আমাদের রেজলিউশন
ধরুন আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফোনটা হাতের কাছে দেখছেন অথচ হাত বাড়াচ্ছেন না। বা বাড়াচ্ছেন, জাস্ট সময় দেখার জন্য। বা অ্যালার্ম বেজেছে আপনি অ্যালার্ম বন্ধ করে ফোনটা নামিয়ে রাখছেন। এই আট ঘণ্টার অদর্শনে কত বন্ধুত্ব বিচ্ছেদ হয়ে গেছে, কত বিখ্যাত লোক কত বেফাঁস কথা বলে ফেলেছেন, কত প্রগতিশীল ঝাঁপিয়ে পড়ে কত লোকের কল্লা নামিয়ে ফেলেছে, গত বছর মুখে রক্ত তুলে ব্যাখ্যা করে দেওয়ার পরও কত লোক এ বছর আবার, আবাআআআআর, বিজয়ার আগে শুভ বসিয়ে ফেলেছে আর নিউ ইয়ারের আগে হ্যাপি।
কিন্তু আপনার ব্লাডপ্রেশার রয়ে গেছে যে কে সেই। আপনি যে শুধু ভুল ঠিক করে দেওয়ার তাগিদ পাচ্ছেন না তাই নয় কে কী ভুল বা বোকামো করল সেটা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ারও কৌতূহলও বোধ করছেন না। আর কৌতূহলই যদি না বোধ করেন তাহলে সকালবেলা ঘুম ভেঙে বিছানায় পড়ে থেকে চল্লিশ মিনিট ইন্টারনেটে আড়ি পাতার আর্জই বা টের পাবেন কেন?
টপ করে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়বেন। কাঁচা হলুদ কিনেছেন একত্রিশে ডিসেম্বর, এক টুকরো মুখে দিয়ে, লেবুচেপা গরম জল ঢক ঢক করে খেয়ে নেবেন বড় এক গ্লাস। কাজে বসে নিজেকেই নিজে বলবেন, দাও দেখি কোন আগুনটা আগে নেভাতে হবে। কিন্তু একী, কোথাও আগুন লেগে নেই। লাগবেই বা কেন? ছোটবেলার কথা ভাবুন। সন্ধেবেলা কোন বইটা খুলে বসতে হবে, ভূগোল না জীবনবিজ্ঞান সে নিয়ে কনফিউশন, টেনশন, প্যালপিটেশন বোধ করতেন কি? করতেন না। কারণ কাল কোনটার ক্লাস আছে তার পূর্বনির্ধারিত, সুনির্দিষ্ট রুটিন ছিল। আপনি অবিকল সেই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করেছেন গত কয়েকদিন ধরে। গোটা দিনটা রুটিন, থুড়ি, ক্যালেন্ডার ব্লকিং করে রেখেছেন।
সেই ক্যালেন্ডার ব্লকিং মেনে আপনি লিখবেন, পড়বেন, সেলফ-কেয়ার (যার মধ্যে আছে চান, খাওয়া এবং যোগব্যায়াম) নেবেন। ক্যালেন্ডার দেখে ভদ্রস্থ সময়ে চানে যাবেন, যাচ্ছি যাব করে চারটে বাজাবেন না। বিস্কুটের প্যাকেটের দিকে জুলজুল তাকানোর দরকার নেই, রান্নার সময় ক্যালেন্ডারে ব্লক করা ছিল, ফলশ্রুতি ফ্রিজে করলা সেদ্ধ, বেগুন টমেটো বড়ির তরকারি, টমেটো দিয়ে মুসুর ডাল। কখন খাবেন সেই নিয়েও কনফিউশন নেই, ক্যালেন্ডারে লেখা আছে। খেয়ে উঠে আধঘণ্টা আরাম করবেন, ক্যালেন্ডার দেখে। ক্যালেন্ডার দেখে হাঁটবেন, গান শুনতে শুনতে। আগের গোটা বছরটা কান নিয়ে গেছিল বাংলা ব্যান্ড আর ফিউশন ফোক, এ বছর শংকরা ধরবেন ভীমসেন। পুঁচকে ষোলো মাত্রার একটা তান সেরে যেই না সমে ফিরবেন আপনার গলা দিয়ে আপসে 'আহা' বেরিয়ে আসবে।
এ অভ্যেসও ছেড়ে যায়? যেতে দেয় কেউ?
