কথোপকথন/ বিষয়ঃ হিপোক্রিসি এবং বিয়ের ভিডিও


বাই দ্য ওয়ে, তোমার হিপোক্রিসি দেখে আমি রোমাঞ্চিত।

কীসের হিপোক্রিসি? কোথায় দেখলে?

ওই যে হোয়াটসঅ্যাপের ফ্যামিলি গ্রুপে বাবাইকে, "কবে বিয়ে করবি, কবে বিয়ে করবি" বলে উত্যক্ত করছিলে। আবার একা করে শান্তি নেই, লোকজনকেও তাতাচ্ছিলে।

হাহা, ওটা তো ইয়ার্কি।

তোমার সঙ্গে যখন এই রকম ইয়ার্কি করত লোকে তুমি কী রিয়্যাকশন দিতে মনে আছে? পাবলিকের সভ্যতাভদ্রতার অভাব, পার্সোন্যাল স্পেসের মর্ম না বোঝা নিয়ে মুখে ফেনা তুলতে। কান লাল করে চোখ পাকিয়ে হাত পা ছুঁড়তে।

কীসের সঙ্গে কীসের তুলনা! সে সব আরবিট লোক খুঁচিয়ে পেটের কথা বার করার জন্য ঘাম ঝরাত। এ তো বাড়ির লোক। আর আমি যে রসিকতা করছি, সিরিয়াসলি বলছি না, সবাই বুঝতে পারছে। বাবাইশুদ্ধু। স্মাইলি দিল দেখলে না? নর্ম্যাল স্মাইলি না, যেটা স্মিত নাকি বেঁকা শিওর হওয়া যায় না, যে রকমটা তুমি দাও সর্বক্ষণ। হাসির চোটে চোখ দিয়ে ফোয়ারার মতো জল ছেটার স্মাইলি দিয়েছে। জেনুইন স্মাইলি।

ঘণ্টা জেনুইন। আমি শিওর ওর জঘন্য লাগছে। গাদাগুচ্ছের আত্মীয়স্বজন কানের কাছে বিয়ে বিয়ে করে চেঁচানোতে ভালো লাগার কী আছে? স্মাইলিটা স্রেফ ভদ্রতা।

ভ্যাট, ভাই আবার দিদির সঙ্গে ভদ্রতা করবে কী? অবশ্য ও আমার ভাই না, বোনপো। দিদিমা আর দিদিমার বড়মেয়ে সেই যে বছরখানেকের আগেপিছে সন্তানের জন্ম দিয়ে হোল ফ্যামিলির বয়স আর সম্পর্কের হিসেব গোলমাল করে দিলেন, সে গোলমাল আর ঠিক হওয়ার আশা দেখা যাচ্ছে না। উল্টে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। পঁয়ত্রিশ বছরের ছোট বোনের মুখেভাত খেতে যাচ্ছে লোকে,  দু'বছরের ছোট মামাকে ভাগ্নির প্রণাম করার উচিতঅনুচিত নিয়ে বিজয়ার নিমকি খেতে খেতে মামণি আর সুমন বছরবছর লড়ে যাচ্ছে।

মামণি কে?

আট বছরে অন্তত আটশো বার বুঝিয়েছি। বকুদির মেয়ে, বড়মাসির নাতনি। টেকনিক্যালি আমার বোনঝি কিন্তু আমার থেকে মোটে দু'বছরের ছোট।

ওওও, ওই যে মহিলা তোমাকে মাসি বলে ডাকেন?

