বাংলা বই + 'অপার্থিব'
আমার বই পড়া চোট খেয়েছে। সিরিয়াস চোট। খানিকটা আমার দোষে, খানিকটা অফিসের দোষে, খানিকটা লেখার দোষে। লেখা বাড়লে পড়া কমে যায়। লিখছি বলে পড়তে পারছি না, এটা ফাংশানে বেশি গাইছি বলে রেওয়াজ কম হচ্ছে, বা বেশি বেশি খাচ্ছি বলে রাঁধার সময় পাচ্ছি না গোত্রের আয়রনি, কিন্তু এটাই সত্যি।
খানিকটা দোষ বইয়েরও। গত ক’মাসে এমন একটাও বইয়ের দেখা পাইনি যা একেবারে আমাকে কপ করে গিলে ফেলেছে। একেবারে যে পড়িনি তা নয়, দুটো অতি বিখ্যাত/ ক্রিটিক্যালি অ্যাক্লেইমড গোয়েন্দা গল্প পড়েছি, পড়ে মনে হয়েছে, “এই?”,সেই নিয়ে ঘটা করে রিভিউ লিখতে ভালো লাগে না।
বই অর্ধেক, দুই তৃতীয়াংশ, তিন চতুর্থাংশ এমনকি নয়ের দশ ভাগ পড়ে ফেলে রাখার প্রবণতা বেড়েছে। অতখানি পড়েছি যখন বাকিটা না পড়ার কোনও কারণ নেই, তবু।
আমার ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে চলা পড়ার গাড়ি একেবারে থেমে না যাওয়ার কৃতিত্ব একমাত্র বাংলা বইয়ের। ক্রমাগত নতুন নতুন বাংলা বই বেরোচ্ছে, কিনছি এবং পড়ছি। সেগুলোর রিভিউ করছি না কেন? তার একটা কারণ ভালো লাগা না লাগা তো বটেই, এ ছাড়া আরও একটা কারণ আছে, যেটা বলার আগে খানিকটা গৌরচন্দ্রিকার প্রয়োজন।
একটা অভিযোগ ওড়ে বাজারে যে আজকাল যত লোকে পড়ে, লেখে তার থেকে বেশি লোক। আমি একমত। আমি নিজেও সেই সব লেখকের দলেই পড়ি। কিন্তু আমার আজকাল আরও একটা জিনিস মনে হচ্ছে, আজকাল যত লোকে লেখে, তার থেকেও বেশি লোকে বই ছাপে। এতেও আমার উল্লাসেরই কারণ, কারণ যত বেশি লোক বই ছাপতে নামবে, আমার মতো হাফ-লেখকদের বই ছাপা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে তত বেশি। কাজেই আমি এই ট্রেন্ডকে দুই হাতে স্বাগত জানাই। লেখক বাড়ুক, প্রকাশক বাড়ুক, ইন্ডাস্ট্রি ফুলেফেঁপে উঠুক। বাংলা বইয়ের পাঠক, হাফ-লেখক এবং কোনও একদিন পুরো লেখক হয়ে ওঠার সুপ্ত আশা মনে পুষে, আমি এটাই চাই।
কিন্তু লেখকের লেখা আর প্রকাশকের ছাপানো, দুইয়ের মধ্যে আরও অনেকগুলো ধাপ থাকে। আরও অনেকের উপস্থিতি লাগে। ভালো ছবি আঁকিয়ে লাগে, ভালো মুদ্রক, ভালো বিজ্ঞাপক, ভালো সমালোচক, সকলেই অপরিহার্য। বাকিদের কথা আমি বলতে পারব না, কিন্তু এঁদের মধ্যে একজনের অভাব ইদানীং আমার বড় বেশি চোখে পড়ছে।
তিনি হচ্ছেন এডিটর। সম্পাদক লিখলাম না ইচ্ছে করেই, কারণ সম্পাদক বললেই হয় সাগরময় নয় বারিদবরণ ঘোষের কথা মনে পড়ে, যাঁরা গল্প ঝেড়ে বেছে একজায়গায় করেন।
