#ফেলুদাব্যোমকেশেরপাশথেকেসরেদাঁড়ান
সিরিজখানা খুন হয়ে গেছে কাস্টিং টেবিলে। পরমব্রতকে দেখে মনে হচ্ছে খোকাকে বুড়ো সাজতে বলা হয়েছে। ঋতব্রতকে দেখে মনে হচ্ছে বুড়োকে খোকা সাজতে বলা হয়েছে। রুদ্রনীলকে কী সাজতে বলা হয়েছে আমি শিওর নই। বুড়িয়ে গেলাম বুড়িয়ে গেলাম কঁকিয়ে মরি, চেহারায় বয়সের ছাপ না পড়লে কী ভয়ানক কাণ্ড হয় তার কশনারি টেল পরমব্রত। উনি যে চরিত্রেই অভিনয় করুন না কেন আসলে যাদবপুর ইংলিশ-এর চরিত্রে অভিনয় করেন বলে এতদিন বেঁকা হাসতাম, সাবাস ফেলুদা-র পর থেকে হাসছি না। সত্যি, স্বধর্ম ত্যাগ ইজ নেভার আ গুড আইডিয়া। এই সিরিজে উনি যাদবপুর ইংরিজির বদলে ফেলুদা সাজতে গেছেন। এমন একজন মানুষ যার ছাত্রদশা ঘুচে প্রাপ্তবয়স শুরু হয়েছে। সেটা করতে গিয়ে মুখের যাবতীয় পেশিকে জমিয়ে ফেলতে হয়েছে, যাতে ভুলক্রমেও তারা কোনওরকম অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচালতা প্রকাশ না করে ফেলে। গলার আওয়াজ মন্দ্রসপ্তকে বেঁধে ফেলতে হয়েছে, পাছে তা শিশুসুলভ উচ্ছ্বাসে ভেসে যায়। চোখে কষে সুর্মা মাখাতে হয়েছে, সম্ভবতঃ দৃষ্টিকে অন্তর্ভেদী করে তোলার দুরাশায়। ঋতব্রতর চুলে অত জেল মাখিয়ে প্রায় সুনামির ঢেউয়ের হাইটের টেরি বাগানোটাও কৌতূহলোদ্দীপক। আমি মান্ধাতার আমলের হতে পারি, কিন্তু এই আমলের