20 Random Facts About Me
১. কুন্তলা না হলে আমার নাম রাখা হত অদিতি কিংবা
শ্রীনীতা। অদিতির জন্য আমার বিশেষ দুঃখ নেই, শ্রীনীতার জন্য একসময় ছিল। এখন আর নেই। এখন আমার কুন্তলা
নামটা বেশ পছন্দই হয়। যতক্ষণ না কেউ মানে জিজ্ঞাসা করছেন। তখন বলতে হয়, ‘উওম্যান
উইথ হেয়ার অন হার হেড’। নিমেষে প্রশ্নকর্তার চোখ আমার হেডের দিকে যায় এবং আমি আবার
নতুন করে শ্রীনীতার জন্য হাহাকার করি।
২. স্কুলে পড়াকালীন আমার প্রিয় বিষয় ছিল বাংলা, ইংরিজি।
৩. আমি গাড়ি চালাতে পারি না।
৪. আমি সাইকেল এবং স্কুটার, দুটোই খুব ভালো চালাতে পারি।
৫. আমার প্রথম মঞ্চে নামার অভিজ্ঞতা তিন বছর বয়সে।
পাড়ার ফাংশানে ন্যাড়া মাথায় ফুলের মালা জড়িয়ে ‘সাঁওতালি দল, দলে দলে নাচে রে’
গানের সঙ্গে নাচতে নাচতে। সেই নাচে আমার প্রতিভার প্রকাশ দেখেই আমার মা আমাকে
কত্থক নাচ শেখার স্কুলে ভর্তি করে দেন। চার বছর বয়স থেকে ন’বছর বয়স পর্যন্ত আমি
প্রতি রবিবার বিকেলে সেই স্কুলে গিয়ে পায়ে ঘুঙুর বেঁধে কোমরে হাত দিয়ে ‘ধা ধিন ধিন
ধা’ করতাম। আট বছর বয়সে আমাকে গানের স্কুলে ভর্তি করা হয়। আট থেকে ন’বছর বয়স
পর্যন্ত রবিবার বিকেলে আমার রুটিনটা ছিল এই রকম: বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোন্নগরে নাচের
স্কুল, কোন্নগরে নাচের স্কুল শেষ করে শ্রীরামপুরে গানের স্কুল, শ্রীরামপুরে গানের
স্কুল শেষ করে রিষড়ায় বাড়ি ফেরা। শুনে অর্চিষ্মান চোখ
কপালে তুলে বলেছিল, ‘বুঝেছি, তুমি সেই মারাত্মক বাচ্চাদের একজন ছিলে যারা সবকিছু
শেখে।’ সর্বৈব মিথ্যে। আমি নাচ আর গান
ছাড়া কিছু শিখিনি কোনওদিন। নাচের পাট তো গান শুরু করার পরপরই চুকে গিয়েছিল।
৬. আমি কড়া গন্ধ সহ্য করতে পারি না। সে গন্ধ ভালো মন্দ
যা-ই হোক না কেন। ধূপকাঠি, পারফিউম, কাঁঠাল, ইলিশ কিংবা কুল --- তাই আমার
সিলেবাসের বাইরে।
৭. আমার জীবনের এক এবং একমাত্র সেলিব্রিটি ক্রাশের নাম
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য।
৮. আমার সঙ্গে যাদের আলাপ নেই তাদের ধারণা আমি বিদঘুটে
রকমের গম্ভীর। গুড ফ্রাইডের ছুটিতে আমাদের অফিস থেকে আরেকদল বাঙালিও রণথম্ভোর
বেড়াতে গিয়েছিল। তাদের একজনের সঙ্গে আমার ভালো আলাপ আছে, বাকিদের সঙ্গে নেই।
জঙ্গলে দেখা হয়ে যেতে আমি আমার চেনা সহকর্মীর সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়ে
কথা বলেছি। সেই দেখে নাকি বাকিরা পরে তাকে
বলেছে, ‘কী সাংঘাতিক! এই মহিলা হাসেন?’
