দুটো গল্প
ডক্টর হিন্দোলা সেনগুপ্ত, সিনিয়র ফেলো হিসেবে আমাদের অফিসে সম্প্রতি জয়েন করেছেন। মহিলা কারও সঙ্গে কথা বলেন না। হাসেনও না। সেটা অদ্ভুত নয়। প্রথম জয়েন করার পর পর সাধারণত দু’রকমের আচরণ হয় লোকের। এক, বেশি কথা বলে, বেশি হেসে নিজেকে সবার কাছে মাই ডিয়ার করে তুলতে চাওয়া। দুই, কম হেসে, কম কথা বলে গোড়া থেকেই বুঝিয়ে দেওয়া যে আমি তোমাদের থেকে আলাদা। সেনগুপ্তকে আমরা দ্বিতীয় দলে ফেলেছিলাম। সমস্যা করল কালো চশমাটা। লিফটে, অফিসে, প্যান্ট্রিতে, সর্বত্র একখানা কালো চশমা পরে ঘোরার মানে কী? জয়বাংলা? তাহলে না হাসার কারণ দাঁতে পোকা হওয়াও বিচিত্র নয়।
ফাইন্যালি কারণটা জানা গেল। সেই কারণ নিয়ে লেখা আমার গল্প 'চক্ষুদান' (Kate Mosse-এর Sainte-Thérèse ছোটগল্পের ছায়া অবলম্বনে) ছাপা হয়েছে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এ।
ফাইন্যালি কারণটা জানা গেল। সেই কারণ নিয়ে লেখা আমার গল্প 'চক্ষুদান' (Kate Mosse-এর Sainte-Thérèse ছোটগল্পের ছায়া অবলম্বনে) ছাপা হয়েছে চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম-এ।
*****
ট্রং, (পুরো নাম ট্রং থ্রি ওয়ান ফোর ওয়ান ফাইভ নাইন টু সিক্স) থাকে একটা ডোমের মধ্যে। শখে নয়, থাকতে হয়। কারণ ডোমের বাইরের পৃথিবীটা আর থাকার মতো নেই। দূষণে, বিষক্রিয়ায় শেষ। মানুষও শেষ। যুদ্ধে, দূষণে। তাদের টিমটিম করা কয়েকজন উত্তরাধিকারী নিজেদের বাঁচিয়ে রেখেছে ডোমের ভেতর। ডোমের ভেতর সব আছে। প্রাণধারণযোগ্য আবহাওয়া, ল্যাবরেটরিতে ফোঁটা ফোঁটা তৈরি করা জল (কাজেই মেপেজুপে খরচা করতে হয়।) ঝকঝকে শোকেসওয়ালা দোকান, শোকেসের ভেতর লেটেস্ট মডেলের রোবোপেট, সেই কবে লুপ্ত হয়ে যাওয়া ক্যানিস লুপাস ফ্যামিলিয়ারিস-এর আদলে তৈরি। সিট বললে বসে, ফেচ বললে দৌড়োয়। নিয়মিত আপগ্রেড করলে আরও জোরে দৌড়োয়।
আর আছে একটা লাইব্রেরি। অংক, বিজ্ঞান, ভূগোল, ভাষা, যতরকম জ্ঞান, সবের ভাণ্ডার। ওই লাইব্রেরির ইতিহাস ডিপার্টমেন্টের এক ধুলো পড়া কোণের (ধুলো পড়াটা ফিগারেটিভ, কারণ রোবোক্লিনাররা আমার মতো নয়, 'আজ ইচ্ছে করছে না কাল ঝাড়ব' বলে শুয়ে থাকে না) মাথার ওপর ঝোলানো বোর্ডে নিভু নিভু অক্ষরে লেখা “প্রাচীন সাহিত্য”। সেখানে কেউ যায় না। খালি ট্রং যায়। ঘন ঘন যায়। আর বসে বসে হাজার হাজার বছর আগের মানুষের লেখা গল্প পড়ে। অদ্ভুত, অবিশ্বাস্য, একবার ধরলে আর না ছাড়তে পারা গল্প।
বেশি গল্পের বই পড়লে কী হয় সবাই জানে। তাছাড়া ওর চরিত্রের অ্যানালিসিসে আগেই বেরিয়েছিল, “ইমপালস”, যা মানবসভ্যতা ধ্বংসের অন্যতম কারণ, তা ট্রং-এর মধ্যে একটু বেশি মাত্রায় আছে। এইবেলা সাবধান হও। বলেছিল ট্রং-কে সবাই।
কিন্তু সাবধান হও বললেই কি আর সাবধান হওয়া যায়? একে ইমপালস, তায় গাঁজাখুরি গপ্পের কুপ্রভাব। সব মিলিয়ে ট্রং-এর মাথার পোকা কিলবিল করে উঠল। ও ঠিক করল, ডোমের বাইরে যাবে।
