চার্জার
যাঁরা বিয়ে করতে চান না তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই এই ভয়টা পান যে বিয়ের পর নিজস্ব বলে কিছু আর থাকবে না। সেম হৃদয়, সেম ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সেম খাট, সেম বিছানা, সেম বাথরুম, সেম আলমারি. সেম নেটফ্লিক্স অ্যাকাউন্ট, সেম ভাতের থালা…
শেষেরটা অবশ্য আমি অ্যাপ্লাই করে দেখিনি। এই ব্যাপারে ঠাকুমার বদলে আমি আমার মায়ের দলে। মা যখন আত্মজার এঁটো খাবার খেতে অস্বীকার করেছিলেন, তখনই সম্ভবতঃ এ প্রসঙ্গে দুজনের বিরোধটা প্রকট হয়।
ঠাকুমা খাবার নষ্ট করার পক্ষপাতী ছিলেন না। আমার আধখাওয়া থালা মায়ের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বলেছিলেন, আমরা খাইতে পারি, আমাগো কিছু হয় না।
মা নরমসরম লোক হলেও যে সব জায়গায় অনড় থাকতে চাইতেন, থাকতেন। তিনি বলতেন, প্রশ্নটা পারার না। প্রশ্নটা চাওয়ার। আমি চাই না।
ঠাকুমা বলতেন, এক পাতে খাইলে ভালোবাসা বাড়ে।
ভালোবাসা কম পড়ার ভয়েও মা কখনও আমার এঁটো খাবার খাননি। আমাকেও কারওটা খেতে দেননি।
অকওয়ার্ড হচ্ছে বুঝেও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে দোকানে খেতে বসে কখনওই আমি তাঁদের খাবার চেখে দেখার প্রস্তাব দিই না এবং তাঁদের উদার আমন্ত্রণ বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করি। ঝালমুড়িদাদা মাঝে মাঝে জানতে চান, একসঙ্গে দুটো বানিয়ে দেব? হয়তো ঠোঙা সাশ্রয় হয়। আমি রাজি হই না। পরিস্থিতি লঘু করার জন্য বলি, কে কতটা খেল সেই নিয়ে যদি মারামারি লাগে? দাদাও হাসেন, আমিও হাসি।
বাড়িতেও এ নিয়ম রক্ষা করেছি। ক্বচিৎকদাচিৎ কোন কাপে চিনি দিয়েছি ভুলে গেলে ছোট্ট একটা চুমুক দিয়ে দেখে নিই, ব্যস। মা নির্ঘাত চামচ ব্যবহার করতেন, কিন্তু আমি মায়ের তুলনায় এক কোটিগুণ অলস, কাজেই।
তবে সংসারের সব জায়গায় এই রকম নিজস্বতা মেন্টেন করা যায় না। বেশিরভাগই মিলেমিশে ঘণ্ট পাকিয়ে যায়। সাত জন্ম পরপর একে অপরের বিবাহিত হতে হতে দুজনের চেহারাও নাকি একটা মধ্যবিন্দুতে কনভার্জ করতে থাকে।
আমি যদিও মানি অর্চিষ্মান আমার থেকে সুন্দর দেখতে; যদি পরজন্ম থাকে আর সে সব জন্মে যদি বিয়ে করতে হয়, অর্চিষ্মানকে বিয়ে করতে আমার আপত্তি নেই; কিন্তু আমি অর্চিষ্মানের মতো দেখতে হতে চাই না। বয়স হওয়ার একটা সুবিধে হচ্ছে নিজেকে নিয়ে বেশ আরাম বোধ করা যায়। একসময় ছিল, ইস নাকটা কেন এ রকম, ঠোঁটটা কেন ও রকম নয়। সে সব জ্বালা বহুদিন ঘুচেছে। আমি যে রকম, সে রকম আমিটাকেই এখন আমার পছন্দ। দাঁত মাজতে মাজতে চশমাছাড়া ঘুমচোখে আয়নায় ক্লিওপেট্রার মতো নাক আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো ঠোঁট দেখলে ভিরমি যাব। কুন্তলার বদনে কুন্তলার মতো ঠোঁট আর নাকই বেস্ট।
নাকচোখমুখ ভাগ করতে রাজি না থাকলেও খাট থেকে নেটফ্লিক্স ভাগ করে নিতে অসুবিধে হয়নি। নিজে যদিও আপাতত একটাই বিয়ে করেছি, তবু ব্যাপারটার ভাবগতিক সম্পর্কে একটা আন্দাজ ছিল, কাজেই তৈরি ছিলাম।
তা বলে ফোন চার্জার ভাগাভাগি করা?
