একটি বিলম্বিত অভিনন্দন



সৌমেশ লিংকটা পাঠিয়েছিলেন বেশ ক’দিন আগে। সাপ্তাহিকীর এ সপ্তাহের গানের ক্যান্ডিডেট হিসেবে। আমি ক্লিক করেওছিলাম। চেনা গায়ক, চেনা গান, কিন্তু গাওয়াটি অচেনা। কণ্ঠে ক্লান্তি, দমের ঝুলিতে টান। ডানদিকের ওপরের লাল ক্রসে ক্লিক করে বেরিয়ে সৌমেশকে রিপ্লাই দিয়েছিলাম, ‘সরি সরি, কিছু মনে করবেন না। গানটা আসলে আমার ভালো লাগে না।’ সৌমেশ আপাদমস্তক ভদ্রলোক, হাসিমুখে উত্তর পাঠিয়েছিলেন, ‘আরে না না, কোনও ব্যাপার না।’

কথোপকথন আর্কাইভ করে বসে রইলাম। মাথার ভেতর বাজতে লাগল,

‘সন্ধ্যের গলা সাধা, কী কঠিন ছায়ানট রাগ
কী করে রাখব তাল সম ফাঁকে কেবল হারায় . . .’

অফিসে বসে বসেই চোখের বাইরের আলো নিভে এল। জ্বলে উঠল মাথার ওপরের সিলিং জুড়ে ছোট ছোট সারি সারি হলুদ ফুল। দৃষ্টির সামনে ঢালু হয়ে নেমে গেল মানুষের মাথা। রোজ যে সব হরেদরে মাথারা ঘুরে বেড়ায় আমাদের হাটে বাজারে, শাকপাতামাছমুলো বেছেবুছে টিপেটুপে কেনে, তারা নয়। একটু অন্যরকম মাথারা আজ এসে জড়ো হয়েছে এখানে। মাথাদের বেশির ভাগই কলেজে যায়, হাতেগোনা ক’জন অফিসে বা স্কুলে। বিকেলবেলায় শুধু রকে বসে থাকার বদলে লাইব্রেরিতে ঢুঁ মারে। মণ্ডপের দালানে র-সু-ন জয়ন্তীর নাচগানের শেষে জোর করে একটা কুইজ গুঁজে দেয়। কুণ্ঠিত প্রতিবেশীদের টেনেটুনে টেবিলে এনে বসায়। আরে কাকিমা, হেবি সোজা প্রশ্ন, সব পারবে দেখবে। সে সব মাথার ভিড়ের ঢাল মিশেছে গিয়ে যে মঞ্চের পায়ের কাছে, সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন একজন। রিষড়ার বৃহত্তম মঞ্চে, পাড়াশুদ্ধু মেয়ে গ্রামবাসী সেজে নাচতে নাচতে ঢুকে পড়লেও যে মঞ্চে এদিকওদিক জায়গা বাকি থাকে, সেই স্টেজে একা দাঁড়িয়ে আছে লোকটা। অথচ স্টেজটা একটুও খালি লাগছে না। ফ্যাকাশে নীল শার্টের গোটানো হাতা থেকে বেরিয়ে আসা শক্তপোক্ত হাত গিটারের তারে টোকা মারছে। সুরে নিখুঁত বাঁধা কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসছে নিটোল এক একটি শব্দ, এক একটা গান আর গাইতে গাইতে লোকটার সাইজ ক্রমশ বড় হয়ে যাচ্ছে। বিরাট হতে হতে ছেয়ে ফেলছে চারপাশ। আমাদের গ্রাম্য রবীন্দ্রভবনের জখম অ্যাকিউস্টিক ছাপিয়ে বন্যার জলের মতো উপচে পড়ছে লোকটার গলা। ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সামনে বসা মাথাগুলোকে। দাসখৎ লিখিয়ে নিচ্ছে সারাজীবনের মতো। প্রকাণ্ড ছায়াটা ঘাড় ধরে ঘুরিয়ে দিচ্ছে একটা গোটা ইন্ডাস্ট্রির গতিপথ। একা।

