শব্দ
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি বোধহয় নিজের ছোটবেলাটার থেকে আমার মায়ের ছোটবেলাটাকে
বেশি করে চিনি। তার জন্য দায়ী অবশ্যই আমার মা। তিনি এমন ভালো গল্প বলতে পারেন যে
সে সব গল্প শুনে শুনে আমার তাঁর ছোটবেলাটা হাতের তালুর মতো চেনা হয়ে গেছে। তাছাড়া মালমশলার
দিক থেকেও মায়ের ছোটবেলাটা আমার ছোটবেলার থেকে বেশি রোমাঞ্চকর, সেটা আরেকটা কারণ
হতে পারে। আমার ছোটবেলার রোমাঞ্চ বলতে বাবার শার্ট পরে ডাক্তার সাজা, কিংবা মায়ের
ফেলে দেওয়া ব্যাগ কাঁধে নিয়ে তার মধ্যে কুচি কুচি করে কাটা কাগজের টাকা পুরে চৌকাঠ
পেরিয়ে অফিস যাওয়া। যাওয়ার আগে বালিশ-শিশুকে খাটের ওপর শুইয়ে সান্ত্বনা দেওয়া,
“তুমি চুপ করে শুয়ে থাকো, আমি সই করেই চলে আসব।”
মায়েদের খেলা শুরু হত সকাল থেকে। শীতকালে লেপের তলায় মা আর ইতুমাসি শুয়ে
থাকতেন, একজনের ঘুম ভাঙলে অন্য জন্যকে ঠেলে জাগানো হত, তারপর দু’জনের দুটো হাত
দিয়ে লেপটা সামান্য তুলে ধরলেই বেশ একটা কোটর মতো তৈরি হত। পুরোনো লেপের তুলো সরে
যাওয়া অংশ ভেদ করে ঢুকে আসত সকালের কমজোরি আলো। সামান্য কল্পনা খরচ করে যদি সে
আলোটাকে সারি সারি টিউবলাইট আর লেপটাকে প্যান্ডেল ভেবে নেওয়া যায়, তাহলে আর
বিয়েবাড়ি যাওয়া ঠেকাচ্ছে কে? মায়েদের অবশ্য বিয়েবাড়ি যাওয়া আর খাওয়ার থেকেও
সাংগঠনিক দিকটায় বেশি উৎসাহ
ছিল। মায়েদের উৎসাহ বলতে আমি মায়ের উৎসাহের কথা বলছি। খেলার গতিপথ নির্ধারণে ইতুমাসির কোনও ভূমিকা থাকত কি না সে
নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। সেজমাসির কান বাঁচিয়ে মা ফিসফিস করে চেঁচাতেন, “অ্যাই, কে
কোথায় আছিস, এই মাছগুলো রাখার ব্যবস্থা কর।” ইতুমাসি “আসি বাবু, আসি বাবু” বলতে
বলতে দৌড়ে আসতেন।
রান্নাখাওয়া সারা হলে শিল্পচর্চার পালা। বিয়েবাড়ি আবার বিয়েবাড়ি কীসের যদি সেখানে সানাই না বাজে? প্যান্ডেলের
বাঁশ হতে হয়নি যে হাতটাকে সেটার বুড়ো আঙুল দিয়ে নাকের একদিক চেপে ধরে গলা ছাড়লেই অব্যর্থ
সানাই। মা মাসির যুগ্ম সানাই বিয়েবাড়ির সীমানা ছাড়িয়ে সেজমাসির কানে গিয়ে ঢুকলে,
“অইইইইই, উইঠ্ঠা পড়তে বয়” হুংকারে বিয়েবাড়ি সাঙ্গ হত।
এরপর মা স্লেট পেনসিল হাতে জীবনদা’র পাঠশালায় যাওয়া শুরু করলেন। তখন আর বোনের
সঙ্গে মিছিমিছি বিয়েবাড়ি বিয়েবাড়ি খেলার দরকার নেই, সত্যিকারের খেলারা সব দলে দলে
এসে জড়ো হয়েছে। পাঠশালার খেলা, পাঠশালা থেকে ফেরার সময় পথের পাশে জমানো সুড়কির
পাহাড় থেকে সাদা ফ্রক পরে, যেটা সেদিনই কেচেধুয়ে দিদিমা পরিয়ে দিয়েছেন, স্লিপ খেয়ে
নামার খেলা, বাড়ি ফিরে দাদাদের সঙ্গে ফুটবল খেলা। সেসব খেলায় নামতে মায়েদের যত উৎসাহ ছিল, মামাদের তত ছিল না। কিন্তু মাকে আর ইতুমাসিকে না
নিলে তাঁদের কাউকে গোলকিপার হতে হয়, কাজেই তাঁরা ক্ষমাঘেন্না করে মায়েদের খেলতে
নিতেন। বাগানের ধুলোতে হাঁটু গেঁড়ে বসে আঙুলের ছিলা টেনে টেনে গুলি খেলা কিংবা
ক্যারাম পেটানোও হত মাঝেমাঝে। সেগুলোতেও মায়েরা বিশেষ সুবিধে করতে পারতেন না
