কী এনেছ?
ইন্টারনেটে ঘুরতে ঘুরতে নানারকম খেলা চোখে পড়ে। চরিত্র বিশ্লেষণ, স্বপ্নবিচার, আপনার পার্টনার আপনাকে ভালোবাসে কি না তার প্রমাণ। বই পড়া সংক্রান্ত খেলাধুলো আমার ফেভারিট। বই পড়া দিয়ে চরিত্র বিচার, চরিত্র দিয়ে বই পড়া বিচার, বইয়ের সঙ্গে লেখক মেলানো, লেখকের সঙ্গে বই ইত্যাদি।
সেদিন এই আর্টিকলটায় পড়লাম এক ভদ্রলোক একখানা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বার করেছেন, যেটাতে কোন লেখক তাঁদের লেখায় কোন শব্দ, শব্দবন্ধ, বাক্য, ক্লিশে সবথেকে বেশি ব্যবহার করেছেন সব বেরিয়ে যাচ্ছে।
কারও কারও সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ কার্যকারণরহিত, যেমন
রে ব্র্যাডবেরি = সিনামন
ভ্লাদিমির নাবোকোভ = মভ
আবার কারও কারও একেবারে দুইয়ে দুইয়ে চার।
ক্রিস্টি = ইনকোয়েস্ট, অ্যালিবাই
টলকিয়েন = এলভ্স, গবলিন, উইজার্ডস
ক্লিশে ব্যবহারে সাধারণত নাক কোঁচকানো হলেও চেনা লেখকরা অনেকেই ক্লিশে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন দেখা গেছে।
জেন অস্টেন = উইথ অল মাই হার্ট
ড্যান ব্রাউন = ফুল সার্কল
রোলিং = ডেড অফ নাইট
সলমান রুশদি = দ্য লাস্ট স্ট্র
বাংলা লেখকদের নিয়ে এরকম একটা কিছু থাকলে মন্দ হত না। কারণ সকলেরই কিছু না কিছু পোষা শব্দ থাকে। লেখায় থাকে, বলায় থাকে। অনেক সময় বহুব্যবহারের চোটে একেকটা লোকের চেহারা, চরিত্রের সঙ্গে একেকটা কথা খুব খাপ খেয়ে যায়, লোকটার কথা মনে পড়লেই ওই শব্দটার কথা মনে পড়ে।
আমার এক বন্ধু বলেছিল, তাঁর বাবা নাকি কথা প্রায় বলতেনই না, নেহাত বলতেই হলে বলতেন, “দেখছি।” যেমন,
"বাবা, সাইকেল কিনে দাও।
-দেখছি।"
"বাবা, দার্জিলিং চল।
"বাবা, সাইকেল কিনে দাও।
-দেখছি।"
"বাবা, দার্জিলিং চল।
-দেখছি।"
ইত্যাদি।
আরেকজনের সঙ্গে আমার আলাপ ছিল, সে খালি কথায় কথায় বলত, “ পরিস্থিতি” অর্থাৎ চারপাশে যা হচ্ছে সবই পরিস্থিতির চাপে হচ্ছে, তার নিজের কোনও দায় নেই। আমার ছোটবেলার একজন শিক্ষক ঘনঘন বলতেন, “কিস্যু হবে না”। বড়বেলার মাস্টারমশাইদের একজন প্রতিটি বাক্য শুরু করতেন “দেয়ারফোর” দিয়ে, আরেকজনের প্রতিটি বাক্য শেষ হত “সো অন অ্যান্ড সো অন অ্যান্ড সো অন…” দিয়ে।
আমার মা সারাদিনে কতবার যে “আশ্চর্য!” বলেন গুনলে আশ্চর্য হতে হবে। আমার ঠাকুমা যখন সুস্থ ছিলেন তখন তাঁর কথায় “দ্যাশ/বরিশাল/পটুয়াখালি’ ইত্যাদির বাজার তেজী ছিল। অর্চিষ্মান সারাদিনে সবথেকে বেশিবার হয় “চা” বলে নয় বলে “ওরে বাবা”। “ওরে বাবা কুন্তলা, কেউ বকবে না/ তোমার চাকরি থাকবে/ অবান্তরে কমেন্ট পড়বে, সবে তো ছাপলে।”, “ওরে বাবা কুন্তলা, বাথরুমে টিকটিকি!”
