চৌত্রিশ



বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকের প্রথম বছরের একটি টিফিন পিরিয়ড। আগেপিছের অসংখ্য টিফিন পিরিয়ডের সঙ্গে তাকে আলাদা করার কোনও উপায় নেই। সেই সবুজ প্রকাণ্ড মাঠ। সেই টিফিন না খেয়ে খেলার ধুম। কুমিরডাঙা, ওপেন-ডি-বায়োস্কোপ, লুকোচুরি, ছোঁয়াছুঁয়ি, লক অ্যান্ড কি, পিট্টু, খো খো। নিজের নিজের শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতা অনুযায়ী যে যার খেলা বেছে নিয়েছে। আমি পড়েছি লক অ্যান্ড কি-র দলে। আমার মাথায় কে যেন চাঁটি মেরে লক করে দিয়েছে, আমি বসে বসে ঘাস ছিঁড়ছি আর খো খো-র দিকে নজর রাখছি।

খো খো খেলা দেখেছেন কি কখনও? দুটো দল থাকে, এক দলের লোক সারি দিয়ে একজন এমুখো আর একজন ওমুখো হয়ে বসে থাকে, আর এক দল থেকে নাকি তিন জন এক এক বারে দৌড়তে নামে। বসার দলের উদ্দেশ্য এই দাঁড়ানো দলের লোকদের ছুঁয়ে দিয়ে আউট করা। এই আউট করার কাজটা যে দল কম সময়ে করতে পারবে তারাই জিতবে।

খো খো-র মতো রক্তগরম করা খেলা আমি কমই দেখেছি। সেদিনও খেলা জমে উঠেছিল। দাঁড়ানো দলের সবাই আউট হয়ে গেছে, শুধু একটা দিদি ছাড়া। বসার দলের লোকদের মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে দৌড়ে, কখনও স্পিড বাড়িয়ে কখনও কমিয়ে, খুঁটির আশেপাশে ক্রমাগত লঘু পায়ে নেচে, দিদিটা একা কুম্ভের মতো বাড়িয়ে যাচ্ছে বিপক্ষ দলের টাইম। বসার দলের মানইজ্জত ধুলোয় লুটোপুটি।

হঠাৎ একটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। দিদিটা যে ফাঁকটা দিয়ে গলছিল ঠিক সেই জায়গার খেলোয়াড় ‘খো’ পেয়ে উঠে পড়েছে। বাঘের মতো থাবা বাড়িয়ে ঝাঁপ মেরেছে দিদিটার দিকে। এক সেকেন্ডের জন্য মনঃসংযোগ হারিয়েছিল কি দিদিটার? বিপদ বুঝে স্পিড বাড়িয়েছে নিমেষে, প্রাণপণ দৌড়চ্ছে, চোখ ঠিকরে বেরোচ্ছে, দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরেছে ঠোঁট, কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। তাড়া করা মেয়েটি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যতখানি সম্ভব . . . এতক্ষণ বসে থেকে তার এনার্জি তুঙ্গে . . . দিদিটার পায়ে ক্লান্তি . . . হাতটা দিদির পিঠ প্রায় ছোঁয় ছোঁয় . . . দিদিটা পিঠ ধনুকের মতো বাঁকিয়ে দিয়েছে . . . এমন সময় হাতটা এসে পড়ল দিদির উড়ন্ত বিনুনিতে।  

আউট!

লাফিয়ে উঠল বসে থাকা দল আর দলের সমর্থকরা। আর সেই চিৎকার ছাপিয়ে বেজে উঠল বেল। টিফিন পিরিয়ড শেষ। মাঠের চেহারা নিমেষে ভাঙা হাট। পক্ষবিপক্ষ মিলেমিশে গেছে। এতক্ষণ যারা একে অপরের বুক চিরে রক্তপান করতে পারে মনে হচ্ছিল তারা গলা জড়াজড়ি করে ফিরছে ক্লাসের দিকে।

দিদিটা শুধু হাঁটুতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে হাঁপাচ্ছে। এইবার সোজা হয়ে দাঁড়াল। হাত বাড়িয়ে এলোমেলো বিনুনিটাকে টেনে আনল সামনের দিকে। ক্লান্ত, উদাসীন পায়ে ক্লাসের দিকে হাঁটছে দিদিটা। খোলা লাল ফিতেটাকে কোনওমতে জড়িয়েমড়িয়ে একটা ফুলের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

আমি হাঁ করে দিদিটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। টিফিন শেষ হতে আমার লক খুলে গেছে আপনা থেকেই। আমি উঠে দাঁড়িয়েছি, কিন্তু ক্লাসের দিকে ফিরতে শুরু করিনি। দিদিটাকেই দেখে চলেছি। অবাক হয়ে ভাবছি এতও বড় হতে পারে একটা মানুষ?

