স্টেকেশন
staycation
steɪˈkeɪʃ(ə)n/
noun informal
- 1. a holiday spent in one's home country rather than abroad, or one spent at home and involving day trips to local attractions.
*****
দেখামাত্র বুকের ভেতরটা হু হু করে উঠল। সামনে চারচারটে দিন ছুটি, অথচ আমাদের কোথাও যাওয়ার নেই। না যাওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে যে ক’টা যুক্তি ছিল, খাওয়াদাওয়ার অসুবিধে, শারীরিক ধকল, প্রচুর জমে থাকা কাজ, সবগুলোকে গোল্লায় পাঠিয়ে করে নতুন করে চেষ্টায় লাগলাম। জায়গার বাছবিচার নেই, যাওয়া নিয়ে কথা। চকরাতা, দেরাদুন, নওকুচিয়াতাল, বিনসর, মাউন্ট আবু। তৎকাল পাওয়া গেল না, কুছ পরোয়া নেই। বাস তো আছে। তাতে যদি কষ্ট হয় তাহলে না হয় গাড়ি নিয়েই যাব, রোজগার করছি কি ব্যাংকে টাকা রাখার জন্য? জি এম ভি এন, কে এম ভি এন-এর প্রায় সাতখানা গেস্টহাউসের ফোন নম্বর ডায়াল করে করে আঙুল ব্যথা হয়ে গেল, রুম নেহি হ্যায়, রুম নেহি হ্যায়। বুধবার দিন যখন ফুরিয়ে এল আর হোলি মিলনোৎসভ-এর প্রত্যাশায় অফিসের প্যান্ট্রিতে থরে থরে গুজিয়া, বরফি, পকোড়ার প্যাকেট, লাল নীল কমলা অরগ্যানিক আবিরের প্যাকেট জমে উঠল, তখন আমার মনে উৎসবের রেশমাত্র নেই, কেবল হতাশা। টেরাসে ছুটোছুটি করে এর ওর গালে রং মাখাতে না পারলে যেন আমার জীবন বৃথা, তবুও ভীষণ কাজ তাই চলে যাচ্ছি ভঙ্গি করে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
হতাশা কাটাতে কাজে মনোনিবেশ করলাম। কাজেই মুক্তি। কাল সারাদিন কিছু পাকা বাচ্চা আর অপরিপক্ক বড়রা ছুটোছুটি করে রং খেলবে, তাই জনজীবন স্তব্ধ। দরকারি জিনিসপত্র সব কিনে বাড়ি যেতে হবে। দরকার বলতে চা আর জল। চা আছে। জল প্রায় ফুরোয় ফুরোয়। ঘন সবুজ রঙের মিনি টেম্পোতে চেপে বিসলেরির ছাপ্পা মারা কুড়ি লিটারের বোতল বিলি করে বেড়ান যিনি, তাঁকে ফোন করা হল। ঘাড়ে করে বোতল নিয়ে এসে মুখের সিল ছুরি দিয়ে কেটে সেটাকে ডিসপেনসারের ওপর উপুড় করে দেবেন, গবগব করে জল নামবে। ওঁর থেকেই আমি শিখেছি ছুরি কাউকে হাতে হাতে দিতে নেই। রোজ যখন আসেন সেই সময়টা পেরিয়ে আরও ঘণ্টাখানেক কেটে গেল, তাঁর দেখা নেই। অবশেষে এলেন যখন তখন সব দরজায় তালা পড়ে গেছে। নিস্তব্ধ সিঁড়িতে হাওয়াই চটির উৎকট শব্দ যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে করতে নেমে গেলাম। সিঁড়ি ঘরের টিমটিমে টিউবলাইটের আলো পড়ে ভদ্রলোকের কপালের ঘাম চকচক করে উঠল। জল ঢেলে, পুরোনো বোতল নিয়ে, খুচরো ফেরত দিতে দিতে দু’বার ওঁর ফোনে তাড়া এসে গেল। ভদ্রলোক ফোন তুলে আশ্বাস দিলেন। আজ যত রাতই হোক না কেন তিনি সবাইকে জল পৌঁছে তবেই বাড়ি যাবেন।