আমি নিজে কী বেশি বলি সেটা ভেবে মনে করতে পারলাম না। “যত্তসব”, "যাচ্ছেতাই" “এরা কারা?” গোছের কিছু হবে। তবে সবথেকে বেশি কী বলতাম যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তবে বিনা প্রতিযোগিতায় জিতবে এই পোস্টের টাইটেল।
"কী এনেছ?"
আমি কথা বলতে শুরু করার পর থেকে মায়ের রিটায়ারমেন্ট পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যেয় (মায়ের ছুটিছাটা আর আমার হোস্টেলে থাকার দিনগুলো বাদ দিয়ে) দরজা খুলে মা’কে এই প্রশ্নটা করেছি।
'কী এনেছ?"
মা কখনও নিরাশ করেননি। বেশিরভাগ সন্ধ্যেতেই বাজারের মিষ্টির দোকানের সবথেকে ছোট বাক্সে দু’টাকা পিসের দু’পিস সন্দেশ আসত। কোনও কোনওদিন বাদাম চাক। আর আমার স্কুলের শেষ দিকে হাওড়া স্টেশনে মনজিনিস-এর শাখা খুলেছিল, খুব ঝুলোঝুলি করলে মা সেখান থেকে পিৎজা আনতেন। মাসে একবারের বেশি নয়। কচুরির সাইজের ময়দার তালের ওপর সস্তা চিজ আর টমেটোর লাল সাদা জমাট বেঁধে থাকত এদিকসেদিক। কিন্তু কোনও হ্যান্ডমেড আর্টিসান থিনক্রাস্ট চীজবার্স্ট পিৎজার ঠাকুরদার ক্ষমতা নেই সেই পিৎজাকে হারায়।
*****
সপ্তাহের শুরুর দিকে সকালবেলা ঘুম ভেঙে চোখ খোলারও আগে টের পেলাম গলায় অসহ্য ব্যথা, ঢোঁক গিলতে প্রাণ বেরোচ্ছে। সোমমঙ্গল কোনওমতে চলল, বুধবার চলল না। ছুটি নিলাম।
শুধু যে শারীরিক কারণেই নিলাম তা বলব না। ইদানীং কাজ জমে যাচ্ছে খুব। কিছুই সামলে উঠতে পারছি না। হাঁফ ছাড়ার জন্য একদিনের ছুটি দরকার ছিল। ছুটিতে কাজ এগোব ভেবেছিলাম, কিন্তু টাইমিং-এ ভুল করে ফেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় কিন্ডলে অ্যান্থনি হরোউইটজ-এর “ম্যাগপাই মার্ডারস” কিনে ফেললাম।
(কেউ যদি বলে ওই বইটা ছিল বলেই সকালে উঠে আমার গলাব্যথা হল, তাহলে আমি বলব, “পাপী মন।”)
বুধবার সকালে অর্চিষ্মান অফিস চলে গেল, আমি ‘ম্যাগপাই মার্ডারস’ শেষ করলাম বসে বসে। দু’দিন আগের পোস্টেই বই পড়ায় ফাঁকিবাজির দোষ বইয়ের ঘাড়ে চাপিয়েছিলাম। ভাব দেখিয়েছিলাম, আমি তো পড়তেই চাই, লেখকরা ভালো বই না লিখতে পারলে আমি কী করব।
ম্যাগপাই মার্ডারস আমার সে দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে। ইংল্যান্ডের গ্রামে ফাঁদা খুনের গল্প, গল্পের মধ্যে আবার গল্প, খুনের পর আবার খুন। ক্রিস্টির ফ্যানবয় হরোউইটজ, ছত্রে ছত্রে রেফারেন্স ছিটিয়ে রেখেছেন। কোনও রকম কায়দাকানুন না করে, গোল্ডেন এজ-এর স্টাইলের বেড়া না ভেঙে কী অপূর্ব গল্প বলা যায়, জানতে হলে পড়তে হবে। দুপুর নাগাদ পড়া শেষ হল, কিন্ডল মুড়ে চুপ করে শুয়ে রইলাম আরও খানিকক্ষণ। জমাটি গোয়েন্দাগল্প পড়ার সুখের সঙ্গে দুনিয়ার আর কোনও সুখের যে তুলনা চলে না সেটা আরও একবার টের পেলাম, আর আমি যে এরকম ভালো গল্প কোনওদিন লিখতে পারব না সেই হতাশাও ছেয়ে এল। সব মিলিয়েমিশিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম ভাঙতে ভাঙতে বিকেল। মাথাব্যথা, গলাব্যথা, কাজ না হওয়ার আতংক সব তিনগুণ হয়ে ফিরে এল। বালতির সাইজের একখানা কাপ ভর্তি চা নিয়ে নতুন চেয়ারটেবিলে বসে ঘণ্টাখানেক কাজের ভঙ্গি করেছি, এমন সময় দরজায় বেল। চেয়ার ঠেলে উঠে দরজা খুলে বললাম, "কী এনেছ?"