অথচ এর আগেও বড় লোক দেখিনি যে তা তো নয়। সেকশনের ছত্রিশটা মেয়ে বাদ দিলে সারাদিন বড় মানুষ পরিবৃত হয়েই তো থাকতাম। মাবাবা ঠাকুমা, রবিকাকু, চন্দনামাসি, মেজদিভাই, সেজদিভাই, ফুলদিভাই। সকলেই তো বড়, এমনকি বুড়োও বলা যেতে পারে। কিন্তু তাদের বড়ত্বের ব্যাপারটা কখনও তলিয়ে দেখিনি। তেমন করে তাদের বড়ত্বটা আমাকে ছোঁয়নি কখনও, সেই আউট হয়ে যাওয়া দিদিটার বড়ত্ব সেদিন যেমন করে ছুঁল। হিংস্র শ্বাপদের মতো ওঁত পেতে বসে থাকা শত্রুব্যূহে একা একা এতক্ষণ দৌড়ল দিদিটা, নিজের জন্য নয়, দলের জন্য। এত দৌড়েও শেষরক্ষা হল না, মাঝখান থেকে ফিতেটাই গেল খুলে, এখন সেই ফিতে বাঁধতে বাঁধতে ক্লাসের দিকে হাঁটছে দিদিটা। মুখ দেখে মনে হচ্ছে বেশি দুঃখও হয়নি, কাল খেলা হলে আবারও খেলতে নামবে। কোনও একটা দলের হয়ে, হয়তো এই আজ যাদের উল্টোদিকে খেলছিল তাদের দলেই। যতক্ষণ দম থাকে প্রাণপণ দৌড়বে নিজের এবং তাদের জন্য, তারপর আউট। খুলে যাওয়া ফিতে গোটাতে গোটাতে মাঠ ছাড়বে আবার পরের দিন খেলতে নামার আশায়।

সেদিনের রৌদ্রকরোজ্জ্বল টিফিনবেলায় আমার মনে হয়েছিল, ওই দিদিটার মতো ক্লাস এইটে উঠতে পারাটাই বোধহয় বড় হওয়ার সীমা। যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক না কেন, স্রেফ সময়ের ঘাড়ে চেপেই একদিন আমি ক্লাস থ্রি থেকে হাঁটিহাঁটি ক্লাস এইটে পৌঁছে যাব। দিদিটার মতো বড় এবং হয়তো দিদিটার মতোই বীর। এই অপ্রত্যাশিত উপলব্ধির ধাক্কায় আমার মনে বিস্ময়ের সীমা রইল না।

তখন যদি কেউ আমাকে এসে বলত ক্লাস এইট তো কোন ছার, স্রেফ নিয়ম মেনেই একদিন আমার চৌত্রিশ বছর বয়স হবে, তখন আমি নির্ঘাত ভাবতাম আমার সঙ্গে রসিকতা করছে বুঝি। একটা মানুষ যে চৌত্রিশ বছরের পুরোনো হতে পারে, সেটা আমার মাথায় ঢুকত না কিছুতেই। মনে হত নিশ্চয় একটানা অত বুড়ো হওয়া যায় না। মাঝপথে তিনচারবার থেমে, দম নিয়ে, জল খেয়ে, চোখেমুখে কানের পেছনে জলের ছিটে দিয়ে তবে পৌঁছতে হয়।

আজ একবার মাঠে বসে ঘাস ছেঁড়া সেই ক্লাস থ্রি-র আমির চোখের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারলে মজা হত বেশ। বলে আসা যেত, “তুমি যতটা দূর ভাবছ তোমার জীবনের চৌত্রিশ নম্বর বছরটা তার থেকে অনেক অনেক অনেক বেশি কাছের। চৌত্রিশবার চোখের পলক ফেলে দেখ, পৌঁছে যাবে।”