ওর ছেলের আমি দিদা। তুমি দাদু ইন ল। ছেলের তিন বছর হয়ে গেল, এখনও চোখে দেখিনি। দেখা হলে সোনাদিদা বলে ডাকবে। আই ডোন্ট মাইন্ড। সোনা শব্দটার সঙ্গে দিদি, মাসি, পিসি সবের থেকে দিদা সাফিক্সটা বেটার মানায়, তাই না? তোমাকে দাদু বলে ডাকলে হ্যান্ডেল করতে পারবে কিনা ভেবে দেখো।

দাদুটাদু ক্যান্সেল। যতসব ব্যাকডেটেড ব্যাপারস্যাপার। ফার্স্ট নেম বেসিসে ডাকতে শেখানো হবে। তুমি স্রেফ সোনা, আমি জাস্ট জিষ্ণু বা অর্চিষ্মান। যেটা জিভে ম্যানেজ করতে পারবে।

এটা ভালো আইডিয়া। মামণি অন্য জেনারেশন হলেও চিরকাল আমাদের গ্যাং-এর মেম্বার ছিল। আমাদের সঙ্গেই খেলাধুলো, হুল্লোড় করত। পার্থদার বিয়ের হুল্লোড় এখনও আমাদের সবার মনে আছে। ল্যান্ডমার্ক বিয়ে। কী মজা হয়েছিল বাবারে বাবা। চোদ্দ থেকে একুশের আমাদের গ্যাং, দাপিয়ে বেড়িয়েছিল।

আমাদের বাড়িতে তিলকমামার বিয়েটা ওইরকম ছিল। যেখানে যত আত্মীয় ছিল সবাই এসেছিল। মেঝেতে বিছানা করে শোওয়াটোওয়া।

আচ্ছা, অনুষ্ঠানবাড়ির আনন্দের মধ্যে কমিউন্যাল বিছানার আইডিয়াটা রোম্যানটিসাইজড কেন বল দেখি? এখন বলে কি না জানি না, কিন্তু আমাদের ছোটবেলাতে কিছু একটা গ্যাদারিং-এর উপক্রম হলে, যখন ডেট পর্যন্ত ঠিক হয়নি, কাকে কাকে বলা হবে, কে কে এসে উঠতে পারবে সব বিশ বাঁও জলে, তখনই কেউ না কেউ হাত ঘুরিয়ে বলে উঠতই উঠত, এই তো এই ঘরে চৌকি বার করে দিয়ে ঢালাও বিছানা করে শোওয়া হবে। কোনও অসুবিধে হবে না।

এবং সমস্ত রোম্যানটিসাইজড ব্যাপারের মতোই বাস্তবে ঝামেলার। একজন না একজন থাকবেই যে নাক ডাকবে। তাছাড়া মাটিতে পাতলা তোশকের ওপর শোওয়াতে অত আহ্লাদের কী আছে কে জানে। গরমকালের বিয়ে হলে তবু একরকম। শীতকালে ঠাণ্ডাফান্ডা লেগে একাকার।

তাছাড়া ঘুমোনোর থেকে ঢের বেশি আনন্দ তো জেগে থাকায়। পার্থদার বিয়েতে তিনচাররাত লোকজন মেরেকেটে তিনচার ঘণ্টা করে ঘুমিয়েছিল। অত হাসলে ঘুমোবে কখন? অথচ এনার্জিতে বিন্দুমাত্র টান পড়েনি। বিয়ের আগের রাতে তো টোটাল নির্ঘুম। বৃষ্টি নেমেছিল জোর মনে আছে। ঝমঝম বৃষ্টি, পাড়াশুদ্ধু অন্ধকার, খালি মাসির বাড়িতে আলো, সবাই সামনের ঘরে ছড়িয়ে বসে তত্ত্ব সাজাচ্ছে।

বেনারসী ভাঁজ করে ময়ূর বানিয়েছিলে?

