সারাহান
গল্প ১। ব্রহ্মার ছেলে মরীচি, মরীচির ছেলে কাশ্যপ, কাশ্যপের ছেলে হিরণ্যকশিপু, হিরণ্যকশিপুর ছেলে প্রহ্লাদ, প্রহ্লাদের ছেলে বিরোচন, বিরোচনের ছেলে বলি, বলির ছেলে বাণাসুর। বাণাসুরের একহাজারটা হাত। বাণাসুর শিবের বরে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চারদিকে অত্যাচার করে বেড়াচ্ছিলেন, এদিকে শিব বর দিয়ে রেখেছেন কোনও পুরুষ তাঁকে মারতে পারবে না। কাজেই নারী চাই, বলা বাহুল্য, ব্যবহৃত চলবে না, কুমারী হতে হবে। তখন সব দেবতার তেজটেজ সংগ্রহ করে এই সারাহানের ভূমিতে এক দেবীর জন্ম হল, তিনিই ভীমকালী। সেই দেবী বাণাসুরকে বধ করলেন। মুণ্ডু কেটে মাটিতে পুঁতে দিলেন। সেই মুণ্ডুর ওপর ভীমকালী দেবীর মন্দির তৈরি হল। (এর একটা ঢের কম রোমহর্ষক সংস্করণ পেলাম, সেটা হচ্ছে যুদ্ধ হয়েছিল বাণাসুর আর কৃষ্ণের বদলে কুলু আর বুশেহর রাজার মধ্যে। কুলু বুশেহর আক্রমণ করল, যুদ্ধে জিতে বুশেহর রাজা কুলু রাজার মুণ্ডু কেটে তার ওপর মন্দির বানালেন। কুলুর লোক রাজার মুণ্ডু ফেরত চাইল, বুশেহর তিনটে শর্ত দিল। এক, কুলু আর কোনওদিন বুশেহর আক্রমণ করতে পারবে না, দুই, শতদ্রুর ধারের অধিকৃত জমি ফেরৎ দিতে হবে, তিন, কুলুর দেবতা রঘুনাথকে বুশেহরে রেখে যেতে হবে।