৯. মাংস কিংবা ভাত, কোনওটাই আমার প্রিয় খাবার নয় বলেই বোধহয় বিরিয়ানির মহিমা আমার এ জীবনে বোঝা হল না।
১০. অবশ্য তাতে বিরিয়ানির কোনও দোষ নেই। বান্টি বলে আমি বাঙালির কলঙ্ক কারণ আমি বাঁচার জন্য খাই। আমি সারাজীবন (তিন বেলা) স্যান্ডউইচ
বা দোসা বা পাপড়ি চাট বা ভাত মাছের ঝোল খেয়ে কাটাতে পারি। পেট ভরলেই হল।
১১. আমার ডানচোখের চশমার পাওয়ার মাইনাস বারো, বাঁ চোখের
মাইনাস দশ।
১২. আমি সারাদিনে অন্তত তিনবার আমার চশমা হারাই। আর খালি
চোখে চশমা খুঁজে বার করা আমার সাধ্য নয়। কাজেই অর্চিষ্মানকে সারাদিনে তিনবার করে
আমার চশমা খুঁজে দিতে হয়।
১৩. সব ব্যাপারে না হলেও কিছু কিছু ব্যাপারে আমার OCD দেখার মতো।
চিপসের প্যাকেট একটি নির্দিষ্টভাবে (প্যাকেট অক্ষত রেখে, প্যাকেটের শিরদাঁড়া ধরে
সাবধানে টেনে মুখের আঠা খোলা) ছেঁড়া না হলে আমি সে প্যাকেটের চিপস খেতে পারি না।
বলি, ‘না রে বান্টি, তুই খা, আমার পেটব্যথা করছে।’
১৪. আমি জীবনে কখনও মুদ্রাদোষ-মুক্ত থাকিনি। অবশ্য
মুদ্রাদোষ বললে ব্যাপারটা ঠিক বোঝায় না, মায়ের মতে ‘পাগলামি’ বললেই ঠিক। হয় নিজের
মাথার চুল ধরে টানি (টানতে টানতে টাক পড়ে গিয়েছিল একসময়), নয় আঙুল মটকাই (ছোটবেলায়
পার্কে সবাই দৌড়োদৌড়ি করে খেলত, আমি দু-মিনিটের টাইম আউট নিয়ে গাছের তলায় বসে আঙুল
মটকে নিতাম), নয় আংটি খুলে ঘোরাই, নয় নখ দিয়ে খুঁটে (বা কামড়ে) নিজেরই গায়ে ক্ষত
করে ফেলি। আপাতত আংটি ঘোরানোর দশা চলছে। গত সপ্তাহে য-ভাইয়াকে ডেকে এনে তিনতলা লোহার
ডেস্ক সরিয়ে তার পেছন থেকে গড়িয়ে যাওয়া আংটি উদ্ধার করাতে হয়েছিল।
১৫. আমার প্রিয় রং লাল, সাদা, কালো ও নীল। কিছু কিছু
হলুদও ভালো লাগে।
১৬. আমার ধারণা সারাদিনে আমার বলা গড় মিথ্যের সংখ্যা
অন্যদের থেকে বেশি। খুব তুচ্ছ এবং অকারণ ব্যাপারে আমি দুমদাম মিথ্যে বলে দিই। ধরুন
কফিরুমে কেউ পাকড়াও করে জিজ্ঞাসা করল, ‘লাঞ্চ হয়ে গেছে?’ আমি ‘হ্যাঁ’ বলে দিলাম, যদিও
আমার লাঞ্চ তখনও হয়নি। বা মা ফোনে জিজ্ঞাসা করলেন ‘অটোর আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি,
সিনেমা যাচ্ছ বুঝি সোনামা?’ আমি বললাম, ‘না না সিনেমা নয়, শপিং মল।’ যদিও আমি তখন
যাচ্ছি রিভলবার রানি দেখতে। অর্চিষ্মান বুঝতে পারে না। বলে, ‘কেন?’ কেন কি ছাই
আমিই জানি? এই সব মিথ্যেগুলোর ওপর আমার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। নিশ্বাসপ্রশ্বাস যেমন
আমাদের অনৈচ্ছিক ক্রিয়া, আমার মিথ্যেগুলোও তেমনি অনৈচ্ছিক মিথ্যে। রাত জেগে নিজেই
নিজের প্রচুর সাইকোঅ্যানালিসিস করেছি, কিন্তু কোনও কারণ খুঁজে পাইনি। শেষে একদিন
আমার প্রিয় লেখকের বলা একটি কথা দেখে আসল কারণটা স্পষ্ট হয়ে গেল। আমি হিসেবি কি
না, তাই আমি সত্যের বাজে খরচ করি না।