মামিমাসিরা বানিয়েছিল। আমরা তখন অত গুরুত্বপূর্ণ রোল পেতাম না। আমাদের দায়িত্ব ছিল যতরাজ্যের ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট পূর্বপুরুষ এবং নারীদের ছবিতে মালা পরানোর। খাটে উঠে, এক পা গ্রিলের খাঁজে রেখে এক হাত দিয়ে গ্রিল আঁকড়ে অন্য হাতে কাজ সারতে হবে। লাইফ রিস্কিং টাস্ক। গাঁটে গাঁটে বাতের অনসেট হলে ও কাজটা আর করা যায় না, কাজেই আমরা ভরসা। আমার স্পেশাল দায়িত্ব ছিল প্রদীপে তেল ঢালার। বিয়েবাড়িতে একটা সার্টেন টাইম ধরে একটা প্রদীপ কন্সট্যান্টলি জ্বালিয়ে রাখতে হয় নাকি। নিভলেই অমঙ্গল। আমি তখনও এমন কালাপাহাড় হয়ে উঠিনি, অ্যালার্ম দিয়ে শুতে গিয়েছিলাম যাতে মাঝরাতে উঠে তেল ঢালতে পারি। হাসছো কী? সিরিয়াসলি। অবশ্য অ্যালার্ম কাজে লাগেনি। ঘুমই আসেনি। এক-দু ঘণ্টা চোখ লেগেছিল হয়তো তারপরই হট্টগোল শুনে দেখি ভোরের আলো ফুটেছে কি ফোটেনি, সব কোমর বাঁধছে জল সইতে যাবে বলে। আমরাও গেলাম পেছন পেছন। সে আরেক তামাশা। পাড়ার পুকুরে বাঁধানো ঘাট নেই। বৃষ্টি হয়ে পাড় কাদা। এ জল ভরতে গিয়ে হড়কে নেমে যাচ্ছে, ও আঁচল ধরে টেনে রাখার চেষ্টা করছে কিন্তু হাসির চোটে চেষ্টা এফেক্টিভ হচ্ছে না। আমরা একে অপরকে ঠেলে পুকুরে ফেলার চেষ্টা করছি, সে এক দৃশ্য।

এই বিয়েবাড়িগুলো একদিক থেকে প্রকৃত ফ্যামিলি গ্রুপ ফোটো, তাই না?

ফোটোর থেকেও বেটার। সচল, সবাক। মগজের হ্যান্ডিক্যামে তোলা ভিডিও। এখনও হাসির আওয়াজ কানে আসছে। পায়ের আঙুলে পুকুরের জলের ঠাণ্ডা টের পাচ্ছি। ওই দৃশ্যে যারা যারা ছিল সকলেই পাচ্ছে।

আনলাইকলি। যে ঠেলা মারছে আর যে পুকুরে পড়ছে, দুজনের স্মৃতি ডিস্টিংক্টলি আলাদা হওয়ার সম্ভাবনা হাই। এই যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মেম্বারদের স্মৃতি, যেখানে একজন বিরক্ত করে মারছে আরেকজন বিরক্তের একশেষ হচ্ছে, এক হবে দাবি করছ?

আহা, সে তো অল্পবিস্তর আলাদা হবেই। যে চোদ্দ সে একরকম দেখবে, যে একুশ সে আরেকরকম। যে বৌদিকে নামাচ্ছে গাড়ি থেকে, যে দাদার টোপর কোলে নিয়ে বসেছে, লেডিকেনির ট্রে-র রস চুঁইয়ে যার মায়ের মহার্ঘ শাড়ি চিরকালের জন্য মাটি হচ্ছে -  প্রত্যেকের মাথায় আলাদা আলাদা ভিডিও। আলাদা পি ও ভি, আলাদা লেন্স। যে বেচারাকে নিয়ে রসিকতা করা হচ্ছে আর যারা রসিকতা করছে তাদের স্মৃতিতে রসের পরিমাণও আলাদা আলাদা। কিন্তু সব মিলিয়ে ছবিগুলো গেঁথে আছে সবার মগজেই; আমি জাস্ট সেটুকুই বলছি।

তা ঠিক, এই সব জমায়েতগুলোতের অতিরিক্ত রসিকতার বাতাবরণ একটা না একটা মনকষাকষিরও সৃষ্টি করে। তুমি যা শুরু করেছ, গ্রুপেও করল বলে। সাবধান।