কিন্তু কেউ সে জন্য খেলা ছেড়ে উঠে যেতে বলেনি কোনওদিনও। খালি মা দেখতেন, তাঁর
কিংবা ইতুমাসির খেলার পালা এসেই দাদারা নিজেদের মধ্যে তাকাতাকি করছেন আর বলছেন, “মিল্ক
রাইস, মিল্ক রাইস।” কিছুদিন পর প্রসন্নকুমারী বালিকা
বিদ্যালয়ে ক্লাস থ্রিতে ভর্তি হয়ে মা ‘মিল্ক’ এবং ‘রাইস’ দুটো শব্দেরই মানে জেনে
গেলেন আর তাঁর মন এতদিনের এই লাঞ্ছনা, অপমানে তেতো হয়ে গেল। তিনি “চইল্যা আয় ইতু,
আমরা খেলুম না” বলে বোনের হাত ধরে টেনে চলে এলেন। দাদারা “যাবি তো যা না, কে বারণ
করেছে” ভঙ্গি করে ক্যারামের বোর্ডের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে জিবটিভ বার করে তাক ঠিক
করতে লাগলেন।
মায়ের এর পরের খেলা হল ইতুমাসির গলা জড়িয়ে ভাড়াবাড়ির টানা বারান্দা ধরে
হাঁটা আর গান গাওয়া। নিজের কথায়, নিজের সুরে। যা হবার তাই হল, অচিরেই ইতুমাসি বিদ্রোহ
ঘোষণা করে পালালেন। মায়ের সঙ্গীসাথী নিয়ে খেলার পালা জন্মের মতো ঘুচল। আর আমার ধারণা ঠিক
এইসময়েই কল্পনা করার রোগটা মাকে ধরল।
আমার মায়ের চরিত্রে অনেক ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে, (সবার কাছে হয়তো সেগুলো
ইন্টারেস্টিং নয়, কিন্তু আমার যেহেতু মা তাই আমার ইন্টারেস্টিং লাগে) কিন্তু আমার
মতে সবথেকে বেশি ইন্টারেস্টিং হল মায়ের লম্বা লম্বা স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা। স্বপ্নের
পোলাওয়ে ঘি সবাই ঢালে, কিন্তু মায়ের মতো এমন অকৃপণ হস্তে ঢালতে আমি আর কাউকে
দেখিনি। মায়ের আরও একটা ভালো ব্যাপার হচ্ছে মা স্বপ্ন দেখেন গীতার বাণী মেনে, ফলের
আশা না রেখে। অর্থাৎ কি না স্বপ্ন দেখাটাই
আসল, স্বপ্নের পরিণতিটা নয়। মা কল্পনা করতেন তিনি একটা সাতমহলা বাড়ি বানাবেন,
বাড়ির নাম হবে মণিমঞ্জিল। সে বাড়ির ছাদে একটা লাইফসাইজ মূর্তি পা মুড়ে বসে থাকবে,
মূর্তির হাতে ধরা থাকবে লাইফসাইজ সেতার। একা একা গাড়ি চালিয়ে ল-অ-অ-অং ড্রাইভে
যাবেন মা, কাউক্কে সঙ্গে নেবেন না। হঠাৎ
একদিন সকালবেলা ঘর ঝাঁট দিতে দিতে দরজা খুলে দেখবেন সামনে ইন্দিরা গান্ধী দাঁড়িয়ে
আছেন। তারপর শুরু হবে ইংরিজিতে
কথোপকথন। ইন্দিরার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফ্লুয়েন্ট ইংরিজি বলবেন মা, শুনলে মনে হবে
যেন ইংরিজিটাই মায়ের মাতৃভাষা।
বলাই বাহুল্য, এর একটা স্বপ্নও মায়ের সত্যি হয়নি। কিন্তু তাতে মা দমেননি
মোটেই। তিনি নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন, সেগুলো আগের স্বপ্নগুলোর থেকেও
লম্বা আর অসম্ভব।
যাই হোক, মায়ের গানের গুঁতো খেয়ে ইতুমাসি পালানোর পর একেবারে একা হয়ে পড়া থেকে
মায়ের এই স্বপ্ন দেখার ব্যাপারটা শুরু হল। কল্পনাপ্রবণ হয়তো মা চিরকালই ছিলেন,
কিন্তু আশপাশটা ফাঁকা হয়ে যাওয়াতে তাঁর কল্পনা মুক্তকচ্ছ হয়ে দৌড়নোর সুযোগ পেল। এই
কল্পনার গোড়ায় ধোঁয়া দিয়েছিল গান। স্বরচিত গানে স্বরচিত সুর বসিয়ে গাওয়ার শখ মায়ের
ততদিনে ফুরিয়েছে, শুরু হয়েছে রেডিও শোনা। সন্ধ্যা, শ্যামল, মানবেন্দ্র, সতীনাথ,
হেমন্ত, প্রতিমা। প্রতিমা! মা গান শুনতে শুনতে, একা একা বাগানে ঘুরতে ঘুরতে বড় হতে