বিশ্বাস করুন, গত পনেরো বছর আমি প্রশ্নটা করিনি। করার এক সেকেন্ড আগেও প্রশ্নটা আমার মাথায় ছিল না। অথচ ওই মুহূর্তে দরজা খুলে দাঁড়ানোমাত্র শব্দদুটো আমার মুখ থেকে বেরিয়ে পড়ল।
পরমুহূর্তেই ভয় হল। অর্চিষ্মান তো জানে না কিছু আনতে হবে। রোজ যে আমরা দুজনেই বাড়ি ফিরি, কেউই তো কিছু আনি না, কারণ সন্ধ্যেবেলা কিছুমিছু খাওয়ার অভ্যেসটা আমরা কাটিয়ে ফেলেছি, সোজা রাতের রুটি তরকারিতে ঝাঁপাই।
দুরু দুরু বুকে দাঁড়িয়ে রইলাম। অর্চিষ্মানের দুই কানে ইয়ারফোন, হেড ব্যাংগিং-এর বহর দেখে মনে হচ্ছে রেডিওতে বাদশার র্যাপ চলছে। মাথা ঝাঁকানো না থামিয়েই ডানহাতটা তুলে আমার নাকের সামনে ধরল। হাতে প্লাস্টিকের প্যাকেট, প্যাকেটের ভেতর খুশবু।
তারপর আমরা চা আর রোল আর ঝালমুড়ি খেলাম বিছানায় বসে বসে আর লোকজনের নিন্দে করলাম, আর গলাব্যথা, মাথাব্যথা, টেনশন কখন সব হাওয়া হয়ে গেল।
তারপর আমরা চা আর রোল আর ঝালমুড়ি খেলাম বিছানায় বসে বসে আর লোকজনের নিন্দে করলাম, আর গলাব্যথা, মাথাব্যথা, টেনশন কখন সব হাওয়া হয়ে গেল।
Amar baba sob kotha te khali bolten "moja hochhe ki", jodio ami konodin moja ta je ki bhujhte pari ni! "Ki enechho" ta sune nijer noney hese phellam, karon eta ami roj suni!! Archismaan ki bhalo, na jantei roll ar jhalmuri aney!
ReplyDeleteকী এনেছ-টা একটা ইউনিভার্সাল প্রশ্ন আমার মতে, রুণা। মজা হচ্ছে কি-টাও মজার এবং কৌতূহলোদ্দীপক। সত্যি তো, কীসের মজা?
Deleteআমার এক প্রাক্তন সহকর্মী কথায় কথায় বলত ওভার অল। এতবার বলত যে লোকে তাকে ওভারঅল বলে ডাকতে শুরু করে। আমার এক প্রাক্তন বস, আমি তাঁর থেকে অনেক ভাবেই উপকৃত, বলতেন কামিং ব্যাক টু দ্য পয়েন্ট। আমার একবার মনে হয়েছিল যে আপনি জঘন্য শব্দটা প্রায়ই ব্যাবহার করেন।
ReplyDeleteজঘন্য-র একটা ফেজ আমার চলছিল বটে, দেবাশিস। তারপর অবান্তরেরই এক পাঠক সেটা পয়েন্ট আউট করায় লজ্জা পেয়ে কমাতে চেষ্টা করেছি। ওভারঅল নামটা ভালো। এই নিয়ম মানলে আমার একজন পরিচিতকে আমার "মানে" বলে ডাকতে হয়।
DeleteEkta khub bhalo din katiechho ja bujhchhi...gola byatha ta baad dile...good good...
