সারিস্কা
সারিস্কা ব্যাঘ্র
সংরক্ষণ উদ্যানের নাম আমি প্রথম শুনি দু’হাজার পাঁচ ছয় সাল নাগাদ। সেই যখন ধরা পড়ল
সারিস্কার জঙ্গলে আসলে একটাও বাঘ নেই, কর্তৃপক্ষ মিছিমিছি সমীক্ষার নামে বছর বছর
মনগড়া একটা সংখ্যা বলে দেশশুদ্ধু লোককে বোকা বানাচ্ছেন। আর ফার্স্ট ইমপ্রেশনের
সূত্র মেনে সারিস্কা মানেই জোচ্চুরি আর জোচ্চুরি মানেই সারিস্কা, এই ধারণা তখন
থেকেই আমার মনে বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল।
তাই অফিস থেকে যখন
দু’দিনের জন্য সারিস্কা বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা হল তখন আমি তাতে বিশেষ উৎসাহ দেখাইনি।
এক তো জোচ্চুরির প্রতি বিরাগ, দুই দলবলের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া সম্পর্কে অনীহা।
সিগনিফিক্যান্ট আদার্স সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার একটা প্রস্তাব অবশ্য দেওয়া ছিল। কিন্তু
হঠাৎ একগাদা অচেনা লোকের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়াটা, আমার সিগনিফিক্যান্ট আদার, সেই লোকজন
এবং সর্বোপরি আমার পক্ষেও বিড়ম্বনা। কাজেই গেলে একাই যাব, না হলে যাবই না এ নিয়ে
প্রথম থেকেই নিঃসন্দেহ ছিলাম।
অনেক ভেবে যাওয়াই
স্থির করলাম। তিনটে জিনিস সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করল। এক, বিনাপয়সায় বেড়ানোর
সুযোগ, দুই, অফিসের সঙ্গে একাত্মতা প্রমাণ, তিন, সে সময়সীমা
মোটে তিরিশ-বত্রিশ ঘণ্টার।
আমি আগেভাগে পৌঁছে
জানালার সিট বেছেছিলাম, বেশ রাস্তা দেখতে দেখতে যাওয়া গেল। দেখলাম জানালার বাইরে শহর বদলে মফস্বল, মফস্বল বদলে
কেমন গ্রাম হয়ে গেল। চাণক্যপুরীর সাজানোগোছানো রাস্তা বদলে হাইওয়ে হয়ে গেল। হাইওয়ের পাশে ধূধূ ধুলোমাখা মাঠে উঁচু
উঁচু বহুতল বাড়ি অব্যবহারে মলিন। এ সব বাড়ি অবশ্য ব্যবহারের জন্য বানানোও হয়নি।
হয়েছে ইনভেস্টমেন্টের জন্য। তারও পর জানালার বাইরে শুধু সর্ষেক্ষেত আর পাম্প। ক্ষেতের মধ্যে
দিয়ে মেঠো পথে ধুলো উড়িয়ে চলেছে মোটরবাইক।
দিল্লি থেকে সারিস্কা
বেশি দূর নয়। দুশো কিলোমিটার মতো। কোনওদিকে না তাকিয়ে, না থেমে, নাকবরাবর চললে
চারঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া উচিত, কিন্তু একশো কিলোমিটারের মাথায় ব্রেকফাস্ট করতে থামায়
একঘণ্টা যোগ হয়ে গেল। হোটেলর গেট দিয়ে যখন বাস ঢুকছে তখন ঘড়িতে বেলা একটা।
হোটেল বলা অবশ্য অন্যায়, কারণ আমরা থাকছি সারিস্কা প্যালেসে। আঠেরোশো বিরানব্বই সালে, মহারাজা জয় সিং-এর বানানো রাজপ্রাসাদ। প্যালেসে পৌঁছে বাস থেকে নেমে আমাদের চোখ টেরিয়ে গেল। প্রাসাদের গেটে দাঁড়ানো সাফারি স্যুট পরা একজন ভদ্রলোক হাতে থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, ললাটে টিকা দিয়ে আমাদের অভ্যর্থনা করবেন বলে। পাশে এক রোগা ছোকরা চকচকে লালহলুদ ভয়ানক জমকালো কাঁচবসানো এক জোব্বাপাগড়ি পরে দাঁড়িয়ে, হাতে ধরা আছে, মাথায় ম্যাচিং পাগড়ি। জোব্বার সাইজ দেখে বোঝা যাচ্ছে ছোকরা এর মালিক নয়, কিংবা কঠোর ডায়েটিং করে রোগা হয়েছে। প্রকাণ্ড জোব্বার নিচ থেকে নীল স্ট্র্যাপ দেওয়া সাদা হাওয়াই চটি বেরিয়ে আছে। হাতে ধরা রবাবে ছড় টেনে সে গম্ভীর সুর তুলেছে ‘তুম হি হো, তুম হি হো, মেরি আশিকি, বস তুমি হি হো’।
