে লাইক দিস

একজন সাহেব, যিনি আমার সঙ্গে পদবীর দৈর্ঘ্যতুতো বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন, সেমিনারের শেষ বেলায় আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, সেমিনারের পরে আমার প্ল্যান কী। আমি বলেছিলাম, কী আর, ঘরে বসে রিপোর্ট শেষ করা।   তাতে তিনি ভুরু আকাশে তুলে বলেছিলেন, 'অন আ ডে লাইক দিস?' জানালার বাইরে তাকিয়ে চোখ ঝলসে গিয়েছিল। আকাশে মেঘের লেশমাত্র নেই, কংক্রিটের রাস্তায় পড়ে ঝাঁ ঝাঁ রোদ ঠিকরোচ্ছে। দীর্ঘশ্বাস চেপে সাহেবকে বলেছিলাম, ‘ইউ আর রাইট। চুলোয় যায় রিপোর্ট। বাড়ি ফিরে সারা গায়ে এস পি এফ পঁচাত্তর জবজবে করে মেখে হাফপ্যান্ট পরে দৌড়তে বেরোনোই আমার প্ল্যান।’   সাহেব হাঁফ ছেড়ে বলেছিলেন, 'গুড আইডিয়া।'   সাহেবকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। সাহেব সামার নিয়ে লাফান, আমি উইন্টার নিয়ে। দিল্লিতে কে জানে কত বছর থাকার পর মনসুন নিয়েও। ক’দিন ধরে শীতের প্রতীক্ষাটা চরমে উঠেছে। সার্চ করে করে এমন অবস্থা, ব্রাউজারে ডি টাইপ করলে ডেলহি টেম্পারেচার চলে আসছে, জানুয়ারি পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম মিনিমাম টেম্পারেচার, আর্দ্রতা, বাতাসের দিক এবং গতি মুখস্থ হয়ে গেছে, তবু প্রতিদিন আবার করে দেখছি। দেখছি আর মনখারাপে ভুগছি। প্রতি সপ্তাহে একট

এ মাসের বই/ সেপ্টেম্বর ২০১৭/১/ রাগ'ন জোশ

Image
উৎস গুগল ইমেজেস ‘ধর’ শুনে প্রথমে খুব লাফিয়েছিলাম, কিন্তু শীলা আসলে বিবাহসূত্রে কাশ্মীরী পণ্ডিত ‘ধার’, বাঙালি ‘ধর’ নন। শীলার কোনওকালেই বাঙালিদের সঙ্গে কোনও সংস্রব ছিল না, কারণ ধার হওয়ার আগে তিনি ছিলেন মাথুর কায়স্থ।   শীলা ধারের লেখা রাগ’ন জোশ বইটি পাঁচটি ভাগে বিভক্ত। হোম (তখনও তিনি ধার হননি, মাথুর কায়স্থ জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হচ্ছেন), মিউজিশিয়ানস (বিভিন্ন বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ও শিল্পীর সঙ্গে লেখকের ব্যক্তিগত আলাপ পরিচয়ের গল্প), আদার পিপল ( এখানে মূলত স্বামী পি কে ধারের ইন্দিরা গান্ধীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করার সময় সেখানকার ঠাটবাট চলনবলন, এবং ভারত সরকারের পাবলিকেশন ডিভিশন লেখকের চাকরির সময়কার মানুষজন, অভিজ্ঞতার   কথা জায়গা পেয়েছে) দ্য কুকিং অফ মিউজিক অ্যান্ড আদার এসেজ (এই চ্যাপ্টারে রয়েছে রাগ রাগিণী সম্পর্কিত টেকনিক্যাল প্রবন্ধ), এবং পরিশিষ্টে শীলা ধারের দুখানি অবিচুয়ারি।   আমার মতে বইটির সবথেকে চমকপ্রদ এবং উপভোগ্য অংশ হচ্ছে প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশদুটি। শীলা ধার অত্যন্ত প্রিভিলেজড বাড়িতে জন্মেছিলেন। তাঁর ঠাকুরদা ব্যারিস্টার অ্যাট ল ছিলেন, এবং সিভিল লাইনস-এ প্রাসাদোপম