আমি বলছি গল্প-সারাই-করা সম্পাদকের কথা। পশ্চিমের বইয়ের পুঁজিবাদী বাজারে এঁদের ভূমিকা সাংঘাতিক। লেখকের প্লটের কাঠামোর ফাঁকফোকর সারাই করা, গল্পের ‘ভয়েস’ সংক্রান্ত মতামতজ্ঞাপন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা তো এঁরা করেনই, বাক্যগঠন, বানান ইত্যাদি সর্দিকাশির ওষুধও দেন। এখন এই সব বড়সড় উপসর্গের চিকিৎসা অনেকক্ষেত্রেই সাবজেকটিভ, কাজেই সে সব নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকতে পারে, কিন্তু বানান এবং সাধারণ ব্যাকরণের ভুল না থাকলেই ভালো।
সম্প্রতি কিছু বাংলা বই পড়তে গিয়ে ক্রমাগত হোঁচট খেলাম। লাখ লাখ ভুল। বানান ভুল বলতে আমি ‘রাণী না রানি’ এই ধরণের ঝামেলার কথা বলছি না, আমি বলছি ‘এনার’ ‘ওনার’ ‘মৌনতা’ ‘সখ্যতা’ ‘নিরবিচ্ছিন্ন’ ‘জোরজবস্তি’ ‘উনস্বর’ স্তরের ভুলের কথা, যেগুলো আমার মতো অগার চোখেও বেঁধে।
এবং লেখকের জন্য মায়ায় বুক ভাঙে। একটা রীতিমত খেটে লেখা বই, দারুণ কনসেপ্ট, দারুণ প্লট, ভাষার দারুণ বাঁধুনি সত্ত্বেও পাতায় পাতায় যদি এই রকম ছেলেমানুষি ভুল থেকে যায়, তাহলে একটা বিশ্রী তেতো স্বাদে মুখ ভরে যায় না কি? দোষ লেখকের নয়, সবাইকে বামনদেব গুলে খেয়ে লিখতে নামতে হবে এমন দাবি কেউ করছে না। যিনি রাত জেগে প্রুফ দেখে সকালে অফিস গেছেন দোষ সেই প্রকাশকেরও নয়। কারণ তাঁর ওটা কাজ নয়। দোষ যদি কারও থেকে থাকে তবে সেটা অনুপস্থিত এডিটরের।
কেন এডিটর নেই সে প্রশ্নের উত্তর আন্দাজ করা সোজা। টাকা নেই। তাই যোগ্য এডিটরও নেই। এটা অজুহাত নয়। আমি দিল্লি বইমেলার শেষদিনে একজনের বই কিনতে গিয়ে শুনলাম তিনি বেস্ট সেলার। গোটা মেলায় তাঁর বই বিক্রি হয়েছে তে-এ-রো-ও কপি।
যাঁরা বাংলা বই পড়তে ভালোবাসেন, তাঁরা যদি কোমর বেঁধে এগিয়ে আসেন তবে কিছু হলে হতে পারে, না হলে এইরকমই চলবে। কাজেই আমার আপনাদের কাছে অনুরোধ, বাংলা বই কিনুন। এত সস্তা যে মনেও থাকবে না ওই টাকাটা খরচ করেছেন। রেকোমেন্ডেশন হিসেবে আমি এক্ষুনি একটা বইয়ের কথা বলতে পারি।
অপার্থিব, অনিন্দ্য সেনগুপ্তের লেখা কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস। দু’হাজার পঁয়ষট্টি সাল, আমাদের পৃথিবীর বেশিরভাগটাই আটটি প্রতিদ্বন্দ্বী কর্পোরেশনের দখলে। এই সময় পৃথিবী থেকে ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে প্রক্সিমা সেন্টরি তারকামণ্ডলের করোনা গ্রহে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায়, একদল বৈজ্ঞানিককে সেখানে পাঠানো হয় এবং সেখানে পৌঁছে তাঁরা ধীরে ধীরে সকলেই জরদ্গবে পরিণত হতে থাকেন। এই সময় এন্ট্রি নেন আমাদের অ্যান্টিহিরো দারিয়াস মজুমদার, পেশায় হ্যাকার, কর্পোরেশনের কাছে থ্রেট, এবং যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত। তিনি করোনা রহস্য সমাধান করতে পারবেন কি না, সেই নিয়েই অনিন্দ্য সেনগুপ্তের উপন্যাস ‘অপার্থিব’।
