মশাদের বুদ্ধি
মানুষের যেরকম ধাপে ধাপে লাফে লাফে অগ্রগতি হচ্ছে, বাকি পশুপাখিদেরও সেরকম হচ্ছে কি না, না হলে কেন হচ্ছে না, এসব নিয়ে কৌতূহল আমার অনেক দিনের। আপাতদৃষ্টিতে দেখে তো মনে হয় ওঁরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেছেন। হ্যাঁ, হয়তো সাইজে আরেকটু বড় ছিলেন, কিংবা গায়ে লোম একটু বেশি ছিল, কিন্তু সে সব গৌণ বদল। আমি সে সব বদলের কথা বলছি না। সে রকম বদল তো আমাদেরও হয়েছে, কাঁধ সোজা হয়েছে, চোয়াল ঢুকে গেছে - আমি বলছি বড় বড় পরিবর্তনের কথা। আমাদের ইতিহাস বইতে যেমন আগুন জ্বালাতে শেখা, চাকা আবিষ্কার, কৃষিকর্ম ইত্যাদি চ্যাপ্টার আছে, বাঘসিংহের বইতেও কি আছে সেরকম? মনে তো হয় না। কেন নেই? নিজেদের বুদ্ধিতে না কুলোক, ওঁদের নাকের ডগায় যখন আমরা আগুন জ্বালাতে শিখলাম, তখন আমাদের টুকে ওঁরা শিখলেন না কেন, এইটা আমার আরও অদ্ভুত, আরও অবিশ্বাস্য লাগে। (এত অবিশ্বাস্য যে মাঝে মাঝে মনে হয়, হয়তো ওঁরা জানেন সবই, আমরা জানতে পারছি না। এখনও তো সব বন কেটে সাফ করতে পারিনি, হয়তো সেই বনের মধ্যে বাঘেদের অফিস আছে, অফিসে ওয়াইফাই, হয়তো আমাদের থেকে বহুগুণ দ্রুততর, বাফারিং বলে কোনও বস্তু নেই, ডাউনলোড হয় চক্ষের নিমেষে। অবশ্য বাঘেদের অগ্রগতি আমাদে