রিসেপশন পেরিয়ে
বারান্দা, বারান্দায় রাখা টেবিল, টেবিলের ওপর রাখা সারি সারি সাদা খাম। খামের ভেতর
একটি করে চাবি আর বাইরে একটি করে নাম। আমার নামের খামটা তুলে নিয়ে দেখি লেখা আছে
কুইন’স কোর্ট একশো আটষট্টি। সারিস্কা প্যালেসের কম্পাউন্ডের পেছনদিকটাও সামনেদিকটার
মতোই সুন্দর। বিরাট মাঠ পেরিয়ে, বন পেরিয়ে দূরে আরাবল্লীর নীল ছায়া দেখা যাচ্ছে। মাঠের
ডানদিকে আর একটা ছোট ঘেরা চত্বর, চত্বরের তিনদিক ঘিরে একতলা ঘরের সারি। একসময় হয়তো
সারভেন্টস’ কোয়ার্টারস ছিল, এখন কুইন’স কোয়ার্টার বলে চালানো হচ্ছে। তা হোক, আমার
আপত্তি নেই।
এ ধরণের বেড়াতে
যাওয়ার অসুবিধে অনেক। নিজের মতো করে কিছু করার সুযোগ নেই। ডায়ে যাব ঠিক করে হঠাৎ
মন বদলে বাঁয়ে চলে যাওয়ার উপায় নেই। কিন্তু সুবিধেও আছে কিছু। মগজ সম্পূর্ণ অফ করে
রাখার সুবিধে। স্টেপ সব বাঁধাই আছে। চাবি নিয়ে ঘরে যাও, ব্যাগ রাখো, পনেরো মিনিট
যেমন খুশি খরচ করে রেস্টোর্যান্টে চলে এস, লাঞ্চ খাও, জিপ তৈরিই আছে, খেয়ে উঠে
সাফারিতে চলে যাও।
পনেরো মিনিট শুনতে
কম কিন্তু আসলে অনেক সময়। খাটে চিৎপাত হয়ে পড়ার জন্য, আমি যে অক্ষত দেহে সারিস্কা
পৌঁছেছি সে খবর ফোন করে সকলকে দেওয়ার জন্য, চোখেমুখে জল দেওয়ার জন্য, আর ক্যামেরা নিয়ে খেলা করার জন্যও।
রাজপ্রাসাদের খাওয়া
প্রায় রাজারাজড়ার মতোই। পোলাও, পনির, মুরগি, পাঁঠা, ডাল, তরকারি, স্যালাড, পাঁপড়,
চাটনি, রসগোল্লা। তাও নির্ঘাত কয়েকটা পদ বাদ পড়ে গেল। সে পড়ুক গে, মুগডালের
হালুয়াটা বাদ না পড়লেই হল। মাপমতো ঘি, মাপমতো চিনি, ঝিরিঝিরি কাটা আমন্ড বাদাম
দেওয়া মুগডাল হালুয়া। এখনও মুখে লেগে আছে।
খেয়েদেয়ে দুর্গা বলে
বেরিয়ে পড়া গেল। রওনা হওয়ার আগে গাইড ভাইসাব আমাদের সবাইকে দিয়ে ডিসক্লেমার ছাপা
কাগজে নামঠিকানা লিখিয়ে সই করিয়ে নিলেন। বাঘে যদি ধরে, লেপার্ডে যদি মারে, কুমিরে যদি কামড়ায়, নীলগাই যদি গুঁতোয় আর এই সব
দেখে হায়নায় যদি হাসে, তাহলে দোষ কর্তৃপক্ষের নয়।
সারিস্কার জঙ্গল
বিরাট। বিশেষত, আরাবল্লীরই কোলে অবস্থিত এর পড়শি রণথম্ভোরের সঙ্গে তুলনায়।
রণথম্ভোরের তিনশো বিরানব্বই বর্গ কিলোমিটারের তুলনায় সারিস্কার আটশো ছেষট্টি বর্গ
কিমির তুলনায়। এদিকে দু’হাজার চোদ্দ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী রণথম্ভোরে বাঘ আছে একষট্টিটা,
সারিস্কায় তেরো। সাতটি মহিলা, দুটি পুরুষ, চারটি ছানাপোনা। তবে সেই কেলেংকারির পর এই তেরোটি বাঘকেই তোলা
তোলা করে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি বাঘের ওপর জি পি এস-এর সাহায্যে
দিবারাত্র নজর রাখা হয়। গাইড বললেন, বাঘপিছু দু’জন করে পাহারাদার বরাদ্দ আছে,