১৭. আমি জীবনের একটা লজ্জাজনক রকমের দীর্ঘ অধ্যায় ‘ক্লাস
মনিটর’ বা ‘শ্রেণীমন্ত্রী’ হিসেবে কাটিয়েছি। লজ্জা আরও বেশি কারণ আমি শ্রেণীর
কাউকে কোনওদিনও আমার একটি কথাও শোনাতে পারিনি। সব মনিটরের মতো আমারও একটা নাম টোকার
খাতা ছিল। কেউ কথা বললে বা খামোকা পাশের মেয়ের ঝুঁটির ফিতে টেনে খুলে দিলে সেই
খাতায় নাম লিখতে হত। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখলে আমি সেই ধুধধুড়ে খাতাটা
বার করে প্রবল বেগে মাথার ওপর ঘোরাতাম এবং ক্লাসশুদ্ধু সবার নাম সে খাতায় লিখে
ফেলার হুমকি দিতাম। তাতে কতখানি কাজ দিত, আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন।
১৮. মেয়েদের প্রতি আমার সহজাত পক্ষপাতিত্ব আছে।
১৯. আমার রান্না করতে ভালো লাগে না, কিন্তু শনিরবিবার
সকালের জলখাবার বানাতে আমি খুব ভালোবাসি। নিজের বানানো অমলেট খেয়ে নিজেই এমন মুগ্ধ
হয়ে যাই যে বাধ্য হয়ে অর্চিষ্মানকেও তাল দিতে হয়। হ্যাঁ হ্যাঁ, সত্যিই ভালো হয়েছে।
২০. হিংসে আমার জীবনের অন্যতম চালিকাশক্তি।
"বিরিয়ানি" bhalobaso na shune ektu dukhito holam, tobe onek beshi dukhito hoe porlam "মাংস কিংবা ভাত" konotai seirakom bhalobaso na shune .. :-( ... 18. number point er jonye high high high FIVE !!!!
ReplyDeleteহাই ফাইভ দিচ্ছি, কিন্তু বেশি জোরে দিচ্ছি না। আসলে আমার এই 'ফ্যাক্ট'টা নিয়ে আমি বিশেষ হ্যাপি নই। কারণ আমার ধারণা যে জায়গাটা থেকে এই অনুভূতিটা জাগে সেটা বিশেষ সুবিধের নয়। মানে 'আইডিয়াল' নয় আরকি। আমি অবশ্য 'পৃথিবীর কেউই/ কিছুই যখন আইডিয়াল নয়, তখন আমার ভারি দায় পড়েছে।' বলে আমার ফিলিংটাকে জাস্টিফাই করে রাখি।
Deleteseta thik eta thik justified noi ba haoa uchit o na... kintu oi ar ki ei pokhyopatitto ta achhe.. oswikar korte parina :-)
Deleteশ্রীনীতা naamtar janyo oto dukhyo pasna, kuntala to besh bhalo naam :) amio toh buro hoye gelam ,eta bojhate je Tinni naamtai amar bhalo naam,amar baba ma byartho hoyechen er theke jatil kichu rakhte ..cycle ar scootar chalate parish sune hingshe holo,bhishon,ami cycle,santar,gache chara aktao pari na
ReplyDeletear 20 nota toh darun :)
তোর নামের ব্যাপারটা আমারও বেশ ইন্টারেস্টিং লাগে তিন্নি। লাগত না, যদি না পাঁচবছর পরেই ওইরকম একটা গম্ভীর নামের আমদানি হত। অবশ্য ওটা বোধহয় নানার আইডিয়া, না?
Deleteতোর নামটা খুবই সুন্দর। শুনলেই মনে হয় বাচ্চা মেয়ে, নামের দিক থেকে তুই চির-বালিকা। গাছে আমিও ভালো চড়তে পারি না। হাঁচোড়পাঁচোড় করে যদি বা উঠি, নামার সময় ছড়েমড়ে একাকার হয়।
oi chiro balika thakar lobhei naamta akhono ache ..noile kobei 'mayabi godhuli' typer kichu jogar kortam !!