ReplyDeleteami praayi suni "is there a surprise for me today?", dukkher bishoy tar answer max "no" boli r tar porer din "yes" hoy with a red pen :) Tomar mishti khawar moton...eta bodhoy ma special ... ei jonyoi tomar ma r tomar golpo porte amar eto bhalo lage :) onek cheshta koreo mone korte parlamna amar most used word. -Bratati.
বাঃ, সারপ্রাইজ না আনার প্রায়শ্চিত্তটা তো দারুণ। নিজের সবথেকে বেশি বলা কথা নিজে ধরা শক্ত, ব্রততী। বাড়ির লোককে জিজ্ঞাসা করলে হয়তো জানতে পারবে।
Deletehaha bachchader pen er opor darun akorshon hoy dekhechi... Bratati
DeleteAmi obosho 'dekchi'-r dole; abong thik apnar bondhu-r baba-r moto. Tobe seta ami baba howar onek age thake, Ami na bhalo kore 'dekhe' kichu i kori na. Dispossessed kamon laglo ? Sotyi bolen. Ar ekta kotha : apnar asole dorkar ek bochor sobeton chuti. Bidesh hole kono publishing company apnake ekta goenda golpo likhbar borat dito, sei advance ta niye apni ek bochor chuti niye ekti masterpiece namate parten jar tulonai Horowitz nitanto tushu. Bangla bhasa-r durbhagyo je sei rokom kono sujog apnar nei. Abong aro ekta kotha: jodio apnar ambition goenda golpo lekha, koto gulo khub sadharon lekha, jar mul sutro hoche "maya" segulo apni bhishon bhalo lekhen, jamon apnar thakum-r golpo, ma-baba-r golpo, Rishra-r golpo ityadi. Ei lekha gulo chare daben na.
ReplyDeleteআপনার মন্তব্যের কোনখান থেকে উত্তর দিতে শুরু করব ভেবে পাচ্ছি না, ঘনাদা, কারণ অরিজিত যেমন আগের দিনের কমেন্টে বলেছেন, আপনার সব কথাই "দিলে গিয়ে ঢিল মেরেছে।"
Deleteএক, আপনাকে এ ব্যাপারে হাইফাইভের উল্টো যদি কিছু হয় তাই দিতে হবে, কারণ "না দেখে", "না ভেবে" কাজ করাতে আমার ট্রিপল পি এইচ ডি।
দুই, সবেতন ছুটির বেদনাটা যে কোথায় গিয়ে বিঁধেছে, আর বলে বোঝাতে হবে না আশা করি।
তিন, এইটা আমার আরেকটা দুঃখের জায়গা। আপনার/আপনাদের কাছে স্বীকার করতে লজ্জা নেই, "মায়া"র গল্প আমি লিখতে চাই না। কারণ অধিকাংশ "মায়া"র গল্প পড়লেই আমার কান্না পায়। এবং সেটা ভালো কান্না নয়। আমি লিখতে চাই খুনখারাপি মারদাঙ্গা যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে। এদিকে আমাকে অনেকেই বলেছেন (এবং আমি জানি যে তাঁরা ঠিকই বলেছেন, সেটাই আরও বেশি কষ্টের) যে ওসব গুরুতর ব্যাপারে না গিয়ে আমার "মায়া"তেই হাত পাকানো উচিত, কারণ আমার দ্বারা ওটাই ভালো হয়।
কী ঝামেলা বলুন দেখি।
ও, আর ডিসপোজেসড এখনও শেষ হয়নি, হলে পাঠপ্রতিক্রিয়া নিশ্চয় জানাব।
DeleteIye, "maya" tai gurutoro, kono ongshe i mar-danga r chaye kom gurutoro noi. Rabindranath er ekta golpo ache, naam bhule giyechi, tate poti-potni dujone i ekta golpo likhbar protijogitai naam dabe. Ebar apnar nischoi mone poreche. Golpo tite poti-r naam "Horish" ar potni-r naam "Nirjhorini" . Seta mone kore dekhun. Ekta udharon dite giye boli: amar mote "Durgeshnandini" ba "Raajsingho"-r chaye "Rajani" aro gobhir golpo. Apnar priyo lekhak er udahoron dite giye duto golper kotha boli: (a) Spitz (b) Ghurghutiya-r ghotona. Porer golpo ta nisondahe bhalo kintu prothom ta tar opor diye jai.
