Posts

Showing posts from March, 2016

25 Bookish Facts About Me

১। গোয়েন্দাগল্প বাদ দিয়ে প্রায় সব বইয়েরই আমি শেষ পাতাটা প্রথমে পড়ে নিই। হ্যারি পটারেরও সপ্তম বইয়ের শেষ লাইনটা পড়ে নিয়েছিলাম। না হলে বড় টেনশন হয়। শান্তি করে পড়া যায় না। ২। আমার বয়স যখন দশের কম ছিল তখন আমি পাড়ার একজনের বাড়ি থেকে একটা ‘চাঁদমামা’ ধার নিয়ে এসে পড়েছিলাম। পরে সে দাবি করেছিল আমি তার বই ফেরত দিইনি। তারপর থেকে এ যাব ৎ আমি লাইব্রেরি ছাড়া আর কারও বই ধার নিইনি। ভবিষ্যতেও নেওয়ার ইচ্ছে নেই। ৩। আমি 'গেম অফ থ্রোনস' পড়া শুরু করেছিলাম, শ’খানেক পাতার বেশি এগোতে পারিনি। ৪। কোনও বই খারাপ লাগলে বইটারও থেকে আমার নিজেকে অপরাধী লাগে বেশি। ৫। টিভি কিংবা রেডিও চলতে থাকলে আমি বই পড়তে পারি না। ৬। বাসস্টপে, রেলস্টেশনে, চলন্ত বাস, অটোর চেঁচামেচির মধ্যে আমি দিব্যি বই পড়তে পারি। ইন ফ্যাক্ট, ওইসব জায়গাগুলো আমার অন্যতম প্রিয় পড়ার জায়গা। ৭। আমি লোককে তাদের পড়ার অভ্যেস দিয়ে বিচার করি। এবং আমাকেও যে লোকে করে, সেটা জানি। ৮। আমার মাবাবার সঙ্গে আমার পড়ার রুচির কোনও মিল নেই। এটা কী করে ঘটল সেটা আমার কাছে একটা রহস্য। ৯। আমি অনেকদিন পর্যন্ত গল্পের বইও মলাট দিয়ে পড়তাম।

স্টেকেশন

Image
staycation ste ɪˈ ke ɪʃ ( ə )n/ noun  informal 1. a holiday spent in one's home country rather than abroad, or one spent at home and involving day trips to local attractions. ***** বুধবার সকালবেলা টোল খাওয়া স্টিলের থালাটার ওপর দু’খানা চায়ের কাপ আর বিস্কুটের বয়ামটা ব্যালেন্স করে ঢুকতে গিয়ে চোখে পড়ল। বুককেসের দু’নম্বর তাকের ডানকোণে রাখা স্টিফেন কিং-এর 'অন রাইটিং'-এর ওপর আলো এসে পড়েছে। ঝকঝকে, চনমনে, ফুরফুরে। দেখামাত্র বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠল। সামনে চারচারটে দিন ছুটি, অথচ আমাদের কোথাও যাওয়ার নেই। না যাওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে যে ক’টা যুক্তি ছিল, খাওয়াদাওয়ার অসুবিধে, শারীরিক ধকল, প্রচুর জমে থাকা কাজ, সবগুলোকে গোল্লায় পাঠিয়ে করে নতুন করে চেষ্টায় লাগলাম। জায়গার বাছবিচার নেই, যাওয়া নিয়ে কথা। চকরাতা, দেরাদুন, নওকুচিয়াতাল, বিনসর, মাউন্ট আবু। তৎকাল পাওয়া গেল না, কুছ পরোয়া নেই। বাস তো আছে। তাতে যদি কষ্ট হয় তাহলে না হয় গাড়ি নিয়েই যাব, রোজগার করছি কি ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য? জি এম ভি এন, কে এম ভি এন-এর প্রায় সাতখানা গেস্টহাউসের ফোন নম্বর ডায়াল করে করে আঙুল ব

শনিরবি

Image
শনিবার ভোরবেলা বাড়িওয়ালা দরজায় ধাক্কা মেরে জানতে চাইলেন, কুন্তলা, আওয়াজটা শুনেছ? আওয়াজটা আমরাও পাচ্ছিলাম বেশ কয়েকদিন ধরে। ক্যাঁচ ক্যাঁচ ক্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁঅ্যাঁচ ক্যাঁচ। রীতিমত জোর। আমাদের ফ্যান্সি ল্যাপটপের সাউন্ডসিস্টেম তার কাছে ফেল পড়ে যাচ্ছে। হাউন্ডের ডাক কানে পৌঁছচ্ছে না। স্পিকার লাগাতে হয়েছে। আমি, হ্যাঁ শুনেছি তো, বলতে ভদ্রমহিলা বললেন, আমি তো শব্দের খোঁজে একতলা তিনতলা বাগান বারান্দা সব ঘুরে এলাম, তারপর বুঝলাম, এই, এইখান থেকেই শব্দটা আসছে। তাই ভাবলাম তোমাদের জিজ্ঞাসা করি। আমি বললাম, ভালোই করেছেন। আওয়াজটা আসছে এইখান থেকেই, বলে আঙুল দিয়ে আমাদের ফ্যানের দিকে দেখিয়ে দিলাম। গত বছরেই শুরু হয়েছিল। গরমের শেষের দিকে। মেকানিক ডাকছি ডাকব করতে করতেই দিল্লির বাতাস ঠাণ্ডা হয়ে এল। আমরাও, বাঁচা গেছে, একটা কাজ এড়ানো গেল বলে মহানন্দে টিভি খুলে বসলাম। আওয়াজের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে পড়ল আবার এই ক’দিন আগে। যখন সুইচটা দিলাম আর বিকট আর্তনাদ করে ফ্যান অত্যন্ত অনিচ্ছাসহকারে দুলে উঠল। সেই থেকে এইরকমই চলছে। আমরা রোজই একবার করে আলোচনা করছি, এইবার খবর দিতেই হবে। বাড়িওয়ালা অবাক হয়ে জিজ্ঞাস

