১৪২৯? ১৪২৯। বাকি পৃথিবী হইহই করে ২০২২-এ পৌঁছে গেল, বাঙালি এখনও মধ্যযুগে বসে হাই তুলছে আর পাশ ফিরছে। বাঙালির নববর্ষও বাঙালিরই মতো। লেটলতিফ, কুঁড়ের বাদশা, অকর্মার ঢেঁকি। ওই নববর্ষ কেমন পার্কস্ট্রিটে রাতভর উল্লাস, এই নববর্ষ সকালবেলা ছানটান সেরে ডাইনিং টেবিলে বা বিছানাতেই কাগজ পেতে লুচির সঙ্গে সাদা আলুর তরকারি। দুপুরে সিনেমা গেলে হয়। না গেলেও হয়। বাড়িতেই হইচই-তে কিছু ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে কিনা খোঁজ নিলেও ক্ষতি নেই। কিছু না পেলে সামাজিক মিডিয়ায় #টাপাটিনি চ্যালেঞ্জের হুলাবিলা হাঁ করে দেখলেই বা কী? রাতভর উল্লাসের থেকে কোনও অংশে কম রোমাঞ্চের না। বিশ্বাস না হয় নিজে দেখে নিন। ওই নববর্ষটা নিজেকে বদলে ফেলার। এই নববর্ষটা নিজের ভেতরের যে অংশটা শত চেষ্টাতেও বদলাবে না, সেটাকে জড়িয়ে ধরার। ওই নববর্ষ সংকল্পের। অবশেষে ওই কাজটা সম্পূর্ণ করার, নিজের আয়তন অর্ধেক করে ফেলার, রাগশোকতাপ জয় করে মিনি সারদা মা হয়ে ওঠার বিশ্বাসে টগবগ ফোটার। অন্তত দেড়মাসের জন্য হলেও। এই নববর্ষ, সংকল্পের কল্পনার মাঝপথে পৌঁছে, আচ্ছা এবার থেকে বাংলা ক্যালেন্ডার মুখস্থ রাখলে কেমন হয়, কত আর শক্ত হবে, আজ একলা ব