Posts

Showing posts from April, 2021

Quite true

নানাবিধ হাবিজাবিতে নাকানিচোবানি। কাজেই অবান্তর ফাঁকা। আরও চার-পাঁচদিন পরিস্থিতির উন্নতির আশা নেই। পাতা ভরাতে এই কোটেশনটা রইল। কোথা থেকে পাওয়াটাওয়া সব ভুলে গেছি। খালি মনে আছে বিষে যেমন বিষ কাটে, তেমনি এক অবসন্ন বিষাদের মুহূর্তে, যখন সব টোটকা ফেল, এই কথাক'টি ঠোঁটের কোণে হাসি এনে দিয়েছিল। দেখতে দেখতে অনেকটা চাঙ্গা বোধ করেছিলাম। আপনাদের কারও যদি কাজে লাগে, রইল। "It is quite true that most people can do nothing well. If so, it matters very little what career they choose, and there is really nothing more to say about it."

কথোপকথন/ বিষয়ঃ হিপোক্রিসি এবং বিয়ের ভিডিও

বাই দ্য ওয়ে, তোমার হিপোক্রিসি দেখে আমি রোমাঞ্চিত। কীসের হিপোক্রিসি? কোথায় দেখলে? ওই যে হোয়াটসঅ্যাপের ফ্যামিলি গ্রুপে বাবাইকে, "কবে বিয়ে করবি, কবে বিয়ে করবি" বলে উত্যক্ত করছিলে। আবার একা করে শান্তি নেই, লোকজনকেও তাতাচ্ছিলে। হাহা, ওটা তো ইয়ার্কি। তোমার সঙ্গে যখন এই রকম ইয়ার্কি করত লোকে তুমি কী রিয়্যাকশন দিতে মনে আছে? পাবলিকের সভ্যতাভদ্রতার অভাব, পার্সোন্যাল স্পেসের মর্ম না বোঝা নিয়ে মুখে ফেনা তুলতে। কান লাল করে চোখ পাকিয়ে হাত পা ছুঁড়তে। কীসের সঙ্গে কীসের তুলনা! সে সব আরবিট লোক খুঁচিয়ে পেটের কথা বার করার জন্য ঘাম ঝরাত। এ তো বাড়ির লোক। আর আমি যে রসিকতা করছি, সিরিয়াসলি বলছি না, সবাই বুঝতে পারছে। বাবাইশুদ্ধু। স্মাইলি দিল দেখলে না? নর্ম্যাল স্মাইলি না, যেটা স্মিত নাকি বেঁকা শিওর হওয়া যায় না, যে রকমটা তুমি দাও সর্বক্ষণ। হাসির চোটে চোখ দিয়ে ফোয়ারার মতো জল ছেটার স্মাইলি দিয়েছে। জেনুইন স্মাইলি। ঘণ্টা জেনুইন। আমি শিওর ওর জঘন্য লাগছে। গাদাগুচ্ছের আত্মীয়স্বজন কানের কাছে বিয়ে বিয়ে করে চেঁচানোতে ভালো লাগার কী আছে? স্মাইলিটা স্রেফ ভদ্রতা। ভ্যাট, ভাই আবার দিদির সঙ্গে ভদ্র

প্রাইড প্রসঙ্গে

গ্র্যান্টের অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছি কি না-র উত্তরে না-সূচক মাথা নাড়াতে তিনি তাকিয়ে রইলেন। কৈফিয়ত চাননি, তবু দিলাম। আমি নার্ভাস তাই নীরবতা সর্বদা আমিই ভঙ্গ করি। গত বছর রিজেক্ট করেছিল। বারদুয়েক মুখ হাঁ বন্ধের ফলস স্টার্ট পেরিয়ে তিনি সমর্থ হলেন। কুন্তলা, ইফ ইউ হ্যাভ প্রাইড দিস কেরিয়ার ইজ নট ফর ইউ। শুধু দিস কেরিয়ারের ক্ষেত্রেই নয়, দ্যাট হবির ক্ষেত্রেও অনেকে এই নিদান দিয়েছ আগেও। প্রাইডই নাকি আমার উন্নতির পথের একমাত্র কাঁটা। যে কথাটা বুঝিয়ে পারি না, যেটাকে তারা আমার প্রাইড বলে ভুল করছে সেটা আসলে উদ্যোগহীনতা। রবার্ট ব্রুসের মাকড়সা একবারের চেষ্টায় না হলে একশোবার চেষ্টা করে জাল বোনে, দশরথ মাঝির প্রিয়জনের পথে পাহাড় এসে দাঁড়ালে তিনি পাহাড় খুঁড়ে রাস্তা বার করেন, আমাকে রিজেক্ট করলে আমি ও পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি। আর এ পাশ ফিরি না। লোকে ভাবে প্রাউড বুঝি। প্রাউড হলেও অসুবিধে হত না। যারা রিপুর লিস্টি বানিয়েছিলেন তাঁরা নেহাত ভুলবশতঃ দর্পকে জায়গা দেননি এবং পরে সারাজীবন হাত কামড়েছিলেন তেমন তো মনে হয় না। খেয়াল করে দেখেছি, কোনও লোক কোনও একটা কাজে ভালো হলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই কাজটার প্র

একজন গোয়েন্দা, পাঁচটি বই

Image
বই পড়া যে একদম হচ্ছে না তা নয়, সে বইগুলো নিয়ে অবান্তরে পোস্ট লিখতেও ভালো লাগবে না তাও নয় কিন্তু পড়ার সময় কমিয়ে পড়া নিয়ে লেখার ব্যাপারটা আজকাল অদ্ভুত ঠেকে। পড়ার সময় কমিয়ে যখন সুমনের গানের গল্প করি, বা দুপুরে ঘুমের গল্প বা নিজেকে আইসক্রিম খেতে নিয়ে যাওয়ার, তখন কিন্তু অদ্ভুত লাগে না। সেই অদ্ভুতলাগা কাটিয়ে উঠে কয়েকটা বইয়ের কথা বলব আজ। আগের বছর আর এ বছরের পড়া মিলিয়ে মিশিয়ে মনে রাখা কয়েকটা বই। আমার পড়া একজন নতুন গোয়েন্দার কথাও বলব। ইন ফ্যাক্ট, তাঁর কথা দিয়েই শুরু করব। The Widows of Malabar Hill (2018); The Satapur Moonstone (2019)/ Sujata Massey গবেষণা করে লেখা গল্পে গবেষণার ছাপ রয়ে গেলে আপনি ইম্প্রেসড হন, না, না রয়ে গেলে? লেখায় গবেষণার ছাপ পেলে ইম্প্রেসড হওয়া মানুষের সংখ্যাটা কম নয়। ঐতিহাসিক রচনাপ্রেমীরা অনেকেই সেই গোত্রে পড়বেন। অর্চিষ্মান যেমন। ও বলে, যে মুহূর্তে তুমি খুনখারাপিটা উনিশশো কুড়িতে শুরুর দিকে নিয়ে ফেলছ, সে সময়ের লোকজন, সাজপোশাক ইত্যাদি দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছ, সেই মুহূর্তে তুমি আমার মনোযোগ আকর্ষণ করে ফেলছ। অর্চিষ্মান আগ্রহ প্রকাশ করেছে উনিশশো কুড়ির বম্বের প্রেক্ষাপটে