*****

কিন্তু শুধু পৌঁছনোটাই কি সব? এই এতদূর পৌঁছতে গিয়ে কিছু পাথেয় সংগ্রহ হল কি না সেটার হিসেব বুঝি নিতে হবে না? সেই হিসেব নেওয়ার বাসনায় আমি গত চৌত্রিশ বছরে শেখা চৌত্রিশটি শিক্ষার কথা নিচে লিখলাম। এর মধ্যে একটা শিক্ষাও কি পরম? উঁহু। আজ এগুলোকে সত্যি মনে হচ্ছে, সামনের বছরই হয়তো দেখবেন আমার উপলব্ধি একেবারে উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছেছে। ইন ফ্যাক্ট, এটাই আমার চৌত্রিশ বছরে আহরিত প্রথম শিক্ষা।
     
1.    ১। জীবনের মতো, সত্যও অনিত্য।

২। Happiness is the best revenge.

৩। বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে নিরুত্তর থাকাটাই সবথেকে ভালো এবং যথাযথ প্রতিক্রিয়া।

৪। তর্ক করে কাউকে কিছু বোঝানো যায় না।

৫। ডিগ্রিডিপ্লোমার সঙ্গে শিক্ষাদীক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই।

৬। ফার্স্ট ইমপ্রেশন লাস্ট কিনা জানি না, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্য রাইট ইমপ্রেশন।

৭। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব মতামত রাখার ও জ্ঞাপন করার অধিকার আছে।

৮। ঠিক যেমন আমার অধিকার আছে কার মতামতকে আমি কতখানি গুরুত্ব দেব সেটা বিচার করার।

৯। নিজের মতামত নিজের কাছে রাখা, কেউ না চাইলে তো বটেই, চাইলেও। কারণ কেউ যখন কোনও বিষয়ে আমার মতামত জানতে চাইছে, তারা সেই বিষয়ে আমার মতামত জানতে চাইছে না। তারা জানতে চাইছে সেই বিষয়ে আমি তাদের মতামত সমর্থন করি কি না।  

১০। ফেলে আসা সোনার দিনগুলোকে ছুঁয়ে দেখার সবথেকে খারাপ রাস্তা হচ্ছে রি-ইউনিয়ন।

১১। পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

১২। সময় টাকার থেকে দামি।

১৩। গার্লস স্কুল, বয়েজ স্কুল, মহিলামহল, চণ্ডীমণ্ডপের মহিলাবর্জিত ঠেক – সব একই রকমের ক্ষতিকারক।

১৪। কখনও কখনও শিল্পের দোহাই দিয়ে শিল্পীর অবিমৃষ্যকারিতা অগ্রাহ্য করা যায়। বেশিরভাগ সময়েই যায় না।

১৫। দুঃখ ভাগ করে নেওয়া শক্ত, আরও শক্ত আনন্দ ভাগ করে নেওয়া।

১৬। সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

১৭। আগাথা ক্রিস্টির কলমে ভাষার গভীরতা না থাকতে পারে, তাঁর সৃষ্ট চরিত্ররা একমাত্রিক হতে পারে, তাঁর প্লটে পৌনঃপুনিকতা থাকতে পারে – তবু তিনিই সেরা।

১৮। ফেরত পাওয়ার আশা নিয়ে ধার দিতে নেই।

১৯। At my time of life, one knows that the worst is usually true.  ---মিস মার্পল।

২০। “আকাশে চান্দ উঠলে, হক্কলে দেখে।” ---আমার দিদিমা

২১। “বাবারা যা পায়নি তা আমরা পাব না।” ---চন্দ্রবিন্দু

২২। ডবল মাটন ডবল চিকেন ডবল এগ রোলের থেকে চিকেন মাটন এগ রোল ভালো খেতে, চিকেন  মাটন এগরোলের থেকে চিকেন এগ রোল ভালো খেতে, চিকেন এগ রোলের থেকেও ভালো খেতে এগ রোল। সিংগল এগ রোল।

