Posts

Showing posts from March, 2013

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস If you tell the truth, you don't have to remember anything.                                                                                               ---Mark Twain Ayn Rand really, really hated C. S. Lewis. গুপ্ত দরজাওয়ালা বুককেস। আমার বড় সাধ একটা বানাই। ভয়ের ছবি। Your Subject Line Must Match Your Subject. সাড়ে তিনখানা বিগ ম্যাক খেলেই একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সারাদিনের প্রয়োজনীয় ক্যালোরির সংস্থান হয়ে যায়, জানতেন? এটা নিশ্চয় আমি ছাড়া সবাই এতদিনে দেখে ফেলেছেন, তবু এসপ্তাহে গানের বদলে এটাই রইল।  ছুটি এবার শেষ হলে বাঁচি, আর ভালো লাগছে না। সোমবার দেখা হবে, বাঁচা যাবে। টা টা।

OCD

Image
শিল্পী Ursus Wehrli -র The Art of Clean Up: Life Made Neat and Tidy বই থেকে

দোল ২০১৩

বাড়িতে ঘুম থেকে উঠতে যে কী ভালো লাগে। চোখ খুলেই মনে হয়, মাথার ভেতরটা এত শান্ত কী করে? আর ঘাড়ের কাছে শিরদাঁড়াটায় দিবারাত্র যে গিঁটগুলো বেঁধে থাকে সেগুলোই বা কোথায় গেল? তারপর এক সেকেন্ড পরেই যখন বাঁদিকে জানালার শিকের ওপারের পেঁপেগাছটা আর আমার মুখের ঠিক ওপরে সিলিংফ্যানের আলতো হাওয়ায় দুলতে থাকা নীল রঙের মশারির ছাদ চোখে পড়ে তখন সব পরিষ্কার হয়ে যায়।   ও হরি, আমি তো বাড়িতে। আজ সকাল থেকে আমি কিচ্ছু করিনি। কিচ্ছু না মানে কিচ্ছু না। খালি এই বিছানা থেকে উঠে গিয়ে ওই বিছানায় গা ঢেলেছি, কিশোর ভারতী মুড়ে রেখে টিভি খুলেছি, টিভি বন্ধ করে বয়াম খুলে মুঠো ভরে নিমকি নিয়েছি, একটা একটা করে নিমকি মুখে ছুঁড়ে ফেলতে ফেলতে “সেকি এই অবেলায় ভোঁসভোঁস করে ঘুমোচ্ছো কেন গো?” বলে ঠাকুমার কাঁচাঘুম ভাঙিয়ে আবোলতাবোল বকেছি। এরই মাঝে একবার বুচিদিদিদের বাড়িতে পাড়াবেড়াতে গিয়েছিলাম। গিয়ে জেঠুজেঠির পায়ে আর বুচিদিদির গালে আবীর দিয়ে, একটা জলভরা সন্দেশ খেয়ে, জেঠির গাছে ফোটা একটা ধপধপে গন্ধরাজ তুলে নিয়ে এসেছি। ফুলটা এখন আমার পাশেই রাখা আছে। নেতিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও সুন্দর গন্ধ ভেসে আসছে ফুলটা

