লখনৌ/ পর্ব ১
‘গাট ফিলিং’ ব্যাপারটা বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব কাজে দেয় দেখেছি। অন্তত আমার দেয় । লক্ষ লক্ষ বছর আগে আমি আর অর্চিষ্মান একবার ঘন্টা তিরিশেকের জন্য ম্যাকলিওডগঞ্জ বেড়াতে গিয়েছিলাম। হোটেল বুক করা ছিল, আবহাওয়ার পূর্বাভাস আশানুরূপ ছিল, বাসট্রেন সব টাইমে ছিল। শুধু আমার মনটাই ছিল কেমনকেমন। মোচড় দিতে গিয়ে তানপুরাটার কান হয় একচুল বেশি ঘুরে যাচ্ছিল নয় কম। বন্দিশ ঘুরে ফিরে সমে পড়ছিল ঠিকই, কিন্তু মাথা দুলে উঠছিল না। বাসের জানালা থেকে দূর পাহাড়ের মাথায় ম্যাকলিওডগঞ্জের ছায়া দেখা যেতে না যেতে আবহাওয়া অফিসকে কাঁচকলা দেখিয়ে অঝোর বৃষ্টি নামল, নামী হোটেলের দামি গিজার বিগড়ে গেল, জানালা দিয়ে বাইরের মেঘলা টিপটিপে পিছল কনকনে দুপুরের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে বিরক্ত হয়ে আমরা ঘুমোতে চলে গেলাম। ঘুম যখন ভাঙল তখন সবথেকে লম্বা পাইন গাছটার মাথা থেকেও রোদ্দুর হাওয়া, খাদের নিচ থেকে কুয়াশা পাকিয়ে পাকিয়ে উঠতে শুরু করেছে। শুধু বৃষ্টিটাই রয়েছে আগের মতো, চলছে সেই ঢিমে তেতালায়। চা দিতে এসে ভাইসাব জানালেন, “আরে সাব, কেয়া বাত কর রহে হো, ধূপ নিকলা তো থা! পুরে দো ঘণ্টে কে লিয়ে। বঢিয়া ধূপ। ওয়ান টু থ্রি-কা সাবমেমসাব খুব ঘু