Deleteএটা মানছি, ঘনাদা, স্পিৎজ, ঘুঘ-র থেকে বেটার গল্প।
DeletePhrase er bodole sentence cholbe ki? Tahole amar maa er favourite kotha holo 'je shuye thake, tar bhagyo-o shuye thake'. Roj eta bolen. Majhe majhe keu shuye na thakleo bolen. Asole amay ar bhai ke chhotobelay bolte bolte emon obhyesh hoye gachhe je eta bola ar thamate parchhen na.
ReplyDeleteAmi kothay kothay 'daroon' boli. Kichu baje hole 'daroon kharap'. Kichu bhalo hole shudhu 'daroon'.
'Ore baba Kuntala, bathroomey tiktiki' ta best. :D
কাকিমাকে আমার হয়ে একটা স্যালুট ঠুকে দিয়ো, বিম্ববতী, এত দামি কথাটা ননস্টপ সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
Deleteটিকটিকির কথা আর বোলো না। আমি আজীবন টিকটিকি আরশোলার দায়িত্ব আমার মায়ের ঘাড়ে ছেড়ে নিশ্চিন্ত ছিলাম, এখন তার প্রায়শ্চিত্ত চলছে।
@March Hare : Apni je phrase tar kotha bolechen, seta amar Ma o sob somoi bolten, particularly amar Madhyamik porikha-r kachakachi somoye.
Delete"Orebaba Kuntala, bathroom e tiktiki" - eta fatafati :D
ReplyDeletekhub mojadar laglo, seshta ekebare makhon, thuri, jhalerolle somapayet :)
ami prayoshoi "o accha" boli, ebong seta majhe majhe khub i reflex e beriye ase, jar jonyo majhe majhe chapeo pore jai. :D
Btw, Ghanada'r commentgulor songe ami ekmot :)
seisonge aaro boli, apnar reading speed maratyok. ekta pray-500 patar boi ekbelay namiye dewa....kurnish!!
ওটা আমার স্পিডের কৃতিত্ব নয়, অরিজিত, গোয়েন্দাগল্প আর লেখকের দক্ষতার কৃতিত্ব। তবে এটাও ঠিক গোয়েন্দাগল্প পড়া কাজটা আমি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে করে থাকি। গোয়েন্দাগল্প পড়ার কোনও চাকরি যে কেন হয় না।
Deleteঝালেরোলে-শব্দটা মনে করে রাখলাম।
গোয়েন্দাগল্প পড়ার কোনও চাকরি যে কেন হয় না।
Delete- Kash, jodi hoto!!! :|
@arijit hoi hoi. Tobe amader deshe noi. Ontyoto engriji te boro boro publishing house er jara editor thake tader ekta boro kaaj hole goneda golpo pora, take bachai kora, ityadi. Ei chakri ekta ami onek din dhore tag kore achi, kintu amake kau dabe na.
Deleteইন ফ্যাক্ট, ম্যাগপাই মার্ডার-এর মুখ্য চরিত্রের চাকরিটাই ওটা। গোয়েন্দাগল্প ছাপা প্রকাশনীর এডিটর।
DeleteBathroom e tiktiki ta best! Lekhta superb..school life er ekta kotha mone pore gelo.. "Ashchorjo! Ami obaak hoye jai!" .. Nischoi chinte parbe tumi.. :) Asha kori ekhon ar bhoy pawar Moto kichu nei..