তখন আমি বয়ঃসন্ধির বিপজ্জনক মুখটায় দাঁড়িয়ে আছি। সামনের ভিড়ে বসে থাকা কোনও কোনও কুইজমাস্টারের মুখ মনে পড়লেই কথা নেই বার্তা নেই ভ্যাঁ করে কান্না পেয়ে যাচ্ছে। ওই মারাত্মক সময়েও সুমনের প্রেমে পড়িনি আমি। মোহ, অনুরাগ, কাম, প্রেম, ভালোবাসা ইত্যাদি আরও নানারকম যা যা অনুভূতি বোধ করি আমি মর্ত্যের মানুষদের প্রতি, তার একটিও দিয়ে আলোর নিচে গিটার গলায় ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওই অমর্ত্য সত্তাটিকে ছুঁয়ে দেওয়ার সাহস হয়নি আমার।

অমিতাভ একবার বলেছিল, পৃথিবীর তিনটে সবথেকে শক্ত কাজের মধ্যে একটা হচ্ছে সুমনের আনুগত্যে অবিচল থাকা। লোকটা এমন কাণ্ড বাধায় মাঝে মাঝে। দুমদাম সব কথাবার্তা। অপোগণ্ড সব সাঙ্গোপাঙ্গ। যখন যাকে ভালোলাগছে তখন তার প্রেমে পাগল, ছ’মাস বাদে তার গুষ্টির তুষ্টি না করে জল খাচ্ছে না। ওই যমের অরুচি নেতাগুলো সুমনকে নিয়ে কথা বলার সাহস পায় কোত্থেকে? সুমনই বা তাদের কথায় রাগে কেন? ওরা তো নশ্বর, সুমন তো নয়। নর্দমার ধারে পড়ে থেকে দু’টাকা পিসে বিকোনো খবরের কাগজ সুমনের সম্পর্কে যা-তা লেখে কোন সাহসে? যে কথা শুধুই কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন বা স্তুতি নয়? মোবাইল বেজে ওঠার অপরাধে বাবার বয়সী একটা লোককে ঘাড় ধরে হল থেকে বার করে দেওয়ার স্পর্ধা হয় কী করে স্বঘোষিত ইন্টেলেকচুয়াল গুণ্ডাদের? সুমনের চোখের সামনে?

গান শোনা যদিও বন্ধ করিনি। লোকটার ওপর থেকে বিশ্বাস টলেছে, লোকটার গান থেকে তো নয়। এখনও দিনে অন্তত ঘণ্টাখানেক কাটে জাতিস্মর আর চেনা দুঃখ চেনা সুখের ফেরে ঘুরে ঘুরে।

সেদিন জাতীয় পুরস্কারের খবরটা কানে এল। রূপঙ্কর, আপনাকে অজস্র অভিনন্দন জাতীয় পুরস্কার জয়ের জন্য। আপনি আমার প্রিয় একজন শিল্পী। যে গানটার জন্য ওরা আপনাকে প্রাইজ দিয়েছে, আমার মতে তার থেকে অনেক ভালো গান আপনি গেয়েছেন। ওই যে ‘তোমার টানে সারা বেলার গানে’ গানটা। কী ভালো, যতবার শুনি আবার শুনতে ইচ্ছে করে। এই প্রাইজ পাওয়া গানটাতেও আপনি প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন। কিন্তু আমাকে ক্ষমা করবেন, এটা আপনার গান নয়। আপনি যত চেষ্টা করেছেন, যত দরদ দিয়ে উচ্চারণ করেছেন গানের প্রতিটি শব্দ, তত বেশি করে আমার মনে পড়েছে আর একজনের কথা। তত ইচ্ছে করেছে জমজমাট অর্কেস্ট্রা আর মহার্ঘ অ্যারেঞ্জমেন্টের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে গানটাকে বার করে এনে একজনের একলা গিটারের কোলে রেখে আসতে। আপনার গানটা বারবার লুপে শুনতে শুনতে আমার চোখে ভেসে উঠেছে অনেক, অনেক দিন আগে দেখা একটা অতিকায় ছায়া। যে ছায়া একসময় আমার সারাটা জীবন গ্রাস করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। পারেনি। কেন কে জানে। আমি বড় হয়ে গেছি বলে, নাকি ছায়ার মালিক তিলে তিলে মনুষ্যত্বে নেমে এসেছেন বলে?