বিয়ের সাজ

Image
আমার এক পরিচিত মহিলা সবাইকে তাঁর বিয়ের ছবি দেখাতে দেখাতে খুব গর্বিত মুখে বলেছিলেন, “আমাকে দেখে আমার দিদির পাঁচবছরের মেয়ে তো বলছিল, ‘মা মা দেখো, ছোটমাসিকে ঠিক জগদ্ধাত্তি ঠাকুরের মতো দেখতে লাগছে।’” খুঁত ধরতে চাইলে ওপরের কথাটার অনেকরকম খুঁত ধরা যায়। এক, নিজের মুখেই নিজের চেহারার প্রশংসা করা । ফিল্মস্টারেরা করলে তাও বুঝি, কিন্তু আমার আপনার মতো দুপায়ে হেঁটে বেড়ানো সাধারণ লোক? স্রেফ পাগলামি। কিন্তু নিজের ঢাক নিজে পেটানোর থেকেও অদ্ভুত কথা হচ্ছে এইটা ভাবা, যে একজন জলজ্যান্ত মানুষকে জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের মতো দেখতে লাগাটা একটা ভয়ানক ভালো ব্যাপার।  কেনই বা কেউ সুস্থ মস্তিষ্কে নিজেকে এরকম সাজাতে চাইবে? আমাদের দলে ‘সাজা’ ব্যাপারটা একটা বেশ উত্তপ্ত আলোচনার বিষয় । লোকে কতটা নিজের জন্য সাজে কতটা পরের জন্য, সাজার পেছনে কতখানি নিজেকে সুন্দর দেখানোর নিষ্পাপ ইচ্ছে কাজ করে আর কতটাই বা নিজেকে নিয়ে অতৃপ্তি, এই নিয়ে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেঁচামেচি চালাতে পারি। কিন্তু আজ অত গভীরে যাওয়ার দরকার নেই। আজ শুধু দেখতে ভালোলাগা খারাপলাগা নিয়েই কথা হোক। আমার বাবা চরমপন্থী মানুষ। জীবনের

শব্দ নিয়ে কুইজের উত্তর

প্রকাশিত।

বিজ্ঞাপন

Image
উৎস কার যেন একটা গল্প শুনেছিলাম, ঘড়ি কিনে এনে যা লেখা আছে সত্যি কি না পরীক্ষা করার জন্য আধঘণ্টা জলের বালতিতে ঘড়িকে চুবিয়ে রেখেছিলেন। পরিণতি কী হয়েছিল সেটা আর বলে দেওয়ার দরকার নেই নিশ্চয়। যাই হোক,  কুইজ চলছে মনে আছে তো? আমাদের সবার ছোটবেলার খেলা। খেলে জিততে চাইলে দেরি করবেন না। 

কুইজঃ শব্দ নিয়ে খেলা

Image
উৎস গুগল ইমেজেস চলুন, আজ একটা নেহাতই ছোটবেলার খেলা করা যাক। নিচে পনেরোটা শব্দ দেওয়া আছে। মানে একেবারে সাজিয়েগুছিয়ে দেওয়া নেই, একটু ওলটপালট করে দেওয়া আছে। আর যেহেতু এই ছোটবেলার খেলাটা আমরা বড়বেলায় খেলছি, তাই সম্মানরক্ষার খাতিরে শব্দগুলোর একটা করে অক্ষর উধাও করা হয়েছে। সেই উধাও হওয়া অক্ষরটিকে ধরে এনে সম্পূর্ণ শব্দটি সোজাভাবে লিখলেই আপনাদের কাজ শেষ। বাকি কথাগুলো সবার জানা, তাও আরেকবার বলে দিচ্ছি। খেলা চলবে এখন থেকে শুরু করে চব্বিশঘণ্টা। দেশে মঙ্গলবার সকাল আটটা আর অ্যামেরিকার ইস্ট কোস্টে সোমবার রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত। ততক্ষণ আপনাদের কমেন্টস্‌ দেখতে পাব খালি আমি, আর কেউ নয়। ওকে, লেগে পড়ুন তবে। অল দ্য বেস্ট। ***** ১. ন্ন প বা ভা শ ২.   নু তা ক তি গ ৩. ড় র ও য়া স ৪. ণা র গা বে গ ৫. য় বা তী তা জা ৬. য় প চ জ্ঞা অ রি ৭. ব্যা ম স র হা ৮. ল ন্ন য় ন শী ৯. রী দা ন গ বি ১০. ক  তি  র  দা   উ    ১১. খা ল  উ  রে  প     ১২. তি ক গ জা ম ১৩. র্ণা ক্র ব নু মি ১৪. ক রা হি ধা বা ১৫. মূ তু ল ল না *****