*
আপনার কথা জানি না, আমার কাছে এ ইউটোপিয়া। যেটা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই পৃথিবীতে নেমে আসে।
একসময় নতুন বছরের গোড়ায় প্যান্ট্রিতে বা লিফটে অস্বস্তিকর নীরবতা এড়ানোর জন্য রেজলিউশনের স্মল টক ফাঁদতাম। এখন ফাঁদি না। কারণ এখন কোনও বুদ্ধিমান লোক রেজলিউশন নেয় না। (কেউ কেউ ইন্টেনশন সেট করে, তাও হাতে গোনা।) প্রসঙ্গ তুললে 'এটা কোন গ্রাম থেকে এসেছে র্যা?' মুখ করে আমার দিকে তাকায়।
বাইরের লোকের কথা কী বলব, ঘরের লোকই হাসে। ডিসেম্বরের সাতাশ তারিখে আমার গম্ভীর মুখে ডাইরি খুলে বসা দেখে। আমি গোটা বছরের গোল সেট করি, তারপর সেটা তিন মাসের খোপে করে ভাগ করি, তারপর এক মাস, তারপর সপ্তাহ, তারপর দিনের টু ডু লিস্টে নামাই। এ বছর নতুন খেলা খেলছি ক্যালেন্ডার ব্লকিং-এর, গুগল ক্যালেন্ডারের ভোল পালটে গেছে।
বলে, এগুলো ছোটবেলায় করে লোকে। তুমি এখনও চালাচ্ছ?
চালাচ্ছি কি সাধে? চালাতে বাধ্য হচ্ছি। রক্তে আছে রেজলিউশনের ব্যামো। আমার তো সব ক্ষুদ্র, সংকীর্ণ শপথ। কী করে আরও একটু মাইনে বাড়ানো যায়, আরও একটু হাততালি জোটানো যায়, চুরিচামারি করে পৃথিবীতে আরও কয়েকটা বেশি বছর বেঁচে থাকা যায়। মা সোজা আত্মার উন্নতিতে ঝাঁপাতেন। এবং শুধু জানুয়ারি মাসে নয়, সারা বছর ধরে। সোনা, আজ থেকে রঙ্গরস ছেড়ে দিলাম। সোনা, আজ থেকে রাগের নাড়ি কেটে ফেললাম। সোনা, জানিস আমার ডিমের প্রতি লোভ হয়েছে, আজ থেকে ডিম ছেড়ে দিলাম।
'ছেড়ে দেওয়া'র প্রতি আমার যে চোরা মুগ্ধতা, তারও উৎস ওই মহিলা। শুধু গোল সেট করলে হবে না, অ্যাচিভমেন্টের পথ নিবৃত্তি, সংযম, কৃচ্ছ্রসাধন জাতীয় ভালো ভালো, শক্ত শক্ত পাথর দিয়ে বাঁধানো হতে হবে।
অব্যর্থ প্রশ্নটা আসে। শুনি এত ঘটা করে কী কী রেজলিউশন নিলে।
একজনকে চিনতাম, কলেজের ক্যান্টিনে বসে খসখস করে লিখত। কীরে কী লিখছিস জিজ্ঞাসা করলে বলত, কবিতা। দেখা দেখা কী লিখলি বললে খাতা মুড়ে দুমদুম করে উঠে যেতে যেতে বলত, পার্সোন্যাল ব্যাপারে লোকের এত কৌতূহল কেন কে জানে। নো সেন্স অফ বাউন্ডারিজ। ডিসগাস্টিং।
বাড়িতে লেখে কি না জানতাম না তবে আর কোথাও তাকে কখনও কবিতা লিখতে দেখিনি। আগে পৌঁছে একা ক্লাসে বসে পা দোলাচ্ছে, আমরা ঢুকলেই বলছে কী রে কতক্ষণ বসে বোর হয়ে গেলাম, কবিতার খাতার চিহ্ন নেই আশেপাশে। আমার বিশ্বাস ক্যানটিনে দিদিদের ব্রেড পকোড়া আর কচুরি ভাজার গন্ধেই তার কবিতার কোষেরা সক্রিয় হয়ে উঠত।
লোকের সামনে রেজলিউশন সেট করব তারপর গোপনীয়তার দাবি করব, সে অনেকটা ক্যান্টিনে বসে কবিতা লেখার মতো। তাই ওপরওপর বলি। ডিটেলে যাই না। অনেকে বলে পাবলিক অ্যাকাউন্টেবিলিটিই নাকি একমাত্র রাস্তা, যত ঢাক পিটিয়ে লোককে বলবেন প্রকাশ্যে ফেল মারার ভয়ে তত কাঁটা হয়ে থাকবেন আর পড়িমরি করে শপথ রক্ষা করবেন, আমি ওই রাস্তায় নেই। আমার রাস্তা নির্জন এবং ঘাপটিমারা। উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসের নাটিকা 'প্রোগ্রেস'-এ পড়েছিলাম 'রেটিসেন্স ইজ দ্য পিলার অফ সাকসেস', সেই থেকে মাথায় ঢুকে গেছে। সাকসেস আসলে রেটিসেন্সের রাস্তাতেই আসবে।