ReplyDeleteহাহা, তোরও মনে আছে, ঊর্মি? অবশ্য ও জিনিস ভোলার নয়।
Delete"“ওরে বাবা কুন্তলা, বাথরুমে টিকটিকি!” - ওফফফ ! :)
ReplyDeleteসিরিয়াসলি, অন্বেষা।
Deleteওই বই পড়ার চাকরি তে আমার ও বহুদিনের নজর, পেলে সব ছেড়েছুড়ে ওখানেই জয়েন করবো।
ReplyDeleteঅর্চিষ্মানের না জেনে কিছু আনাটাও দারুন লাগলো। আমার মা বাবা এখন এসেছে প্রায় ১ মাস হল. ১৫ ই আগস্ট অবধি থাকবে, তাই রোজই বাড়ি গিয়ে কিছু না কিছু সারপ্রাইজ পাচ্ছি।
তবে কাজের এতো চাপ যে নাকের জলে চোখের জলে হয়ে আছি. ছুটি নিলে খুব ভালো হয়, উইকএন্ডের ছুটিতে কাজ হবে না, মাঝহপ্তার অকারণ ছুটি, কিন্তু এতো কাজ জমে আছে যে সেটা নিতেও ভয় করছে, এখন এক যদি তোমার মতন একটা গলাব্যথা হয়, তাহলে ক্লিয়ার কনসেন্সে একটা ডুব মারতে পারি।
আজকাল ব্লগ লিখতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম যে আমি লিখতে গিয়ে "ঠিক" শব্দটা ভীষণ ব্যবহার করি, আর আমার বাড়ির লোকজনের মতে আমি একটু বিরক্ত হলে ধুত্তেরিকা বলে থাকি।
তুমি ব্লগ লিখছ, চুপকথা? লিংক দেবে, প্লিজ?
Deleteধ্যাত্তেরি আর ধুত্তেরিকা বলে সুমনের একটা গানের লাইন ছিল না? আমার খুব ভালো লাগত শুনতে। সত্যি, এইসব টুকটাক গলাব্যথা, জ্বর, দারুণ উপকারী জিনিস। অফিস ছুটি নেওয়া যায়, বাড়ির লোকে বাড়তি যত্ন করে, তুমি শুধু মাঝে মাঝে কাশো আর উঃআঃ কর আর খাটে চিৎপাত হয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ো।
কাকুকাকিমা আছেন? কী মজা। কোথাও বেড়াতে গেলে নাকি?
আমি আপাতত যা লিখছি সব ফেবুতে নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করছিলাম। তুমি তো বোধহয় ওদিকে যাও না. তবে একটা মেইল এ একত্র করা আছে. তুমি চাইলে সেটাই ফরোয়ার্ড করতে পারি। আর একটা গল্পের লিংক দিলাম। কেমন লাগলো জানিও কিন্তু।
Deletehttp://www.ichchhamoti.in/ichchhamoti-gawlpo-swolpo-bengali-stories-for-children/1151-buro-burir-kawtha-roshni-ghosh.html
বাবা মায়ের সাথে ওয়াশিংটন ডিসি গেছিলাম। পরশু ফিলাডেলফিয়া যাবো। আর দুটো উইকেন্ডে শিকাগো আর আটলান্টিক সিটি যাবার প্ল্যান আছে.
Deleteআমি অবশ্যই চাই, চুপকথা। প্লিজ, মেলের লিংক পাঠাও। আমার মেল আইডি জান তো? আবার দিয়ে দিচ্ছি এখানে।
Deleteabantorprolaap@gmail.com
বাঃ, খুব ভালো ঘুরছ বোঝা যাচ্ছে। খুব ভালো করে ঘোরো, মাবাবার সঙ্গে খুব আনন্দ করো, আর আমাকে মেল কোরো মনে করে।
This comment has been removed by the author.
Deleteমেইল পাঠালাম তোমায়। পড়ে জানিও প্লিজ কেমন লাগল
Deleteআপনার প্রিয় লব্জ বোধহয় "জঘন্য"l ��
ReplyDeleteএকসময় ছিল, সন্ময়, তবে লব্জ শব্দটাও আমার খুবই প্রিয়।
Deleteআচ্ছা, চুপকথাই কি সেই পদার্থবিজ্ঞানী, যার সাথে এক সন্ধ্যায় যারপরনাই আড্ডা মেরেছিলাম?
