Posts

Showing posts from March, 2019

মার্চ মাসের বই/১

Image
I Spy with My Little Eye/  Humphry House “The evening traffic was out on Central Avenue. South-going football cars were cheating one another in the stream, an on the pavements many people more, hurrying to the match with umbrellas and periscopes, had to swerve and dodge to gain position among the rest, who merely wanted to be cool. The bulls navigated from island hydrant, from hydrant to dustbin, sharing with men desire for pleasure and safety, tired of a day’s obstructing traffic, indolently cheered with hopes of food. Master-bulls might spend the day beneath a Chowringhee electrician’s fan, but for these their cover was the selfish sky, and they began to prowl when its vigilance relaxed. As these went down everything moved quicker. The policeman at Bowbazar crossing had been reinforced; and two of them signalled to each other across the chaos.   … I had walked from College Street past the Hospitals; from the hopeless spiral muddle made by Bentinck past disease and b

Civilization and War

"Tibe   spoke on the radio a good deal...His speeches were long and loud: praises of Karhide, disparagements of Orgoreyn, vilifications of "disloyal factions," discussions of the "integrity of the Kingdom's borders," lectures in history and ethics and economics, all in a ranting, canting, emotional tone that went shrill with vituperation or adulation. He talked much about pride of country and love of the parentland, but little about shifgrethor, personal pride or prestige...He wanted his hearers to be frightened and angry. His themes were not pride and love at all, though he used the words perpetually; as he used them they meant self-praise and hate. He talked a great deal about Truth also, for he was, he said, " cutting down beneath the veneer of civilization."  It is a durable, ubiquitous, specious metaphor, that one about veneer (or paint, or pliofilm, or whatever) hiding the nobler reality beneath. It can conceal a dozen fallacie

ব্লগিং, মাল্টিটাস্কিং, এবং অমরত্ব

একজন আমার হোয়াটস্আপ নম্বর চাইলেন সেদিন। বললাম, নেই। তিনি অবাক হয়ে বললেন, তাহলে ওই অবান্তর না কী সব, লেখ কোথায়?   প্রাথমিক ব্যোমকানি সামলে বোঝানোর চেষ্টা করলাম ব্লগ কোথায় লিখি। উনি ও আচ্ছাটাচ্ছা বলে আসল কথায় গেলেন। একসময় কথা ফুরোলো। কান থেকে ফোন নামিয়ে ভাবতে বসলাম। ভাবতে ভাবতে টের পেলাম আমি নিজে ব্যাপৃত হয়ে থাকি বলে মালুম পাই না, কিন্তু ব্লগ অবসলিট হয়ে গেছে অনেকদিন হল। হওয়ারই কথা। দু'হাজার নয়ের শেষ নাগাদ অবান্তর শুরু করার সময়েই কানাঘুষো শুনতাম ব্লগসাম্রাজ্যের সূর্য নাকি মধ্যগগন পার করে ফেলেছে। আর ক'মাস পরে আমার ব্লগ লেখার দশ বছর পূর্ণ হবে। দশ। কেমন লাগে, বা কেমন লাগা উচিত ঠিক আন্দাজ করতে পারি না। আনন্দ হওয়া উচিত? নাকি দুঃখ? ইন্টারনেটের হিসেবে আমি স্টেগোসরাস। লুপ্ত হয়ে যাওয়ারই কথা।   অবান্তরের সাইডবারে ‘টাইমপাস’ পেজটায় ক্লিক করলাম। হিসেব কষে দেখিনি কাজেই কমিয়েই বলছি, অষ্টাশি শতাংশ ব্লগ বন্ধ হয়ে গেছে। পেশাদার ডিজাইনের ব্লগ, সেলিব্রিটি ব্লগার, একসময় সপ্তাহে তিন কি আরও বেশিবার পোস্ট ছাপতেন, ঝাঁপ নামিয়ে চলে গেছেন। কী দাপট ছিল, শত শত কমেন্ট, কনট্রোভার্সি, কত এস ই ও, ব