তারপর কী হল জানতে টগবগ কল্পবিজ্ঞান সংখ্যা ১৪২৪ পড়তে হবে। Katherine Paterson-এর ছোটগল্প The last Dog অবলম্বনে লেখা আমার গল্প 'নতুন পৃথিবী' বেরিয়েছে ওই বইতেই। এটা অবশ্য অনলাইন নয়। রীতিমত হাতে ধরা, গন্ধ শোঁকা, পাতা দুমড়োনো, বুকের ওপর উল্টো করে রেখে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোনোর মতো সত্যিকারের বই।
কিনতে হলে যেতে হবে এইখানে।
darun darun Kuntala, TOGBOG kintei hochhe
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা। পড়লে জানাবেন কিন্তু।
Deleteচার নম্বরের গল্পটা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম । দারুণ , কুন্তলাদি। আরো লিখুন চার নম্বরের পাতায় । যোগাযোগের পেছনে আমার খুউউব সামান্য একটু হলেও অবদান আছে জেনে গর্বে বুকটা ফুলে উঠেছে
ReplyDeleteহাহা, আমার পক্ষ থেকেও তোমাকে ধন্যবাদ, ঋতম। প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এক্সট্রা ধন্যবাদ। গল্পটা সত্যি ভালো লেগে থাকলে খুশি হলাম।
DeleteChokhudan golpo ta khub bhalo hoyeche.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, ঘনাদা। আপনার প্রশংসা পেলে আশ্বস্ত লাগে। থ্যাংক ইউ।
DeleteChokkhudan golpota durdanto hoyeche Kuntala :)
ReplyDeleteei shat sokale office e boshe besh ekta shihoron holo, darun.
আরে থ্যাংক ইউ, অরিজিত।
DeleteAapnar golpoti khub bhalo laglo; Ei subade oi magazine er arekti golpo 'Baghaeer' o porlam, osadharaon laglo.. link share korar jonno dhonnobad
ReplyDeleteধন্যবাদ, রণদীপ। বাঘাইড় আমারও খুব ভালো লেগেছে।
DeleteAmake ektu link ta pathabe Kuntala Char Number Platform er? Ami khuje pachhina.
ReplyDeleteএই যে অমিতা, এই হচ্ছে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম কাগজটার লিংক
Deletehttp://4numberplatform.com/
আর এই হচ্ছে আমার গল্পটার লিংক।
http://4numberplatform.com/?p=1329
Thank you Kuntala. Anek pichhiye achhi Abantor paraay. Paris aar London berate giyechhilam. Paris e airbnb-te bose abantor khule tomar blog-e Notre Dame search kore purono sankhya ber kore porechhi o pore shuniyechhi. Oi ice cream er byapare jaa abhiggyota holo seta pare bolbo. Aabar porshui deshe jachhi baaki sabaike rekhe, faale khub jaake bale byatibyasto.
DeleteKhub khub bhalo legechhe galpota Kuntala. Jakhon takhon jemon tamon kore tarahuro kore porbo na tomar lekha bole porini atokhhon. Akhon sab kaaj sere samosto packing sere tabe galpota porlam. Tomar lekha akdom jhakjhake, plot durdanto. Aro anek lekho. Magazine er onnyo lekhagulo porbo er par.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, অমিতা। এত যত্ন করে পড়ার জন্য, আর মতামত জানানোর জন্যও। আপনার ঘোরা ভালো হয়েছে আশা করি? আইসক্রিমের গল্পটা শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
Delete