২৩। শিখতে চাইলে শিখে নেওয়াই যায়, তবে আমার মতো ছবি-তুলিয়ের পক্ষে ক্যামেরার অটোম্যাটিক সেটিংস গুড এনাফ।

২৪। পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই সুখী নয়। আমি যাদের দেখে হিংসেয় জ্বলেপুড়ে মরছি তারাও না।

২৫। বোকা বন্ধুর থেকে বুদ্ধিমান শত্রু ভালো।

২৬। একশোজন বন্ধুর থেকে একজন সঙ্গী ভালো।

২৭। নিশ্ছিদ্র আত্মবিশ্বাসের থেকে সামান্য নার্ভাসনেসমিশ্রিত আত্মবিশ্বাস বেশি কাজের।

২৮। খাওয়া জরুরি, ঘুম আরও জরুরি।

২৯। মানুষ প্রেমে পাগল হয় আর বাৎসল্যে অন্ধ।

৩০। সাধনা সিদ্ধ হয় – মনে, বনে, কোণে।

৩১। প্রশংসা লাভের থেকে বেশি ক্ষতি করে।

৩২। কল্পনার থেকে বাস্তব সবসময়েই বেশি বর্ণময়, বেশি আগ্রহোদ্দীপক।

৩৩। আধঘণ্টা ব্যায়াম, গায়ে তেলমালিশ করে স্নান, ঠোঁটে বোরোলিন মেখে ঘুমোতে যাওয়া আর ভোর বা সন্ধ্যের কিছুটা সময় খোলা আকাশের নিচে (হেডফোন ছাড়া, একা) কাটানো। রোজ এই চারটে কাজ নিয়ম করে করতে পারলে (আমার) আর কোনওরকম রূপচর্চার দরকার পড়ে না।

৩৪। এখনও আমার অনেক কিছু শেখার বাকি আছে।


Comments

  1. Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সাহানা।

      Delete
  2. K., many many happy returns! enjoy your day.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমাকেও জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানাই, শম্পা। তুমিও আজ খুব আনন্দ কোরো।

      Delete
  3. Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, রুচিরা।

      Delete
  4. জন্মদিনের অসংখ্য শুভেচ্ছা

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, সৌরাংশু। খুব ভালো লাগল আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে।

      Delete
  5. Ar to mote 6 ti bochor.. tar pore to abar ulto kore gona suru korben!!!! Suvo jonmodin!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক ঠিক অর্ণব, একদিকটা প্রায় মেরে এনেছি। শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  6. Replies
    1. থ্যাংক ইউ, প্রদীপ্তা।

      Delete
  7. Replies
    1. থ্যাংক ইউ, রণদীপ।

      Delete
  8. শুভ জন্মদিন কুন্তলা, অনেক শুভেচ্ছা রইলো। :)
    সবসময় এরকমই থাকবেন। :)
    শিক্ষাগুলো পড়েও খুব ভাল লাগলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা অরিজিত, এ রকম থাকলে ফাঁকিবাজি আর আলসেমি নিয়ে থাকতে হবে চিরদিন। তবে আপনি যখন বলছেন তখন সেগুলো নিয়েই থাকব না হয়। শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনারও তো হ্যাপি বার্থডে ঘনিয়ে এল? আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি, তবে সেদিনও (মানে আমার দিনটার সঙ্গে বারো যোগ করে যে দিনটা আন্দাজ করছি) জানাব।

      Delete
  9. 5# ta bhari bhalo laglo, tritiyo kauke peye je eta mone kore (aro nischoi oneke achhe Ami chini na ar ki). Jak. 34 no ebong baki Sab jonmodin ebong tader majher baki sab din Shubho hok, sustho sundar anondomoy hok.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমি তো তেড়েফুঁড়ে লিখতে যাচ্ছিলাম যে ডিগ্রিডিপ্লোমার সঙ্গে শিক্ষাদীক্ষার আসলে ঋণাত্মক সম্পর্ক, যার ডিগ্রির পাহাড় যত উঁচু সে আসলে তত অশিক্ষিত, তারপর সেটা বাড়াবাড়ি হয়ে যেতে পারে ভেবে লিখলাম না।

      শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগল।

      Delete
  10. Shubho janmodin :) Anek anek shubhechha roilo!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ্‌ কোয়েল।

