মিডনাইট রেন
ভার্বাটিম বলতে পারব না; শিশুশিক্ষা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ একজায়গায় লিখেছিলেন, ছোটদের শিক্ষাপ্রক্রিয়ার একটা আবশ্যিক বৈশিষ্ট্য হওয়া দরকার যা প্রয়োজন তার থেকে বেশি শেখানো। রবীন্দ্রনাথ একটি মচৎকার ছবি এঁকেছিলেন বক্তব্যটি রাখতে গিয়ে। শিক্ষা যেন ছোটদের অঞ্জলি উপচে পড়ে। অর্থাৎ বাচ্চাদের শেখানোটা চোখ সরু করে, লালসাদা টিউব টিপে টুথপেস্ট বার করার মতো হতে পারে না। অকাতরে ঢেলে দাও, যার ছোট হাতে যতটুকু ধরে সে ততটুকু শিখুক, কিন্তু কারও হাত যেন খালি না থেকে যায়।
অর্থাৎ কোন বাচ্চার কতটুকু শিক্ষা কাজে লাগবে বিচার করতে না বসাই কাম্য। বা কোন শিক্ষা কাজে লাগবে। সোজা কথায় কাজে লাগালাগির বিষয়টাকেই পাত্তা না দেওয়া। আরেকটু টানলে ধরে নিতে পারি, বক্তব্যের মাধ্যমে অকাজের শিক্ষার প্রতি লেখকের পক্ষপাতও প্রকাশ পেয়েছে।
বিষয়টা তর্কের। অফিসের এক সহকর্মী একবার সিলেবাসের বাইরের বইয়ের প্রতি লোকের উদগ্র আগ্রহে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। ওই বইগুলির মানুষের জীবনে কার্যকারিতা নিয়ে তাঁর প্রভূত সন্দেহ ছিল। আমার নেই, বলাই বাহুল্য, উল্টে আমার আমি হয়ে ওঠার পেছনে সিলেবাসবহির্ভূত বইয়ের কলকাঠিই বেশি (এই জেনে সহকর্মীর সিলেবাসের বাইরের বইয়ের প্রতি অনাস্থা আরও তীব্র হতে পারে, সে সম্ভাবনা মাথায় রেখেই বলছি)। কিন্তু আমার এখনকার আমিটার সঙ্গেই যেহেতু আমি রোজ ঘর করি, অন্য আমিগুলোকে চিনি না, তাই এই আমিটাকেই আমার পছন্দ। এবং সিলেবাসের বাইরের বইয়ের প্রতি আমার প্রবল একচোখোমি।
তা বলে সহকর্মীকে কটাক্ষ করছি না। যত মত তত পথ। তাছাড়া প্রো-সিলেবাসবহির্ভূত বইওয়ালারাও কটাক্ষে কিছু কম যান না। ননফিকশনওয়ালারা রেগুলার গল্পের বইওয়ালাদের দেখে মুচকি হাসেন, লিটারেরি ফিকশনওয়ালারা গোয়েন্দাপাঠকদের খেলায় নিতে চান না, গোয়েন্দাওয়ালাদের মধ্যে উমবার্তো একো আর ড্যান ব্রাউনকে এক ঘরে পাঁচমিনিট বন্ধ রেখে দেখুন, রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে।
স্কুলে অকাজের শিক্ষার বাড়াবাড়ি ছিল। অবান্তরে নিয়মিত আসে যায় ঊর্মি, সাক্ষী দিতে পারবে। স্টেজ বাঁধা থাকত, দেখ না দেখ মেয়েরা তাতে উঠে নাচত গাইত, কবিতা বলত, প্রবন্ধ পড়ত। প্রতি মাসের নিয়ম করে এই সব সাংস্কৃতিক হুলাবিলার ভালোবেসে নাম দেওয়া হয়েছিল নিবেদিতা আসর। সিলেবাস শেষ হয়নি কিন্তু নিবেদিতা আসর হয়েছে, অনেকবার ঘটেছে। বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন অভিভাবকের অনুপাত তখন কম ছিল, কেউ কিছু বলতেনটলতেন না। দুয়েকজোড়া উদ্বিগ্ন সংখ্যালঘুকে দিদিভাইরা আশ্বাস দিতেন। ঘাবড়াবেন না, মৌসুমী বায়ুর গতিপথ কণ্ঠস্থ না করিয়ে মেয়েদের জীবনযুদ্ধে নামিয়ে দেব না। অতটাও দায়িত্বজ্ঞানহীন আমরা নই। অভিভাবকরা আশ্বস্ত হয়ে বা না হয়ে ফিরে যেতেন, আমরা হইহই করে সংস্কৃতিচর্চায় নেমে পড়তাম।