কয়েকটা লিংক

গান্ধী সম্পর্কে অরওয়েল। মঙ্গলে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। আজ রাতে বেশি ঘুমোব। স্পিনস্টার কথাটা যে আর চলে না সেটা জানতাম, দু’হাজার পাঁচ থেকে ব্যাচেলরও নাকি ব্যাকডেটেড।   যে কুমীরের ডায়েট ডাইনোসর, তার সাইজ যে পিলে চমকানো হবে তাতে আর আশ্চর্য কী। রিসার্চের নামে অ্যাডভাইসরের জলটল বয়ে দিতে শুনেছি, কিন্তু মার্ডার মিস্ট্রি লেখার রিসার্চের নামে সত্যি সত্যি মার্ডারটা একটু বাড়াবাড়ি।   পৃথিবীতে সব রঙের নাম দেওয়ার মতো ভাষা নেই আমাদের। সবাই এই লিস্ট মেনে চললে আমার হলে গিয়ে সিনেমা দেখার ইচ্ছে আবার ফিরে আসবে, আমি নিশ্চিত।   রোজ সকালে উঠে দশবার বলব আমি, আপনারাও বলা অভ্যেস করুন।   এজ ইজ জাস্ট আ নাম্বার। এজ ইজ জাস্ট আ নাম্বার।  ভাগ্যিস গুগল মনে করাল, না হলে তো জানতেই পারতাম না আজ এঁর জন্মদিন।

ঝালমুড়ি আর চাঁদ

ঝালমুড়ি খাওয়া আর এমন কী শক্ত ব্যাপার, বলবেন আপনারা। যাও, অর্ডার দাও। দাম জিজ্ঞাসা করতেও পার, আবার দাম নিয়ে মাথা একেবারে না-ই ঘামাতে পার কারণ প্রোহিবিটিভ দাম হওয়ার জন্য ঝালমুড়ি না খেতে পেয়ে ফিরে আসতে হবে, সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা কম।   প্রোহিবিটিভ দাম হলেও যে সব ক্ষেত্রে ফিরে আসা যায় এমন নয়।   সি আর পার্কের মোটামুটি সব তরিতরকারিওয়ালাই ডাকাত, কিন্তু একজন আছেন ডাকাতদলের সর্দার। তাঁর দাম শুনে কেউ অবাক হলে তিনি আরও অবাক হয়ে বলেন, “এ কি দিল্লির পচা মাল পাইসেন নাকি? আমার কাছে যা দ্যাখতাসেন সব কলকাতার।” এই সর্দারের কাছ থেকে আমি পঁচাত্তর টাকা দিয়ে একবার একখানা ফুলকপি কিনেছিলাম। আমারই দোষ হয়েছে, দাম জিজ্ঞাসা না করে ফুলকপি দিতে বলেছি। আরও কী সব নিয়েছিলাম সঙ্গে, আলু পটল লালশাক। টোটাল শুনে চোখ কপালে তোলাতে ডাকাতসর্দার হেসে হেসে বললেন, “কপিটাই তো পঁচাত্তর।” আমি মুখ বুজে ফুলকপি নিয়ে বাড়ি চলে এলাম, আর পরদিন আলু দিয়ে তরকারি রাঁধার সময় ভাবতে লাগলাম, কপিটা দেখতে কিন্তু ভালো, ফটফটে ফর্সা, ঠিক বিগ বাজারের অ্যাডের মতো। সস্তা কপি হলে হয়তো দাগটাগ থাকত। খেতে বসে ক্রমাগত বলে চললাম, “কপিটার টেস্ট কিন্তু ভাল