ঘরে ফিরে এসে দরজাজানালার ছিটকিনি, গ্যাসের নব, পরীক্ষা করে এসে বিছানায় গা ঠেকালাম তখন আবার মনে পড়ে গেল। চারচারটে দিন। এ বছরের সবথেকে লোভনীয় ছুটিটা আমরা বাড়িতে বসে কাটাতে চলেছি। আজ সন্ধ্যে থেকে নিজামুদ্দিন, পাহাড়গঞ্জ, আই এস বি টি, থেকে ট্রেন, বাস, আকণ্ঠ লোক গিলে পাহাড়, জঙ্গল, মরুভূমির দিকে চলে যেতে শুরু করেছে, তাদের কোনওটার জানালার পাশের দুটো সিটে আমরা নেই। আমরা আছি যেখানে গত কে জানে কত যুগ ধরে ছিলাম। সামনের চারদিনও থাকব। চেয়ারে জমিয়ে রাখা কাচা জামা প্যান্ট ইস্তিরি করে ভাঁজ করব। অবান্তর লিখব বা লিখব লিখব ভাবব। অফিসের অসংখ্য জমে থাকা কাজ করবই না।
চোখ লেগে আসার আগের মুহূর্তে শুনলাম নিচের গলিতে হইহই উঠেছে। হোলি শুরু হয়ে গেছে।
*****
সকালের ভালো ব্যাপারটা হচ্ছে, আগের রাতে যা-ই ঘটুক না কেন, ভালো বা খারাপ, মনের অবস্থা যেমনই থাক না কেন, উত্তেজিত, হতাশ, বা অবসন্ন, সেই ঘটনা বা অনুভূতিদের সঙ্গে একটা রিজনেবল দূরত্ব তৈরি হয়। আনন্দটাকে আর ততখানি উদ্দাম মনে হয় না, হতাশার ভেতরেও খানিকটা ফাঁকফোকর বেরিয়ে পড়ে যার ভেতর দিয়ে খানিকটা আলো চোখে এসে পৌঁছয়। ভালোমন্দ, আশানিরাশা সবকিছুকেই বাড়িয়ে কমিয়ে সকাল একটা মাঝামাঝি জায়গায় নিয়ে আসতে পারে। সকালের মাত্রাবোধ অসীম, সকালের দৃষ্টি নৈর্ব্যক্তিক ও নির্মোহ।
ঘুম থেকে উঠে অর্চিষ্মান গেল রান্নাঘরে। আজ ও শেফ, আমি সু-শেফ। অর্থাৎ ডিমের দায়িত্ব আজ ওর, আমার ঘাড়ে সাইড ডিশ। অর্থাৎ চায়ের জল গরম করা, পাউরুটি সেঁকতে বসানো। রোজ আমরা হাফ ফ্রাই ডিম খাই, আজ অন্য কিছু খাব। কী খাব সেটা অর্চিষ্মান ফাঁস করল না। সারপ্রাইজ। থালা নিয়ে ঘরে ঢুকতে লাফ দিয়ে উঠলাম। সারপ্রাইজই বটে। বড়বেলায় ইউটিউব দেখে শেখা ধপধপে সাদা অমলেট নয়, ছোটবেলার মতো পেঁয়াজকুচি, লংকাকুচি দিয়ে উঁচু আঁচে ভাজা ভাজা মামলেট। দুজনের জন্য দুটো ডিম, আর হোলির জন্য এক্সট্রা আরেকটা ডিম দিয়েছে অর্চিষ্মান। স্টিলের প্লেটের গোটাটা জুড়ে আবার এদিকওদিক থেকে খানিকটা ল্যাজা মুড়ো বার করে শুয়ে আছে পেটমোটা মামলেট। যেন শহর থেকে প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি আসা জামাইয়ের জন্য বানানো।