বলা বাহুল্য, ফোন দুজনেরই আলাদা আলাদা। হেডফোন লাগিয়ে যে যার ফোনের দিকে হাসিমুখে চেয়ে থাকার সময়টুকুও যার যার তার তার। সে সময়ে কেউ বাগড়া দিতে এলে, এইও! মি টাইম! বলে আমরা দুজনেই নিয়মিত লাফিয়ে পড়ে থাকি।
শুরুতে এমনটা ছিল না। যে কোনও ওয়েল ফাংশনিং প্রাপ্তবয়স্কের মতোই আমাদের দুজনের নিজস্ব ফোন এবং নিজস্ব ফোন চার্জার ছিল। কখন যে সেটা একটায় এসে ঠেকল মনে করতে পারি না। গত সাড়ে সাত বছরে আমি মিনিমাম তিনটে ফোন হারিয়েছি, কাজেই তিনটে কিনেওছি। আর ফোন চার্জার ফোনের সঙ্গেই এসেছে। সেগুলো সব গেল কোথায়?
থাকলে ইলেকট্রনিক্স ড্রয়ারটায় থাকবে। ড্রয়ারের গালভরা নাম দেওয়ার দরকার কী? অ্যাডাল্ট যে হয়েছি তার প্রমাণ। জায়গার জিনিস জায়গায় রাখার ইনসেন্টিভ। একই কারণে আকাচা জামার জন্য আলাদা ঝুড়ি কেনা হয়েছিল, যাতে চেয়ারের কাঁধে না রাখা হয়। চার্জ দেওয়া হয়ে গেলে চার্জার কোথায় থাকবে? ইলেকট্রনিক্স ড্রয়ারে। বার বার কেনার ঝামেলা, একসঙ্গে বারোটা ডবল এ ব্যাটারি কিনে দুটো ব্যবহার করে বাকি দশটা কোথায় রাখা হবে? ইলেকট্রনিক্স ড্রয়ারে। অফিস থেকে ফিরে ছাড়া জামা কোথায় থাকবে? লন্ড্রি ঝুড়িতে।
কনফিউশন খতম পয়সা হজম।
তা বলে কি আমাদের বাড়িতে খবর না দিয়ে এলে আপনি চেয়ারের পিঠে জামা দেখতে পাবেন না? আলবৎ পাবেন। অফিস থেকে ফিরে আমি মারাত্মক ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখন জামা চেয়ারের পিঠে ছাড়া অন্য কোথাও রাখার সম্ভাবনাতেও কান্না পায়।
'বাড়ি ফিরে টাটকা খাবার রেঁধে খাই না কেন’র উত্তরে একবার অ্যাপোলোজেটিক হয়ে বলেছিলাম ফিরে আসার পর কুটোটি নাড়তে ইচ্ছে করে না। ফ্রিজের খাবার গরম করে খেলেই নিজেকে মেডেল দিতে ইচ্ছে করে। যুক্তিটা নিজের কানেই অজুহাতের মতো ঠেকতে বলেছিলাম, কেন এত ক্লান্ত হয়ে পড়ি কে জানে। সারাদিন তো বসেই থাকি, সাত হাত মাটি তো কাটি না অফিসে।
না না, তোমাদের মাথার কাজেও পরিশ্রম লাগে তো। বলেছিলেন বুঝদার প্রশ্নকর্তা।
হয় উনি বিদ্রূপ করছিলেন, না হয় উনি সত্যিই বিশ্বাস করেন যে আমার অফিসের কাজটা করতে বুদ্ধি খরচ করতে হয়। দুটোর প্রত্যুত্তরেই চুপ করে থাকাই বুদ্ধিমানের মনে হয়েছিল।
আমি নিজেও ভেবে পাই না ক্লান্তিটা কীসের। সম্ভবত স্ট্রেসের। মানবজমিন যে পতিত ফেলে রাখলাম, তার স্ট্রেস।