মহালয়া

Image
উৎস গুগল ইমেজেস আমাদের এদিকে বাংলা সিনেমা আগে তাও যা দুয়েকটা আসত, বন্ধ হয়েছে। পুজোয় বাঘা বাঘা পরিচালকদের যা সব বাংলা সিনেমা রিলিজ করেছিল, একটাও আসেনি, ভাবতে পারেন? ভাগ্যিস হইচই-এ ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হল, তাই আর পিছিয়ে পড়তে হল না। আমরা তাই আশা ছেড়ে দিয়েছি। এবার যা যা দেখার ইচ্ছে থাকবে, নয়ডা গিয়েই দেখব। শুক্রবার দুজনেরই ছুটি ছিল, ঝকমকে রোদ্দুর ছিল, তাপমাত্রা হয়তো এই শেষ উইকএন্ডের মতো সহনীয় ছিল, কাজেই ভাবলাম বাংলা সিনেমা দেখে উদযাপন করি। নয়ডার হলে দুটো সিনেমা চলছিল, মহালয়া আর মুখার্জিদার বউ। নাম দেখে বাছতে দুজনেই একমত হলাম। কেটে ফেললাম মহালয়ার টিকিট। সৌমিক সেনের পরিচালনা, কাহিনী, চিত্রনাট্য আর সৌমিক সেন ও তন্ময় মুখার্জির সংলাপে একশো আট মিনিটের ‘মহালয়া’র গল্প নিয়ে স্পয়লার-সতর্কতা জারির দরকার নেই। উনিশশো ছিয়াত্তর সালে, উনিশশো একত্রিশ থেকে চলে আসা ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র সম্প্রচার স্থগিত করে, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বদলে উত্তমকুমারের মন্ত্রোচ্চারণে ‘দুর্গা দুর্গতিহারিণী’ অনুষ্ঠান সম্প্রচারণের ঘটনা নিয়ে বানানো হয়েছে মহালয়া।   তখন ভারতবর্ষে এমারজেন্সি। রাজনীতি, সংস্কৃতি সবেতেই সর

আজ

পরশু ভোরে ঘরে ঢুকে চটি, চাদর ছাড়তে ছাড়তে রীতা বলল, নাঃ, হোলি এসে গেছে বোঝা যাচ্ছে। মদের দোকানে যা মারামারি লেগেছে যদি দেখতে। চেল্লামেল্লিতে কাল সারারাত ঘুমোতে পারিনি, বাপ ছেলেকে ধরে ঠ্যাঙাচ্ছে, ছেলে বাপকে ধরে, আমার ননদাই টিফিনবাক্স হাতে ঝুলিয়ে অফিস যাচ্ছিল সকাল ন'টার সময়, 'আবে ইতনা সাফসুৎরা কিউ বে' বলে দুটো ছেলে বাইকে চড়ে এসে দুই গালে ঠাস ঠাস দুই চড় মেড়ে চলে গেছে।   রীতার মতো রোমহর্ষক না হলেও আমার কাছেও হোলির পূর্বাভাস এসেছিল। প্রথম তো গরমটা গিলোটিনের মতো ঘাড়ে এসে পড়ল। এই সেদিন সব খাটের খোপরে ঢুকিয়েও আবার যুক্তি করে একখানা পাতলা দেখে চাদর বার করে রাখলাম রাতে গায়ে দেব বলে, পরের রাতেই ফ্যান চালিয়ে হাঁসফাঁস। অফিসে এসির অপর্যাপ্ততা প্রকট। আন্টিজির দোকানে দুপুরের ট্রিপটা আর চালানো যাবে না বোধ হচ্ছে। সকাল ন’টার সময় ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুর, পাঁচের বেশি সাত মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলে কপালে ঘামের ফুটকি।   তার মধ্যেও কিছু লোক সোয়েটার জ্যাকেট পরে ঘুরছে। অফিসে তো ঘুরছেই, কিন্তু অফিসের লোকদের ঠাণ্ডাগরমের বোধ নিয়ে মাথাঘামানো ছেড়ে দিয়েছি বহুদিন। রাস্তাতেও লোকে কী করে দুপুরবেলা সোয়েটার পরে হে