Deleteওরে বাবা! না না তিন্নিই থাক, তিন্নিই থাক।
DeleteKoyektay mil pelam...kintu ৮. er sathe miltay boroi anondito holam..sathe ro ekta jinis bhabe...amay Obangali hindibhasi bhabe.. :D
ReplyDeleteদেখেছেন সৌমেশ, এখানে আবার মিলল না। আমাকে দেখে যে কোনওদিন বাঙালি দেখেনি সেও বাঙালি বলে ধরে ফেলে। অ্যায়সান রাগ ধরে যে কী বলব।
DeleteOi 4 no. tar jonyo high five. Ami gaari chalate pari na, cycle chalate pari na, scooter chalate pari na, last snatar ketechhilam saat bochhor boyeshe. Maaney, survive korte je life skills dorkar tar beshirbhaag-i nei amar modhye. Tai tumi ei sob kichhu paro dekhe daroon impressed holam.
ReplyDeleteAr oi oporer comment ta porey bolte ichchhe holo je baba-maa er naam dewar karon gulo khub-i mysterious. Ar bhai-boner completely different naam akhchhar hoy. Ei je, amar babar naam Abhijit, jethur naam Ashish, kintu pishir naam Pinu. Dui chheler thik thak naam diye bodh hoy amar thakuma-thakurdar naamer stock phuriyechhilo.
পিনু? মানে ভালো নাম পিনু? এই নামকরণটা মারাত্মক। অবশ্য আমার একজন আত্মীয়ার নাম নিশু। আমি অনেকদিন পর্যন্ত কিছুতেই বিশ্বাস করতাম না যে ওটা নিশা-র অপভ্রংশ নয়। বাঙালির নাম নিশা হওয়াও অবশ্য বেশ অন্যরকম, তবু, নিশু? তারপর আমাকে সবাই বলল যে নিশাটিশা ছিল না কোথাও, গোড়া থেকেই নিশু। ভাবো একবার।
Deleteআর আমি তোমাকে কবে থেকে উৎসাহ দিচ্ছি সাইকেল চড়তে , প্লিজ চড়ে ফেল বিম্ববতী।
যেভাবে নামটাকে অনুবাদ করলে, মনে হল যেন ন্যাড়া মুন্ডুতে পরচুলা বসানো হয়েছে। ব্যাপারটা মোটেই সেরকম নয়। কুন্তলা শব্দের অর্থ হল কেশবতী কন্যে।
ReplyDeleteআরে মালবিকা, আমার কেশের যা ছিরি, কেশবতী কন্যেটন্যে বললে মুখের ওপর পেট চেপে ধরে হাসবে। তাই আমি একটু খারাপ করেই বলি আরকি।
DeleteAmar nam ta abar literally onubad kora hoy vulture bottom bole. Ki bejay baje na? Tai phiringi ra jigaile ami boli "means one who was saved by the birds" besh bharikki shunte lage.
ReplyDeleteহ্যাঁ, ভালচার বটম শুনতে ভালো না। দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটা অনেক সুন্দর। আমার নাম আর একটু হলেই শকুন্তলা হয়ে যাচ্ছিল, জান তো, শকুন্তলা?
DeleteIsh, holei parto! Keno holo na?
Deleteআমার অনেক বড় বয়েস অবধি কেউ নামের মানে জানতে চাইলে গম্ভীর ভাবে বলতাম "বুদ্ধদেবের নাম"। তারপর এক সময়ে মনে হলো বুদ্ধদেবের নামেরও একটা মানে থাকা দরকার। তখন টানাটানি করে যা বার করা গেল সেটা হলো "One with a beautiful gait"| দেখলাম এটা লোকের কাছে বললে প্রথমেই লোকে জানতে চায় আমার বাড়ির গেটটা খুব সুন্দর বুঝি, আর তারপর বানান করার পর আমার হাঁটাচলা লক্ষ্য করা শুরু করে। তাই আমি আবার বুদ্ধদেবের নাম বলাই শুরু করেছি।
ReplyDeleteআরো কয়েকটা ব্যাপারে আপনার সঙ্গে আমার ভয়ানক মিল দেখা যাচ্ছে, যেমন স্কুলে (ineffective) মনিটর থাকা, ইংরেজি অন্যতম প্রিয় বিষয় থাকা, OCD এবং হিংসে। বিরিয়ানি ভালবাসিনা বললে মিথ্যে বলা হবে, কিন্তু ওটা আমার প্রিয় খাবারের তালিকায় বেশ একটু নিচের দিকেই থাকবে। আমি তো ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তাক থেকে কিছু পেড়ে তারপর সেটা কিনবনা ঠিক করলে আবার দোকানের অন্য প্রান্তে সেটা রাখতে যাই। কম লোকের গালাগালি শুনতে হয়না এজন্য। এরকম আরো আছে, সব আর বলছিনা। সবথেকে আশ্চর্য্য ব্যাপার হলো অল্প আলাপ হওয়া লোকেরা মনে করে আমি ভয়ানক গম্ভীর এবং রাগী।
তবে কয়েকটা ব্যাপারে আবার বেশ অমিল। আমি ইলিশ এবং কাঁঠাল দুটোই বেজায় ভালোবাসি, স্কুটার চালাতে পারিনা, নাচ-গান শিখিনি, খেতে ভালোবাসি, সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাড়া চশমা হারাইনা, রান্না করতে ভালোবাসি আর প্রয়োজনেও মিথ্যে বলতে হিমশিম খাই।
সে কী, আমি তো কেউ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে এক জায়গার জিনিস নিয়ে অন্য জায়গায় গুঁজে বেরিয়ে এলেই তাকে (মনে মনে) গালি দেব। তারা আবার আপনাকে (আমাদের) গালি দেবে কি?
