Posts

Showing posts from September, 2015

p ইজুক্যালটু

Image
উৎস

পনেরোটি মিথ্যে . . .

Image
উৎস গুগল ইমেজেস . . . যা আমি নিজেকে অহরহ বলে থাকি। ১। কালকের দিনটা আজকের দিনের থেকে লম্বা হবে। আজকের দিনটা চব্বিশ ঘণ্টার ছিল , কালকের দিনটা অন্তত ছাব্বিশ ঘণ্টার হবে। কারণ আজ আমি যে কাজগুলো সময়ের অভাবে করে উঠতে পারিনি - রেওয়াজ , ব্যায়াম এবং পড়াশুনো - সেগুলো সব  আমি  কাল করব। ২।   প্রতি বছর শারদীয়া আনন্দমেলা আমাকে কিনতেই হবে , কারণ শারদীয়া আনন্দমেলার সঙ্গে আমার শৈশব কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে আছে। ৩। আমি দিনের পর দিন ঠাকুমাকে ফোন না করলেও ঠাকুমা ঠিকই বুঝবেন যে আসলে আমি তাঁর কথা রোজ ভাবি। তাঁর   চোখের সামনে যখন ছিলাম , তখনকার মতোই , কিংবা তার থেকেও বেশি ভালোবাসি। ৪। অর্চিষ্মান আমাকে যতখানি মাতৃমুখী এবং মাতৃনির্ভর মনে করে আমি আসলে অতখানিও নই। ৫।   আমার প্রতিশোধস্পৃহা নেই। ৬। আমি এখন আমার জীবনের অন্যতম সুখের সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। অতীতের পরাজয়ের স্মৃতি আমাকে আর অবিরত ধাওয়া করে না। ৭। পরের লং উইকএন্ডে আমি বাড়ি গোছাব। বিলোনোর জন্য যে জামাকাপড়গুলো গত একবছর ধরে গুছিয়ে রাখা আছে সেগুলো যথাস্থানে পৌঁছব।   ৮। এই শেষ। পরের বার হলে সিনেমা দেখতে এসে তিনশো ট

ফাঁকিবাজি

Image
শ্রীকান্ত আর ইন্দ্রনাথ-এর গল্পে ছিনাথ বহুরুপী আবির্ভূত হওয়ার ঠিক আগে সন্ধ্যেবেলায় ভাইবোনদের পড়তে বসার দৃশ্য ছিল মনে আছে ? পড়ুয়াদের দলের নেতা ছিলেন মেজদা। তাঁর কড়া পাহারায় ভাইবোনদের পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়ার কোনও সুযোগ থাকত না। জল খাওয়া , বাথরুম যাওয়া ইত্যাদি পড়া ফাঁকি দেওয়ার রাস্তা আছে সে সব বন্ধ করার জন্য নানারকম অভিনব উপায় বার করেছিলেন মেজদা। এই সব কাজ করার জন্য সবাইকে আবেদনপত্র জমা দিতে হত , মেজদা সে সব পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করে তবে ভাইবোনদের পড়া ছেড়ে ওঠবার অনুমতি দিতেন। এই সব করতে গিয়ে তাঁর নিজের পড়ার বেজায় ব্যাঘাত হত সন্দেহ নেই , কিন্ত তিনি সে নিয়ে বিশেষ চিন্তিত ছিলেন বলে মনে হয় না। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যাদের পড়ানোর জন্য মেজদার এত বলিদান , তাদেরও গোটা সময়টা অ্যাপ্লিকেশন লিখতে আর পাশ করাতেই চলে যেত , পড়া কতখানি হত সেটা তর্কের বিষয়। আমার মায়েদের ছোটবেলাতেও এ ধরণের নিয়ম চালু ছিল জানতে পেরেছি। তবে অ্যাপ্লিকেশনের বদলে মায়েদের ছিল ঘুঁষি মারার ব্যবস্থা। সন্ধ্যেবেলা একসঙ্গে সবাই পড়তে বসত। জল খেতে হলে একবার মাটিতে ঘুঁষি মারা হত। বাথরুমে যেতে গেলে দু ’ বার। কোন বাথরুমে যাওয়া হচ্ছে , ছোট না