লাগলেন। এমন সময় মায়ের কোনও এক জামাইবাবু বাড়িতে বেড়াতে এসে শ্যালকশ্য্যালিকাদের
দঙ্গল নিয়ে গেলেন সিনেমা দেখাতে। সিনেমার নাম অন্তরাল। সিনেমা মা কী দেখলেন ভগবানই
জানেন, কিন্তু সিনেমায় শ্যামল মিত্র নামের এক ভদ্রলোকের মসলিনের মতো মিহি গলায়
একখানা গান ছিল, সেটা মায়ের কানে গেঁথে রইল। “তোমার সমাধি ফুলে ফুলে ঢাকা/ কে বলে আজ
তুমি নাই/ তুমি আছ মন বলে তাই।”
সিনেমা ভেঙে গেল। দিদিজামাইবাবু ফিরে গেলেন। গানটা থেকে গেল। শুধু মায়ের মগজে নয়, রেডিওতে,
চায়ের দোকানে, পুজো প্যান্ডেলে, যেখানেই মা গেলেন শুনতে পেলেন শ্যামল মিত্র গাইছেন,
“তোমার জীবন যেন কাহিনীর মতো/ হে বিজয়ী বীর ছিল জয় তব ব্রত/ ধূপেরই মতো যেন মরণেরই
সুখে/ তোমারই জীবন তুমি দিলে হাসিমুখে/ এ কথা, কখনও যেন না ভুলে যাই।”
একদিন মা আর থাকতে পারলেন না। রান্নাঘরে দিদিমা গলদঘর্ম হয়ে সংসারের জোয়াল ঠেলছিলেন, গুটি
গুটি সে ঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালেন। আমার যেমন সারাটা জীবনই মায়ের স্যাটেলাইট হয়ে
ঘুরতে ঘুরতে কেটে গেল, মায়েদের সে রকমটা ছিল না। সংসারগুলো বড়বড় হত বলেই বোধহয়
সবাই দুনিয়াগুলো আলাদা আলাদা হত। নয় ছেলেমেয়ের কেউ পড়াশোনা, খেলাধুলো, গলাগলি,
মারামারি ছেড়ে তাঁর কাছে এসে দাঁড়িয়েছে দেখলে দিদিমা বুঝতেন মায়ের কাছে আসার মতো
গুরুতর কিছু ঘটেছে। দিদিমা খুন্তি নামিয়ে রেখে হাত মায়ের দিকে বাড়িয়ে দিলেন, “কী
হইসে মণিমা, কেউ বক্সে তোমারে?” মায়ের দু’চোখ দিয়ে ধারা নামল। দিদিমাকে জাপটে ধরে
মা কাঁদতে লাগলেন। “মা, আমি যখন মরে যাব, তুমি আমার কথা মনে করে এই গানটা গেও মা। গাইবে তো? আমাকে কথা দাও গাইবে।”
*****
প্রাপ্তবয়স্করা জীবনকে যতটা টেকেন ফর গ্র্যান্টেড নেয় বাচ্চারা সেটা নেয় না
এটা আমি আগেও দেখেছি। যেকোনও মুহূর্তে একটা ভয়ংকর দুর্ঘটনা যে কিছু ঘটে যেতে পারে,
আয়নার ওপার থেকে নিজের মুখের বদলে অন্য কোনও একটা মুখ উঁকি দিতে পারে, খাটের তলা
থেকে বেরিয়ে এসে কচি গোড়ালি চেপে ধরতে পারে একটা হাত, জানালার বাইরে অন্ধকারে যে জিনিসটা
মাথা নাড়ছে সেটা নারকেল গাছের পাতা নাও হতে পারে, সেটা ভেবে নিতে বাচ্চাদের কোনও
অসুবিধে হয় না। এই যে আমাদের বেঁচে থাকা, নাওয়াখাওয়া শোওয়াবসা টিভিদেখা, এগুলো যে কোনও
মুহূর্তে হাওয়া হয়ে যাওয়াটা যে কোনও ব্যাপার না সেটা বাচ্চারা জানে। তাই তারা সর্বক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকে।
রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে মনে মনে হাত জোড় করে বলে, “ঠাকুর, দেখো যেন আমাদের বাড়ির
ছাদে অ্যাটম বোমা না পড়ে।” এটা অর্চিষ্মানের ছোটবেলার নিয়মিত প্রার্থনা ছিল। আমার
আবার ভয় ছিল ডাকাতে। তখন আমাদের পাড়ায় খুব ডাকাতি হচ্ছিল। আমার অবশ্য টাকাকড়ি গয়নাগাঁটি
হারানোর ভয় ছিল না, আমার ভয় ছিল ডাকাতির সঙ্গে যে ভায়োলেন্সটা হবে সেটা নিয়ে।
ডাকাতির পরদিন সকালে পাড়ার মোড়ে মোড়ে গল্প শুনতাম, চুড়ি খুলতে গিয়ে কবজিতে আটকে
গিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে খানিক দেরি হলেও নাকি চুলের মুঠি ধরে নাকি চড়চাপড় মারে
ডাকাতরা। আমার আর অর্চিষ্মানের ছোটবেলার ভয়ের কল্পনার মধ্যে একটা কমন ছিল। আমরা
দুজনেই ভাবতাম আমাদের বাড়ির লোকেরা যদি আসলে আমাদের বাড়ির লোক না হয়? মানে আমি যাঁকে
আমার ঠাকুমা বলে ভাবছি, যাঁর পাশে বসে পা দোলাতে দোলাতে সন্ধ্যেবেলায় দূরদর্শনে
নেপালি গান শুনছি, তিনি হয়তো আমার আসল ঠাকুমা নন। আমার ঠাকুমার শরীরের ভেতর অন্য
কেউ এসে বাসা বেঁধে আছে। আমি যদি এক্ষুনি টিভির পর্দার থেকে চোখ সরিয়ে তাঁর দিকে
তাকাই দেখব তিনি আমার দিকে ঠায় তাকিয়ে আছেন। হাসছেন। তিনি বুঝতে পেরে গেছেন যে আমি
বুঝতে পেরে গেছি।
পঞ্চেন্দ্রিয়র ব্যাপারস্যাপার জানার পর আর আমার মনে আরেকটা আতংক জন্ম নিয়েছিল।
খালি মনে হত পাঁচটার মধ্যে একটা ইন্দ্রিয় যদি আমার না থাকে? কেউ যদি কখনও এসে বলে “আজ
থেকে এ দুটোর মধ্যে যে কোনও একটা তুমি রাখতে পারবে, বাকিটা আমি নিয়ে যাব” তাহলে
আমি কোনটা তাকে দিয়ে দেব?
সবরকম অনুভূতির মধ্যে দেখা আর শোনাটাকেই চিরকাল গুরুত্ব দিয়ে এসেছি, নাসিকা,
জিহবা, ত্বক না থাকলে কী হবে সেটা কোনওদিন ভাবিনি। পঞ্চেন্দ্রিয়র দলে এরা চিরদিন
ভীম, নকুল, সহদেবের চরিত্রে অভিনয় করে এসেছে। কাজেই আমার টানাপোড়েন ছিল চোখ আর কান
নিয়ে। অর্চিষ্মানের মনে কোনও দ্বিধা নেই। ও মনে করে দৃষ্টি শ্রেষ্ঠ ইন্দ্রিয়।
দৃষ্টি ছাড়া বাঁচার মতো কষ্ট আর কিছুতে নেই।
কিন্তু আমার ধারণা শ্রবণও কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, দৃষ্টির দাপটে বেচারা
ঘাপটি মেরে থাকে। যত বুড়ো হচ্ছি, যত রেডিও-র মায়ায় জড়াচ্ছি, আমার প্রিয় মানুষদের
সঙ্গে সম্পর্কগুলো যত চোখে দেখার থেকে কানে শোনার ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে, তত। বই
পড়ার অর্ধেক সময় নিয়ে নিয়েছে অডিওবুক শোনা। (প্রথমটা এই ব্যবস্থায় খানিক অপরাধবোধ
ছিল, এখন সেটা কাটিয়ে উঠেছি। বই ইজ বই, তাকে চোখেই পড়লাম কি কানেই শুনলাম তাতে কী
এল গেল? অনেকে সে কথা মনে করেন না। তাঁরা মনে করেন হাতে ধরে পাতা উল্টে না পড়লে
সেটা পড়া নয়, ফাজলামি। আমার মনে হয় অডিওবুকের প্রধান সমস্যাটা হচ্ছে বই আর পাঠকের
মধ্যে তৃতীয়ব্যক্তির উপস্থিতি। যিনি বইটি পড়ছেন তিনি যদি ভালো না হন, তাহলে সব
মাটি। তবে সে সব ঝুঁকি তো থাকেই, থাকবেই। কিন্তু তবু আমি এ বিষয়ে স্টিফেন কিং-এর
সঙ্গে একমত।
But man, when these things are good, they are really good. A Charles Dickens novel read by the late David Case is something you can almost bathe in. A suspense novel is more suspenseful — especially in the hands of a good reader — because your eye can’t jump ahead and see what happens next. When I heard Kathy Bates reading The Silence of the Lambs (an abridgment, alas), I was driving at night and had to shut off the CD player, even though I knew how the story went. It was her voice, so low and intimate and somehow knowing. It was flat creeping me out.