বইয়ের শুরুতেই সতর্কতাবাণী দেওয়া আছে, এ বই “ছেলেভুলানো অ্যাডভেঞ্চার নয়।” মিথ্যে বলব না, ভয় পেয়েছিলাম। পড়তে শুরু করে বুঝলাম সে ভয় অমূলক। অপার্থিব বেবিফুড নয় ঠিকই, কিন্তু যথেষ্ট পাঠযোগ্য। পেটরোগা বাঙালি দিব্যি হজম করতে পারবে। না করার কোনও কারণ নেই।
বাংলা মূলধারার/শারদীয়া সাহিত্যের একটা জঘন্য ব্যাপার হচ্ছে, কল্পবিজ্ঞান, গোয়েন্দা, ভূত ইত্যাদি ঘরানা সাহিত্য সর্বদাই কিশোরদের উপযোগী হয়ে পড়ে। প্রাপ্তবয়স্ক বাঙালিরা খালি অসুখী দাম্পত্যের গল্প পড়েন নয়তো মহাভারতের রিমেক। বড়দের জন্য গোয়েন্দাগল্প দু’চারটে যদি বা দেখা যায়, কল্পবিজ্ঞান আর ভূতের সে চান্স নেই।
অপার্থিব সেই ফাঁকটা ভরাট করার লক্ষ্যে নেমেছে এবং সফল হয়েছে। অপার্থিব বড়দের কল্পবিজ্ঞান গল্প। "অ্যাডাল্ট" বড়দের নয়, তবে গল্পের চলনবলনের মধ্যে ছেলেমানুষি সর্বান্তঃকরণে বর্জনের চেষ্টা হয়েছে। যে কোনও চেষ্টার মতোই, এরও ভালোমন্দ দুইই আছে। ভালো ব্যাপারটা তো আগেই বললাম, গল্পটা বেবিফুড নয়, জলে গুলে খাইয়ে দেওয়া হয়নি, গল্পটার মধ্যে দাঁত ফোটানো যায়। মন্দটা হচ্ছে কখনও কখনও দাঁত ফোটানো যায় না, বিশেষ করে ভাষায়। আমার মত যদি জিজ্ঞাসা করেন, ভালোর পাল্লাটাই বেশি। অনিন্দ্য সেনগুপ্ত খেটে প্লট বানিয়েছেন, চরিত্র ফেঁদেছেন, থিম ঢুকিয়েছেন, ( সে থিম কখনও কখনও, বিশেষ করে শেষদিকে গিয়ে একটু উচ্চকিত হয়ে পড়েছে, কিন্তু সেটুকু ইগনোর করা যায়) মেধা এবং হৃদয় দুইই সম্পূর্ণ ব্যবহার করে গল্প বলেছেন। লেখকের এইটিই প্রথম উপন্যাস, জানলে আরও আশ্চর্য হতে হয়। বইটা দেখতেও বেশ ভালো। অভীক কুমার মৈত্রের প্রচ্ছদ চমৎকার। হার্ডকভার বই, হাতে নিলেই গাম্ভীর্য বোঝা যায়।
অপার্থিব সেই ফাঁকটা ভরাট করার লক্ষ্যে নেমেছে এবং সফল হয়েছে। অপার্থিব বড়দের কল্পবিজ্ঞান গল্প। "অ্যাডাল্ট" বড়দের নয়, তবে গল্পের চলনবলনের মধ্যে ছেলেমানুষি সর্বান্তঃকরণে বর্জনের চেষ্টা হয়েছে। যে কোনও চেষ্টার মতোই, এরও ভালোমন্দ দুইই আছে। ভালো ব্যাপারটা তো আগেই বললাম, গল্পটা বেবিফুড নয়, জলে গুলে খাইয়ে দেওয়া হয়নি, গল্পটার মধ্যে দাঁত ফোটানো যায়। মন্দটা হচ্ছে কখনও কখনও দাঁত ফোটানো যায় না, বিশেষ করে ভাষায়। আমার মত যদি জিজ্ঞাসা করেন, ভালোর পাল্লাটাই বেশি। অনিন্দ্য সেনগুপ্ত খেটে প্লট বানিয়েছেন, চরিত্র ফেঁদেছেন, থিম ঢুকিয়েছেন, ( সে থিম কখনও কখনও, বিশেষ করে শেষদিকে গিয়ে একটু উচ্চকিত হয়ে পড়েছে, কিন্তু সেটুকু ইগনোর করা যায়) মেধা এবং হৃদয় দুইই সম্পূর্ণ ব্যবহার করে গল্প বলেছেন। লেখকের এইটিই প্রথম উপন্যাস, জানলে আরও আশ্চর্য হতে হয়। বইটা দেখতেও বেশ ভালো। অভীক কুমার মৈত্রের প্রচ্ছদ চমৎকার। হার্ডকভার বই, হাতে নিলেই গাম্ভীর্য বোঝা যায়।