মানছি, কিন্তু সে সব মনকষাকষি মেটানোরও লোক থাকে। ধর যদি বাবাই সত্যি সত্যি চটেই যায় আমার ওপর, আমি শিওর চটবে না কারণ বাবাই প্রাপ্তবয়স্ক এবং আমার চেনা কিছু লোকের মতো প্যাঁচালো নয়, কেউ না কেউ থাকবে যে প্রাইভেট মেসেজে ডেকে নিয়ে সান্ত্বনা দেবে। বলবে, সোনাদিদির তো ওইরকমই কাণ্ডকারখানা, জানিসই তো, নতুন তো কিছু নয়। মেনে নে, কী আর করবি। বিয়েবাড়িতেও নিন্দেমন্দ কম হয় নাকি? কিন্তু পরের বিয়েতে আবার সবাই হামলে পড়ে যায়ও। কেউই চিরজীবনের মতো আড়ি করে বসে থাকে না। ফ্যামিলির এটাই সুবিধে। বা অসুবিধে। গিলতেও কষ্ট, ফেলাও অসম্ভব।

আমার মতে সুবিধেটাই বেশি। এই যে কিচ্ছুটি-না-মেলা না লোকদের সারাজীবন সওয়া এবং অল্পবিস্তর ভালোবাসতেও বাধ্য হওয়া, এটা একটা দামি শিক্ষা। বিশেষ করে তোমার মতো হয় সাদা নয় কালো, হয় সুমেরু নয় কুমেরু পাবলিকদের ক্ষেত্রে।

কেন বল দেখি? সম্পর্কগুলো জলের থেকে গাঢ় কিছু দিয়ে সাঁটা বলে?

ইসস্‌, কী জঘন্য ক্লিশে।

সরি। নট ওনলি ক্লিশে, অলসো আগাপাশতলা রং। বড়মাসি মেসো, মামণির দিদিমা দাদু, বুঝেছ তো? মায়ের বড়দিদি আর জামাইবাবু। তাঁদের যখন বিয়ে হয় মায়ের বুলি ফোটেনি। জামাইবাবুকে মা চিনেছিল বাড়িতে ক্বচিৎকদাচিৎ আসা অতিথি হিসেবে। সেই অতিথিদের জন্য মা বছর আঠেরো বয়সে মাংস রেঁধেছিল, কইপুকুরের রান্নাঘরে। জীবনের প্রথম মাংস, স্বর্গের মতো সম্ভবতঃ হয়নি। কিন্তু জামাইবাবু, অর্থাৎ বড়মেসো, নাকি খেয়ে বলেছিলেন, "চল মণি, দোকান দিই। তুই মাংস রান্ধবি, আমি পরোটা ভাজুম।" মা তো জীবনে তারপর কত মাংস রেঁধেছিল, সত্যিমিথ্যে কত প্রশংসা পেয়েছিল, কিন্তু ওই প্রশংসাটা, যেটা সম্ভবতঃ অতিশয়োক্তি মা নিজেও জানত, রোমন্থন করার সময় ষাট বছর বয়সেও মায়ের মুখে হাসি ফুটত। রক্ত ম্যাটার করে না।

এক্স্যাক্টলি। মামাবাড়ির আদর তো আসলে মামির আদর, তাই না?