আমরা কেন সি আর পার্কে থাকি

দিল্লিতে থাকলে আমরা যে ভাড়াবাড়িতেই থাকব সেটা মোটামুটি স্থির। এর আগে আমাদের সংসারী গৃহস্থ বন্ধুদের দিল্লির বাইরে থেকে শুরু করে ক্রমাগত কিনে বেচে, কিনে বেচে, ধীরে ধীরে দিল্লির ভেতর পছন্দসই জায়গাতে ঢুকে পড়ার মারকাটারি স্ট্র্যাটেজিসমূহ দেখেশুনে একসময় হাঁটু দুর্বল হয়েছিল। ভাবছিলাম, প্রাপ্তবয়স্কতার একটা মূল শর্ত কি নিজেদের জন্য একখানা পার্মানেন্ট অ্যাড্রেসের বন্দোবস্ত করা নয়? কিন্তু অর্চিষ্মান অনেক রিসার্চ করে আর আমি সিলিঙের দিকে তাকিয়ে শবাসনে শুয়ে থেকে থেকে সিদ্ধান্তে এসেছি যে এ শহরে যতদিন আছি ভাড়াটে হিসেবে থাকাই আমাদের পক্ষে বুদ্ধিমানের। পার্মানেন্ট অ্যাড্রেসের জোগাড়যন্ত্র দুপক্ষেরই পূর্বপ্রজন্মরা করে রেখেছেন, কাজ ফুরোলে সেগুলোর কোনও একটাতে গিয়ে ঢুকে পড়ব। এই রুক্ষশুষ্ক মাটিতে শিকড় পোঁতার এনার্জি ক্ষয় করব না। কিন্তু ভাড়া কোথায় থাকব সেই নিয়ে এখনও দ্বিধা থেকে গেছে। আমার না, অর্চিষ্মানের। এখনও মাঝেমাঝে পুলে চেপে দিল্লির নতুন নতুন পাড়া দিয়ে যেতে যেতে অর্চিষ্মানের দৃষ্টি উদাস হয়। এই পাড়াগুলোও তো কী শান্ত, গাছওয়ালা। এখানেও তো থাকা যায়, যায় না?  আগে প্রতিবাদ করতাম। কেন? এখন যেখানে

গত বছরে

Image
উৎস

দুটো বই

Image
লীলাবতী/ অদ্রীশ বিশ্বাস লিরিক্যাল প্রকাশনী থেকে অদ্রীশ বিশ্বাসের 'লীলাবতী' বেরোচ্ছে শুনেছিলাম, কিন্তু কেনার কথা ভাবিনি। দোকানে গিয়ে বইটা হাতে নিয়ে কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। লিরিক্যালের বই সম্পর্কে এই কথাটা বলতে হবে। বইগুলো এত সুন্দর করে বানানো যে হাতে নিলে কিনতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সে কথা পরে হবে, আগে বইয়ের কথা বলি।   'লীলাবতী' লেখকের মায়ের জীবন আশ্রয় করে লেখা। মায়েদের জীবনী লেখা একটা বেশ চালু ব্যাপার। লীলাবতী পড়তে গিয়ে জেরি পিন্টোর 'এম অ্যান্ড দ্য বিগ হুম'-এর কথা মনে পড়া আশ্চর্য নয়। দুটি বইয়েরই কেন্দ্রীয় চরিত্র মা। দুটো বইয়ের আরও একটি মিল হল জেরি পিন্টোর মা বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভুগতেন, লীলাবতীও শেষজীবনে মানসিক ভারসাম্য হারান। কিন্তু অমিলও আছে। প্রথম অমিলটা হচ্ছ জেরি পিন্টো সত্যি ঘটনা লিখবেন বলে শুরু করেও পরে মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে ফিকশনে সরে যান, অদ্রীশ বিশ্বাস প্রতিটি ঘটনা, চরিত্র, তাদের নাম ঠিকানা পেশা সব বাস্তব রেখেছেন। কিন্তু মনে হয় যেন গল্পই পড়ছি। প্রথম অনুচ্ছেদ লীলাবতীর কাঁথা সেলাইয়ের চেনা ফোঁড় ভুল করে ফেলার অসহায়তা এবং চন্দ্রাহত হওয়ার