আমাদের আজকাল সংগীত বাংলা চালিয়ে রেডি হওয়া দিয়ে দিন শুরু হয়, শেষ হয় রাতে
ইন্টারনেটে গল্প চালিয়ে শুনতে শুনতে ঘুমনো দিয়ে। অচেনা গল্প চালালে তার
গতিপ্রকৃতির দিকে কান আপনা থেকেই খাড়া হয়ে থাকে, রিল্যাক্স করা যায় না, তাই রোজ চেনা
গল্প। তাই রোজ ‘গ্যাংটকে গণ্ডগোল’। অর্চিষ্মান মাঝেমাঝে নিয়ম ভেঙে ‘গোলোকধাম রহস্য’
চালায়, কিন্তু আমার ব্যাপারটা পছন্দ হয় না। যতক্ষণ না মিরের
নাটুকে গলায় শুনছি, “বলছি, আপনারা কি ড্যাং না ক্যাং না গ্যাং?” ততক্ষণ আমার সারাদিনের
ভাত হজম হয়ে ঘুম আসে না। আমরা এখন নিজেদের মধ্যে রসিকতা করি 'গ্যাংটকে গণ্ডগোল' শুরু
হলেই নিশ্চয় আমাদের খাটবিছানা টেবিলচেয়ার বুককেস সম্মিলিত দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। “ওই
শুরু হল।” আর জানালার কার্নিশে রাখা অক্সিকার্ডিয়ামটা ক্লোরোফিটাম কোমোসামটাকে খোঁচা
মেরে বলে, “জানিস তো খুনি কে? আমি কিন্তু জানি। বলে দেব নাকি?”
বিজ্ঞানীরা বলেন শব্দ বা শব্দের অভ্যাস নাকি মানুষের এমন গভীরে ঢুকে যেতে পারে
যে সে অভ্যেসের এদিকওদিক হলে তাদের জীবনযাত্রায় বাধা পড়ে। এইজন্যই বোধহয় অনেকে ঘোর
শীতে কম্বল মুড়ি দিয়েও ফ্যান চালিয়ে ঘুমোয়। ওই ফ্যান ঘোরার ঘরঘর আওয়াজটা না হলে
নাকি তাদের ঘুম আসে না। কেউ গান না চালিয়ে কাজ করতে পারে না, কারও পিন পড়ার আওয়াজে
কাজ মাটি হয়। আমি অনেককে চিনি যারা কফিশপে যায় কাজ করতে কারণ কফিশপের ওই অবিরাম
গুনগুন শব্দ, যন্ত্রপাতির ঠুনঠান, ফ্রথারের গোঁ গোঁ শব্দ নাকি তাদের মনঃসংযোগে
সাহায্য করে। কফিশপ তো ছেড়েই দিলাম, আমি নিজে কোনওদিন লাইব্রেরিতে গিয়েও পড়তে
পারিনি কারণ লোক দেখতে দেখতেই আমার অর্ধেক সময় চলে যায়। কফিশপে আমি স্ট্রিক্টলি কফি খেতে
যাই, আর অর্চিষ্মানের সঙ্গে একঘেয়ে বাড়ির বদলে নতুন নতুন প্রেক্ষাপটে বসে গপ্প করতে। কিন্তু যার চিত্তে যা লয়।
উৎস গুগল ইমেজেস
শব্দের এই গুণকে কাজে লাগিয়ে Noisli নামের একটি নয়েজ জেনারেটর বানিয়েছেন স্তেফানো
মার্লো বলে একজন ওয়েব ডিজাইনার। বাজারে এরকম শব্দ উৎপাদক যন্ত্র আছে অনেক। বিশেষ করে বাচ্চা কিংবা ইনসমনিয়াক
বড়দের ঘুম পাড়ানোর জন্য হোয়াইট নয়েজের মেশিন তো হরবখত মেলে। আজকাল আবার পিংক,
ব্ল্যাক ইত্যাদি নয়েজের কথাও শোনা যাচ্ছে, সেগুলো নাকি মনঃসংযোগ বাড়ানো, টেনশন
কমানোর জন্য অব্যর্থ। কিন্তু আমার ওরকম যান্ত্রিক শব্দে রুচি নেই। তাছাড়া হোয়াইট
নয়েজ আমি শুনে দেখেছি, গরমের ছুটির দুপুরে ‘ছুটি ছুটি’ দেখতে বসে গুগাবাবা-র ঠিক
মোক্ষম জায়গায় পৌঁছে কারেন্ট গেলে আমাদের অস্কার টিভিতে ওই শব্দটা হত। শুনলেই গা
জ্বালা করে। এখনও, এতদিন পরেও।
নয়েজলিতে আপনি পাবেন বৃষ্টির শব্দ, মেঘ ও বাজের শব্দ, শনশন বয়ে চলা হাওয়ার
শব্দ, সে হাওয়ায় শুকনো পাতা ঝরার শব্দ। পুরী হোটেলের সি-ফেসিং রুমে শুয়ে শুয়ে গমগম