রূপঙ্করের গানটা থামিয়ে লিস্টের প্রথম গানটায় ক্লিক করি। সৌমেশ এই গানটাই পাঠিয়েছিলেন আমাকে। এই গানটাই দু’লাইন শুনে বেরিয়ে এসেছিলাম আমি।

প্রথম আলোয় ফেরা, আঁধার পেরিয়ে এসে আমি
অচেনা নদীর স্রোতে চেনা চেনা ঘাট দেখে নামি
চেনা তবু চেনা নয়, এভাবেই স্রোত বয়ে যায় . . .

কণ্ঠে ক্লান্তি, দমের ঝুলিতে টান। একসময় অবহেলে রবীন্দ্রভবনের ছাদ ছুঁয়ে ফেলা সদর্প ‘ডি’, ‘এ’ স্কেলে হাঁটু গেড়ে বসেছে।

ফড়িং-এর উড়ে যাওয়া, ডানায় রংধনুর নীল
জন্মে জন্মে দেখা দুপুর আকাশে একা চিল
তারই মতো ভেসে যাওয়া চুপিসাড়ে দুখানি ডানায়
খোদার কসম জান, আমি ভালোবেসেছি তোমায়।

আমার গাল বেয়ে দু ফোঁটা গরম জল গড়িয়ে নামে। আমার পাশে বসে একমনে কাজ করে চলা ঈশা, ঘাড় ঘোরালেই দেখতে পাবে জেনেও আমি নিজেকে সামলাতে পারি না।

গির্জার ঘণ্টায় মিলে যাওয়া ভোরের আজান
প্রতি আহ্বানে খোঁজা তোমার যোগ্য কোনও গান
যে গানে শ্যামের সুর রাধিকার বিরহে মানায়
খোদার কসম জান, আমি ভালোবেসেছি তোমায়।

আমার চোখের বাইরের আলো আবার নিভে আসে। আবার মাথার ওপর সারি সারি হলদে পলকাটা হলদে ফুল। কালো মাথার আঁধার পেরিয়ে আবার আমার চোখ গিয়ে থামে মঞ্চের একলা শিল্পীর পায়ের কাছে। এখন আর তিনি দাঁড়িয়ে নেই। বয়সের ভার ন্যস্ত করতে হয়েছে চেয়ারে। গিটারের তারে শ্লথ হয়েছে আঙুল। মুণ্ডিত মস্তক দুলিয়ে, বন্ধ চোখে কবি গেয়ে চলেছেন,

তোমাকেই বাজি ধরা বোকা প্রেমে যে অহংকার
গানে গানে কেঁদে মরা ব্যর্থ হয়েছে অভিসার
তোমায় খুঁজেছি শুধু কী আদিম বাঁচার নেশায়,
খোদার কসম জান, আমি ভালোবেসেছি তোমায়।

চরম এমব্যারাসমেন্টের ঝুঁকি অগ্রাহ্য করে আমার গাল দিয়ে জল গড়িয়েই চলে। প্রথম কৈশোরের সেই ছায়াটা ঘিরে আসছে আবার। গ্রাস করছে আমায় চারদিক থেকে। কুড়ি বছর আগে যেমন করেছিল। বুকের ভেতরটা আবার আনুগত্যে আর্দ্র হয়ে যাচ্ছে।

এখন আবার দেখা, আবার তোমার চোখে জল
কত জন্মের চেনা, তুমি আছ একই অবিকল . . .

বাইরেটা বদলায়, ভেতরটা থেকে যায় ঠিক আগের মতো। কুড়ি বছরের ওপারএপারে গলার জোর ক্ষীণ হয়ে আসে, মনের জোর নড়বড়ে হয়, জিনিয়াসের জোর শুধু টসকায় না। থেকে যায় একই, অবিকল।

আমার জীবনে কাছ থেকে দেখা একটিমাত্র জ্যান্ত জিনিয়াস, আমার অন্তরের সবটুকু অভিনন্দন জানবেন।

  

Comments

  1. আহা, কি লিখেছেন! আপনাকে অভিনন্দন। :)