কাজের কাজ কম হত বলেই বোধহয় স্কুলে যেতে দিব্যি লাগত। এ ঘটনা বিরল ছিল না যখন অতি বৃষ্টিতে ভ্যানগাড়ি ডুব দিয়েছে এবং স্কুলে না যেতে পারার সম্ভাবনায় কন্যা কেঁদে ভাসিয়েছে। রেনি ডে-র কনসেপ্ট বোঝাতে গিয়ে আরও বিপদ ঘটেছে, কন্যা আরও জোরে ভ্যাঁ জুড়ে জানিয়েছে, আর যার স্কুলেই হোক, তাদের স্কুলে রেনি ডে পালন হয় না, হতে পারে না। অগত্যা ভিজে গোবর নাজেহাল বাবা অফিস লেট করে কন্যাকে স্কুলে পৌঁছে দিতেন। সবুজ গেট দিয়ে ঢুকে প্রকৃতি এবং মানুষের সঙ্গে তারই সমান সংগ্রাম করে স্কুলে এসে পৌঁছনো খেলাঘর ভর্তি বন্ধুদের দেখে মেয়ে চোখের জল মুছে ফিক করে হাসত। বৃষ্টি থামত কিংবা থামত না। না থামলেই মঙ্গল। মেঘলা ক্লাসরুমে বসে চিল্লিয়ে বৃষ্টির গান গাও নয় ভূতের গল্প বল।
গরমের, পুজোর ইত্যাদি বাধ্যতামূলক ছুটি ব্যতিরেকে আমরা পারতপক্ষে স্কুল কামাই করতাম না। অ্যানুয়াল পরীক্ষার পর দিদিভাইরা অফিসঘরে বসে খাতা দেখতেন, আমরা মাঠে দৌড়োদৌড়ি করতাম। দৌড়ে পুরোটা ফুরোয় না, কৈশোরের অমিত এনার্জি খরচ করানোর উদ্দেশ্যে নানারকম আয়োজন হত। একবছর, আমি সম্ভবত সেভেন, ঠিক হল মেয়েরা একেকটা করে বাংলা উপন্যাস, বাচ্চাদের বড়দের যা খুশি, বাড়িতে থাকা বা স্কুলের বা পাড়ার লাইব্রেরি থেকে ধার নেওয়া, পড়ে সেটার পর্যালোচনা করবে। আমার তখন ফেভারিটেস্ট লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ও পাড়ায় কেউ "মরণে ক্ষতি নাই" ধরতে না ধরতে এ পাড়ায় কেঁদে লুটিয়ে পড়ি, সন্ধের আবছায়ায় ছাদের (নাকি বারান্দায়? ভাবুন, একসময় ওই পৃষ্ঠাসংখ্যাটাও মুখস্থ ছিল, এখন এমন গুরুত্বপূর্ণ ডিটেলটাও মিস হয়ে যাচ্ছে) ধারে ললিতা ও শেখরের চুম্বন পড়ে মনে হয় এর থেকে রোমহর্ষক এবং স্ক্যান্ডালাস পৃথিবীতে আর কি কিছু হতে পারে? কাজেই আমি যে শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের পর্যালোচনাই করব তাতে বিস্ময় ছিল না। আরেকবছর শ্রাবণীদি’ভাইয়ের নেতৃত্বে একশো বছরের বাংলা গান নিয়ে সেমিনার হয়েছিল। গণসংগীতের জন্য অনুষ্ঠানের একটা বড় অংশ বরাদ্দ ছিল, কোরাস গেয়ে গলা ভেঙে আসতাম বাড়িতে, মা আতংকিত হতেন, মাস্টারমশাই ভয় দেখাতেন যতবার ভাঙছে ততবার একটু একটু করে হলেও