সেই স্ট্রেস কাটাতে আমি অফিস থেকে ফিরে জামা ছেড়ে চেয়ারে ঝুলিয়ে বাদামভাজার শিশি নিয়ে নাটবল্টুর কাণ্ডকারখানা দেখি। মানবজমিন যেই কে সেই পতিত থাকে।
সেদিন যে আমি বিশ্রাম না নিয়ে চার্জার খুঁজতে বেরোলাম তার কারণ আছে। ক্যালকুলেশনের ভুলে আগের রাতে চার্জ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। অফিসে গিয়ে ব্যাগ থেকে চার্জার বার করতে গিয়ে দেখি অর্চিষ্মান সকালে কখন আমার চার্জার ছিনতাই করেছে, আমি বিনা চার্জারে অফিস চলে এসেছি। গলবস্ত্র হয়ে একজনের চার্জার ধার নিলাম, সে দশ মিনিট পর এসে বলে তার ফোন নাকি তিন পার সেন্টে। সারাদিন বুকধড়ফড়। ফোন সুপারপাওয়ার মোডে রেখে বিকেলে কোনওমতে উবার বুক করে বাড়ি ফেরা গেল। কী ভাগ্যিস অর্চিষ্মান চার্জারখানা অফিস নিয়ে যায়নি। সকেটে ঝুলছিল। পত্রপাঠ ফোন চার্জে বসালাম।
নাটবল্টু বলিদান দিয়ে গেলাম এক্সট্রা চার্জার খুঁজতে। ইলেকট্রনিক্স ড্রয়ারে কোটি কোটি সাদা কালো ইউ এস বি কেবল, ডাবল আর ট্রিপল এ ব্যাটারি, কোনওটা কাজ করে, কোনওটা করে না। অকেজোগুলো কেন রাখা হয়েছে জিজ্ঞাসা করবেন না। কয়েকটা রহস্যজনক চাবিও ড্রয়ারে গ্যাঁট হয়ে বসে আছে। কীসের চাবি ভগবান জানেন। জানি না বলেই ফেলে দিতে ভয় লাগছে। যদি আমাদের স্বপ্নের হয়।
বিয়ের পর আমাদের ফোনগুলোও ত্যাঁদড় হয়ে গেছে, থাকলে একই সঙ্গে চার্জ থাকে, গেলে একই সঙ্গে যায়। আমি সর্বদাই ফোনে হান্ড্রেড পার সেন্ট চার্জ রাখার পক্ষপাতী। অর্চিষ্মান আবার এ ব্যাপারে মারাত্মক অ্যাডভেঞ্চারাস। অম্লানবদনে শেষবিন্দু চার্জ পর্যন্ত টুইটার চষে বেড়ায়, ফোন অন্ধকার হয়ে গেলে পকেটে পুরে বলে, তোমার ফোনে চার্জ আছে তো? আমারটা কিন্তু শেষ।
আগে বলতাম, এত কনফিডেন্স পাও কোত্থেকে যে আমার ফোনে চার্জ থাকবে? তারপর মনে পড়ে এই কনফিডেন্স পাওয়া এমন কিছু শক্ত ব্যাপার নয়। ফোনে চার্জের ব্যাপারে আমি প্যারানয়েড। নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখে থাকি ফোনে চার্জ নেই; উবার না ডাকতে পেরে আমি মাঝরাস্তায় বন্দী। ঘেমেনেয়ে ঘুম ভেঙে নিজেরটা ফুলচার্জ দেখে অর্চিষ্মানের ফোন চার্জে বসিয়ে দিয়েছি এমনও হয়েছে।
আমি সাধারণতঃ ‘অন্য কারও পাল্লায় পড়লে বুঝতে’ জাতীয় ডায়লগ এড়িয়ে চলি, নাটকনভেল থিয়েটারের মুখরা স্ত্রীর স্টিরিওটাইপে ফিট করতে চাই না। তবু মাঝে মাঝে ভেবেছি, এমন যদি কারও সঙ্গে অর্চিষ্মানের জীবন কাটাতে হত যে ওর মতোই যে জিরো পার সেন্ট চার্জ নিয়ে অবলীলায় ঘোরাফেরা করে?