    লোকটা এত ভুলভাল কাজকর্ম করে, মনে হয় আর কোনোদিন মুখ দেখব না। কিন্তু গান গাইতে শুরু করলেই কিরকম যেন হয়ে যাই। :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি অরিজিত। লোকটা ইমপসিবল।

      Delete
  2. অরিজিতের ভাবনাটা একদম ঠিক। লোকটা আবার আমার বাড়ির কাছে থাকে। তাই আরো অনেক কিছু কানে আসে। কিন্তু যখন গলাটা খোলে ! আমি চাই লোকটা ছবি হয়ে যাক। তাহলে অন্ততঃ খারাপ মানুষিক কাজগুলি বন্ধ হবে আর গলাটাও এর থেকে খারাপ হতে পারবে না। ওর গান শুনলেই আমার তখন চোখ ভেঙে জল আসবে। সারাদিন ওর গানের মধ্যে ডুবে থাকতে ইচ্ছে করবে। তবু সব খারাপের ইতি হবে। ও ছবি হয়ে যাক। দেবতাদের তো ছবিতেই ভাল লাগে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. Mani, erom bolo na. Onar aro kichu dewar ache. Manush taake baad dao. Shilpi ke rakho.

      Delete
    2. মালবিকার সঙ্গে আমার বেশির ভাগ ইচ্ছেই মেলে, কিন্তু এই ইচ্ছেটা মেলেনি।

      Delete
  3. Kuntala, eta amar Facebook e share korbo? Suman Kaku ke pathabo? Please?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই রে, রাগ করেন যদি?

      Delete
  4. Na. Korben na. Guarantee dichhi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাহলে করতে পার, রাগ করলে কিন্তু আমি জানি না . . .

      Delete
  5. khub bhalo laglo lekha ta.. satti e rupankar r gaan ta shune ekdam oi kathai mone hoi amar. Jodio Rupankar khub e bhalo gaan. Tobe Suman r gaan gaoa? na se onakei manai...

    ReplyDelete
    Replies
    1. একমত, একমত সঙ্গীতা।

      Delete
  6. Arijit ja bolechhe, thik tai. Bhodrolok gaan gaitey shuru korlei kirom baaki sobkichhu jhapsha hoye jay - rajneeti, ragaragi, jhograjhnati...sobkichhu. Boddo bhalo likhechho Kuntala di. :-)

    p.s. Eita ki Sumaner Facebook page ey post korar permission achhe?

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ বিম্ববতী। শেয়ার করতে পার, কিন্তু সুমন যদি রাগ করেন?

      Delete
  7. "Ekmatro janto genius" bolechho, tarporeo raag korben? :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, আরে জিনিয়াস বলেই তো বিশ্বাস নেই...

      Delete
    2. Bimbabati, amio onake pathalam. Page e share korle khoob bhalo hoy.

      Delete
  8. অসাধারণ লেখা | আমার প্রিয় গায়ক ও প্রিয় গান নিয়ে | যদিও আমার পুরনো গান টা বেশি ভালো লাগে -

    ‘সন্ধ্যের গলা সাধা, কী কঠিন ছায়ানট রাগ
    কী করে রাখব তাল সম ফাঁকে কেবল হারায় . . .’ - এইটা |

    আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো কমেন্ট করব না | আসলে এমনই একটা বিষয়, কমেন্ট করা টা হয়ত ধৃষ্টতা হয়ে যাচ্ছে | কিন্তু তাও কয়েকটা কথা বলতে ইচ্ছা করলো | আমার তো মনে হয় সুমন কে দেবতা-র জায়গায় আমরাই বসিয়েছি | সে বেচারা নিজের সুখ, দুঃখ, ভালো, মন্দ, দোষ, গুণ সব নিয়ে কিন্তু ভীষণ ভাবে একজন মানুষ! মানছি, সুমন জীবনে যা যা করেছে তার বেশির ভাগটাই একজন আদর্শ মানুষের চেকলিস্ট-এ থাকবে না | কিন্তু সুমন নিজে তো কোনদিনও দাবি করেনি যে আমি পৃথিবী-র সবথেকে ভালো মানুষ | বরং এই যে কাউকে তোয়াক্কা না করার দুঃসাহস, লোকে আমাকে ভালো বলবে কিনা জানিনা, আমি যা ভাবছি আমি তাই করব; যাকে ভালো লাগে না তার প্রশংসা করব না, উল্টে কয়েকটা গালিগালাজ করব (যা আসলে সবাই আড়ালে করেই থাকে); লোকে আমাকে চরিত্রহীন বলে বলুক, কাউকে ভালো লাগলে বা কারোর প্রতি ভালোবাসা ফুরিয়ে গেলে সেটা স্বীকার করে নেব; লোকে আমাকে গালিগালাজ করে করুক, আমি আমার ইন্টারভিউ তে অস্বস্তিকর কথা বার্তা বলব কারণ আমার কাছে সেটাই সত্যি - এটাই কি ভীষণ সুমন-সুলভ না? আসলে আমাদের জীবনের পরতে পরতে একটা ভয় লুকিয়ে থাকে - এই যদি কেউ আমায় খারাপ ভাবে? এই যদি কাল থেকে কেউ আর আমায় পছন্দ না করে? আর সেলেব্রিটি-দের এই ভয় টা তো মারাত্মক! আমরা সাধারণত সেলেব্রিটি-দের নিজেদের মনুষ্যোত্তর জীব বলেই বিশ্বাস করতে এবং করাতে দেখেছি | তাই যে সেলেব্রিটি-দের সেই ভয় একেবারেই নেই আর তাই লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ বানানোর-ও কোনো ইচ্ছে নেই বিশেষ করে সেই ভদ্রলোক যদি এরকম প্রতিভাবান হন তাঁদের ক্ষেত্রে হয়ত আমাদের হিসেব গুলো আর মেলে না |

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার প্রতিটি কথার সঙ্গে আমি সহমত অপরাজিতা।

      Delete
  9. Lekhata darun laglo.

    Aparajita , eto bhalo bolechhen ... onar songe ekmot.

    ReplyDelete
    Replies
    1. অপরাজিতা একেবারে হক কথা বলেছে ইচ্ছাডানা।

      Delete
  10. Anek somoi ignorance is bliss katha tar akkhore akkhore mile jaoa ter pai. Eta serakom ekta byapar. Keno ke jane bhadroloker ki kharap chhilo ba ki kharap achhe sheshab amar kaan gheshe berie gechhe bhetore dhokeni. Tai ami ekhono shudhu sei purono gaanetei moje achhi. Rabibashariya te sumanami pori bhalo lage. Gaan gulo bohubar shonar poreo abar shuni, ekti rakom bhalo lage.

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক, তাহলে তো ল্যাঠা চুকেই গেল।

      Delete
  11. Sumon Chatujje amar boro priyo bektigulir onnotomo. Take nie ato sundor ekti lekha dewar jonno borosoro Thank You..
    Uporer comment gulio manansoi bhabe boroi bhalo..
    ai Ganti nia alochona to besh onek diner ager kotha...ami bhule e gachilam...tobe ai gan apnar bhalolagena jene ektu obak e hoyechilam bote...e boro bhalo gan...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমাকে থ্যাংক ইউ কী, থ্যাংক ইউ আমার আপনাকে দেওয়া উচিত, এই গানটাকে আমার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। না হলে কবে সাহস করে শুনতাম কে জানে।

      Delete
  12. Ki bolbo? .. Chokh bhijlo..golar kachhtay dola.. Ki kore lekho eto jhokjhoke? Alap korte icche hoy.samnasamni

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। দেখা হয়ে যাবে নির্ঘাত কোনওদিন।

      Delete
  13. এই বিরাট ছায়া টি আমাদের সবার জীবনেই পরেছে কোনো না কোনো সময়ে। যৌবনে একভাবে, মাঝ বয়েসে আরেকভাবে, কিন্তু পড়েছে। আপনার এই অপূর্ব বিশ্লেষণ যেন আমাদের সকলের অনুভূতির নিখুঁত বিবরণ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম ঠিক বলেছেন কাকলি। বিভিন্ন সময় ছায়া বিভিন্ন রকম ভাবে পড়ে। আপনার লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  14. লেখাটা অসম্ভব ভালো হয়েছে। এরকম একটা বলিষ্ঠ লেখাই যোগ্য ওই ছয় তারের আস্ফালন টাকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে। অমরত্বের প্রত্যাশা যার নেই, এই নশ্বর আচরণ তার থেকেই তো প্রত্যাশিত । অপরাজিতার সঙ্গে একেবারে একমত । larger than life ইমেজ কে ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়ে সব নিন্দে কন্ঠে ধারণ করে প্রতিদিন সমানে স্বেছাচারী হয়ে যেতে বোধ হয় এই একজনই পারে।