আজ দুপুরের মেনু আলুউচ্ছে, বড়ি দিতে ভুলে যাওয়া নটেশাক আর দই মাছ। খেয়ে উঠে অর্চিষ্মান গেল ফ্রুট অ্যান্ড নাট আইসক্রিম আনতে। খেয়েদেয়ে খুব ঘুমোলাম। ঘুম থেকে উঠে মাকে ফোন করলাম আর ভালোভালো জিনিস জানা হয়ে গেল। মা পরশু শব্দজব্দ সলভ করেছিলেন, যেগুলো পারেননি সেগুলো আজ সমাধান দেখে দেখে মেলাচ্ছেন। ওমানের জাতীয় ফুল পপি, মঙ্গল গ্রহের আরেক নাম কুব্জ, আকাশে অগস্ত্য নামের তারা ফুটলে শরৎকালের সূচনা হয়।
চেয়ারের কাপড়গুলো শুধু ভাঁজ করা হল না। অবশ্য আরও তিনদিন তো আছে।
*****
শুক্রবার আমি কী করেছি কিছুই মনে নেই। শুধু মনে পড়ছে টিভি, ইউটিউব আর গল্পের বইয়ের গভীর খোঁয়ারি ভেঙে উঠে দেখলাম অর্চিষ্মান আমাদের বইয়ের তাক পরিপাটি গুছিয়ে ফেলেছে।
*****
আমাদের বাড়িতে একটিও গগলস/সানগ্লাস নেই। আমার কেন নেই তার ব্যাখ্যা আমার চোখের পাওয়ার। সানগ্লাস পরতে হলে আমার কনট্যাক্ট লেন্স পরা ছাড়া গতি নেই আর কনট্যাক্ট লেন্স আমার বিশ্রী লাগে। নবনীতা দেবসেন শুনেছি চশমার ওপর দিয়ে সানগ্লাস পরেন। একবার পদ্ধতিটা পরখ করে দেখব ভাবছি।
অর্চিষ্মানের গগলস না পরার পেছনে এরকম শারীরবৃত্তীয় কোনও কারণ নেই। যা আছে তা মানসিক। ও বলে গগলস পরলে নাকি মানুষের চেহারায় একটা চট্-আত্মবিশ্বাসের ছাপ ফোটে, যেটা ওর মতে “ভয়াবহ”। সানগ্লাস পরলে যে লোককে গ্ল্যামারাস দেখায় সে বৈজ্ঞানিক তথ্যটা আমি আগে জানতাম, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অ্যাংগেলটা আগে মাথায় আসেনি। অর্চিষ্মানের মনোভাব জানার পর থেকে আমি ব্যাপারটা খেয়াল করার চেষ্টা করছি, এবং বলতে বাধ্য হচ্ছি যে অর্চিষ্মানের কথাটা সত্যি। হয়তো শুধু ছাপই পড়ে না, হয়তো সত্যি সত্যিই আত্মবিশ্বাস খানিকটা বাড়ে।
শনিবার ন্যাচারাল’স আইসক্রিমের দোকানের দোতলায় বসে সত্যিটা আরেকবার মিলিয়ে নেওয়ার সুযোগ এল। (অর্চিষ্মান নিয়েছিল একটা সবেদা আর একটা ডাব আইসক্রিম, আমি নিলাম এক স্কুপ ‘ঠাণ্ডাই’ আইসক্রিম, হোলি স্পেশাল।) একতলা থেকে এক ভদ্রলোককে দেখতে পাচ্ছিলাম না, শুধু শুনতে পাচ্ছিলাম। শুনেই বুঝতে পারছিলাম ভদ্রলোক ভয়ানক আত্মবিশ্বাসী। না হলে ফোনে কেউ অত চেঁচিয়ে কথা বলে না। একটু পর ভদ্রলোক কথা বলতে বলতে দোকানের বাইরে বেরিয়ে এলেন। গলার সঙ্গে মানানসই আত্মবিশ্বাসী চেহারা। গলায় চেন, হাতে আংটি, পরনে হাফপ্যান্ট ও হাওয়াই চটি, এবং চোখে সানগ্লাস। দোকানের ভেতরেও তিনি সানগ্লাস পরে ঘোরাঘুরি করছেন কেন ভাবতে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের ব্যাপারটা মনে পড়ল। খুললে যদি কনফিডেন্স কমে যায় তাহলে পরে থাকাই ভালো।