ভুরু কুঁচকে, কুচবিহারে

ক’মাস আগে তেজপুরে একজন প্রাক্তন সহকর্মীর মেয়ের বিয়ের নেমন্তন্ন খেয়ে এলেন মাবাবা। অর্চিষ্মান শুনে বলল, আবার? ও নাকি গত ছ’বছরে মাবাবাকে যত বিয়েবাড়ি খেতে দেখেছে সবই আসামে। কথাটা সত্যি নয়, বলা বাহুল্য। পশ্চিমবঙ্গেও মাবাবা যথেষ্ট বিয়েবাড়ি খেয়ে বেড়ান, তার সাড়ে নিরানব্বই শতাংশ আমাদের পাড়ায়। আসামে বিয়ে খেতে যাওয়ার ব্যাপারটা খানিকটা অভিনব বলেই বোধহয় বছরে একটা বিয়ে খেতে গেলেই চোখে পড়ে। অবশ্য বছরে একবার করে আসামে বিয়ে খেতে যাওয়াটাও অর্চিষ্মানের মানদণ্ডে যথেষ্ট বেশি বলে বিবেচিত হতে পারে, জানি না, জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে।   যাই হোক, কথাটা হল আমার বাবামা আমার মতো নন, চাকরিজীবনে দুজনে যথেষ্ট চেনা লোক জুটিয়েছেন যাঁরা এখনও, রিটায়ারমেন্টের সাড়ে ছ’বছর পরেও, তাঁদের ডেকে ডেকে নেমন্তন্ন খাওয়াচ্ছেন। আমি ভাইরাল ফিভারে ভুগে সাতদিন বাদে অফিসে গেলে কারও তাপউত্তাপ দেখা যায় না। অফিসে আমার থাকাও যা, না থাকাও তাই।   তেজপুরে বিয়ে নাকি দারুণ কেটেছে। দেশী বউ সাহেব বরের বিয়ে, এক্সট্রা উত্তেজনা। জামাইয়ের জুতো লুকোনোর পর সাহেব বরপক্ষর সঙ্গে দিশি শ্যালিকাদের টাকা নিয়ে দরাদরিতে কী মারাত্মক মজা হল, মা ফোনে সব

দে কেয়ার। দে ডোন্ট কেয়ার। দে কেয়ার। দে ডোন্ট...

Image
আমার অফিসচত্বরে কী যেন একটা মেলা বসেছে। মাটির তৈরি হাঁড়িকুড়ি থালাবাটি কাপপ্লেট জলের বোতল থেকে শুরু করে তিনহাত উঁচু ফুলদানি হাতি ঘোড়া সিংহ। অফিসের একজন ও রকম একটা সিংহের দর করতে গিয়েছিল, ফিরে এসে চোখ কপালে তুলে বলছে, কিতনে কা পতা হ্যায়? বারা হাজার। সামনে আমিও চোখ কপালে তুললাম, কিন্তু মনে মনে ভাবলাম এতে এত অবাক হওয়ার কী আছে। অত্যন্ত ভালো হাতের কাজ। ওই রকম দামই হওয়ার কথা।   আমি, বলা বাহুল্য, দাম জানতে যাইনি কারণ অ্যাফর্ড করতে পারব না, তাছাড়া আমার দরজার একদিকে পার্টিকল বোর্ডের জুতোর বাক্স অন্যদিকে হাঁ করা সিংহমূর্তি ভয়ানক বেমানান দেখাবে।   সত্যি বলতে আমার কিছুরই দাম জিজ্ঞাসা করার কথা নয় কারণ আমার কিছুই কেনার নেই। কারণ যা যা বিক্রি হচ্ছে তার কোনওটারই আমার দরকার নেই। কিন্তু কনজিউমারিজম কি না রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশেছে, একটা কিছু না কিনলে মন খারাপ হয়। আমার বাজেটে কুলোবে খালি হাঁড়িকুড়ি, জলের গ্লাস, চায়ের কাপ, পেনদানি আর সুন্দর জালিকাটা ডিফিউজার। যার ভেতর ছোট্ট মোমবাতি জ্বেলে দিলে একে তো আলোর ছটায় মায়াময় অ্যাম্বিয়েন্স গ্যারান্টিড, এর ওপর পাত্রের ওপরের গর্তে সুগন্ধী ঢেলে দিলে, আপনার রুচ