    ReplyDelete
  15. Replies
    1. ধন্যবাদ তিন্নি।

      Delete
  16. Aare korechhen ki! Durdanto likhechhen,ekebaare durdanto!aajkaal apni kagojer dikey takalei kagoj kirokom shoshposhyamal hoye utthchhe dekhchhi!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি আপনার মন্তব্যটা অনেকক্ষণ আগেই দেখেছি, বুঝলেন sanbandyo, দেখে থেকে ভেবে যাচ্ছি, শষ্পশ্যামল-কে টেক্কা দেওয়ার মতো কোনও শব্দ খুঁজে বার করা যায় কি না। যথারীতি, বেরোয়নি। কাজেই সেই বোরিং বাংলাতেই লিখছি।

      আপনার প্রশংসা সবসময়েই স্পেশাল। তাই অনেক অনেক থ্যাংক ইউ।

      Delete
  17. lekha ta, gaan tar moto bhalo... ar ki bolbo...

    ReplyDelete
    Replies
    1. স্বাগতা, তুমি যে আমার প্রতি কী মারাত্মক রকমের পক্ষপাতদুষ্ট, তোমার মন্তব্যটা থেকে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  18. "গান শোনা যদিও বন্ধ করিনি। লোকটার ওপর থেকে বিশ্বাস টলেছে, লোকটার গান থেকে তো নয়। এখনও দিনে অন্তত ঘণ্টাখানেক কাটে জাতিস্মর আর চেনা দুঃখ চেনা সুখের ফেরে ঘুরে ঘুরে।"

    এবং আমি বিশ্বাস করি বাংলা গান নিয়ে কেউ কোথাও কিছু লিখলে একটা গোটা অধ্যায় ওনার জন্য বরাদ্দ হবে যদি না তিনি পক্ষপাতদুষ্ট হন।

    "সুমনের গান তোমাকে চাই" যখন বাজারে আসে আমি তখন কলেজ। ভাবতে ভালো লাগে তুমি লোকটাকে পছন্দ করো আর না করো, ওর করা গান শুনলে তোমাকে দাঁড়িয়ে পড়তেই হবে - এই বিষয়টা আজও পাল্টায় নি। আজও "দাবি"-র কথা মনে হলে "আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে ....", মগ্নতার কথা মনে হলে "বাঁসুরিয়া .....", ছোটবেলার জন্য "পাড়ার ছোট্ট পার্ক ....", জীবনের জন্য "অমরত্বের প্রত্যাশা নেই ..... " আর ভালোবাসার জন্য "চকোলেট টফি রাশি রাশি প্যারাট্রুপারের মত" ঝড়ার কথাই মনে হয়।

    প্রথম আলোয় ফেরা, আঁধার পেরিয়ে এসে আমি
    অচেনা নদীর স্রোতে চেনা চেনা ঘাট দেখে নামি
    চেনা তবু চেনা নয়, এভাবেই স্রোত বয়ে যায় . . .

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনিও সুমনের ভক্ত জেনে খুশি হলাম কৌশিক। বাংলা গানে সুমনের অবদান নিয়ে ওঁর শত্রুমিত্র কারওরই কোনও সংশয়ু থাকার কথা না, সেটা আপনি ঠিক বলেছেন।

      Delete
  19. কি লিখেছেন কুন্তলা, অসাধারণ হয়েছে তো!