বাড়তি ছুটি শেষ, এবার হক্কের ছুটিদুখানা মাত্র পড়ে আছে ভেবে মন খারাপ হচ্ছিল, সেটা কাটাতে শনিবার সকাল হতে না হতেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছি। সারাভানা ভবনে অর্চিষ্মান তা-ই খেল, যা ওর পক্ষে এখন খাওয়া সম্ভব। সম্বরে ডোবানো ছোট্ট ছোট্ট নরম ফুলকো ইডলি, আমি খেলাম একটা নতুন রকমের দোসা, নাম কাল দোসাই। দেখতে প্যানকেকের মতো, বৈশিষ্ট্যেও প্যানকেকের মতোই ফ্লাফি, খালি ময়দা আর ডিমের গোলার বদলে চালডাল বাটা। খাওয়ার পর দুকাপ কফি।
*****
ওই ভোরে আর একটি মাত্র বিনোদনই সম্ভব, আর সেটার উৎস আমার বাড়ির খুব কাছেই। কাজেই সেদিকে হাঁটা লাগালাম। দূর থেকে জায়গাটা চোখে পড়তে বুঝলাম ভুল কিছু করিনি। ‘সফল’ সবজির দোকান একেবারে গমগম করছে।
বাজার করার নেশার ব্যাপারটা আমি শুনেছি তো বটেই নিজে চোখে দেখেওছি। এক কিলোমিটারের মধ্যে বাজার থাকলেই বাবা কিছু একটা কিনে ফেরেন। দরকার থাকুক ছাই না থাকুক। জিজ্ঞাসা করলে বলেন, আরে এত কচি ডাঁটা/ টাটকা বেগুন/ জ্যান্ত মাছ/ ফ্রেশ এঁচোড়/ তাজা মোচা . . . দেখেও ছেড়ে আসা যায় নাকি? আমি এতদিন ভাবতাম, যাবে না কেন, নিশ্চয় যায়। নোংরা, ভেজা, স্যাঁতসেঁতে, ভ্যাপসা, গরম, চিৎকার, ঝগড়াঝাঁটির বাজার, সেখান থেকে শুধু প্রাণ ছাড়া আর কিছু নিয়ে কেন কেউ ফিরতে চাইবে সেটাই বরং একটা রহস্য।
বেশিরভাগ দিনই অফিস থেকে ফেরার পথে বাজার সারি, ক্বচিৎ কদাচিৎ ছুটির দিন সকালে বেরোনো হয়। যেদিন যেদিন সেরকমটা ঘটে সেদিন সেদিন আমি ওই রহস্য সমাধানের দিকে একেক পা এগিয়ে যাই। ক্রেট উপচে কমলা, হলুদ, বেগুনি, লাল আর অন্তত গোটা দশেক শেডের সবুজ। ঠাণ্ডা জলের ফোঁটা লেগে থাকা টমেটো, লিস্টে লেখা না থাকলেও একবার ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। টাটকা কড়াইশুঁটির সিজন শেষ হয়ে গেছে শুনে বুকে শেল। ফ্রোজেন লে লিজিয়ে। মাগো, কীসের সঙ্গে কীসে। দৌড়ে গিয়ে শেষ শীতের ক’টা বাঁধাকপি তুলে নিই, কবে শেষ হয়ে যাবে। বাঁধাকপি নিলাম, পুদিনা পাতা দেখেও লোভ সামলানো গেল না। আমি যতক্ষণে অফিস থেকে ফিরি ততক্ষণে এই সব মহার্ঘ জিনিসপত্র ফুরিয়ে যায়। কিনে ফেললাম এক আঁটি। কীসে দেব কে জানে। একটা জ্যামের শিশি সদ্য খালি হয়েছে। কিছু না পেলে শিশিতে জল ভরে তাতে ডুবিয়ে জানালার ধারে রেখে দেব। বেশ উইন্ডোসিল গার্ডেনিং হবে। আমার বহুদিনের শখ।