কিছু কিছু দুধভাত শপথ ভেঙে বলি। এ বছর পঞ্চাশটার জায়গায় ছত্রিশটা বই পড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। দুহাজার কুড়িতে বই পড়ার চ্যালেঞ্জ জিততে পারিনি, দুহাজার একুশে পরিস্থিতি বিশেষ উন্নত হবে মনে হচ্ছে না, তাই আগেভাগেই খাটো চ্যালেঞ্জ। বছরে ছত্রিশ, মাসে তিন। সপ্তাহে একেরও কম। চেষ্টা করলেও যাতে ফেল না মারা যায়।
তারপর ভদ্রতা করে বললাম, তুমি কী নিলে?
আমাকে অবাক করে অর্চিষ্মান সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে চিবুক চুলকোলো। সৎসঙ্গের আঁচ কি তবে এতদিনে লেগেছে?
বলল, আচ্ছা, নতুন বই পড়াই কি কেবল বই পড়া বলে গণ্য?
সে রকম কোথাও লেখা আছে বলে তো পড়িনি।
অর্চিষ্মান বলল, গত কয়েকবছর ধরে যে বই পড়া কমে যাচ্ছে কমে যাচ্ছে আফসোস করছি এবং সত্যিই যে বই পড়া কমে যাচ্ছে তার একটা কারণ হতে পারে যে আমি কেবলই নতুন নতুন বই পড়ার চেষ্টা করছি। যে বইগুলো ট্রায়েড এবং টেস্টেড, ভালো লাগবেই কারণ আগেও বহুবার লেগেছে, সে রকম বই পড়লেই হয়। সে রকম বই পড়ার রেজলিউশন আমার এ বছর। ওহ, আর বললাম? বইগুলো বাংলা হবে।
হাঁ করে রইলাম। ছোটবেলায় পড়া প্রিয় বাংলা বই ফিরে পড়ব, এ কেমনধারা রেজলিউশন? রক্ত নেই, ঘাম নেই, ব্যর্থতার অব্যর্থ খাঁড়া মাথায় পড়ার সম্ভাবনা নেই - এ রেজলিউশন হিসেবে মনোনয়ন পাবে তো আদৌ? তারপর মনে পড়ল ডিসেম্বর জুড়ে ইউটিউব জুড়ে যখন রেজলিউশন ভিডিওর বান ডেকেছিল আর আমিও 'জয় মা' বলে তরী ভাসিয়েছিলাম, তখন এমনধারা একদল রেজলিউশনের কথা কানে এসেছিল বটে।
রেজলিউশন দুই প্রকার। প্রথম প্রকার পুশ রেজলিউশন। যা কেবলই শেষ কর শেষ কর বলে ঠেলা মারে, চোখ পাকায়। যা পূর্ণ করতে ল্যাজেগোবর। মিনিমাম প্রাণ না পণ করলে যার প্রাপ্তির আশা ঢুঁ ঢুঁ।
আর আছে পুল রেজলিউশন। সে রেজলিউশন স্বতঃস্ফূর্ত এবং অনায়াস, যাকে পূর্ণ করার জন্য আপনাকে বিন্দুমাত্র হাঁসফাঁস করতে হবে না, সে নিজের দিকে আপনাকে টানবে দিবারাত্র। আপনি স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে ওঠাবসা করবেন।
বললাম, ওকে, মেনে নিলাম তোমার রেজলিউশন। এবার বল সাহিত্যের কোন ঘরানাটায় বিশেষ করে জোর দেবে? কটা পড়বে ঠিক করেছ? ট্র্যাকিং অ্যান্ড মনিটরিং-এর একক কী হবে? বছরে টোটাল? নাকি বারো দিয়ে ভাগ করে মাসে মাসে? নাকি ডিভাইডেড বাই বাহান্ন করে সাপ্তাহিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়বে নিজের দিকে?