(অবহেলিত?) আট

Image
ক’দিন আগেও যেমন সাড়ে পাঁচটাতেই চারদিকে হা হা আলো, এখন ছ’টা সতেরোতেও জানালার বাইরে কারি গাছের অবয়ব অস্পষ্ট। তিন্নির দেওয়া কাগজের ল্যাম্পের হলুদ আলোর আবেশ এখনও মায়াবী। হাতের তেলোয় দ্বিতীয় কাপ চায়ের আরাম, কানে অঞ্জন, চোখের সামনে অবান্তর। মুহূর্তটার পারফেকশন আমাকে দুর্বল করে দেয়। আহা, অবান্তর। সেই কবে থেকে… একটা আতংক মাথার মধ্যে ব্রেক ক্যাঁ——চ করে ব্রেক কষে। গত মাসে অবান্তর আট পেরিয়ে নয়ে পা দিয়েছে।এবং আমি সেটা সম্পূর্ণ ভুলে গেছি। খসখসিয়ে লাল ডায়রির পাতা উল্টোই। এই তো, টেনথ সেপ্টেম্বর। কী রাজকার্য করছিলাম আমি? পেপার লিখছিলাম? মাস্টারপিস উপন্যাসের ছক কষছিলাম? ছোটগল্প ভাঁজছিলাম? নাকি ইদানীং যা নিয়ে জীবনে হুলাবিলার অন্ত নেই সেই অনুবাদে আবিষ্ট ছিলাম? কিচ্ছু না। ইন ফ্যাক্ট, অবান্তরের আট পেরিয়ে নয়ে পা রাখার দিনটাতে আমি অবান্তরেই যকের ধন-এর রিভিউ পোস্ট করছিলাম।   আমি জানি না এর প্রায়শ্চিত্ত হয় কি না, বা হলেও অবান্তর সেটা অ্যাকসেপ্ট করবে কি না। অবান্তরকে দেখতে নিরীহ ভালোমানুষ হলে কী হবে, দরকার বুঝে ঘরের কোণে মুখ নিচু করে বসে নখ খুঁটতে খুঁটতে “আমাকে তো কেউ ভালোবাসে না, আমার জন্মদিন

সপ্তমীতে অঞ্জন

Image
গত কয়েকদিন ধরে ওলাশেয়ার উবারপুলে যা অপদস্থ হতে হল। সি আর পার্ক যাব শুনলেই সহযাত্রীরা রাখঢাক না রেখে মাথা নাড়ছেন, ছিকছিক শব্দ করছেন, ফোন তুলে ওপারের বাস্তব কিংবা কাল্পনিক বন্ধুকে বলছেন, কাহাঁ ফঁস গয়ে ইয়ার। তাঁদেরও দোষ দেওয়া যায় না, গোটা রাস্তা পক্ষীরাজের গতিতে ছুটে এসে সি আর পার্কের মুখে আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলে এদিকে পুজোয় নতুন জামা না হলে রাগ হওয়ারই কথা।   আমার নতুন জামা এমনকি নতুন জুতো পর্যন্ত হয়েছে, তবু আমারই মাথা ধরে যাচ্ছিল। সপ্তমীর দিন অফিস থেকে ফেরার পথে সব রাস্তা বন্ধ, রাস্তা জুড়ে পুলিশ, পাঁপড়, বিরিয়ানি এবং বাঁশ।   বাড়ি এসে জামাকাপড় ছেড়ে শয্যা নিলাম। বেল বাজল। যত না ক্লান্তি, মুখচোখের ভাব তার থেকে দ্বিগুণ করে গেলাম দরজা খুলতে। অত ভালো অভিনয় কাজে দিল না যদিও। প্রতিবাদের সুযোগই পেলাম না, আধঘণ্টা বাদে আবিষ্কার করলাম, ফ্যাব ইন্ডিয়া থেকে কেনা সবুজ সিল্কের জামা পরে রসরাজ-এ দাঁড়িয়ে আছি।   অর্চিষ্মান দাবি করেছে, ক্ষীরের সিঙাড়া আর বেকড রসগোল্লা খেয়ে নিলেই সব ক্লান্তি হাওয়া হয়ে যাবে। তখন আর হেঁটে হেঁটে ঠাকুর দেখতে কোনও কষ্টই হবে না।   খেয়েদেয়ে ডি ব্লক আর মেলা গ্রাউন্