তাদের কাজ হচ্ছে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফোন করে বাঘের হালহকিকতের খবর দেওয়া।
যতই পাহারা দেওয়া
হোক, এই বিরাট জঙ্গলে তাদের খুঁজে পাওয়া খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজে পাওয়ার মতোই
দুষ্কর। তবে বাঘ ছাড়াও বনে দেখার বিস্তর জিনিস আছে, এবং আমাদের শহুরে চোখের
মাপকাঠিতে তারা বাঘের মতোই বিরল। চিতল, সম্বর, নীলগাই, বুনোবেড়াল।
এই যে ঋষ্যশৃঙ্গের
চ্যালাকে দেখছেন, এর শিংদুটো লক্ষ্য করুন। কেমন ভেলভেটে মোড়া মনে হচ্ছে না? তার
কারণ এই শিং এখনো কাঁচা। আম জাম ছেলেপুলের মতো শিং-ও নাকি পাকে, কে জানত। শিং যখন
পাকে তখন এই ভেলভেটের মতো রোঁয়াগুলো চলে গিয়ে সেটা কেঠো কেঠো হয়ে যায়। ক্রমে শিঙের
জীবনবৃত্ত সম্পূর্ণ হয় এবং সেটি হরিণের মাথা থেকে খসে পড়ে যায়। তার জায়গায় নতুন
শিং গজায়। ইন্টারেস্টিং গল্প কি না? তবে আমার মতে গল্পের সবথেকে বেশি ইন্টারেস্টিং
ঘটনাটা ঘটে শিং খসে যাওয়ার পর।
শিংগুলো হয়
ক্যালসিয়ামের খনি। হরিণ যদি বোঝে যে তার শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিয়েছে তখন
সে নিজের খসে পড়া শিং নিজেই খেয়ে নেয়। বনের অন্যান্য বাসিন্দাদের কাছেও এই
ক্যালসিয়ামের ব্যাপারটা অজানা নয়। হায়না, সজারু এরাও খসে পড়া শিং দেখতে পেলে
সেটাকে Calpep মনে করে খেয়ে ফেলে।
হঠাৎ বাঁদিকে মোড় নিয়ে মেঠো পথ ছেড়ে আমাদের জিপ জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ল। একটা
জলাশয়। বর্ষার সময় নিশ্চয় জল অনেক বেশি থাকে কিন্তু আধাশুকনো অবস্থাতেও তার
সৌন্দর্য দেখার মতো। জলের পাশে জিপ থামিয়ে আমরা দাঁড়ালাম কিছুক্ষণ। ঠাণ্ডা হাওয়া
জলে ঢেউ তুলেছিল, দেখলাম। কতগুলো কুঁড়ে কুমির জলাশয়ের মাঝখানে একটা চড়া মতো জায়গায়
রোদ পোহাচ্ছিল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাদের দেখে ল্যাজ নাড়ল। বাকিরা পাত্তাই দিল
না।
সারিস্কায় সবাই বাঘ দেখতে যায় বটে কিন্তু পাখি দেখতেও যাওয়া চলে। ব্যাঘ্র
সংরক্ষণ উদ্যান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারিস্কা বার্ড স্যাংচুয়ারিও বটে। কতরকমের যে
পাখি আছে সারিস্কায় সে আমি হিসেব করে বলতে পারব না, আপনারা পড়ে নিতে পারেন। শুধু
ভারতীয় পাখি নয়, সাইবেরিয়া থেকে পরিযায়ী পাখিরাও আসে সারিস্কার লেকের জল খেতে।
সারিস্কার পাখিরা ভয়ানক সাহসী। চেকপোস্টে থামতে হয়েছিল খানিকক্ষণের জন্য, তখন
এরা এসে আমাদের জিপের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
ততক্ষণে আমার ঘুমে চোখ ঢুলে আসছে। ভাগ্যক্রমে আমার জিপে আরও একজন চা প্রেমী
ছিলেন। জানা গেল সারিস্কায় চায়ের দোকান আছে বটে একখানা। মন্দিরের গায়ে। গেলাম
সেখানে। চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে প্যাঁড়া খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। আমি শুধু চা-ই খেলাম।
তেষ্টার মুখে কী ভালো যে লাগল।
চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে এই দৃশ্য মন্দ না।
বাঘ দেখিনি কিন্তু বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছি।
বাঘপ্রহরীদের একজন।
ছ’টা নাগাদ যখন ফিরলাম তখন সব অনুভূতি ছাড়িয়ে ক্লান্তিটাই প্রধান হয়ে উঠেছিল।
চা খেতে খেতে পাহাড়ের পেছনে সূর্য ডুবতে দেখে সোজা ঘরে ঢুকে গেলাম। লেপের তলায়
শুয়ে শুয়ে শুনতে পেলাম মূল প্রাসাদের ছাদে ডান্স পার্টি জমে উঠেছে, কিন্তু নাচ তো
দূর অস্ত, তখন আমাকে লেপের তলা বার করতে গেলেও অন্তত লাখখানেক টাকা দিতে হত।
পরদিন সকালে উঠে দেখলাম কুইন’স কোর্ট রোদে ভেসে যাচ্ছে।
বাস ছাড়ার কথা ছিল সকাল দশটায়। তার আগে চা খেয়ে খানিকক্ষণ এদিকওদিক ঘুরে
দেখলাম। আর তখনই কানে একটা কোরাস গান কানে এল।
এত সুন্দর একটা প্রাণীর গলা থেকে ও রকম বেসুরো আর বাজখাঁই আওয়াজ বেরোয় কী করে
সেটা একটা রহস্য।
একটু পরেই এত ডাকাডাকির কারণ পরিষ্কার হল। এখন এদের খাবার সময় হয়েছে। এক
ভদ্রলোক একগোছা শুকনো রুটি নিয়ে এসে ছিঁড়ে ছিঁড়ে জলে ফেলতে লাগলেন, নিমেষে সেগুলো
কমলাহলুদ ঠোঁটের ফাঁকে অদৃশ্য হয়ে যেতে লাগল।
চেকআউট করে চাবি জমা দিয়ে যখন বেরোচ্ছি, তখন দরজার সামনে সেই রোগা রবাববাদককে
আবার দেখলাম। সেই বেখাপ্পা জোব্বাপাগড়ি, জোব্বার তলায় সেই নীলসাদা হাওয়াইচটি। শুধু
গানটা আলাদা, “তেরি মেরি মেরি তেরি প্রেমকাহানি হ্যায় মুশকিল/ দো লফজো মে ইয়ে বয়া
না হো পায়ে।”
এই ঝটিকা সারিস্কাসফরটা একটা পাইলট সার্ভে হল বলা যেতে পারে। পরে আর কোনওদিন হাতে আর একটু বেশি সময় নিয়ে আমার ফেভারিট রুমমেটের সঙ্গে আসা যাবে।
Jhotika soforer motoi jhotika lekha... kintu chhobigulor compilation khub sundor hoyechhe. Amar barir pasher jungle ta ki dekha hoyechhe apnar? Nahole erom shitkal ghneshe chole asun ..
ReplyDeleteতোমার বাড়ির পাশের জঙ্গল মানে ডুয়ার্সের কথা বলছ তো, হীরক? আমার ভীষণ ভীষণ ইচ্ছে ডুয়ার্স যাওয়ার। মূর্তি নদীর ধারে বসে হাওয়া খাওয়ার। নিশ্চয় যাব কোনও একদিন।
Deletelekhata bhalo r chhobigulo tar thekeo bhalo :)
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, চুপকথা। লেখাটা একটু ঝটিকা হয়েছে, হীরক যেমন বলল। কিন্তু ছবি যে ভালো হয়েছে বলেছেন এইটাতে আমি দারুণ খুশি হয়েছি। থ্যাংক ইউ।
Deleteamar chhobi tulte bhalo lage. FB te regularly upload kori... Oi jonya onyer tola photo pelei age seta ektu dekhi r ki... :)
Deleteসুন্দর! তবে আমার আরাবল্লী শুনলেই আরাবল্লীর ডাকাতদের কথা মনে পড়ে যায়, আশা করি তাদের সম্মুখীন হতে হয়নি আপনাদের। ছবিগুলোও বেশ ভালো হয়েছে।
ReplyDeleteনাঃ, তারা আবার শুনেছি নাক কেটে দেয়। ভাগ্যিস দেখা হয়নি।
DeleteEta ki officer offsite? Amra ekbaar Sariskar kachei Siliserh giyechilam , tokhon jabar ichhey chhilo. Hoye otheni! Tobe amara , chaposha lokjonera, gele toh ar Sariska Palace e thakte parbo na!