      Delete
  11. happy birthday once again. khub khub bhalo theko. sobkota point ei sohomot, tobe point 17 ta besh gola fatiye sohomot janacchi :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. আগাথা ক্রিস্টি হায়েস্ট ফাইভ, কুহেলি। জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  12. Subho janmodine anek anek shubhechha janai Kuntala. 22 number er jonnyo high five. Egg roll e kano chicken mutton er bhyajal deoya bapu, ektuo bhalo lagena egg chicken, egg mutton roll. Simply egg roll er jabab nei.
    Amita

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, অমিতা। একদম লাগসই শব্দটা আপনি ব্যবহার করেছেন, 'ভেজাল'। এগরোলে চিকেনমাটন ভেজাল ছাড়া আর কিছু নয়।

      Delete
  13. ইশ! সেই দেরি করে ফেললাম। তবে আমার এখানে কিন্তু এখনো তোমার জন্মদিন। অনেক শুভেচ্ছা নিও। কালকের দিনটা কাটালে কিভাবে?

    আর ১৪ নম্বরের সাথে কি সাম্প্রতিক কোন ঘটনার সম্পর্ক আছে?

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে দেরি হয়নি কিছুই, পিয়াস। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ। ১৪ নম্বরের বিষয়টা আমাকে ভাবাচ্ছে বেশ অনেকদিন থেকে। তবে তুমি ঠিকই ধরেছ, সেটা ভাবনার ওপরের স্তরে এসেছে ইদানীংকালের একটা ঘটনার সূত্র ধরে।

      Delete
    2. হুঁ, ওই একটা ব্যাপার বেশ ক'দিন ধরে আমার মনটা খুব খারাপ করে দিয়েছিল। শিল্প আর শিল্পীকে এত সহজে কি আর আলাদা করে নেওয়া যায় ভালোলাগার বিচারে?

      বললে না তো কাল কি করে সেলিব্রেট করলে? অনেকদিন হল 'শনিরবি' সিরিজেরও দেখা নেই ! একটা আলাদা পোস্ট আসছে কি?

      Delete
    3. কিছুই বলার মতো করিনি, পিয়াস। জাস্ট শুয়ে বসে আরাম করে কাটালাম। কিছু করার থেকে সেইটাই বেশি লোভনীয় মনে হল।

      শনিরবি স্রেফ উদ্যমের অভাবে আর ছাপা হয় না, দেখি, সামনের সপ্তাহে যদি কিছু জোগাড় করতে পারি।

      Delete
  14. হিসেব মত তুমি আমার থেকে ঠিক দু মাসের ছোট, আমি অক্টোবরের ১৪ আর তুমি ডিসেম্বরের। সালের হিসেব করতে বসলে অবিশ্যি বিভং, ভীবং বিভং ! ভালো থেকো, আগামী দিনগুলো খুব আনন্দে, শান্তিতে, সুস্থতায় কাটুক।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা অদিতি, তাহলে সালের হিসেবে গিয়ে কাজ নেই, আমরা চোদ্দোতুতো বন্ধু হয়েই থাকি। শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  15. Janmodiner onek subhechha Kuntala. Ektu deri hoe galo... kolkatai eisomoita eto sundor je soni -robi holei berie porte ichhe kore... aj abantor khule dekhi ekta special day miss kore gechhi.. khub khub bhalo theko.. agamidingulo khub anonde katuk.
    protyekta kothai darun , ar khub beshi mone dhorlo 9,11,15 ar 34 :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. কিচ্ছু দেরি হয়নি ইচ্ছাডানা, শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শনিরবি আপনারা ঝলমলে রোদ্দুরে ঘুরে বেড়ালেন শুনে হিংসে করছি, কারণ দু'দিনই দিল্লির আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে ছিল, কাল সন্ধ্যেবেলা তো মেঘটেঘ ডেকে বৃষ্টিও হল।

      Delete
  16. Many Happy returns of the day! Tomar 34 ti amulya sikkha 100 ti hok!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, রুণা। আরে একশো কী বলছ, ইন্টারনেটের ডেথ ক্লক বলেছে আমি একশো তিন বছর বাঁচব। কী সাংঘাতিক ব্যাপার ভাবো জাস্ট।