ঝমঝম শোঁশোঁ মেলানোমেশানো কেমন একটা শব্দ শুনেছিলেন ছোটবেলায়, সেটাও পাবেন।
তাছাড়াও পাবেন গভীর রাতে ঝিঁঝিঁর ডাক, ঘন জঙ্গলের পাখির ডাক, রেললাইনের ঝমঝমিয়ে ছুটে চলা ট্রেনের ডাক। যাঁরা ফ্যান ছাড়া ঘুমোতে
পারেন না তাঁরা ফ্যানের আওয়াজ পাবেন, যাঁরা ভাবেন শীতের দেশে জন্মালে কেমন সুন্দর
ফায়ারপ্লেসে আগুন জ্বালানো যেত তাঁরা ফায়ারপ্লেসের আগুনের আওয়াজ পাবেন। গনগন ব্যাকগ্রাউন্ডে পটপট করে
আগুনের শিখা ছিটকানোর শব্দ, আসল আগুনকে লজ্জা দেবে। কফিকাপের ছবির আইকনে ক্লিক
করলেই মাথার ভেতর আস্ত একটা কফিশপ গজিয়ে উঠবে। অনেক রকম গলার আওয়াজ, কিন্তু কে কী
বলছে কিচ্ছু শোনা যাবে না। মাঝে মাঝে হঠাৎ কেউ
কেউ হেসে উঠবে। এছাড়া হোয়াইট নয়েজ, পিংক নয়েজ, ব্ল্যাক নয়েজ তো আছেই। এতরকম শব্দ
আপনি শুনতে পাবেন আলাদা কোনও মেশিন না কিনেই। জাস্ট একটা ল্যাপটপ/ফোন আর ইন্টারনেট
থাকলেই হবে।
নয়েজলির সবথেকে ভালো ব্যাপারটা হচ্ছে এই সব আওয়াজগুলোকে আপনি নিজের মতো মিলিয়ে
মিশিয়ে নিতে পারেন। আমার ফেভারিট কম্বিনেশন হচ্ছে বৃষ্টি আর মেঘের ডাক। বৃষ্টির ভলিউমটা জোর রেখে সঙ্গে আস্তে করে মেঘের ডাকটা চালিয়ে দিই। ঝমঝম বৃষ্টির সঙ্গে মাঝে
মাঝে যখন গুড়গুড় করে মেঘ ডাকে সত্যি বলছি মাঝে মাঝে চমকে উঠি। বারান্দায় কিছু
শুকোতে দেওয়া ছিল না তো? মাঝে মাঝে কফিশপের আওয়াজ চালাই। সঙ্গে আলতো বৃষ্টিও রাখি। আমার আরেকটা প্রিয় কম্বো হচ্ছে জল আর জঙ্গলের শব্দের মিশেল। কানের ভেতর চললে ঠিক
মনে হয় যেন মনিটরের সামনে নয়, আমি বসে আছি একটা জঙ্গলের ভেতর, আমার চারদিকে উঁচু
উঁচু গাছ আর গাছের ডালের ভেতরে ভেতরে অনেক পাখি কিচিরমিচির করছে, আমার সামনে দিয়ে
বয়ে যাচ্ছে একটা নদী যার জলের ওপর ঝুঁকে পড়া গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে রোদ এসে পড়েছে
আর আমি পা দুলিয়ে দুলিয়ে বার বার সেই আলোটা ভেঙেচুরে দিচ্ছি। দিচ্ছি আর ভাবছি ইন্দিরা
গান্ধী বাড়িতে এলে কী বলে আপ্যায়ন করব, কোথায় বসাব, কী খেতে দেব, কিংবা হয়তো এসবের
কিছুই করব না। বলব, “যাক, ভালোই হল আপনি এলেন, আপনার সঙ্গে স্পোকেন ইংলিশটা এই
বেলা একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক।”
নয়েজলি-কে আমি শুধুই বিনোদন হিসেবে দেখি, কিন্তু আপনি যদি চান তো একে উৎপাদনশীলতা পর্যবেক্ষণ (এবং তৎপরবর্তী মেরামতিকরণ)যন্ত্র হিসেবে দেখতে পারেন। নয়েজলিতে
একটা স্টপওয়াচ দেওয়া আছে। আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ওয়াচটা চালু করে দেন
তাহলে শব্দ সেই নির্দিষ্ট সময় পর আপনিই থেমে যাবে। অর্থাৎ ঘড়ি না দেখেও আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কতক্ষণ কাজ করলেন।
কিংবা কতক্ষণ করলেন না। আবার আপনি যদি প্রতিবার জল খেতে কিংবা চুল আঁচড়াতে ওঠার
সময় ঘড়ি পজ করে ওঠেন, তাহলে হয়তো দেখবেন যে দেওয়ালের ঘড়ি অনুযায়ী পাক্কা সোয়া দু’ঘণ্টা