হান্ড্রেড পার সেন্ট। আমার মামিরা তো বটেই, নাকতলার মিমিও বাই চান্স মামি হয়ে এসেছেন। মা হলেও বিন্দুমাত্র খাপছাড়া দেখাত না।

একদম।

স্যাড হচ্ছে এইসব লোকজন ক্রমশঃ উবে যাচ্ছে। সেই একটা খেলা ছিল মনে আছে, একদল দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে ঘুরছে ঘুরছে ঘুরছে, একজন ছড়া বলছে, 'ঘোর ঘোর ঘোর ঘোর,' বলতে বলতে 'স্ট্যাচু!' বলে যেই না আচমকা চেঁচাবে অমনি সবাইকে যে যেমন অবস্থায় আছে স্ট্যাচু হয়ে যেতে হবে? আমাদের মাথার ভেতরের ভিডিওটাতেও তেমনই ঘটছে। একেক করে বলা নেই কওয়া নেই, চলতে ফিরতে, রসিকতা করতে করতে, হাসতে হাসতে লাফ দিয়ে দেওয়ালে উঠে স্ট্যাচু হয়ে যাচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে খবর পাচ্ছি আরেকটা উইকেট ডাউন। আরেকটা ত্রিপল উড়ে গেল। আরেকটা গাছ পড়ে গেল। ছায়া নেই, খুঁটি নেই, আড়াল দ্রুত সরে সরে গিয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডের ঠিক সামনের সারিতে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা। আমাদের গ্যাং। কী হল, অত মাথা নাড়ার কী আছে?

তোমার মেলোড্রামার ক্ষমতা যে-ই দেখবে মাথা নাড়তে বাধ্য। নতুন লোকেরাও তো আসছে। সেদিন ভিডিও চ্যাটে তিনতিনটে কাচ্চাবাচ্চাকে দেখা গেল তো।

তা গেল। কিন্তু আমাদের মাসিপিসিদিদারা আমাদের ভিডিও চ্যাটে দেখলে কেমন হত? সে রকম দেখায় কি ভালোবাসা তৈরি হয়? যে ভালোবাসা দিয়ে কিচ্ছুটি-না-মেলা পাবলিকদের সহ্য করার শক্তি তৈরি হয়?

হবে হবে। অত তাড়ার কিছু নেই। বাবাইয়ের বিয়েতেই তো হবে।

সেই জন্যই তো তাড়া দিচ্ছি। সবাই একসঙ্গে হব, গলা ছেড়ে চেঁচামেচি করব, ফটাস্‌ করে অস্বস্তিজনক ফোড়ন কেটে ফেলে সরি বলব। সবথেকে বড় কথা, পুঁচকেগুলোর মাথায় একটা ভিডিও গেঁথে দিয়ে যাব, যাতে ওরা যখন জানালায় চড়ে আমার গলায় মালা দেবে বা ওদের পুঁচকেদের জানালায় চড়িয়ে আমার গলায় মালা দিতে বাধ্য করবে, স্রেফ আউট অফ ফোকাস, এনলার্জড পিক্সেলেটেড সোনা হয়ে থেকে যাব না। একফোঁটা গলার শব্দ, এককুচি অট্টহাসির আওয়াজ যেন কোথাও থেকে ভেসে আসে।

আবার মেলোড্রামা? আচ্ছা বাবাইয়ের বিয়েতেও কি ওই ক্যাটারারই হবে, যেটা ওই সাইডের সব বাড়িতে হয়?

অফ কোর্স। বিয়ে, শ্রাদ্ধ, মুখেভাত, নো এক্সেপশন। জন্মে থেকে খেয়ে আসছি। কেন বল তো?

ওদের মেনুতে একটা আমের কুলফি থাকে যেটা হেবি ভালো। বারদুয়েক খেয়েছি। অবিস্মরণীয়।

ওটা গ্রীষ্মকালের স্পেশালিটি। শীতের অকেশনে আমের কুলফির বদলে নলেনগুড়ের একটা কাঁচাগোল্লা বানায়, আমার যেটা আরও ভালো লাগে।

ধুস, কোথায় কুলফি কোথায় কাঁচাগোল্লা। তোমার মিষ্টির টেস্ট অতি বাজে। শোনো না, নেক্সট যখন গ্রুপে বাবাইকে বিয়ে নিয়ে উত্যক্ত করবে, বোলো যে যখনই বিয়ে করুক - এ বছর, নেক্সট বছর ডাজন'ট ম্যাটার - যেন গরমকালে করে। আমি বলেছি বোলো না আবার, ওকে? 