    আমি যখন প্রথম সুমনের গান শুনি তখন আমি বোধহয় ক্লাস ফাইভে পড়ি। কোথায়, কার বাড়িতে শুনেছিলাম সেটাও মনে আছে। গানের যে খুব কিছু বুঝতাম তা নয়, তাও "পেটকাটি চাঁদিয়াল" শুনে মনে হয়েছিল এরকম গান আগে শুনিনি। তারপর তো গোটা ক্যাসেটটাই বাবা কিনে আনলো, "তোমাকে চাই", "মন খারাপ করা বিকেল", "পাগল", "তিনতালের গান", "গড়িয়াহাটার মোড়"... কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব? সেই যে ভালোলাগার শুরু, তারপর থেকে সেটা কোনওদিন কমেনি। মানুষটার প্রতি ভালবাসা কমেছে নিঃসন্দেহে, কিন্তু "সুমনের গান" শুনলেই মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে বলা ভালো যে আমার বোধহয় জীবনমুখী গানের প্রতি একটা পক্ষপাতিত্ব আছে, কারণ আমার খুব ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাড়ির শতাধিক রেকর্ডের আর ক্যাসেটের মধ্যে আমার সবথেকে প্রিয় ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গলায় "রানার", "পালকির গান", "অবাক পৃথিবী", "গাঁয়ের বধু"। সেজন্যই হয়ত সুমনকে প্রথমেই এতটা ভালো লেগে গেছিল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমাদের বাড়িতে আমি ছাড়া কেউ কখনও সুমন শোনেনি, এ জন্মে শুনবে বলে মনেও হয় না। এক্ষেত্রে আরেকটা অমিল বেরোলো দেখা যাচ্ছে। পেটকাটি চাঁদিয়াল আমারও খুব প্রিয় গান।

      Delete
    2. আমাদের বাড়ির প্রত্যেকেরই সুমন খুব প্রিয়, আমার বাবা-মা-বোনের তো বটেই, আমার ঠাকুমা যখন ছিলেন তখন ঠাকুমারও খুব ভালো লাগত সুমনের গান। আমাদের বাড়িতে জীবনমুখী ছাড়াও সুমনের রবীন্দ্রসঙ্গীতও আছে বেশ কিছু।

      Delete
    3. আমার মা সুমনের রবীন্দ্রসংগীতের ভক্ত। আমিও। কিন্তু 'সুমনের' গান বলতে যেগুলো বুঝি সেগুলো আমার বাবামায়ের পক্ষে একটু বেশি আধুনিক বোধহয়।

      Delete
  20. এ তো আমারও ভাবনা , কেমন সুন্দর করে সাজিয়ে দিলেন ....
    "... কিন্তু আমাকে ক্ষমা করবেন, এটা আপনার গান নয়। আপনি যত চেষ্টা করেছেন, যত দরদ দিয়ে উচ্চারণ করেছেন গানের প্রতিটি শব্দ, তত বেশি করে আমার মনে পড়েছে আর একজনের কথা। তত ইচ্ছে করেছে জমজমাট অর্কেস্ট্রা আর মহার্ঘ অ্যারেঞ্জমেন্টের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে গানটাকে বার করে এনে একজনের একলা গিটারের কোলে রেখে আসতে। "
    আর হ্যাঁ .. ওটা দূরের আজান নয় ..ভোরের আজান ! আর 'তোমায় খুঁজেছি তবু' টা 'তোমায় খুঁজেছি শুধু '
    আচ্ছা, এই সাইট টা নিশ্চয়ই দেখেছেন আগে ... http://www.kabirsumanonline.com/home/cat/audios/

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাংক ইউ আত্মদীপ, ঠিক করে দিয়েছি।

      Delete
  21. আহা কি ভালই না লিখেছেন ! এই একটা লোককে সময়ের শেষ পর্যন্ত আমি ভালোবেসে যাব। আর আপনি গানটা যেখানে থামিয়েছেন তার ঠিক পরের লাইনটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় - "আয়নায় দেখ মুখ, মহাকাল যেখানে ঘনায় " ...

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ পিয়াস। সুমনকে ভালোবাসার ব্যাপারে তোমাকে হাই ফাইভ।

      Delete
  22. রূপঙ্কর এর গলায় গানটা শুনে একেবারে এই কথাটাই মনে হয়েছিল... ঐ গান টা সুমন কে ছাড়া সত্যি হয়না।

    ReplyDelete
  23. এই পোস্টটা miss করে গিয়েছিলাম।
    কী লেখাই লিখেছেন কুন্তলাদি..

    ময়ূরী

    ReplyDelete

Post a Comment