*****
এ তো গেল চার দিনের দৈনিক বিবরণ। আর একটা অদ্ভুত ঘটনা এই চারটে দিন ধরেই ঘটছিল। চা খেতে খেতে, টিভি দেখতে দেখতে, দোসা খেয়ে অটো করে ফিরতে ফিরতে। অনবরত ভাবছিলাম, যদি বেড়াতে যাওয়া হত তাহলে এই মুহূর্তে আমরা কী করতাম? এই হয়তো দরজায় টোকা মেরে চা আর চায়ের সঙ্গে টোস্ট উইদআউট বাটার আসত। এবার তো ভেজিটেবল পকোড়া খাওয়া যেত না। এই হয়তো পাহাড় বেয়ে কুয়াশা নামত, এই হয়তো নওকুচিয়াতালের জল হাওয়ায় শৌখিন পাঞ্জাবির হাতার মতো কুঁচকে যেত।
তারপরেই কল্পনার দৌড় ফুরিয়ে যাচ্ছিল। আড় চোখে তাকিয়ে পাশের জনের মুখের ভাব বোঝার চেষ্টা করছিলাম। আমি যা ভাবছি, সেও কি তাই ভাবছে? সত্যিই কি আমরা রাজযোটক? সাসপেন্স সহ্যাতীত হওয়ায় অবশেষে বুক ঠুকে সত্যিটা স্বীকার করতে যাব, ও মা সেও দেখি মুখ হাঁ করেছে। বলছে, “ভালোই হয়েছে বল? না বেড়াতে গিয়ে?”
আছে আছে, আমাদের মনের মিল আছে! ভাগ্যিস যাইনি! ভাগ্যিস এই চারদিন টানা, বিচ্ছেদহীন, বোরিং বাড়িতে বসে, মুখস্থ হয়ে যাওয়া রেস্টোর্যান্টের ঠোঁটস্থ হয়ে যাওয়া মেনু না দেখেই অর্ডার দেওয়া ইডলি দোসা খেয়ে, দু’নম্বর মার্কেটে ঘোরাঘুরি করে কাটিয়েছি। পথে পথে ঘুরলে আনন্দ হয়তো হত, এত আরাম তো হত না।
আর এত আরামের বলেই ব্যাপারটা ডেঞ্জারাস। প্রতিবার ছুটির আগেই যদি এই আরামের স্মৃতিটা মনে পড়ে যায় আর আমাদের বেড়াতে যাওয়া লাটে ওঠে? সে ভয়ানক হবে। তাই আমরা একে অপরের কাছে প্রমিস করেছি যে নেক্সট ছুটিতে বেড়াতে যাবই যাব। কোথায় যাব সেটাও প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। ড্যাং নয়, ক্যাং-ও নয়। আর হিন্ট দেওয়াটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
এই গোটাগুটি চার দিনের ছুটিতে দোলের দিন আধঘণ্টা আবির মাখার পর দেড়ঘন্টা সে আবির তুলতে আধখানা সাবান আর গায়ের চামড়া ক্ষয় করেছি,তারপর মাংস ভাত খেয়ে নিটোল ভাতঘুম দিয়েছি, তারপর দিন সারাদিন ই প্রায় ল্যাদ ইটিং পূর্বক শ্রীমতী কুন্তলা বন্দোপাধ্যায় বিরচিত 'অবান্তর'নামক পুস্তক খানি গলাধঃকরণ করেছি,তাপ্পরদিন বাবা মা বাড়ি ছিলনা কিনা তাই বান্ধবী দের নিয়ে ফিস্টি করেছি।
ReplyDeleteসর্বনাশ, এমন ভালো রুটিং-এর মধ্যে ঠাকুমার দেওয়া নামখানা ঢুকে পড়েছে দেখছি, শাল্মলী। চারদিনের ছুটি শেষের এই বিষাদমুহূর্তে এর থেকে ভালো কিছু আর ঘটতে পারত না। থ্যাংক ইউ।
Deleteতোমার বাড়িতে ডাকাত পড়বে, অত বই এমন ভাবে দেখাতে হয়??