কল্পবিজ্ঞানে উৎসাহ থাকলে, বা আমার মতো না থাকলেও, অপার্থিব পড়ে দেখতে পারেন। কারণ ফাইন্যালি তো ভালো গল্প নিয়ে কথা। অপার্থিব ভালো গল্প।
*****
বাংলা বই পুরো দামে কিনে পড়ার ইচ্ছে না থাকলে তারও উপায় আছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে। শুরু করেছে রোহণ, সৃষ্টিসুখ। বেসিক্যালি, লাইব্রেরি। অনলাইন। ধুলো পড়া মান্ধাতার আমলের বই নয়, ঝকঝকে সাম্প্রতিক বই, আর ইস্যু করে ফেরত দিতে ভুলে যাওয়ার অপরাধবোধের ব্যাপারও নেই। নিরানব্বই টাকা ফেলুন (প্রিপেড), আর সারা মাস ধরে পাঁচটা বই পড়ুন। সে মাসের বইগুলো কী কী সেটা আগে থেকেই জেনে নিতে পারবেন। ইন্টারেস্টিং লাগছে তো? জানতাম। অনেক প্রশ্নও জাগছে নিশ্চয় মনে? এটাও জানতাম। তবে সে সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না, চলে যান সোজা নিচের ঠিকানায়।
সৃষ্টিসুখ ই-লাইব্রেরি
আপনারা সম্প্রতি কোনও ভালোলাগা বাংলা বই পড়েছেন কি? নতুন বা পুরোনো? আমাকে জানান, আমিও পড়ব।
আমি "অপার্থিব"-এর একটি দুর্বল রিভিউ করেছিলাম 'অবসর'-এ। আপনার মূল্যায়ন আমার বক্তব্যের সঙ্গে মিলল দেখে কলার তুললাম।
ReplyDeleteআপনার রিভিউ আমি পড়েছি, ঋজু, মোটেই দুর্বল নয়। মত মেলার জন্য হাই ফাইভ।
Deleteদুটো অতি বিখ্যাত/ ক্রিটিক্যালি অ্যাক্লেইমড গোয়েন্দা গল্প - ki ki? :)
ReplyDeleteOparthibo-r review bhalo laglo, r e-library'r khoj debar jonyo o dhonyobad. :)
amio apatoto bangla boii porchhi. Desh portikar ekta golpo sonkolon. Durdanto kichhu golpo porlam, tobe Desh to, tai naturally kichhu golpo ceiling er opor diye beriye gechhe :D
প্রথমটা Higoshino-র Malice, দ্বিতীয়টা Ruenfeld-এর The Interpretation of Murder, অরিজিত।
Deletedhonnobad Kuntala :)
Deleteserokom 'iye' lageni mone hoy :D
অ্যাকচুয়ালি, একটু বেশি প্রশংসা শুনে পড়তে গিয়েছিলাম, মানে গোয়েন্দাগল্পের দিগন্ত খুলে দিয়েছেন এঁরা গোছের প্রশংসা। সেটাও গোলমাল করেছে।
DeleteEkta proshno korchhi, hoyto bajey kintu apni bolei hesitation ta kom hochhe ...
ReplyDeleteEi j boi kinte bolchhen, store korar to shomoshya ...
Shey khetre Kindle na thakle ki onyo kono upaay e kena jaay?