Deleteসুগত নামের মানে আমিও জানতাম না, ভেবেওছি অনেকবার জিজ্ঞাসা করব, কিন্তু করিনি। নামটা সত্যি সুন্দর।
আপনার সঙ্গে অমিলগুলো প্রথম বার হওয়ার পর আমি খুবই চমকে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, এ রকমটা তো হওয়ার কথা ছিল না। আশা করি ভার্জিনিয়ায় থিতু হয়েছেন, জেট ল্যাগ কেটে গেছে।
10. number point ta boro dukkho dilo. Ami je tomake aamar moton khaddyo rosik er dole felechilam. Jano ekta kotha bujhte paarlam. Tomar sobkota lekha porechi tai 10. chara baki sob point gulo tomar sombonde bishash hoye jaaye. Mone hoye aar kuntala er byapare eta to aagei jantam.
ReplyDeleteসে কী, আমি তো আবার নিজেকে খাদ্যরসিক হিসেবে কল্পনাই করতে পারি না। তবে সব মেলা বোরিং, একটা বিষয় যে মেলেনি সেটাই ভালো।
Deleteইলিশ আর বিরিয়ানি - এই দুটোর কথা পড়ে বড়ই কষ্ট পেলাম !
ReplyDeleteআমার মনিটর হওয়া নিয়ে দারুন মজার সব স্মৃতি আছে। ওই নাম লেখার খাতা আমারও একটা ছিল। একবার তাতে লজ্জাজনক রকমের বেশি (প্রায় গোটা ক্লাসের) নাম লিখে স্যারকে দেওয়ায় উনি রেগেমেগে আমাকেই শাস্তি দিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন !
আরে পিয়াস, হাই ফাইভ! মনিটর হয়ে আমিও দাঁড় খেয়েছি, তাও আবার ক্লাসের বাইরে কান ধরে। জাস্ট ভাবো একবার। বলছে, মনিটর থাকা সত্ত্বেও ক্লাসে এত চেঁচামেচি হয় কী করে? এই সব ট্রমা পেরিয়ে এসে যে এখনও সমাজে চলেফিরে বেড়াচ্ছি, এটাই একটা রহস্য।
Deleteপাওয়ার কোরাপ্টস, এই আপ্তবাক্যটির প্রথম সার্থক প্রকাশ দেখা যায় যখন দশ থেকে পনেরো বছরের একেকজন ন্যালাক্যাবলা/বিচ্ছুকে হঠাৎ ক্লাস মনিটর করে দেওয়া হয়!
ReplyDeleteএই ব্যাপারে একমত হতে পারলাম না অদিতি। আমার অভিজ্ঞতা ওপরে লিখেছি দেখছ তো, আমার বেলায় পাওয়ারফুল হওয়ার বদলে হাঁড়িকাঠে চড়ার পারফেক্ট পাঁঠা হওয়ার অভিজ্ঞতাই বেশি ঘটেছে।
Deleteআরে সবাই তো আর পাওয়ারের সার্থক প্রয়োগ করতে পারে না, উদাহরণ ভারতীয় রাজনীতি....কিন্তু কাল পর্যন্ত যে বেচারা নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে ক্লাস চলা কালীন ডেস্কের নিচে রেখে গল্পের বই পড়ে যাচ্ছিল কিংবা অংক খাতায় টিচারের ক্যারিকেচার আঁকছিল হঠাৎ তাকে সবার ওপর নজরদারির ক্ষমতা দিয়ে দিলে হয় সে ক্লাসশুদ্ধু সবার নাম খাতায় তুলবে, আর নয়তো তোমার (আমারও) মত খাতা বাঁইবাঁই করে ঘুরিয়ে শাসন করার অক্ষম ভান করবেে।
ReplyDeleteহাহা, সেটা ঠিক বলেছ অদিতি।
DeleteAmake ekjon kichhu din age Tuktuk samporke jigges kore chhilo, or naam ki Meha-i achhe na bhalo kichhu rekhechho? Tomar naam ta nie nischoi erakom kichhu shunte hoini? Ar amar naamer mane to anekei mone kore jar ruchi achhe (including my husband who seems to forget the real meaning very easily).