Comments

  1. হা হা হা।

    অন্য স্বাদের, অন্য আনন্দের লেখা। খুব আনন্দ পেলাম।

    বাবাই পড়ে কি ভাববে সেটা ভেবে মনে মনে খুব হাসলাম। বুদ্ধি বলছে বাবাই বলে হয়তো সত্যিই কেউ নেই, কিন্তু একই পরিস্থিতিতে আমার বউয়ের বোনপো আছে, তাকে ভেবে নিয়ে খুব হাসলাম। এক whatsapp গ্রুপ, একইরকম পার্সোনাল স্পেস ইনভেশন এর আলোচনা, এবং বউকে হিপোক্রিট বলা আমাদের বাড়িতেও হয়েছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, চন্দ্রচূড়। আমার সেই বিশ্বাসই ছিল লেখার পেছনে যে এই কথোপকথন নিশ্চয় অনেকের বাড়িতেই ঘটছে। মিলে গেল দেখে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  2. baah... daaarun laaglo lekhata.. amar jibone erokom extended family chilo na kokhono.. khub miss kori eta..

    bhalo thakben.. khuuuub sabdhane thakun.. delhir obostha bhalo na shunchi.. ekhaneo same..

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস, এই ব্যাপারটায় আপনাকে হিংসে করছি না, ইন্দ্রাণী। এই নিজের বাড়িতে না থাকা আত্মীয়স্বজনের মজাই আলাদা। গা জ্বালানি, মন ভোলানি।

      কী যে হবে কে জানে। কলিযুগ শেষ হচ্ছে সম্ভবতঃ। যা চলছে সে তো আগের বছরের থেকেও সাংঘাতিক!

      Delete
  3. এসব সুদূর স্মৃতি হয়ে গেছে। আর যেসব ব্যাপার চলছে দেশে, আবার কবে এসব দেখতে পাব, বা আদৌ পাব কিনা বুজতে পারছিনা। ধ্যুৎ, কিচ্ছু ভাল লাগছেনা। তবে আপনার লেখাটা ভাল লাগল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমরাও হাল ছেড়ে দিয়ে অবশেষে গুগল মিটে দেখাসাক্ষাৎ শুরু করেছি, সুগত। এ ফাঁড়া কাটলে হয় আদৌ।

      Delete
  4. Lekhata khub bhalo laglo Kuntala.
    obhinobo othocho sorbojonograjhyo.
    ekhonkar quarintine jibone ek glass thanda joler moto.
    Amar biyer ullekhe ektu godogodo o holam boiki !

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, থ্যাংক ইউ, তিলকমামা। তোমার বিয়ে যাকে বলে সেন পরিবারের স্মৃতিসমুদ্রে উজ্জ্বল দ্বীপ হয়ে রয়েছে। কত গল্প যে শুনেছি। এখনও বিয়েসংক্রান্ত প্রসঙ্গ উঠলেই তিন্নি অর্চিষ্মান, এমনকি মা বাবাও, তোমার আর সুমিতামামির বিয়ের কথা বলে। সব্বাই এসেছিল, ভয়ানক মজা হয়েছিল। আমারই মিস :(

      Delete
    2. amaro miss. karon ami hotobhagyo bor chhilam. nanarokom niyomer berajale ha ha hi hi korar sujog i paini. ekhono afsosh hoi bhable !!

      Delete
    3. একদম। নিজের বিয়ের ওইটাই ওয়ার্স্ট পার্ট। আমি তো কী খেয়েছিলাম তাও মনে করতে পারি না, কোনও বাড়িতেই। অথচ মেনুতে দারুণ দারুণ সব আইটেম লেখা ছিল। যত্তসব।

      Delete

Post a Comment