Deletebesh korecho,sudu mudu dour jhap kore sustho shorir ke basto karoni....
ReplyDeleteamar ek senior bolto,
"are eibhabe relax koratao ekta proper kaaj..relax korake ekdum obohela korbi na.."
bajar kora sotyi e darun nesha,janto mach,taja shobji,kaumau kore bach bichar kore..hevy lage
trek try korle vally of flower e jete paro..easy level,ar delhi theke kache most imp..
bhalo theko,dol er shuvechcha
prosenjit
তোমাকে দোলের শুভেচ্ছা জানাই, প্রসেনজিৎ।
DeleteAmio motamuti kheye ghumiyei amar chhuti ta katalam. Jodio office chhuti chhilo na kintu pray sobai good friday r chhuti nite ami nijei nijeke okaron chhuti diye diyechhilam.
ReplyDeleteএইটা কাজের কাজ করেছিলে, চুপকথা।
DeleteGang? Gang?
ReplyDeleteঠিক ঠিক,বিম্ববতী। খুব ইচ্ছে করছে যেতে।
Deletegang er sera hotel..TASHI TAGEY,biswas na hole review pore nao..soshtao bote.plus first hand experience..kharap lagle gali tali dio.yes,exact downtown e noy,mint 10 dure
Deleteprosenjit
Amar cheler aaj porikhha! Tai barite thaka chhara upay chhilo na!
ReplyDeleteতাই বলি। অফিসে আসার পথে গোটা তিনেক স্কুল পড়ে। প্রত্যেকটার সামনে বীভৎস জ্যাম। দশ মিনিট লেট হয়ে গেল আমার।
Deleteতোমার ছেলের পরীক্ষা খুব ভালো হোক, এই কামনা করি, রুণা।
হা হা (গব্বর সিং মার্কা হাসি), আমাদেরও চারদিন ছুটি ছিল, তাই আমরা তিনদিন কাটালাম পুরীতে, আর একদিন ভুবনেশ্বরে। #JalePeNamak
ReplyDeleteআমিও সানগ্লাস পরি না। চোখ আমার শরীরের একমাত্র ইন্দ্রিয় যাতে কোন ব্যাধি নেই। তাই চোখ নিয়ে কোন রিস্ক আমি নিইনা।
আপনারা গ্যাং যাচ্ছেন কবে?
ইস, খুব হিংসে করলাম। যাচ্ছি মানে যাব যাব ভাবছি। গেলে গরমেই যাব। আপনার চোখ ভালো থাকুক, দৃষ্টি আরও প্রখর ও মর্মস্পর্শী হোক, এই কামনা করি, দেবাশিস।
Deleteরোদচশমার জায়গাটা দিব্যি। তবে আপনি কেন রোদচশমা পরতে পারবেন না, সেটা বুঝিনি। আমার পাওয়ার মাইনাস ৯, তার ওপরে চোং-সিলিন্ডার এসবের ঘোরাল প্যাঁচপয়জারও আছে। কিন্তু আমি দিব্যি কালো চশমা পরে আপিসে আসি রোজ, বাসে জানলার ধারে বসে।
ReplyDeleteচশমার দোকানে বলবেন, আজকাল খুব সুন্দর করে পাওয়ার দেওয়া চশমা করে দেয়, কালো কাচের। খরচ অবিশ্যি আমার পাওয়ারে প্রায় ৬-৭ হাজার। আপনার কত পাওয়ার তার ওপরে নির্ভর করছে কত খসবে। পাওয়ার কম হলে, কাচের দাম ও কমে যাবে।
ফ্রেম? যা চাই তাই পাবেন। আমি তো দোকানে বললুম, ফ্রেম দেখাতে। ছোকরা সেই ডগলাস ম্যাক আর্থারের এভিয়েটর থেকে হাল ফ্যাশনের জিনিসপত্তর নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসল। বললুম ভাইটি, এসব রাখো। তুমি নায়ক ছবিটা দেখেছ? অনিল কাপুরের নয়, মানিকবাবুর, উত্তমকুমার ছেলো। বললে - ভবানীপুরের ছেলে দাদা, উত্তমকুমারের ছবি দেখবোনা? বললুম, প্রথম দৃশ্যে উত্তমকুমারের কালো চশমাটি মনে আছে? বের করো দেখি ওরকম কিছু। তো ছোকরার এলেম আছে। বিলকুল ওই রকম একখানা সরেস বস্তু বের করে আনল। এক হপ্তা পরে কাচ ফিট করে একটা হাল্কা অথচ মজবুত পরিপাটি কালো চশমার মালিক হলুম।
আপনিও দেখতে পারেন খুঁজে।
ও তাই বুঝি? আচ্ছা এবার দোকানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। ধন্যবাদ।
DeleteWAYFARER chosma,uttamkumar er style ta.otao aviator er motoi soda sobuj keta
Deleteইয়ে, আর বই ছিল না দোকানে ? ;) ওই লালটা কি রাজশেখর বসুর মহাভারত ?