      Delete
  17. শুভ জন্মদিন কুন্তলা, অনেক শুভেচ্ছা :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, সায়ন। খুব ভালো লাগল আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে।

      Delete
  18. janmodiner shubheccha janate ektu deri hoye gelo Kuntala. Riddhi-r jwar haoyate anek din abantor bhraman hay ni.
    34 ta shikkhai darun tabe 3 nambor-ta hocche besh dami. amar mone hay. er shathe oi 'boba-r shotru hay na' keo relate korte para jay.
    jai hok janmodin khub bhalo katiyecho asha korchi. shara bachor tomar khub bhalo katuk...r din din abantor-er r o samriddhi ghotuk ei kamona roilo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, দেবশ্রী। তোমার মেয়ের শরীর ভালো হয়ে গেছে আশা করি। জন্মদিন নিষ্ক্রিয়তায় কাটিয়েছি, কাজেই ভালো কাটিয়েছি। তোমার শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
    2. hyan Riddhir jwar shere geche but kashi ache. r shono na amar meyer baburam shapurer version- je shaper ankh nei, shing nei nails nei....

      Delete
    3. হাহাহা, বেশ ভালো অনুবাদ করেছে তো ঋদ্ধি।

      Delete
  19. কুন্তলা দি শুরুটা দারুন .. ওই খো খো খেলার টপিক টা আমার খুব প্রিয়। কাল নেট রিচার্জ ছিল না আজ জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানাই ।অন্যবারের মত জন্মদিনে কি করলে লিখলে না? ৩৪ টা শিক্ষা একেবারে বাণী .. রোল টা একদম মনের কথা ... ভালো কথা মাটন ভিন্দালু বানিয়েছিলাম.. বেশ প্রশংসা পেয়েছে .. :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে বাঃ, মাটন দিয়ে আমিও তাহলে একবার ভিন্দালু বানিয়ে দেখব। তোর শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, ঊর্মি।

      Delete
  20. Excellent list. Pretty thought provoking! Pode anondo pelam.

    Onek shubhechha roilo.
    iti
    Shuteertho

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, সুতীর্থ। আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে খুব খুব ভালো লাগল।

      Delete
  21. জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

    খোখো কখনও খেলিনি (কাবাডি খেলেছি অনেক), তবে এক কালে দূরদর্শনে দেখেছি বটে। খোখো-দিদি-বড় হবার উপমাটা ভারি সুন্দর লাগল।

    আচ্ছা, আপনি ঠিক জানেন যে বয়সটা চৌত্রিশ? চৌষট্টি নয়? খারাপ ভাবে নেবেননা। তবে কিনা, চৌত্রিশ বছরের মধ্যেই জীবনের এতগুলো গূঢ় সত্য উপলব্ধি করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। মাইরি বলছি। আমি আপনার চেয়ে বয়সে অন্তত কয়েক বছরের বড়, তবে উপলব্ধি গুলো এত স্পষ্ট নয়। এক একটা জুয়েল। ২২ আর ১৭ ছাড়া প্রত্যেকটার সঙ্গে আমি একেবারে একমত। একদম মনের কথা বলেছেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, তথাগত। শুভেচ্ছা পেয়ে খুব ভাল লাগল। খাতায় কলমে তো চৌত্রিশ, তবে আমার মনে হয় চুয়াত্তর হওয়াটাও কিচ্ছু অস্বাভাবিক নয়।

      Delete
  22. Jah! Late hoye gelo. Tobuo... Onek onek shubhechha!! 9-ta mokkhom.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, সোমনাথ।

      Delete
  23. deri hoye gelo ektu.. belated happy birthday :) :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, স্বাগতা। খুব ভালো লাগল তোমার শুভেচ্ছা পেয়ে।

      Delete
  24. Amio deri kore fellam wish korte... :( . Wish u many many happy returns of the Happy birthday... :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. কিচ্ছু দেরি করিসনি, ভট্টা। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।