ল্যাপটপের সামনে বসে থেকেও কাজ আপনি আসলে করেছেন গুনে গুনে ঠিক সতের মিনিট
তেতাল্লিশ সেকেন্ড।
আমি ঘড়িটা ব্যবহার করি না। কিছু কিছু সত্যি চাপা থাকাই ভালো।
এমনিতেই দুপুরবেলাটা মায়ের কথা মনে করার আইডিয়াল সময়। তারপর আবার এই পোস্ট। গেল অফিস আজ।
ReplyDeleteহাহা তন্ময়, আমি নিশ্চিত তুমি কর্মিষ্ঠ লোক, কাজেই কিচ্ছু যাবে না।
Deleteআপনি তো সাংঘাতিক লোক মশাই। আস্তে আস্তে জ্ঞানপীঠের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটা বুঝতে পারেন কি?
ReplyDeleteআমি আপনার কী ক্ষতি করেছি দেবাশিস, যে আপনি আমার সঙ্গে এরকম নিষ্ঠুর রসিকতা করছেন?
Deleteআমার একটা বড়ো সাধের স্বপ্ন ছিল, দশ বছর বয়েস পর্যন্ত। কেন দশ বছর সেটা বলতে হবে না। পুরোটা পড়লেই বুঝতে পারবে।
ReplyDeleteআমার বড়োপিসি ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে চাকরি করতেন। মাঝে মাঝে গুড়গুড়ে আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হত। মানে হয় মা নিজের অভিস থেকে গভীর গোপন কোনো কথা শেয়ার করতে চলে আসতেন বড়োপিসির অফিসে, আমাকে স্কুলফেরত ট্যাঁকস্থ করে, কিম্বা বাবা ছুটিতে এলেন হয়তো, যথারীতে আমাকে বগলে করে দিদির সঙ্গে গভীপ গোপন পারিবারিক কথাবার্তা বলতে চলে এলেন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। এসব সময়ে আমি এক পায়ে খাড়া থাকতাম কারণ ওখানে গেলেই আমাকে বেসমেণ্টের সেই স্বর্গরাজ্যে ছেড়ে দেওযা হত ঘণ্টার পর ঘণ্টা, যেখানে শুধু বই আর বইযের গন্ধ ছাড়া আর কিচ্ছু নেই।
যাই হোক, আমার স্বপ্নটা ছিল এই রকম-আমাতে বাবাতে মিলে একটা আণ্ডারগ্রাউণ্ড লাইব্রেরি বানাব, গোল মত। তাতে কালো চামড়ার সোফা, সোফার ধারে ধারে লম্বা গলা আলো আর দেওযাল জোড়া বইয়ের তাক তো থাকবেই, কিন্তু আসল যেটা থাকবে সেটা হল একটা সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গপথে আমাদের লাইব্রেরি থেকে সো-ও-জা গিয়ে ফুঁড়ে ওঠা যাবে ন্যাশনাল লাইব্রেরির বেসমেণ্টে।
কেন যে দশ বছর বয়েসে আমরা কলকাতা ছেড়ে চলে গেলাম। নইলে অ্যাদ্দিনে ঠিক সুড়ঙ্গটা খোঁড়া হয়ে যেত।
হাহা, চমৎকার স্বপ্ন অদিতি। এরকম সুড়ঙ্গ আমাদের সবারই একটা করে চাই। বাই দ্য ওয়ে, তোমার আন্ডারগ্রাউন্ড লাইব্রেরির বর্ণনাটা চমৎকার। ওরকম লাইব্রেরিও আমার চাই একটা।
Deletesotti, tumi ki je bhalo lekho.. shudhu lekha porei karur proti je bhalobasa jonme jaye eta ki keu bisash korbe? prothom part tar jonno standing ovation roilo.
ReplyDeleteaudiobook niye amio akmot. amaro kotobar sunday suspense shunte shunte ga chhom chhom kore utheche. emni golpo shunteo darun lage. sedin garite jete jete shunchilam Sodashib er douradouri kando. chena golpo, pora golpo, kintu tao koto bhalo lagchilo.