যোগমায়া হালদার অন্তর্ধান রহস্য

Image
ডেডলাইনের সীমা বারপাঁচেক বাড়িয়ে অবশেষে সেন্ড টিপে, হাঁফ ছেড়ে, গল্পটা সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করব বলে নেটে ঢুকলাম। এই জ্ঞানার্জন অবান্তরে পোস্টদানের নিমিত্তে। 'চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছায়া অবলম্বনে আমার গল্প বেরিয়েছে এই যে রইল লিংক, ইচ্ছে হলে পড়ুন না ইচ্ছে হলে কাটিয়ে দিন' বলে পোস্ট সারতে কেমন লাগে। গল্পটার ইতিহাস ভূগোল, গল্পের লেখকের বংশলতিকা, লেখক হওয়ার সংগ্রাম, সমাজের দর্পণে গল্পের প্রতিভাস, গল্পের দর্পণে সমাজের প্রতিচ্ছবি, নামকরণের সার্থকতা, ইত্যাদি নিয়ে কুড়ি নম্বরের এক পিস ‘যাহা জান লিখ’ না নামালে আর হল কী। কিন্তু সে সদিচ্ছেয় ছাই পড়ল। সে রকম কিছু যে পাওয়া গেল না তার জন্য তো বটেই, যা পাওয়া গেল তার জন্য আরও বেশি করে। আঁচ পেলাম যে গল্পটা সম্ভবতঃ সি বি এস সি পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত হলেও হতে পারে। ক্লাস এইটের। জেনে থেকে আমি মুহ্যমান। শেষমেশ কি না সিলেবাসের গল্প? একটা রচনার সমস্ত গ্ল্যামার, রহস্য, পেডিগ্রি যদি খুন করার মতলব থাকে, তাহলে তাকে স্কুলের সিলেবাসে ঢুকিয়ে দিন। আমার আঁচ পাওয়া ভুলও হতে পারে, আমি তো সি বি এস সি-তে পড়িনি, অর্চিষ্মান ইংলিশ মিডিয়াম হলেও বোর্

ইরা

Image
গত সপ্তাহে আমাদের বাড়িতে ইরা এসেছিল। ইরা কলা, ডিম, নিমকি, কেক খেতে ভালোবাসে, মিয়াম আর ভৌ ভৌদের ভালোবাসে, পার্কে যেতে ভালোবাসে, রেস্টোর‍্যান্টের টেবিল টিস্যু পেপার দিয়ে ঘষে ঘষে মুছতে ভালোবাসে আর ভালোবাসে বড়দের চটি পরতে।  বাড়িওয়ালার বাগানে মিয়াম, লোদি গার্ডেনে ভৌ ভৌ আর পার্কে ইরা, তিনজনের ছবিই তুলেছে সায়ক। ইরার কল্যাণে আমাদের দিল্লি শহরটা ঘুরে দেখা হল। লোদি গার্ডেন আর হুমায়ুন'স টুম্ব। গোটা দিল্লিতে তিন্নির ফেভারিট জায়গা। লোদি গার্ডেনে বসে আমি আর তিন্নি আলোচনা করছি। বিষয় মনে নেই তবে মুখভঙ্গি দেখে ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ নয় বলেই বোধ হচ্ছে।  পিকচার কার্টেসি আবার সায়ক। এটাও সায়কের ক্যামেরায় ইরার দু'বছরের জন্মদিন পালন হল। যে লোকটাকে আমি জীবনের দ্বিতীয় কলা খাওয়ার মতো নতুন দেখেছিলাম, সে "চামুচ" দিয়ে নিজেই কেক খাচ্ছে দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। সায়কের মোবাইলে। মামাবাড়ি বেড়াতে এসে ইরার কেমন লেগেছে জানি না, ইরার মামীর ভীষণ আনন্দ হয়েছে।