শনিরবি

Image

সাপ্তাহিকী

Image
উৎস Take your pleasure seriously.                                                                                     --- Charles Eames দেশে যুদ্ধ বাধলে কেউ পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে আসে, কেউ বা সাধের ম্যান্ডোলিন, কেউ বা কাঁচের চুড়ি। এই সিরিয়ান রিফিউজিরা কে কী নিয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন দেখুন।   আপনি কত জোরে টাইপ করতে পারেন?  OSM. Oreo Separator Machine.  একই অঙ্গে এত রূপ? বন্ধুত্বপূর্ণ দরজা। গলফ খেলাটা আমি অনেক চেষ্টা করেও বুঝতে পারিনি। এটা দেখে তাই গায়ের ঝাল মেটালাম। আমার প্রিয় শহরের জানালা।   অ্যালার্মঘড়ি কেন লাভের থেকে ক্ষতি করে বেশি। মোরা সঁইয়া বুলায়ে আধি রাত কো। আর কী। ভালো হয়ে থাকবেন সবাই। গরম পড়ছে, বেশি করে লেবুর জল বা নিম্বু পানি বা লেমনেড খেয়ে শরীর এবং মাথা দুটোই ঠাণ্ডা রাখবেন। সোমবার আবার দেখা হবে। ঠিক এইখানেই।

একটা জরুরি প্রশ্ন

Image
স্কেটবোর্ডিংরত জোডি ফস্টার উৎস গুগল ইমেজেস গুগল রিডার গত হতে চলেছে শুনেছেন নিশ্চয়? পৃথিবীতে কোনও ভালো জিনিসের আয়ুই যে দীর্ঘ নয়, সেটার আরও একটা প্রমাণ পাওয়া গেল। যাই হোক, আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এখন রাস্তা কী। এতদিন গুগল রিডারের মাধ্যমে আমি  অন্তত গোটা চল্লিশেক ব্লগের খোঁজখবর রাখতাম। সেগুলোকে বানের জলে ভাসিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কি কোনও উপায় আছে? আপনারা যাঁরা এতদিন রিডার ব্যবহার করতেন, তাঁরা কী করছেন? গুগল রিডারের কোনও সহজ বিকল্প জানা থাকলে দয়া করে আমাকে বলবেন। খুব উপকার হবে।

রাজধানী

সারা পৃথিবীর মধ্যে আমার প্রিয়তম পরিবহন ব্যবস্থা হল গিয়ে অটো। সাইজে ছোট, চটপটে, ট্র্যাফিক জ্যামে বাসলরির ফাঁক গলে প্রত্যেকবার বিজয়ীর মতো বেরিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া অটোর যেখানেই বসো না কেন, গায়ে হাওয়া লাগবেই। কিন্তু এত সুবিধে হলে হবে কী, ভগবানের রসবোধ প্রখর। আমি অটো এত পছন্দ করি, এদিকে অটোওয়ালারা আমাকে দু’চক্ষে দেখতে পারেন না। খালি দেখ না দেখ পায়ে পা বাধিয়ে ঝগড়া করার মতলবে থাকেন। অটোর পরেই আমার চড়তে ভালো লাগে দু’চাকার সাইকেল। অটোর থেকে সাইকেলের সুবিধের জায়গাগুলো হলঃ সাইকেল ইকো ফ্রেন্ডলি, সাইকেলে চাপলে গায়ে হাওয়া বেশি লাগে, আর সাইকেলের আমাকে পছন্দ হল কি না সে নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না। একমাত্র অসুবিধের দিকটা হচ্ছে, খাটুনির দিকটা। আর অটো আর সাইকেলের পরেই আমার যেটা চড়তে সবথেকে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে ট্রেন। লোকে বলে, প্রক্সিমিটি ব্রিডস কনটেম্পট, সে যুক্তি মানলে এতদিনে আমার ট্রেন দেখলে গা গুলিয়ে বমি আসার কথা, কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ট্রেনের প্রতি আমার টান, ভালোবাসা বেড়েই চলেছে, বেড়েই চলেছে। “চলেছে, চলেছে, চলেছে...” সিনেমার নাম বলতে পারলে হাততালি। আমি জীব