Noisli r concept ta chomotkar. ami kothao akta porechilam je kono shobdo er sathe kono akjon manush er brain cell gulo protibar akta sthir pattern ei respond kore. even ghumonto obostha teo. mane tomar chena kono gaan jodi ghumer modhyeo tomar kaner samne chalano hoy tomar brain cell protibar akta pattern ei sara debe.
তাই বুঝি? সত্যি, মগজের ভেতরটা ঠিক ম্যাজিকের মতো। সদাশিবের গল্পটা আমারও খুব প্রিয়। ভালোলাগার জিনিসপত্রগুলো মিলে গেলে খুব ভালো লাগে। লেখাটা তোমার ভালো লেগেছে এটাও বেশ ভালো ব্যাপার।
DeleteEi lekhata anekbar pora jay ato sundar..kakimar galpogulo darun.. Amader barite je atom bomb poreni tar jano toh karur kche kritagya thaka uchit!!
ReplyDeleteথাকা তো উচিতই, তিন্নি। লেখাটা তোর ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
Delete*কি আশ্চর্য !! কালকে রাত্রেও গ্যাংটকে গন্ডগোল পার্ট ওয়ান চালিয়ে ঘুমিয়েছি | এখন আগামীকালের অপেক্ষায় , দেখা যাক এই সপ্তাহের সানডে সাসপেন্স কি দেয় !!
ReplyDelete*ঠিক একই কারণে লাইব্রেরিতে পড়াশোনাটা আমার একদম হয়ে ওঠে না |
*স্তেফানো বাবু খুব সুন্দর শব্দের কালেকশন রেখেছেন | ভাগ্গিস তিনি বাংলা সিনেমায় বাজ পড়ার শব্দ শোনেননি | নইলে নির্ঘাত পাগল হতেন | এ প্রসঙ্গে একটা বিশেষ ব্যাপার মনে পরে গেল | বন্দুকের গুলির শব্দ শুনে বাংলা হিন্দি বাংলা বা ইংলিশ সিনেমা বোঝার উপায় | ইংলিশ - জাস্ট বন্ধুকের আওয়াজ "ধৃষ"..হিন্দি - "ঠুশ" টাইপের কিছু আর সঙ্গে এক ঝাঁক পায়রা ওড়ার শব্দ .. বাংলা - "ভুগ্য়েও" বা "ধিচ্কিয়াও" জাতীয় বেশ লম্বা আওয়াজ, গুলির আওয়াজও বেশ খানিকক্ষণ থাকে , আবার যাকে শুট করা হলো , সে তো আরো অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে | আজকাল অবশ্য এসব চিত্র পাল্টেছে |
*হোস্টেল লাইফে আমাদের নিজেদের রুম নিজেদেরই পরিস্কার করতে হত | রুম চেকার রুম চেক করে ১০ এর মধ্যে মার্কিং করত | যারা খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখত তাদের ১০ এর মধ্যে ১০+ দেওয়া হত, মানে দশে ১২ | এই "শব্দ"-কেও আমি ১০ এ ১০+ দিচ্ছি |
*কুন্তলাদির লেখা পরেই রবি দাদু গেয়ে উঠলেন "আমি কান পেতে রই..." :D
হাহা, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, হংসরাজ। সানডে সাসপেন্স + গ্যাংটকে গণ্ডগোল + লাইব্রেরিতে পড়তে না পারা, হাই ফাইভ।
DeleteMaratmok lekha!!! Maratmok!!
ReplyDeleteআপনার কমেন্ট পড়ে আমার সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় পড়া একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেল, সায়ন। (গল্পটা শুনলেই বুঝতে পারবেন কোন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, কাজেই আমি আর ব্যাখ্যা করছি না। লেখক তাঁর (বা তাঁর কোনও চরিত্রের) দিদির গান শেখা এবং রোজ সকালবিকেল সে গান প্র্যাকটিস করা নিয়ে বলছিলেন। পাড়ার লোকে নাকি আড়ালে বলত, "বাপরে, ওই বাড়ির মেয়ে? মারাত্মক গায়।" আশা করি আপনি সে অর্থে আমার পোস্টকে মারাত্মক বলেননি।
DeleteDarun darun darun... Kakimar sathe amar ei 1 ta byapare khub mil toh... Amar o amon sob swapno chilo jegulo bastob theke bohu gun dure... Anek din por obantor a esechi.. sob lekha gulo eksathe porchi.. Audiobook byapar ta jantam na. Sunbo .. ar Noisly byapar tao jantam na... Darun laglo.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, মৌসুমী। তোর সব স্বপ্ন সত্যি হোক।
Deleteঅসম্ভব ভালো লেখা। গল্প এক জায়গায় শুরু করে কথার জাদুতে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে ফেলতে তোমার জুড়ি নেই!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, কাকলি।
Delete