      Delete
  25. শুভ জন্মদিন দিদি। এই হি হি শীতে জন্মদিন হলেই গুড়ের পায়েস খেতে ইচ্ছে করে, তাই না? আমার ত খুব ভালো লাগে খেতে। আপনার লিস্ট টা বেশ ভালো লাগল পড়ে। কিন্তু কিছু ব্যাপারে বেশ confused হয়ে গেলাম। একে একে বলি-
    ১। ৩-৪-৭-৮-৯ কেমন যেন পরস্পরবিরোধী । যা জানি তা বলবো না কেন? তাহলে কি এই virtual space আমাদের insecurity র একটা বিমূর্ত প্রতিফলন? কোথায় যেন পড়েছিলাম - 'Man is least himself when he talks in his own person. Give him a mask, and he will tell you the truth.- Oscar Wilde'

    ২। ২১ আর ২৬- দুটোই কি পুরোপুরি ঠিক?
    আর সবচে ভালো লাগল ২০ - আমার ঠাকুমা ও ঠিক এই কথাটাই বলতেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, হীরক। শুভেচ্ছার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। তুমি যে আমার লিস্টটা এত মন দিয়ে পড়েছ, তার জন্যও থ্যাংক ইউ। এবার আমি তোমার কনফিউশনগুলোর জবাব দিতে চেষ্টা করি, দাঁড়াও।

      মতামত নিয়ে আমার মতামত তোমার কেন পরস্পরবিরোধী লেগেছে বুঝতে পারছি। আমি বলছি সকলের মতামত আছে, এমনকি আমারও, অথচ সে মতামত প্রকাশ করায় আমার অনীহা। তার একটা কারণ বোধহয় আমার আত্মবিশ্বাসের অভাব। একে তো আমার মনে হয় কোনও বিষয়টাই আমি মতামত দেওয়ার মতো করে জানি না, দুই, একই বিষয়ে আমার মতামত এই চৌত্রিশ বছরে এতবার পাল্টেছে, যে সেগুলো জোরে জোরে লোকের সামনে বলতে এখন ভয় লাগে। কী জানি, এখন যা যা মনে হচ্ছে, সামনের বছরই হয়তো ঠিক তার উল্টো মনে হবে। তখন আমাকে "তুমি তো ওইটা বলেছিলে" বলে চেপে ধরলে বিপদে পড়ে যাব।

      হাহা, এই অস্কার ওয়াইল্ডের উক্তিটা পড়ে একটা কথা মনে হল। অবান্তরের পাঠকরা বেশিরভাগই খুব নরম মনের মানুষ এবং আমাকে অন্যায় রকম ভালোবাসেন, কাজেই তাঁরা আমাকে পারতপক্ষে খারাপ বলেন না। মাঝে মাঝে ভুলভ্রান্তি ধরিয়ে দিতে হলেও সেটা খুব আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে ধরিয়ে দেন। কিন্তু কেউ কেউ আছেন যাঁরা নিন্দে করতে হলেই অ্যানোনিমাস হয়ে যান। সেটার কারণ এতদিনে উন্মোচিত হল।

      ঠাকুমাদিদিমারা যে কী মোক্ষম সত্যি কথাগুলো কী অনায়াসে বলে দিতে পারেন, ভাবা যায় না।

      Delete
    2. ওহ, একুশ আর ছাব্বিশ, দুটোকেই আমার ঘোরতর ঠিক মনে হয়, তবে তোমার না-ই হতে পারে।

      Delete
  26. Motamoter motamoter motamot = (motamot)^3
    Confusion ta kate Ni. Otikothon o bangal sulov gnak gnak swovaber boshe tai abar likhte boilam. Asole Ami nitanto paragneye lok. Apnader sokkolkar lekha pore bishal shohor boro university bideshi bosonto
    Medhabi onushongo kolponay dekhi, riddho hoi. Sekhanei list tar gurutwo, ovignyotar osammyo ke kichhuta holeo komiye aanbar proyaas. Tai abar Amar veblu marka proshno- tahole 1 no postulate ke to Ami neglect korchhi.
    Ar Amar mukhosher suto kete gechhe didi, tai echchhe holeo anonymous hote Pari na. Shubho ratri. Jai kaje bosi ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই মেরেছে, হীরক, ওই যে তুমি বিশাল শহর, বিদেশী বসন্ত, আরও মেধাটেধা কী সব বললে, ও সবের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি মফস্বলের হাঁ করা মানুষ - ছিলাম, আছি এবং থাকব।

      Delete

Post a Comment