ReplyDeleteঠিক ঠিক।
Deleteguru, amrao kothay jaini. prothome boro dukkho hochhilo tomar motoi. protibeshi theke shuru kore bondhur bondhu, toshyo bondhu ra sobai dekhlum beach ey gechhe. khabar er chhobi chhaba lobhoniyo holeo bhebe dekhlum 40 degree te begun pora howar theke barite mangher jhol bhaat snatiye, khela dekhe, ac chaliye bhaatghum ta boddo bhalo hoyechhe :D
ReplyDeleteহাই ফাইভ, প্রিয়াঙ্কা।
DeleteBoi er tak ta khub e lovoniyo
ReplyDeleteধন্যবাদ, সুহানি।
Deleteফোটোক্রোম্যাটিক লেন্স দিয়ে চশমা বানালেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। দরকার মত চশমা আর দরকার মত রোদচশমা।
ReplyDeleteসে তো যায়ই, অদিতি।
Deleteসকালের ভালো ব্যাপারটা হচ্ছে, আগের রাতে যা-ই ঘটুক না কেন, ভালো বা খারাপ, মনের অবস্থা যেমনই থাক না কেন, উত্তেজিত, হতাশ, বা অবসন্ন, সেই ঘটনা বা অনুভূতিদের সঙ্গে একটা রিজনেবল দূরত্ব তৈরি হয়। আনন্দটাকে আর ততখানি উদ্দাম মনে হয় না, হতাশার ভেতরেও খানিকটা ফাঁকফোকর বেরিয়ে পড়ে যার ভেতর দিয়ে খানিকটা আলো চোখে এসে পৌঁছয়। ভালোমন্দ, আশানিরাশা সবকিছুকেই বাড়িয়ে কমিয়ে সকাল একটা মাঝামাঝি জায়গায় নিয়ে আসতে পারে। সকালের মাত্রাবোধ অসীম, সকালের দৃষ্টি নৈর্ব্যক্তিক ও নির্মোহ। --eta sobcheye bhalo laglo .
ReplyDeletechutite chutochuti korei hok ki goiyei hok bhalo chuti kata niye kotha :) -PB
একেবারে একমত, প্রদীপ্ত।
DeleteGangtok Gangtok! Dugga dugga. Ager jonme ami Sikkimese kimba Tibetan chilum, on god.
ReplyDeleteTomader bookshelf gulo kotha theke kena? Pepperfry na urban ladder? Amaro icche korche kinte.
Goggles porle akta false sense of security feel kora jaye, jeta amar moto sociopath lokjoner kache khub essential jinis.
Ami sottii vebechilum tomra bodhoy holi'r chhutite kothao hawa hoye gecho. Travelogue porbo bole praye ready hoye chilum. Ami March er prothom soptahe Bhutan ghure elum btw.
