Posts

Showing posts from February, 2015

সাপ্তাহিকী

Image
আলোকচিত্রীঃ Marcello Maiorana Become like water my friend.                                                               ---Bruce Lee একই জামার রং আমি দেখলাম সাদা-সোনালী, অর্চিষ্মান দেখল নীল-কালো। কিন্তু কেন? হয়তো এমন একটা সময় আসবে যেদিন 'নর্মাল’-এর বদলে আমরাই হব প্রান্তিক। স্পেকট্রামের মধ্যমণি হয়ে থাকবে আরও অনেক রকম মানুষ। সে সময়ের জন্য নিজেকে মনে মনে প্রস্তুত করতে সুতীর্থর পাঠানো লিংকে ক্লিক করুন। খিদে পেটে বাজারে যাবেন না। নস্যির বদলে চকোলেট। আইডিয়াটা মন্দ না। এক থেকে একশো। এ’রকম হল আমার শহরে থাকলে আমি প্রতি সপ্তাহে একটা করে সিনেমা দেখতে যেতাম। এ সপ্তাহের গান। ব্রেকফাস্টের জন্য মন আকুল হয়েছে বুঝতেই পারছেন।

বাতিক

এই পোস্টের কমেন্টে ক্যাডবেরি কেমন করে খাওয়া হবে নিয়ে লোকজনের আলোচনা পড়ে অনেকদিন আগে লেখা অবান্তরের একটা পোস্টের কথা মনে পড়ে গেল। সেই একই বিষয় নিয়ে আবার যে একটা পোস্ট লিখছি তার গৌণ কারণ হচ্ছে সেই পোস্টটা খুঁজে বার করতে ইচ্ছে করছে না। মুখ্য কারণ হচ্ছে বিষয়টা আমার প্রিয় । মুখ্যতর কারণও আছে একটা, পরে বলছি । আমাদের ছোটবেলায় শুনেছি পৃথিবীতে ছত্রিশ রকম পাগল ছিল। এখন পাগলের ডাক্তারই আছে অন্তত ছত্রিশ রকম (সাইকায়াট্রিস্ট, চাইল্ড সাইকায়াট্রিস্ট, অ্যাডোলেসেন্ট সাইকায়াট্রিস্ট, সাইকোলজিস্ট, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, স্কুল সাইকোলজিস্ট, থেরাপিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, ম্যারেজ অ্যান্ড ফ্যামিলি থেরাপিস্ট, মেন্টাল হেলথ কাউন্সেলর, লাইসেন্সড প্রফেশনাল কাউন্সেলর, সার্টিফায়েড প্রফেশনাল কাউন্সেলর, সার্টিফায়েড অ্যালকোহল অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাবিউস কাউন্সেলর, প্যাস্টোরাল কাউন্সেলর, নার্স সাইকোথেরাপিস্ট, সাইকিয়াট্রিক নার্স, পিয়ার স্পেশালিস্ট, ক্লিনিক্যাল সোশ্যাল ওয়ার্কার এবং আদার্স), পাগলের রকম নির্ঘাত বেড়ে ছত্রিশ কোটি হয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই সেই ছত্রিশ কোটির কোনও কোনও এক রকমের মধ্যে পড়ি। তা বলে আমাদের সবাইকে ড

পুনর্ব্যাচেলর ভব

আর যার বিরুদ্ধেই ডিসক্রিমিনেশনের অভিযোগ আনা যাক না কেন, ডিকশনারির বিরুদ্ধে আনা যাবে না কিছুতেই । আমরা যাতে হিংসে না করি, আমাদের মনে যাতে কষ্ট না হয় সে জন্য সব শব্দের জন্যই আমাদের জন্য সে একটা প্রতিশব্দ বরাদ্দ করে রেখেছে। লেখকের জন্য লেখিকা, গায়কের জন্য গায়িকা, ঔপন্যাসিকের জন্য ঔপন্যাসিকা, নায়কের জন্য নায়িকা । কিন্তু তা সত্ত্বেও কারও কারও মন উঠছে না, তারা “না না না, অন্য শব্দ চাই না, ওই ওর যেটা আছে সেটাই আমার চাই” গোঁ ধরে পা ঠুকছে আর টেনে ঝুঁটির রাবারব্যান্ড খুলে ফেলছে ।   সেই সব নেমকহারামদের মধ্যে আমি একজন। আমি মনে করি শব্দ আলাদা হলে শব্দের মানেও আলাদা হতে বাধ্য । কাজ যতই এক ও অবিকল হোক না কেন। কোনও কোনও সময় তো সে মানে এমন বদলে যায় যে বানানের মিল ছাড়া তাদের মধ্যে কোনও মিল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে । যেমন ধরুন ব্যাচেলর শব্দটা। ব্যাচেলর বললেই মনের মধ্যে কেমন একটা সুন্দর ছবি ভেসে ওঠে, বেপরোয়া বুনো ঘোড়ার মতো একটা মানুষ পৃথিবীর পথ দিয়ে টগবগিয়ে ছুটে চলেছে, সোনালি কেশরের মতো হাওয়ায় পতপত করে উড়ছে মাথাভর্তি ঝাঁকড়া চুল, লাউডস্পিকারে মহম্মদ রফি গলা খুলে গাইছেন, “ম্যায় জিন্দেগি ক

Which kind are you?