এমারজেন্সিতে কে উবার বুক করত? কার ফোনে অ্যালার্ম বাজত? পথ হারালে কার ফোনে গুগল ম্যাপ খুলত?
বলা বাহুল্য, এক্সট্রা চার্জার পাওয়া গেল না। এর মধ্যে অর্চিষ্মান এসে পড়ল। ঘরে ঢুকেই বলল, কী লাক দেখেছ, সিঁড়ির লাস্ট সিঁড়িতে পা দিতেই চার্জটা চলে গেল। তারপর আমার চার্জরত ফোনটা হাতে নিয়ে, ওরে বাবা, তেত্রিশ পার সেন্ট?! বলে আমার ফোন খুলে নিজের ফোন চার্জে বসিয়ে, নিজে চা নিয়ে আর আমাকে দিয়ে, কমিকবুক নিয়ে বিছানায় গড়িয়ে পড়ল।
যে বইটা আমি ওকে এ বছরের জন্মদিনে উপহার দিয়েছি।
একবার ভেবেছিলাম ফোন চার্জার উপহার দেব। তারপর বইই দিলাম। চার্জার উপহার দেওয়াটা প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ ঠেকতে পারে। তাছাড়া গোটা জীবনটা যদি ভাগ করে নিতে রাজি থাকি, চার্জার ভাগ না করতে চাওয়ার কোনও কারণ নেই।
তাছাড়া বলা যায় না, এক চার্জারে ফোন চার্জ করলে হয়তো যোগাযোগ আর ভালোবাসা দুইই বাড়ে।
Chanrger niye amader khub jhamela hoto. Akhon obosso amar ar Shresthar charger type alada tai ar hoyna. BTW, notun android phone er ar Lenovo laptoper charger kintu aki (C Type). Eta akta marattok advantage. Ami office e to onekbar laptop theke charger khule phone e lagiye di :)
ReplyDeleteCharger gulor head ta hariye jai..USB theke jay...