পার্মানেন্ট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে গলার। মুখে চিন্তিত ভাব ফোটাতাম, ভাঙতে ভাঙতে ফাইন্যালি গলাটা নুসরত ফতে আলির মতো হয়ে গেলে কী ভালোই না হবে ভেবে গোপনে উত্তেজনা পোহাতাম। যাই হোক, গলার নিটোলত্ব নিয়ে গর্ব করার পরিস্থিতি আমার আর নেই কিন্তু ওই গানগুলো এখনও এধারওধার থেকে কানে এলে যে ঠোঁট নাড়তে পারি, এতদিন অদর্শনের পরেও একটি শব্দও বিস্মৃতির ফাঁক দিয়ে গলে পড়ে না, মজা লাগে।
আমার সন্দেহ সবার মজা লাগত না। আমাদের না হয় ছাদ ফাটিয়ে 'পথে এবার নামো সাথী' কিংবা 'ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে' কিংবা 'আলোর পথযাত্রী' গাইতে মজা হত, কিন্তু মাঠশুদ্ধু ছুটন্ত মেয়েদের জুটিয়ে, শান্ত করে বসিয়ে, গান শিখিয়ে এবং গোটা প্রক্রিয়াটায় তাঁরও যে আমাদের সমান মজা হচ্ছে এই বিশ্বাসটা সবার মনে সফলভাবে জাগিয়েও কি শ্রাবণীদিভাইয়ের কিছুমাত্র মজা বাকি থাকত? কোনও দরকার ছিল না, উনি জীবনবিজ্ঞানের সিলেবাস শেষ করে পাতা মুড়ে হাত ঝেড়ে বাড়ি চলে যেতেই পারতেন। তার পর ধরুন সেই কসবা কালিঘাট থেকে উজিয়ে মাখলা আসতেন একেকজন দি'ভাই। দিনের কাজ সেরে, খাতা দেখে কোথায় বাড়ি চলে যাবেন, তার বদলে ক্লাস সেভেনের কুন্তলার নিষ্কৃতি উপন্যাসের পর্যালোচনা বসে বসে শুনতে হলে? হওয়া সম্ভব মজা?
অকাজের শিক্ষার এত যে অভাব স্কুলে স্কুলে (এবং বাড়িতে বাড়িতেও) তার একটা প্রধান কারণ, আমার সন্দেহ, ব্যাপারটা বাইরে থেকে দেখতে যত সোজার এবং মজার, বাস্তবে তার ধারে কাছে নয়। অকাজের শিক্ষাদানের দায়িত্ব যাঁরা নেবেন, বেগার খাটুনির প্রতি তাঁদের রীতিমত প্যাশন থাকতে হবে।
এইরকমের একজন ছিলেন ভাস্বতীদি’ভাই। ইংরিজির দিদিভাই একাধিক ছিলেন স্কুলে, কিন্তু তালেগোলে আমাদের ব্যাচ ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস টেন, টানা চারবছর ওঁর দায়িত্বে ছিল। অপ্রয়োজনীয় পরিশ্রমের প্রতি অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ ছিল দি'ভাইয়ের। পড়িয়ে শখ মিটত না, ক্লাসশুদ্ধু মেয়েকে পরীক্ষার পর বাড়িতে ডেকে লুচি আলুরদম খাওয়াতেন। কিন্তু সে খাওয়ার গল্প আজ করব না, আজ অন্য একটা বেগার খাটুনির কথা বলব, যেটা বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার ইংরিজি ক্লাসে ঘটত, যখন দি'ভাই খাতা বই পেনের সঙ্গে সঙ্গে একটি পাকানো স্টেটসম্যান হাতে নিয়ে ঘরে ঢুকতেন।
বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার ‘ভয়েসেস’ বলে স্টেটসম্যানের একটি সাপ্লিমেন্ট বেরোত যার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে বহন করত স্কুলে পড়া ছেলেমেয়েরা। তাদের লেখা, তাদের জোগাড় করা খবরে ভর্তি চার পাতার ওই সাপ্লিমেন্টটি প্রতি বৃহস্পতিবারের ক্লাসের পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দি'ভাই আমাদের পড়াতেন।
ভয়েসেস-এই প্রথম মিডনাইট রেন-এর বিষয়ে পড়ি। একটি আমার বয়সী মেয়েরই সাক্ষাৎকারে।
মেয়েটির সাক্ষাৎকার কোনও বিশেষ কারণে নেওয়া হয়নি। একজন ছাত্রের পছন্দঅপছন্দ, প্রিয় বই, প্রিয় খাবার, প্রিয় রং, প্রিয় লেখক ইত্যাদি সম্বলিত একটি ছোট বাক্স ছিল ভয়েসেস-এর নিয়মিত বিভাগ। অবান্তরের ‘নিজ ঢাক অগত্যা নিজেই’ পাতায় আত্মপরিচয় দিতে এই পছন্দঅপছন্দের তালিকা আমিও লিখেছি এবং কে বলতে পারে সেই ভয়েসেস-এ থেকেই গুপ্ত ইচ্ছে লালিত ছিল না কি না বুকের ভেতর। যাই হোক, এই বিভাগে ছাত্রটির ছবিও দেওয়া থাকত। মেয়েটার মুখটা স্পষ্ট মনে আছে। দাঁত মাজতে আর চুল আঁচড়াতে আয়নার সামনে রোজ দাঁড়ালেও নিজে সত্যি সত্যি কেমন দেখতে সে নিয়ে ধারণা তখন ছিল না, থাকার বয়সও ওটা নয়। তাছাড়া ইংরিজি মিডিয়ামে পড়া মেয়েরা যে আমার থেকে বাই ডিফল্ট বেটার দেখতে হবে সে নিয়েও নিঃসংশয় ছিলাম। এখন টের পাই মেয়েটার সঙ্গে আমার মুখের মিল ছিল। দুই বিনুনি, চশমা। গোল এবংগম্ভীর মুখ বিদ্যা ছুঁয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে - ছেলেদের দিকে আড়চোখেও তাকাই না।
মেয়েটার ভালোলাগা বিষয়ের তালিকায় প্রথম ‘মিডনাইট রেন’ শব্দবন্ধের মুখোমূখি পড়ি। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। আমারও প্রিয় ঋতু বর্ষা তাই (গানটা শুনেছেন?) চমক লেগেছিল বেশি। জ্ঞান হওয়া ইস্তক কত রচনায় কত বর্ষা নিয়ে ফেনিয়েছি, কিন্তু সে সব সকালের লেট হওয়ার, দুপুরের কাদা প্যাচপেচের, সন্ধের কদম ফুলের, ডিনারের খিচুড়ি আলুরদমের বাংলা বর্ষা। মিডনাইটের রেন-এর মহিমার সামনে তারা অধোবদন হল।
এই প্রিয় জিনিসের পরিপ্রেক্ষিতেই 'মিডনাইট' শব্দটির মহিমা পরেও টের পেয়েছি। যখন আমার প্রিয় রং নীলের সামনে অন্য কারও মিডনাইট ব্লু এসে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন স্বধর্ম ভুলে প্রিয় রঙের খাতে মিডনাইট ব্লু আর প্রিয় জিনিসের খাতে মিডনাইট রেন বসিয়েছিলাম, স্বীকার করছি। সে ভণিতা অনেকদিন কাটিয়ে উঠেছি। এখন আমার প্রিয় ঋতু বিশুদ্ধ বাঙালি বর্ষা, প্রিয় রং বিশুদ্ধ বাঙালি নীল।