ডাইরির পাতা উল্টে ধপধপে পাতা বার করে, পাতার মাথায় 'অর্চিষ্মানের রেজলিউশন ২০২১' লিখে আন্ডারলাইন টানতে যাব, অর্চিষ্মান হাই তুলে বলল, অতশত ঠিক করিনি কিছু। দেখাই যাক না কটা পড়া যায়।
আমার রেজলিউশনগুলোর কথা মনে পড়ল। ইউটিউবের একজন রেজলিউশন-স্পেশালিস্ট বলেছিলেন, রেজলিউশনের মতো রেজলিউশন শুধু সেইগুলোই যেগুলো স্মার্ট। S = Specific, M = Measurable, A = Attainable, R = Realistic, T = Time-bound. উনিও বলেছেন, আমিও লাফিয়ে আমার রেজলিউশনদের ঘষেমেজে স্মার্ট করে তুলেছি। দিনে পাঁচটা করে সূর্যপ্রণাম করব, সাড়ে চারটে করলে ফেল। বছরে ছত্রিশটা বই পড়ব, তেত্রিশটা পড়লে ডিসকোয়ালিফায়েড। সপ্তাহে দশহাজার শব্দ টাইপ করব, ন'হাজার নিরানব্বইয়ে গিয়ে দম ফুরোলে টাইপিং ছেড়ে দেব।
*
যাই হোক, আমাদের বাড়ির সবার রেজলিউশন নেওয়া কমপ্লিট। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ চলছে কি না তাই সবাই রেজলিউশন রক্ষার্থে পরিশ্রমও করছি। আজকাল বাড়িতে একটা দৃশ্য কমন। আমি এ পায়ের পাতা ও পায়ের হাঁটুতে ঠ্যাকনা দিয়ে দুই হাত আকাশে তুলে পড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা প্রতিহত করতে করতে ডিপ ব্রিদিং-এর চেষ্টা চালাচ্ছি আর অর্চিষ্মান খাটে এলিয়ে, ক্ষণে ক্ষণে হেসে উঠে, "এই জায়গাটা প্লিজ শোনো," বলে গুপির গুপ্তখাতা থেকে রিডিং পড়ে শোনাচ্ছে।
বছরের শেষে কার রেজলিউশন সফল হবে বাজি ধরতে রাজি আছে কেউ?
Ei bapare ami tomar tulonay ekdom khaja ...Porikkhar por hall theke beriyei oneke jemon uttor thik hoyeche kina melato.. ami konodin melatam na jetuku satisfaction thakto setuku tokhon e sesh kore felar bhoy e.. ekhon o tai.. resolution nileo kothao likhi na.. bochorer seshe melai na kotota parlam ... ki fnakibaji.. tao amar ei resolution related lekha porte khub bhalo lage... ei lekhata pore pull resolution baparta besh pochondo holo...