Proshnota bhishon kharap lagle uttor na o ditey paren, karon Srishtisukh er option ta to roiloi
ও মা, খারাপ লাগবে কেন, অত্যন্ত ন্যায্য প্রশ্ন করেছেন, অনুরাধা। ওরকম যদি থার্ড কোনও অপশন থাকত, আমি নিজেই লাফিয়ে সেটা ব্যবহার করতাম। কিন্তু আমার মনে হয় না, এই টাটকা বইগুলোর ক্ষেত্রে সে রকম কোনও অপশন আছে। থাকলে চমৎকার হত, কিন্তু নেই।
Deleteসৃষ্টিসুখের লাইব্রেরিতে আপাতত শুধু সৃষ্টিসুখের বইই পাওয়া যাচ্ছে যতদূর জানি, অন্য পাবলিশাররা উৎসাহ দেখিয়ে এগিয়ে এলে আরও বেশি বই পড়া যাবে।
1. Elvis o Amalasundori - Samikghosh ( darun kota choto golpo niye toiri
ReplyDelete2 - Nibat Kabaj Abhijan - Debojyoti Bhattacharya (Aranyaman) - fantasy abhijan. eta agei porechi boechi kina mone nei
3. Rater Kolkata - Meghnad gupta - e boita Hemendrakumar Ray choddoname lekhen .
Srishtisukher library ta khub intaresting tobe khali 5ta boi er access thakbe jekono boi er na mane amar pochonder eta ektu chaper
--Pradipta
থ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত, রেকমেন্ডেশনগুলো নিশ্চয় দেখব।
DeleteAparthibo boita nischoi porbo. Apnar jokhon kolpobigyan porar utsaho ache tokhon sahos kore ekta boi er naam kori : The Dispossessed by Ursula Le Guin. Pore dekhun, purono boi, kintu osadharon. Amar pora srestho boi gulor modhye ekta. Ei boitir jonyo Le Guin er nisondhe Nobel Prize pawa uchit chilo, kintu boiti kolpobigyan bole i pai na bole amar biswas.
ReplyDeleteKoek soptaho age Kolkata giyechilum. Charte bhi niye elam Duto Bibhutibhushan er golo somogro, du khonde. Ar duto Narayan Gangopadhaya-er rachanabali r du khondo. Duto i Mitra-Ghosh er. Eto purono ebong bohu-bikrito boi er modhye chapar bhul dekhle apnar kanna paye jabe. Ei boigulo ki ar ektu momota niye prokash kora jeto na ? Amader bangla bhasar durbhagyo je Bibhutibhushan er moto lekhak er lekha ei rokom onadore prokashito hoche. Amar poisa thakle ekta bhalo chapa-khana thake bhalo chapa, thik banan, o bhalo kagoje ei boi prokash kortam.
আপনি অপার্থিব পড়বেন, ঘনাদা, আমিও ডিসপোজেসড পড়ব। আর মমতা নিয়ে প্রকাশ করার ব্যাপারে, আমি শুধু টাকার অভাবের বিষয়টা হাইলাইট করেছি ঠিকই, কারণ অন্য বিষয়গুলো হাইলাইট করলে ঝগড়ার মতো শুনতে লাগে। সেগুলোর কয়েকটা হচ্ছে, আমরা যা জানি সেটা ভুল হতে পারে না, দুই, যা হয়েছে যথেষ্ট হয়েছে, বই ছাপাচ্ছি এই ঢের।
DeleteDebtosh Chattopadhyay er Bindu Bishorgo porechis?
ReplyDeleteChiranjib Ojha er Kolkatar Patale o valo lekha...
ReplyDeleteHaate duekta boi achhe tarpor Aparthibo dhorbo
ReplyDeleteবিন্দু বিসর্গ পড়েছি, শাশ্বত। তবে দেবতোষ দাশের না? কলকাতার পাতালের নাম শোনা ছিল না, সন্ধানে থাকব। অপার্থিবটা পড়ে দেখতে পারিস।
ReplyDeletehya sorry ota Das hobe....Aparthibo suru korbo...
Deletetomar motamot satyi sathik....ami r ekta jinis notice korechhi, ekhon school college student ra English boi besi pore rather than Bangla ones- seta ki tara khobor payna kiki notun boi bhalo ba worth trying? ami bolbona je khub contemporary boi portam oi stage e ami nijeo kintu classics porleo (barir influence) bangla english duii portam almost equally.- Bratati.
ReplyDeleteযে সব বাচ্চারা ইংরিজি বই বেশি পড়ে, তারা কী মাধ্যমের স্কুলে পড়ে সেটা আমার ধারণা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, ব্রততী।
DeleteDada ai boi tar asin no ta aktu deben plz amar grontho somaloconar khettre lagbe plz
ReplyDelete