ReplyDeleteআমার ধারণা পারবে, রুণা। আমরা যে ঘরগুলোয় ছিলাম সেগুলো যে কোনও সরকারি হোটেলের ভালোদিকের ঘরের মতোই। দামও আমার ধারণা ওই রকমই হবে।
Deleteএই অফসাইট শব্দটা বোধহয় তথ্যপ্রযুক্তির লাইনে ব্যবহৃত হয়। আমাদের অফিসে এটাকে 'রিট্রিট' বলা হচ্ছিল।
চালভাজা = মুড়ি
Deleteহাহাহাহা, বুঝলাম।
Deleteবেশ ভালো লাগল... "বাঘে যদি ধরে, লেপার্ডে যদি মারে, কুমিরে যদি কামড়ায়, নীলগাই যদি গুঁতোয় আর এই সব দেখে হায়নায় যদি হাসে, তাহলে দোষ কর্তৃপক্ষের নয়।"
ReplyDeleteএই জায়গাটা চমৎকার।
জঙ্গলে ঘুরতে সত্যিই দারুণ লাগে। আমাদেরও ডুয়ার্সের জঙ্গল খুব ভালো লেগেছিল।
থ্যাংক ইউ, তপোব্রত। ডুয়ার্স যাওয়ার আমার খুব ইচ্ছে।
Deleteআমি সারিস্কা গেছি ছোটবেলায় ৯৫ এ .. বাঘ ও দেখেছি রাস্তা ক্রস করছিল ... হরিণ নীলগাই .. সব মনে পড়ে গেল আবার। . ছবিগুলো সত্যি খুব ভালো ... আর তোমার জামাটা খুব সুন্দর ... :) তুমি ডুয়ার্স গেলে বক্সা জয়ন্তী তে যেও কিন্তু। ওই জঙ্গল টা ডুয়ার্স এ বেস্ট ... মূর্তি নদীতে নামলেও ভালই লাগে ....
ReplyDeleteওককে, তবে বক্সা জয়ন্তীই ঠিক করে রাখলাম, ঊর্মি। তুই সারিস্কায় বাঘ দেখেছিস! লাকি তো।
DeleteKodin age amader okhane Buxa theke bagh paliye ese ekta fnaka quarters e dhukechhilo. Rater rastar kukur gulo k diye dinner sarto.. Keu ter o payni. Vabun ki kando... Ekkebare BDO r bungalow er ultodike...
Deleteকেলেংকারি ব্যাপার তো! তোমাদের পাড়ায় যাওয়ার আগে একটু বাঘ মারার প্র্যাকটিস করে যেতে হবে দেখছি, হীরক।
DeleteSariska ghure ele ... darun! Amio khub e kom baagh dekhte peyechi eyi shob forest sanctuary te ... amar mone hoye lok jon dekhe ora ghapti mere thake ar chupi chupi amader dekhe haashe. Ranthanbore e canter e giyechilam ... ek gada lokjon ar taader shonge choto bacchara kyaan bhyaan korche ... baagh mama ji'r ar dosh ki? :-)
ReplyDeleteবাঘ দেখাটা একেবারেই চান্সের ব্যাপার, এটা ঠিক, শর্মিলা।
DeleteAraballi gechilen?? Cha ta ki ut er dudh er chilo???
ReplyDeleteউট কেন হতে যাবে, বালাই ষাট! বাঘের দুধের চা খেলাম তো।
Deleteekebare ojana jaiga.. ki sundor chhobi ... dekhei ghurte jete ichha korchhe...
ReplyDeleteটু ট্র্যাভেল লিস্টে সারিস্কার নাম লিখে রাখুন, ইচ্ছাডানা।
DeleteDarun jayega. Kokhono nam shunini. Palace ta to fatafati. Ekhane booking ki kore hoy? Erom short trip gulo mon bhalo korar best upaye. Esp for people like me who are always depressed.
ReplyDeleteকী কাণ্ড? ডিপ্রেসড কেন! আমি মনেপ্রাণে কামনা করি কুহেলি তোমার ডিপ্রেশন তোমাকে ছেড়ে পত্রপাঠ পালাক। রাজস্থান ট্যুরিজমের সাইটে গিয়ে ঘোরাঘুরি করলে বুক করার হদিশ পেয়ে যাবে।
Deletesundor prani gulor golar aaowaj sudhu kharap noy,betara bhari paji o bote ami ador korte giye besh koek bar tara kheyechi...sunechi keu keu kamor o kheyeche
ReplyDeleteহ্যাঁ, ময়ূরের রূপের ঠ্যাকার আছে। বড্ড তিরিক্ষি মেজাজ।
Deleteraj hnas to..mayur kothay pele...horbor kore likhecho naki reply ta
Deleteআমি এটা পড়িনি :O , ঝটিকা সফরের লেখা বেশ হয়েছে :)
ReplyDeleteধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
Delete