এইটা ভালো আইডিয়া, রণজয়। এবারের ফোনটা হারালে এমন একটা ফোন কিনব যেটার চার্জার অর্চিষ্মানের ফোনে কাজ করে না। দুজনের চার্জার এক হলেই যত বিপত্তি।
Deleteএকী আমি তোমার নাম ভুল লিখেছি দেখেও কিছু বলনি কেন! একেবারে কান ধরে সরি বললাম। ডোন্ট মাইন্ড প্লিজ।
DeleteCharger niye eto sundor ekta lekha....khub bhalo laglo pore. :)
ReplyDeleteধন্যবাদ অরিজিত।
Deletebetter option holo koyekta matching USB cable kine bag e rekhe dewa jaate office e computer thekeo charge kora jaae .... aar rastay power bank carry kora ... :)
ReplyDeleteআমি আসলে সকেট থেকে চার্জ করতে প্রেফার করি কারণ অনেক তাড়াতাড়ি হয় ব্যাপারটা। আর পাওয়ার ব্যাংক একটা ছিল, কিন্তু সেটাকেও আবার চার্জ দিতে হয় যে।
Deleteothoba aarekta idea dite pari ... ekta multi-charger kinun, Amazon e pawa jae ... duto phone ek -y sathe charge hoye jaabe :)
Deleteএইটা করা যেতে পারে। থ্যাংক ইউ, অন্বেষা।
DeleteAmi bochor duyek aage eta kine khub upokaar peyechi .. ek sathe phone tab powerbank kindle aaro ja ja aache soob charge hoye jaae :)
Deleteআমিও কিনব ভাবছি।
Deletelink" https://www.amazon.in/Portronics-POR-343-Charging-Station/dp/B00TGUX8T0/ref=sr_1_7?crid=29HWHC3QB7I9E&keywords=multi+charger+for+mobile+phones&qid=1574071417&sprefix=multi+cha%2Caps%2C341&sr=8-7
Deletehttps://www.amazon.in/Portronics-POR-718-Mport-Aluminum-Port/dp/B06ZZYRJMV/ref=sr_1_31?crid=29HWHC3QB7I9E&keywords=multi+charger+for+mobile+phones&qid=1574071417&sprefix=multi+cha%2Caps%2C341&sr=8-31
আরে থ্যাংক ইউ। আমি গোলটা কালই দেখছিলাম। কিনলে জানাব।
Deleteekdom :)
Deleteআমি অফিসে গিয়ে চার্জ দিচ্ছি আজকাল, আর বাড়িতে চানে যাওয়ার সময়টা। কারন চার্জারের অভাব না! সময়ের অভাব। "বই পড়া গান শোনা আরাম অবসর" --- সবটাই রাজু গেঞ্জি থুড়ি মোবাইল হয়ে চাপ হয়ে গেছে আর কি !
ReplyDeleteআমিও অফিসে গিয়ে চার্জ দিতে পছন্দ করি প্রদীপ্ত। অনেক শান্তিতে হয় ব্যাপারটা।
DeleteAmader charger niye tanatani shuru hoye gari te boshe … tokhon Kemon jeno magic er moton dujoner phone er e ek shaathey khide peye jaye :D
ReplyDeleteফোনের খিদে কথাটা দারুণ বললে তো শর্মিলা। মনে রাখলাম, পরে তোমাকে কপিরাইট না দিয়েই চালিয়ে দেব কখনও সুযোগ পেলে।
DeleteArey chalao chalao Kuntala. Ami dhonno hobo …. kono copyright tait er kono dorkar neyi :D
Deleteহাহা, থ্যাংক ইউ, শর্মিলা।
Deleteবড় সুন্দর লেখা। যা কিছু নিয়েই লেখ না কেন সেটা বেশ সুস্বাদু হয়ে যায়। এখানে বেশি কথার কচকচানি নেই,সবজান্তা ভাব নেই। কেমন সহজ করে সাধারণ জিনিসগুলো দিয়ে একটা সুন্দর লেখা বেরিয়ে আসে। এমন ঘটনা তো অহরহ আমাদের চারপাশে ঘটছে। কিন্তু লিখতে পারে কজন? সে তুমিই পার।
ReplyDeleteতৃপ্তি
আরে থ্যাংক ইউ, তৃপ্তি। মন ভালো হয়ে গেল।
Deleteতা আপনি ওই কোটিকোটি ইউ এস বি কেবল এর কটা পার্সে আর অফিসে রাখেননা কেন? আমি তো তাই করি। আমিও পারলে সর্বক্ষণ ১০০% চার্জ রাখায় বিশ্বাসী, আর তাই কম্পিউটার নিয়ে বসলেই একটা পোর্টে ফোন চার্জে লাগিয়ে দি।
ReplyDeleteএইটার উত্তর দিতে নিজেরই লজ্জা করছে। নিয়ে রাখিনি কারণ ওই কোটি কোটি কেবলের কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ সেটা গুলিয়ে গেছে। তাছাড়া আমি সকেট থেকে চার্জ করতে পছন্দ করি, হুশ করে হয়ে যায়।
Delete