কাল রাতে ঘুম ভাঙল, যেমন রোজই ভাঙে। রাতভর ঘুমের দিন গত হয়েছে। অন্তত দু’বার সম্পূর্ণ জেগে উঠে না বসলে আজকাল রাত কাটে না। অন্য রাতে জেগে উঠে প্রধানত নৈঃশব্দ খেয়াল করি, সম্ভবত নৈঃশব্দেই ঘুমটা কাটে। অটো প্লে অন করা থাকলেও একটা সময়ের পর ইউটিউব হেল্পফুল হয়ে জানতে চায়, ভিডিও পজড, কন্টিনিউ ওয়াচিং? ইয়েস প্লিজ, ক্লিক করে পাশ ফিরি।
কাল জেগে উঠে শব্দ পেলাম। পাশের বাড়ির ছাদে, গাছের পাতায়, রাস্তার কংক্রিটে বৃষ্টি পড়ছে। তেড়েফুঁড়ে। শুয়ে শুয়ে শুনলাম। একটা কথা মেনেও নিলাম। সকালদুপুরের বৃষ্টিতে যেমন চারপাশের চারশো লোকের চপ্পলের কাদা ছিটিয়ে গণউদযাপনের ভঙ্গি থাকে, (যা আমার প্রিয়, যে কোনও ফর্মে বৃষ্টি আমার প্রিয়) অন্ধকার মাঝরাতের নিরালা বৃষ্টির মধ্যে একটা ব্যাপার আছে যাতে ভেবে নেওয়া যায় যে বৃষ্টি আর আমার মধ্যে গোটা পৃথিবীতে আর কেউ কোথাও নেই। এই বৃষ্টি গোটা পৃথিবীতে শুধু আমার জন্যই নেমেছে।
অনেক বছর আগের একটা রাতের কথা মনে পড়ল।
পেরিয়ার হোস্টেল। রুম নম্বর বারো? নাকি পাঁচ? হলুদ ল্যাম্পশেড ঘিরে ধোঁয়ার ঝাঁজ আর গিটারের টুংটাং-এ টইটম্বুর অন্ধকার। এমন সময় বারান্দার দিকের খোলা দরজা দিয়ে অন্য একটা শব্দ ঢুকে এল। বৃষ্টি নেমেছে।
কয়েক মুহূর্ত চুপ করে থেকে গিটার বাজল। ইংরিজি গানের ভিড়ে সে সুর বাংলা মিডিয়ামের কানে চেনা চেনা।
আমার নিশীথ রাতের বাদলধারা, এস হে গোপনে, আমার স্বপন লোকের দিশাহারা।
একঘর বুঁদ লোকজন গলা ছাড়ল। ওগো অন্ধকারের অন্তরধন, দাও ঢেকে মোর পরাণ মন, আমি চাইনে তপন চাইনে তারা। যে যার নিজের মতো করে একা একা মিডনাইট রেনের পায়ে ধরল, একলা ঘরে চুপে চুপে/ এসো কেবল সুরের রূপে/ দিয়ো গো দিয়ো গো, আমার চোখের জলের দিয়ো সাড়া।
কাল রাতে ইউটিউবের পায়ে ধরিনি। ভিডিও পজড হয়ে রইল। ঘর ক্রমে ধোঁয়া, ওপচানো অ্যাশট্রে, খালি বোতল, চিপসের দোমড়ানো প্যাকেটে ভরে গেল। ঝিরঝিরে শব্দ, শিরশিরে হাওয়া, মিশমিশে অন্ধকারে চুপ করে শুয়ে রইলাম। কখন ঘুম এল জানি না।
শেষটা যে কী করে দিলেন আপনি !ভাগ্যিস সিলেবাসের বাইরে এই অবান্তর পড়তে শুরু করেছিলাম। 😊 অনেক দেরি হয়েছে, তবুও বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালাম। ভালো থাকবেন।
ReplyDeleteবিজয়ার ভালোবাসা শুভেচ্ছা আমার দিক থেকেও, ময়ূরী। খুব ভালো থেকো।
DeleteKhub aaram aaram lekha Kuntala! Brishtir din katha muri diye boi pora r gaan shonar moto!!! Syllabus er bairer jinish shob shomoy bhalo lagey. tomar school r teacher er golpo shune amio school er shomoy fire gelam. Amar teacher rao bistor okaj korten amader jonno, onek bar achar er boyom barite niye eshechi. Khub bhalo theko.