ReplyDeleteপরীক্ষার পরে উত্তর না মেলানোতে হায়েস্ট ফাইভ, ঊর্মি। ইন ফ্যাক্ট, হল থেকে বেরোনোর পরের পাঁচমিনিট আমার জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকত সেই সব জনগণকে এড়িয়ে চলা যারা তখনও প্রশ্নপত্র খুলে একে অপরকে পরীক্ষা দিয়ে চলেছে।
Deleteআমারও তোর মতো রেজলিউশনের খেলাটা অন্যকে খেলতে দেখলে ভালো লাগে, এবং এত ভালো লাগে যে নিজেও খেলতে না নেমে পারি না। বছরের পর বছর হেরে ভূত হই, তবু আবার নামি।
আমি ছোটবেলা থেকেই বড্ড বেশী পারদর্শী রুটিন বানানোয়, পালন করতে বোধহয় ঠিক ততটাই অপারদর্শী। তবে আমি রেজলিউশন নিই, এবং শুধু বাৎসরিক নয়, ষান্মাসিক, মাসিক, সাপ্তাহিক সবরকম ছোট ছোট স্লটে তাকে ভাগও করি, নিদির্ষ্ট সময় পেরোলে সেল্ফ-এনালাইসিস-ও। সেই রেজলিউশন লিস্টে আবার বিভিন্ন ধরণের প্রকারও থাকে, নন-সিরিয়াস, সিরিয়াস-- সেটা আমি আর ব্রণ খুঁটবো না থেকে রোজ মন দিয়ে পড়াশোনা করব পর্যন্ত বিভিন্ন ক্লাস, সাব-ক্লাসে বিভক্ত।
ReplyDeleteবছরের শেষে আপনার রেজলিউশন-টা সফল হবে কিনা জানিনা কিন্তু আমার মন বলছে, অর্চিষ্মানদার-টা হবেই; কারণ একটাই, আপনার লেখাটা পড়েই জানলাম- আপনার এই রেজলিউশন-টা পুশ টাইপ ( যদিনা আপনি খুব বেশি যোগব্যায়াম-প্রেমী হয়ে থাকেন) আর অর্চিষ্মানদার-টা পুল।
হাহা, রুটিন বানানোয় অত্যধিক পারদর্শিতা প্রদর্শন এবং বানানোর পর রুটিন মেনে চলায় ততোধিক উৎসাহহীনতার একটা সিগনিফিক্যান্ট কোরিলেশন থাকলেও থাকতে পারে, আধিরা। আমার গোটা জীবনটাই ঠেলা। মা যতদিন ঠেলেছিলেন, মোটামুটি গড়গড়িয়ে চলেছিল। এখন নিজেকে নিজে ঠেলার চেষ্টা করি, মায়ের মতো ভালো পারি না। যোগব্যায়াম করতে নামার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত আমি যোগব্যায়াম-প্রেমী হিসেবে আইডেন্টিফাই করি না। কিন্তু ব্যাপারটা সেরে ওঠার পর, প্রত্যেকবার প্রেমে হাবুডুবু খাই। কেন যে অমন চমৎকার চল্লিশটা মিনিট নিজেকে উপহার দিতে অত আড়মোড়া ভাঙছিলাম, ভেবে উঠতে পারি না। সেম জিনিস দৈনিক চানের সঙ্গেও ঘটে।
DeleteBelated Happy Birthday! Abantor'er jonmodiner o onek subhechha roilo.
ReplyDeleteApnar hantar obhyesh khub bhalo - amio khub hnaattam - akhon ar hoye othena. Amio sudhu ruti ar saag diye khabar kheye felte pari (akhane je makki di roti ar sarso da saag banay - ami nijey onekbar baniye kheyechhi).
Dekhun kirokom telepathy'r jor - apnake bole ami nijei 'Peer review' e kupokaat hoye gelaam. :( Se onek dour jhaap kore sesh mesh kono mote deadline meet holo. Jaakge ar kiy ba kora jabe.
ডবল শুভেচ্ছার জন্য ডবল থ্যাংক ইউ, রণদীপ।
Deleteআরে ডেডলাইন মিট হয়েছে তো, আর কী চাই। চমৎকার হয়েছে। শাকরুটিতে হাই ফাইভ। সাদামাটা খাবারে যা তৃপ্তি তেমন বিয়েবাড়ির খাবার প্রাণপণ করেও জোগাতে পারবে না। তার ওপর নিজে হাতে বানানো শাকরুটি? খুব হিংসে করলাম। আর যদি কোনওদিন সুযোগ হয়, তোমার হাতের শাকরুটি খাওয়ার নেমন্তন্ন নিজেই নিজেকে করে রাখলাম।
Sesh line ra pore hasi samlate parlam na. Bhaggis mask pore achi ..noile notun office e loke pagol bhavbe.
ReplyDeleteআরে নতুন বছরে নতুন চাকরি! অভিনন্দন, প্রিয়াঙ্কা।
Delete