আমার যতদূর মনে হচ্ছে, ওটা হাউসফুল বলে একটা সাইট থেকে কেনা, কুহেলি। ওখানে ফার্নিচারের দাম বেশ কিছুটা কম অন্য সাইটগূলোর থেকে। অবশ্য ভ্যারাইটিও কম। তুমি দেখতে পার।
DeleteAmi bhebechilam tomra nischoi kothao giyecho .. onekdin kono post neyi dekhe, pore kheyal holo osusthotar jonne hoyeto jaoni.
ReplyDeleteBhaloi korecho amar mone hoye ... shob jaayega ey shanghatik bhir thakto. Khub shiggiri tomader trip ta houk tar jonne good wishes roilo. Ar jodi Gangtok hoye, tahole tomar post ta pore refer korbo jokhon amra finally jete parbo. :-)
হ্যাঁ, ভিড়টা একটা কারণ, শর্মিলা। এখনও ঠিক করিনি গ্যাংটকের ব্যাপারটা, তবে খুব ইচ্ছে করছে।
Deleteamade o mil ache.. ektu ulto.. dujonei soman taale dur chata bhallagena kothao gelam na gelam na kore matha kharap korechi.. ar tarpor thakte na pere 1 day trip e deulti ar sharat chandrer bari samtaber ghure esechi.. gangtok ghure eso.. amar favorite asole sikkim ar north er pahar e amar favorite. tao sikkim bohu jayga baki ache jawa.. boi er taak ta boro bhalo laglo..
ReplyDeleteএইটা খুব ভালো করেছিস, ঊর্মি। আমি সিকিমের পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ কোথাওই যাইনি।
DeleteLalmohan babu prothom bar Darjeeling giye kanchanjungha dekhben bole feluda jemon hingse korechilo.. sei rokom hingse korlam tomake.. :) Sikkim er sudhu nature noy.. amar to lok gulo keo khub bhalo lage.. ekabar e ekjon bangali er hotele chilam setai amar sikkim er ekta baje experience jano.. ami landslide dekhechi.. borofe majhrastay atke giye egote parini.. borof r landslider jonno puro north sikkim er plan 1 din e cancel korte hoyeche.. okhankar driver ra plan diyeche east sikkim jete.. tate aro mon bhalo hoye geche.. kajei jedikei jao.. jeyo..
Deleteআর না গিয়ে থাকা যাবে না। থ্যাংক ইউ।
Deletekanchanjangha dekhte chaile sandakphu jao Soshtay switzerland,o jinis dekhle tiger hill hasyokar lagbe,ajkal gari jachche,trek korar dorkar nei,tar mane je gang/Sikkim bad ta noy,asole sob e ashe pashe,tumi ek trip e cover korte paro.sotyi e Jodi jao,mail koro,ami somasto detail bole dobo,ami besh koekbar oi dik gulo ghurechi,ami bahubar fesechi,knowledge tar ki labh arjan kore Jodi aro keu abar fase....
ReplyDeletehttp://www.indiamike.com/india/darjeeling-f145/sandakphu-trek-in-june-2015-a-t237486/
el cheapo camera..nijgune marjona koriben
prosenjit
আরে মার্জনা কী বলছ, প্রসেনজিৎ। কী ভালো ভালো ছবি। আর তাছাড়া অভিজ্ঞতাটাও তো চমৎকার। থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ। যাওয়ার আগে তোমার পরামর্শ নেব নিশ্চয়।
DeleteAmar onek aram kora hoyeche . Ebar berate jaboi jabo. Delhi hoye nainital aar binsar .Kuntala Tor barir kachakachi aschi...dekha korbi ?
ReplyDeleteআরে নিশ্চয়, কবে কোথায় আসছিস জানা, নিশ্চয় দেখা করব।
DeleteEtodin Tor lekhay Tor Delhi shohor take porechi ...aaj saradin ei shohortay ghurte ghurte tai mone hoy shohor ta ektuo ochena mone holona. Jodio Prothom bar Elam edesher rajdhani te. Ekhon kathgodam express e .amar no 09903448127.tui call korle kotha bole tuk kore dekha kore nite pari ferar pothe....aar mone mone eo bhabchilam..jodi chuti niye chole Asti's ....ki moja I na hoto !!!
Delete