সাপ্তাহিকী

Image
The effect, or lack of it, that you have on the opposite sex is important because it tells you whether or not you are in touch with the spirit of the times, of which the opposite sex is invariably the custodian.                                                           ---J. G. Farrell, The Siege of Krishnapur A man may take to drink because he feels himself to be a failure, and then fail all the more completely because he drinks. It is rather the same thing that is happening to the English language. It becomes ugly and inaccurate because our thoughts are foolish, but the slovenliness of our language makes it easier for us to have foolish thoughts.  বাংলা সম্পর্কেও এ কথা বলা চলে কি? জর্জ অরওয়েল-এর এই লেখাটা পড়তে পড়তে ভাবুন। আপনার বিশ্বাস কী বলে? বুদ্ধি ব্যাপারটা জন্মগত, নাকি সেটাকে চেষ্টা করে বাড়ানো সম্ভব? জানতে চাইছি এই কারণে যে বিশ্বাসভেদে আপনার অংক পরীক্ষার নম্বরের হেরফের হতে পারে। অন্তত এঁরা তেমনই দাবি করছেন। প্রযুক্তি, তুমি কার? (বিলেটেড)   হ্

বৈচিত্র্য বনাম বোরডম

সম্পর্ক তরতাজা রাখার প্রথম দশ , প্রথম সাত , প্রথম তিন তালিকাতেও এই টিপটা থাকে। একে অপরকে চমকে দেওয়ার টিপ । ব্যভিচারেও নাকি বিয়ে ভেঙে দেওয়ার ততখানি জোর থাকে না, যতখানি থাকে বোরডমে। কিছুতেই যাতে সম্পর্কে বোরডম সেট না করে সে বিষয়ে সর্বদা তক্কে তক্কে থাকুন , আজ সকালে উঠে রোম্যান্টিকপ্রবর হোন , আগামীকাল সন্ধ্যেয় পার্টিপ্রেমিক, পরশু দুপুরে ভাবুক এবং কবিতাপাঠক, তরশু সকালে সেনসিটিভ এবং কেয়ারিং । আর দোহাই আপনার, যাই হোন না কেন, সেন্স অফ হিউমারটা কনস্ট্যান্ট রাখুন , ওটা বাড়ন্ত হলেই বিপদ । একদিন মিনি স্কার্ট পরুন , একদিন কপালে টি দিয়ে ধ্রুপদী সাজুন, ভাতের পাতে একদিন চিংড়ি রাখুন তো একদিন চিলিচিকেন। পারিবারিক পত্রিকা হলে এখানেই ক্ষান্ত দেয় , প্রগতিশীল হলে দাম্পত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্যের পরামর্শ দিতে আগে বাঢ়ে । আমি অবশ্য এই টিপ কাজে লাগানোর পক্ষপাতী নই। এক তো কুঁড়েমির ব্যাপার আছে। প্রতিদিন নিজের নতুন নতুন চেহারা বার করা অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ । দু’নম্বর আপত্তিটা আসে বিশ্বাসের জায়গা থেকে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি সম্পর্কের ক্ষেত্

বাঙাল বাড়ির আলুপোস্ত

Image
মাঝে মাঝে নাকতলার মায়ের সঙ্গে রান্নাবান্না নিয়ে কথাবার্তা হয়। রেসিপি চালাচালি। চালাচালি মানে শুধুই চলা, একদিক থেকে অন্যদিকে। মা বলেন, আমি দ্রুত মগজে টুকে নিই। মায়েদের রেসিপি যেমন হয়, সোজা এবং অব্যর্থ। তাছাড়া অফিস যাওয়া মায়েদের রেসিপির যে সুবিধটা বাড়তি সেটা তো আছেই। সকালবেলা রেঁধেবেড়েখেয়ে টাইমে অফিস বেরোনো যায়, আর অফিস থেকে ফিরে রেঁধেবেড়েখাওয়ার শক্তি থাকে। নাকতলার মায়ের থেকে শেখা একটা থ্রি-ইনগ্রেডিয়েন্টস্‌ (নুন গুনলে ফোর) মুরগির রেসিপি শিখেছি, তাছাড়াও এবার বাড়ি গিয়ে একটা অসামান্য টমেটোর সুরুয়া খেয়ে এসেছি, সেগুলো অবান্তরে ছাপানোর ইচ্ছে আছে।) ক্কচিৎ কদাচিৎ হাততালি পাওয়ার লোভে আমি মাকে আমার রান্নার গল্প শোনাই। কোনও একটা রান্না আমি কীভাবে করলাম, সেসব ফলাও করে বলি। সেদিন যেমন চিঁড়ের পোলাও খেতে খেতে রন্ধনপ্রণালী আলোচনা হচ্ছিল। “তারপর ওই আগে ভেজে রাখা বাদামগুলো আর ধনেপাতাকুচি দিয়ে নামিয়ে নিলাম, ব্যস হয়ে গেল” বলে যেই না শেষ করেছি, মা দু’সেকেন্ড কীসের জন্য যেন অপেক্ষা করে থাকলেন, তারপর বললেন, “আর চিনি? চিনি দিলে না?” নাম যখন পোলাও যখন তখন সেটাতে চিনি দেওয়াই উচিত, কিন্তু আমি দিই না। ক