ReplyDeleteসম্ভবত নয়। আপনি সম্ভবত ঘনাদার কথা বলছেন নয়তো গৌতম ব্যানার্জির। দ্বিতীয়জন আমার প্রিয় বন্ধু ও ব্লগার সুগতর বাবা।
Deleteসন্ময়দা, আমি রোশনি। তুমি আমার সাথে এক সন্ধ্যে নয় বেশ কয়েক সন্ধ্যা আড্ডা মেরেছো প্লাস মটন রেঁধে খাইয়েছো :P
Deleteহুঁ , এখন মনে পড়লো যে সেই পদার্থবিজ্ঞানীর ব্লগের নাম "চুপকথা"। কিন্তু তার আসল নাম যে কী, তা মোটেই মনে পড়ছে না। বোধহয় ভাবছিলাম যে ব্লগের নাম চুপকথা যখন, তখন ছদ্মনামও চুপকথা হ'তে পারে। আমিও একদা একটা ন্যাড়া ব্লগ লিখেছিলাম, লম্বা চেহারার, কয়েক কিস্তিতে। তারপর আর কিছুই লেখা হয়ে ওঠেনি।
ReplyDeleteআপনার "ন্যাড়া" ব্লগ কিছুক্ষণ আগেই দেখছিলাম, সন্ময়। এই উইকএন্ডে সময় করে সবগুলো পোস্ট পড়ব।
Deleteওই "উপন্যিয়াস" পড়বার দু:সাহস দেখাচ্ছেন ? সাবধান করবো, না সাধুবাদ দেব ভেবে পাচ্ছি না। যা থাকে আপনার কপালে !
ReplyDeleteব্লগের নামটা তো অলরেডি পছন্দ হয়েছে। পাঠপ্রতিক্রিয়া ওখানেই জানাব।
Deleteউত্তম।
ReplyDeleteযাত্তারা । আরে , পদার্থবিজ্ঞানীর সাথে আড্ডাটাও তো রোশনির বাড়িতেই হচ্ছিলো । কেন যে ছাই তার নামটা মনে পড়ছে না। একবার ভাবলাম অরূপরতন, তারপরেই মনে হচ্ছে যে এরকম নাম হতেই পারে না।
ReplyDeleteতুমি মনে হয় অনির্বানের কথা বলছো। চুপকথা নামটা আমি আগেই দখল করে ফেলায় ওর ব্লগের নাম অ-আ-ক-খ চুপকথা।
ReplyDeletehttp://chup-kotha.blogspot.com/2016/10/blog-post_20.html?utm_source=feedburner&utm_medium=email&utm_campaign=Feed%3A+blogspot%2FDKMUz+%28%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%AA+%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE%29
অবশ্যই জানাবো । ওই mail টাও ফরওয়ার্ড করতে পারো, তাহলে অনেকগুলো একসাথে পড়া হয়ে যাবে। একদিন বাড়িতে এসো , ইলিশও খাওয়াবো, নতুন aquarium করেছি, সেটাও দেখাবো।
ReplyDeleteরাইট , অনির্বানই বটে। থ্যাংক ইউ।
তোমায় আগের দিন কত করে ফোন করলাম নতুন বিরিয়ানির রেসিপি খাইয়ে গিনিপিগ বানাবো বলে তুমি পাত্তাই দিলে না :(
ReplyDeleteসেকি? তুমি আবার কবে ফোন করলে? আর করলেই যদি, তাহলে একটা টেক্সট করবে তো? আমি বুঝিইনি কে ফোন করছে। তার উপর গ্রান্ট ডেডলাইন ছিল বোধহয় । মানসিক এনট্রপির চূড়ান্ত। অত্যন্ত দু:খিত। তা বিরিয়ানি আরেকদিন হোক। কর্ণরসনার বিবাদভঞ্জন হয়ে যাক।
ReplyDeleteএটা একটু কেমন কেমন হচ্ছে না? আমারই ব্লগের কমেন্ট সেকশন অথচ দাঁতের ফাঁক দিয়ে কেউ আমাকে বিরিয়ানি/ইলিশ খাওয়ানোর/অ্যাকোয়ারিয়াম দেখানোর প্রস্তাবটুকুও দিচ্ছে না? যদি সত্যি নেমন্তন্নের ইচ্ছে না-ই থাকে, অন্তত মুখে শান্তিপুরী ভদ্রতা করলেও তো চলে। আমার বিরিয়ানি ইলিশ কিছুই লাগবে না, মাখন ভাত আলুভাজা হলেই চলবে।
ReplyDeleteসন্ময়, "একবার ভাবলাম অরূপরতন, তারপরেই মনে হচ্ছে যে এরকম নাম হতেই পারে না।" পড়ার পর একজন সহকর্মী এসেছিল এদিকে, বলল, "ফ্রাইডে বলে এত হাসি হাসি মুখ বুঝি?"