ReplyDeleteউফ, সাধে কি আমি 'অনেস্ট'/ স্পষ্টবাদী লোকদের দেখতে পারি না, রুচিরা? না আমাকে সত্যিই এ সব শুনতে হয়নি। বাঁচা গেছে।
Delete7 no e semi high five :D
ReplyDeleteসেমি হাই ফাইভ, প্রিয়াঙ্কা।
Deleteshudhu ei line-tar jonno - আমি হিসেবি কি না, তাই আমি সত্যের বাজে খরচ করি না... brilliant!!!! as usual superb lekha.. khub bhalo laglo tomake aarektu jene..
ReplyDeleteIniya
যাক আমি তো ভাবলাম, মিথ্যেবাদীটাদী শুনে অবান্তরের পাঠকরা আমার থেকে ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নেবেন, সেটা হয়নি দেখে বাঁচলাম ইনিয়া।
Deleteসত্যিমিথ্যের ওই লাইনটার ক্রেডিট যদি আমি নিতে পারতাম গো, তাহলে আমার আর কোনও দুঃখ থাকত না। দুঃখটা হচ্ছে কথাটা মার্ক টোয়েনের, আমি অনুবাদক মাত্র।
dhur biriyani ta mithye kotha..sotyi hole tumi biriyani niye eto lekha likhte na blog er alada part e ....porer point tao bhul..tumi khete khube bhalobaso..ekhane tomar obcheton mon ei uttor gulo likhiyeche..ke zane keno....aar 13 no er janyo super hi five..weired OCDs,,amader sobar e ache..besh besh
ReplyDeleteসেটা হতে পারে, মনের ব্যাপার, কখন কী ভাবে, লেখে, কিছু বলা যায় না। ওসিডি হাই ফাইভ।
Deleteoh nana etao goenda galpo guru..karon tumi to nije shwikar korcho je 15 no point e je tumi okarnei mithya balo...to eita ki andaz kora jay je biryani aar khabarer point gulo mithye
ReplyDeleteহাহা, সেটাও হতে পারে।
Deleteআমি এটাও পড়িনি দেখছি -_- , তোমার সাথে বেশিরভাগ অমিল আমার , আমার নাম নিয়ে আমি বেশ খুশি , আমার ছোটবেলায় কোনরকম সাবজেক্টই ভালো লাগত না , তবু বড় হয়ে অঙ্ক ভালো লাগত। গাড়ি সাইকেল , মোটর সাইকেল সবই চালাতে পারি এবং ভালোবাসি। ছোটবেলায় আমি কিছুই শিক্তামনা তবে মঞ্চে কবিতা বলতে উঠতাম। চড়া গন্ধ সজহ করতে না পারলেও ইলিশ কাঁঠাল আমার বেশলাগে। তবে কাঁঠাল আমার আবার নরম কাঁঠাল না হলে ভালোলাগে না। বিরিয়ানি অতি প্রিয় খাবার (কিন্তু দক্ষিন ভারতীয় মাংশ ভাত না ) আর তিন বেলা স্যান্ডউইচ হোক কি অমৃত হোক এক খাবার একাধিক বার আমার পোষায় না আদার দ্যান চা বিস্কুট। COD টা মিলেছে মিথ্যে কথাটা মিলল না , আমার দরকারের সময় মিথ্যে টা না বলতে পারার জন্য রাগ হয় যে আমার উপস্থিত বুদ্ধি কম কেন। হলুদ নীল প্রিয়
ReplyDeleteআরে অমিল না থাকলে আর সম্পর্ক ইন্টারেস্টিং হবে কী করে, প্রদীপ্ত। তোমার পছন্দঅপছন্দগুলো জেনে খুব ভালো লাগল। থ্যাংক ইউ।
Delete