ReplyDeleteবাহ, আপনার দিদিভাইরাও (আপনাদের স্কুলের ডাক জানি না বলে নিজেদের ডাকটা চালিয়ে দিচ্ছি) অকাজে আকৃষ্ট ছিলেন জেনে আনন্দিত হলাম, অনুপমা। আপনিও খুব ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন।
Deleteএকদম রাজসাক্ষী দেব :) , কি ভালো লাগলো এটা পড়তে, এখন মনে হয় ওই অকাজ গুলো ভাগ্যিস মন দিয়ে করতাম, অনেক কাজে লেগেছে আমার, আর এই nostalgic লেখার শেষটাও দারুণ ভাল লিখেছ, যেন দেখলাম শুনলাম মনে হল।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, ঊর্মি। সাক্ষী দিলি বলে 😉
DeleteKi aram laglo lekha ta pore. Chot kore ekbar Sahana Bajpaei er golay robi thakurer midnight rain er gaan ta shune nilam.
ReplyDeleteVoices er coordinator chhilam ami! Tumio porte jene jarpornai amod pelam. :)
ভয়েসেস-এর কোঅর্ডিনেটর!! কুর্নিশ, বিম্ববতী। এই সুযোগে আমার কলারটাও তুলি, আমারও এসেছিল কোঅর্ডিনেটর হওয়ার চিঠি, মাধ্যমিকের এক সপ্তাহ আগে। কুরবানি দিলাম।
Deleteসাহানার গলায় শুনেছ খুব ভালো, এই ভদ্রলোকের গলারটাও শোন প্লিজ। দাঁড়াও, মূল পোস্টেও আপলোড করি।
https://youtu.be/Kza7bVQRQKA
নিত্যকার ওয়েবসফরে বেরিয়ে এলোমেলো ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ আপনার অবান্তর পাতায় এসে ঠেকলাম। সংস্কৃতিমনস্ক অকাজের লোক দেখলে ভারি ভাল লাগে। মনে হচ্ছে ওয়েব পাড়ায় একটা নতুন ঠেক জুটল। আবার আসব।
ReplyDeleteএই গানের রেণ্ডিশন নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সেটা না হয় পরে হবে। এদেশে এখন কাজের সময়।
অবান্তরে স্বাগত, অমরনাথ। অকেজোপনা এবং সংস্কৃতিপ্রেমে হায়েস্ট ফাইভ। আবার আসবেন অবশ্য করে। অপেক্ষায় থাকব।
Deleteগানের ব্যাপারটাও বলবেন সময় করে। আগ্রহ রইল।
Tomar lekhar sathe amar chhotobelar anek mil khunje pelam. Emon okaj kore beratam anek. Ei modhya boyeshe eshe mone hoy abar jodi partam. Ebhabe lekha chaliye jao Kuntala. Aajkaal emon lekha r manush kom porechhen.
ReplyDeleteঅকাজের লোকদের দেখা পেয়ে ভালো লাগছে, নন্দিনী। অকাজের অভ্যেস একবার গড়ে উঠলে আর যায় না, ওটা সাইকেল শেখার মতো, কাজেই আবার পারবেন কি না সংশয়ে ভুগবেন না। আমি নিশ্চিত অলরেডি অনেক অকাজ পারেন ও করেন।
Deleteবিজয়ার শুভেচ্ছা রইলো, অনেক দেরিতে যদিও ! উপল আর নীলাঞ্জনের এই গানের কথাগুলো এত্ত সুন্দর, কি বলবো!
ReplyDeleteশুভেচ্ছার নো দেরি, নো তাড়াতাড়ি, হংসরাজ। তুমিও আমার শুভেচ্ছা নিয়ো অনেক।
Deleteektu deri kore likhte elaam...sotti bolte giye ishkul barir ei lekhatir opekkhay chilam karon tomar kolome amader shaishober jolchobi midnight rain er moto maayabi hoye uthlo...sotyi, okajer sei din gulo moni mukto hoye ache ekhono..
ReplyDeleteএকদম, পারমিতা। ছবিটায় তুইও ঝকঝক করছিস।
Delete