সাপ্তাহিকী

Image
শিল্পীঃ বিল ওয়াটারসন I think we judge talent wrong. What do we see as talent? I think I have made the same mistake myself. We judge talent by people's ability to strike a cricket ball. The sweetness, the timing. That's the only thing we see as talent. Things like determination, courage, discipline, temperament, these are also talent.                                                               ---Rahul Dravid শুরু করার আগে ভেবেছিলাম গোল্লা পাব , শেষে গিয়ে দেখি এগারোটার মধ্যে ন ’ টাই ঠিক হয়েছে। টাকাকড়ি গয়নাগাঁটির বদলে রুটির ব্যাংক । লিংক পাঠিয়েছে চুপকথা। বাঁদর যদি আপনার ক্যামেরা দিয়ে সেলফি তোলে , তবে সে সেলফির স্বত্ত্ব কার , বাঁদরের না আপনার ? সর্বমত্যন্তগর্হিতম। বেশ কিছুদিন ধরে বড়লোক দেশে ‘ ফ্রম স্ক্র্যাচ ’ খাবারদাবারের হুজুগ চলছে। এই ভদ্রলোক সত্যি সত্যি ‘ ফ্রম স্ক্র্যাচ ’ স্যান্ডউইচ বানিয়েছেন। নিজে সবজি ফলিয়ে , গরুর দুধ দুইয়ে চিজ বানিয়ে , সমুদ্রের জল থেকে লবণ নিষ্কাশন করে। সে স্যান্ডউইচের দাম কত পড়েছে বলে আপনার ধারণা ? সেলফি স

ঈদের ছুটিতে

Image

বিশ্বাস

মূল গল্পঃ The Burial of Tom Nobody লেখকঃ Richard Vincent ***** “ নেকেড আই কেম ফ্রম মাই মাদার ’ স উম্ব , অ্যান্ড নেকেড আই উইল ডিপার্ট ; দ্য লর্ড গেভ অ্যান্ড দ্য লর্ড হ্যাস টেকেন অ্যাওয়ে। ” । চার্চের প্লাস্টারচটা দেওয়াল আর নড়বড়ে পায়াওয়ালা সারি সারি বেঞ্চের ঘুণধরা কাঠে ধাক্কা খেয়ে শব্দগুলো নেতানো ফুলের মতো টুপটাপ ঝরে পড়ল। যেন তাদের কোনও ভার নেই , কোনও ধার নেই , কোনও অর্থ নেই , প্রতিধ্বনি নেই। এই পৃথিবীর বাস্তবতায় , রোদ বৃষ্টি ঝড়ে যেন তাদের কোনও জায়গা নেই। কেশে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে আমি বললাম , “ মে দ্য নেম অফ দ্য লর্ড প্রেজড। ”   কপালে বুকে আর দু ’ কাঁধে দ্রুত আঙুল ছুঁইয়ে ওরা উঠে পড়ল। ওরা মানে জনা আষ্টেক যারা ছড়িয়েছিটিয়ে বসে ছিল ঘরে। যারা এখনও আসে। আমি জানি এ কাজটা করতে ওদের কতটা ঝুঁকি নিতে হয়। বাজারের কাছটাতে , যেখানটায় জটলা করে বসে থাকে এ শহরের মাথারা , তাদের চোখে চোখ না ফেলে চোখের সামনে দিয়ে চোখ নামিয়ে দ্রুত পা চালাতে হয়। তবু কেন প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে আসে ওরা ? কোনও স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ? চার্চের কাছ থেকে কোনও সুবিধে পাওয়ার আশায় ? ছি ছি , এ সব কী ভাবছি আম