Image
উৎস   বাঁ দিক। ক্রাস্ট ফেলে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। পিৎজার ওই অংশটাই আমার সবথেকে ভালো লাগে। তবে আজকাল এক রকম পিৎজার বিজ্ঞাপন দেখায় টিভিতে যেটাতে ক্রাস্টের ভেতরেও চিজ পোরা থাকে। কামড় দিলে ঠোঁটের কোণ বেয়ে গড়ায়। ওই রকম পিৎজা হলে অবশ্যই ডান দিক। ডান দিক। আমি সর্বদা দাম দেখে খাবার অর্ডার করি। নিজে দাম দিলেও, অন্যে দাম দিলে তো বটেই। ডান দিক। মাস্টার্ড। যত ঝাঁঝালো তত ভালো। বাঁ দিক। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর টমেটো কেচাপ ততক্ষণ একে অপরের থেকে সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রাখবে যতক্ষণ না আমি তাদের এক করে মুখে পুরছি। ইন ফ্যাক্ট, আমার সামনে বসে কেউ ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের ওপর টমেটো কেচাপ ছড়িয়ে মাখামাখি করে খেলে আমি আর বিশেষ কিছু খেতে পারব কি না সন্দেহ। বাঁ দিক। কোকা কোলা ভালো, কোক জিরো আরও ভালো, ডায়েট কোকা কোলা অত ভালো না। তবে পেপসির তুলনায় সবকটাই ঢের ভালো।   দু’দিকই। বাইরে খেলে কাঁটাচামচ দিয়ে খাই, বাড়িতে নিজের লোকজনদের সঙ্গে বসে খেলে হাত চালাই। বাঁ দিক। যারা ও রকম খামচে খামচে ক্যাডবেরি খায় আমি তাদের সহ্য করতে পারি না। মনে হয় ডেকে বলি, “আসুন, আপনাকে ক্যাডবেরি কী করে খেতে হয় শিখিয়ে

থাম্বস আপ

নিজের মনকে চোখ ঠারিয়ে লাভ নেই। বুঝে গেছি মানবসম্পর্কের জটিল টানাপোড়েনের অকূল পাথারে সাঁতরানোর দম আমার আর নেই, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের চতুর রিক্যাপ মগজস্থ হওয়ার বুদ্ধিও না। এখন আমাকে বইয়ের পাতার ওপর টেনে রাখতে পারে একমাত্র খুনজখম রক্তারক্তি। তাই যখন খবর পেলাম দেশ পত্রিকায় গজপতি নিবাস রহস্য ধারাবাহিক ভাবে বেরোতে শুরু করছে, আমি দেখলাম এই সুযোগ। এক ঢিলে একাধিক পাখি মারার। বাংলা উপন্যাস পড়ার আর তার সঙ্গে দেশ পত্রিকা পড়ার অভ্যেসটাকেও ঝালিয়ে নেওয়ার। মনে মনে শপথ নিলাম সুখেদুঃখে, ভালোয়মন্দেয়, খুনজখম কিডন্যাপিং-এ আমি গজপতি নিবাসের সঙ্গে থাকব, একটি সংখ্যাও মিস করব না। বাজারে একটা কাগজের দোকান থেকে নিয়মিত দেশ কিনে পড়া শুরু করলাম। দোকান বলাটা অবশ্য বাড়াবাড়ি। বাজারের সীমানানির্ধারক চওড়া সিমেন্টের পাঁচিলের গায়ে লাগানো তক্তার টেবিল, তার ওপর সারি সারি কাগজ ম্যাগাজিন। টেবিলের চারদিকে চারটে বাঁশ গোঁজা। বছরের পাঁচ সন্ধ্যেয় বৃষ্টি হলে যাতে তার ওপর নীল প্লাস্টিকের ছাউনি টাঙানো যায়। বাঙালি পাড়া, কাজেই বাংলা পত্রপত্রিকার ভাগই বেশি। যদিও টেবিলের পাশে যে ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁর খাড়া নাক আর নাকের নি