Posts

Showing posts from July, 2014

রামগড় ২

Image
রামগড়ের জল ভালো বলতে হবে। রাত ন’টার সময় ওইরকম গরগরে চিকেনের ঝোল আর রুটি খেয়ে ঘুমোতে গেলাম, সকালে উঠে দেখি চোঁ চোঁ খিদে পেয়ে গেছে। আটটার সময় বেড টি খেয়ে, স্নানটান করে ন’টার সময় ডাইনিং রুমে গিয়ে মাখনপাঁউরুটি আর ডবল ডিমের অমলেট খেয়ে তবে পেট খানিকটা ঠাণ্ডা হল। রামগড়ে পৌঁছনোর আগে আমাদের কিছুই প্ল্যান করা ছিল না। কী করব, কী দেখব, কোথায় যাব। গাড়িতে যেতে যেতে পবন সিং জানতে চেয়েছিল শনিবার আমাদের প্ল্যান কী। কিছুই না শুনে পরামর্শ দিল মুক্তেশ্বর ঘুরে আসার। ভেবে দেখলে পরামর্শটা খুব একটা খারাপ নয়। মুক্তেশ্বর রামগড়ের থেকে মোটে পঁচিশ কিলোমিটার আর মুক্তেশ্বর যাওয়ার ইচ্ছে আমাদের অনেকদিনের। অবশ্য শুধু যাওয়ার নয়, ইচ্ছেটা গিয়ে থাকার। কে এম ভি এন গেস্টহাউসের বারান্দায় বসে নন্দাদেবী অবলোকন করতে করতে পকোড়া খাওয়ার। এখন সে হওয়ার জো নেই। কিন্তু নেই বলেই মনের দুঃখে এতদূর এসে ফিরে যাওয়াটা খুব একটা বুদ্ধির কাজ হবে না। শুক্রবার সন্ধ্যেতেই রিসেপশনে বলে রেখেছিলাম গাড়ির কথা। শনিবার সকালে এসে আমাদের মুক্তেশ্বর ঘুরতে নিয়ে যাবে। মুক্তেশ্বরে কী কী দেখার আছে সেটা অবশ্য আর চেক করার উপায় নেই। নো ইন্টারনেট।

রামগড় ১

Image
ডাক্তারবাবুর পেন প্রেসক্রিপশনের ওপর খসখসিয়ে চলতে চলতে থেমে গেল। এখন? পাহাড়? পাগল নাকি? মোরাদাবাদ পর্যন্ত তো ফ্লাড। তাছাড়া শরীরের এই ছিরিতে? পেনটা কাগজ থেকে উঠে এসে বন্দুকের নলের মতো ওপরনিচে আমাকে জরিপ করল খানিকক্ষণ। আমরা দু’জনেই মুখ মাপমতো কাঁচুমাচু করলাম। যতটুকু করলে ভুলস্বীকার হয়, অপরাধবোধ ঠিক ঠিক ফোটে। আবার যতই ভুল হোক না কেন, আপনি যতই হেলথ-শেমিং করুন না কেন, ভুলটার শেষ দেখেই যে ছাড়ব, সেই প্রত্যয়টাও বুঝিয়ে দেওয়া যায়। ডাক্তারবাবু যা বোঝার বুঝে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাকি প্রেসক্রিপশনটুকু শেষ করলেন। বললেন, ‘ওষুধ নিয়ে যেও, ডোজ মিস কোর না, সোমবার আবার এস।’ আমরা একেবারে টেবিলে মাথা ঠেকিয়ে ‘নিশ্চয় নিশ্চয়’ বললাম। ঠেলাঠেলি করে ঘর থেকে বেরোনোর আগের মুহূর্তে ভদ্রতা করে জুড়ে দিলাম, ‘আসলে অনেএএএকদিন থেকে আশা করে রয়েছি তো . . .’ ডাহা মিথ্যে কথা। বাহাত্তর ঘন্টা আগেও জানতাম না যে রামগড় যাব। কোথাও একটা যাওয়ার ইচ্ছে তো হচ্ছে সেই রণথম্ভোরের বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফেরা ইস্তক। সকাল বিকেল দুপুর মাঝরাত্তির ভাবছি মান্ডু? (ট্রেনের টিকিট ওয়েটিং লিস্ট একশো চুয়াল্লিশ) মুসৌরি? (দুজনেরই দেখা)

সাপ্তাহিকী

Image
বার্লিন শহরের রাজমিস্ত্রি। উৎস প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি অবান্তরকে এতদিন ফাঁকা ফেলে রাখার জন্য। এ অবহেলার কারণ ছিল, আশা রাখি যথাসময়ে সে কারণ আপনাদের দর্শাতে পারব। কিন্তু এখনও সে সময় হয়নি। আপাতত এই বিলম্বিত সাপ্তাহিকী দিয়ে মন ভোলানোর অক্ষম চেষ্টা করলাম। কাল থেকে সত্যিকারের পোস্ট শুরু হবে। হবেই। বিজ্ঞাপন যদি সৎ হত। ভবিষ্যদ্বাণীও যদি সৎ হত . . . . . . বা জব ডেসক্রিপশন।   পকেটমারদের গল্প। একটি বিশেষ পকেটমারের গল্প। ফ্লোরেন্স বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করছে এক্ষুনি। আপনি মরে গেলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কী হবে ভেবে দেখেছেন? আই অ্যাম . . . genius.    আপনি? ব্যান্ডের গলায় গানটি শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। মানুষের গলায় শুনে যেন আরও ভালো লাগছে।