একটি বিলম্বিত অভিনন্দন
সৌমেশ লিংকটা পাঠিয়েছিলেন বেশ ক’দিন আগে। সাপ্তাহিকীর এ সপ্তাহের গানের ক্যান্ডিডেট হিসেবে। আমি ক্লিক করেওছিলাম। চেনা গায়ক, চেনা গান, কিন্তু গাওয়াটি অচেনা। কণ্ঠে ক্লান্তি, দমের ঝুলিতে টান। ডানদিকের ওপরের লাল ক্রসে ক্লিক করে বেরিয়ে সৌমেশকে রিপ্লাই দিয়েছিলাম, ‘সরি সরি, কিছু মনে করবেন না। গানটা আসলে আমার ভালো লাগে না।’ সৌমেশ আপাদমস্তক ভদ্রলোক, হাসিমুখে উত্তর পাঠিয়েছিলেন, ‘আরে না না, কোনও ব্যাপার না।’ কথোপকথন আর্কাইভ করে বসে রইলাম। মাথার ভেতর বাজতে লাগল, ‘সন্ধ্যের গলা সাধা, কী কঠিন ছায়ানট রাগ কী করে রাখব তাল সম ফাঁকে কেবল হারায় . . .’ অফিসে বসে বসেই চোখের বাইরের আলো নিভে এল। জ্বলে উঠল মাথার ওপরের সিলিং জুড়ে ছোট ছোট সারি সারি হলুদ ফুল। দৃষ্টির সামনে ঢালু হয়ে নেমে গেল মানুষের মাথা। রোজ যে সব হরেদরে মাথারা ঘুরে বেড়ায় আমাদের হাটে বাজারে, শাকপাতামাছমুলো বেছেবুছে টিপেটুপে কেনে, তারা নয়। একটু অন্যরকম মাথারা আজ এসে জড়ো হয়েছে এখানে। মাথাদের বেশির ভাগই কলেজে যায়, হাতেগোনা ক’জন অফিসে বা স্কুলে। বিকেলবেলায় শুধু রকে বসে থাকার বদলে লাইব্রেরিতে ঢুঁ মারে। মণ্ডপের দালানে র-সু-ন জয়ন্তীর নাচগা