সন্ময়দা মেইল আইডি নেই তাই পাঠাতে পারছি না. তোমায় ভয়েসমেইল রেখেছিলাম তো. সামনের সপ্তাহের শনিবার ফ্রি আছো, তাহলে সঞ্চারীদিকে নিয়ে চলে এস. বিরিয়ানি খাওয়াবো পাক্কা।
ReplyDeleteকুন্তলা নিউ ইয়র্কে চলে এস, বিরিয়ানি, ইলিশ, মাখন আলুভাতে সব খাওয়াবো। আর বিরিয়ানির জন্য তোমার একটা স্পেশাল থ্যাংকস প্রাপ্তি আছে. তোমার ব্লগের কমেন্ট সেকশন থেকে ঘুরতে ঘুরতে সোমনাথ বন্দোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় অধ্যায় ব্লগে গেছিলাম। বিরিয়ানি রেসিপিটা ওখান থেকেই নেওয়া।
এহহ হে। দেখেছেন , কি পাষাণ আমরা। না জানি অশনি হেনেছি বোধহয় ইলিশতৃষিত প্রাণে। তাও যে অবশেষে হাসিহাসি মুখ রাখতে পেরেছেন, এটাই যা.....
ReplyDeleteরোশনি , দেখছি দাঁড়াও । হ'তে পারে। সঞ্চারীকে জিজ্ঞাসা ক'রে দেখি। তবে ওর বোধহয় সাধারণত রবিবার হ'লে সুবিধা হয়।
ReplyDeleteচুপকথা, সোমনাথের দ্বিতীয় অধ্যায় চমৎকার ব্লগ। গল্প তো চমৎকারই, সঙ্গে বিরিয়ানির রেসিপিও মেলে শুনে মুগ্ধ।
ReplyDeleteসন্ময়, আরে ওতে আমার কোনও কৃতিত্ব নেই, এ ব্যাপারে আমার ন্যাড়ার সঙ্গে মিল আছে। মুখ সর্বদাই হাসি হাসি থাকে, সুখদুঃখ নির্বিশেষে।
রবিবারে আমার একটু চাপ আছে, সোমবার সাতসক্কালে ল স্কুলের অন ক্যাম্পাস জব ইন্টারভিউ :(
ReplyDeleteকুন্তলা, বিরিয়ানির রেসিপি রইলো তোমার জন্য
ReplyDeletehttp://dwitiyaadhyay.blogspot.com/2017/03/blog-post_20.html
আরে ধন্যবাদ ধন্যবাদ। রেঁধে বেড়ে খেয়ে জানাব। তোমাকে, সোমনাথকে, দুজনকেই।
Deleteওই মা অফিস থেকে ফিরলেই "কি এনেছ" অভ্যাস টা আমার-ও ছিল। মাঝে মাঝে মনজিনিস এর পিজ্জা ও পেতাম। অলিখিত নিয়ম ছিল ঐ মায়ের আনা খাবার টা না খেয়ে সন্ধেবেলা পড়তে বসব না।
ReplyDeleteএটা ভালো নিয়ম, তীর্থ। আমার মা অবশ্য একটু দেরিতে আসতেন, কাজেই পড়তে বসার ভঙ্গি করতে হত, কিন্তু মন বসত না। মন বসত সন্দেশ খাওয়ার পরেই।
Deleteআপনি একটা উপন্যাস লিখে ফেলুন!নিশ্চয়ই ভালো হবে |গতবছর আপনার এই ব্লগে পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলার রিভিউ নিয়ে একটা লেখা পড়েছিলাম |এবারেরটা তো প্রকাশিত হয়ে গেছে |পড়ে নিয়ে রিভিউ লিখে ফেলুন |যদিও প্রতিবছরই পূজাবার্ষিকী পড়ি,তবুও অন্যদের কেমন লাগল জানতে ইচ্ছে হচ্ছে |
ReplyDeleteহ্যাঁ, আনন্দমেলা বেরিয়েছে, আসলে এত অন্য বই জমে আছে যে এখন আনন্দমেলা কিনলে সেগুলো পড়া আরও পেছোবে। তবু ফাইন্যালি কিনবই যখন আর টাঙিয়ে রেখে লাভ নেই, দেখি আজকেই খোঁজ করব।
Delete